বিষয়বস্তুতে চলুন

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী হিন্দু বিরোধী সহিংসতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সন্দেহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সংযুক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য মতে তিনি ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। সূত্র https://www.ittefaq.com.bd/700382/%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6...
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
BadhonCR (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Emdad Tafsir-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১২৭ নং লাইন: ১২৭ নং লাইন:
১ সেপ্টেম্বর রাতে, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রানিসিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাজারে একটি সম্প্রদায় মন্দিরে হামলা হয়, মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুরের পর পেট্রোল ছিটানো হলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে আগুন জ্বালানো থেকে রক্ষা পায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ=প্রতিনিধি |প্রথমাংশ=নিজস্ব |তারিখ=1 September 2024 |ভাষা=bn |শিরোনাম=শেরপুরে মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর |ইউআরএল=https://ekattor.tv/country/mymensingh/68975/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0 |সংগ্রহের-তারিখ=18 September 2024 |ওয়েবসাইট=একাত্তর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর ও আগুন ধরানোর চেষ্টা |ইউআরএল=https://www.dailykaratoa.com/deshjure/article/100000/6073 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240902125608/https://www.dailykaratoa.com/deshjure/article/100000/6073 |আর্কাইভের-তারিখ=২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |সংগ্রহের-তারিখ=18 September 2024 |ওয়েবসাইট=The Daily Karatoa |সূত্র={{sfnref|The Daily Karatoa}}}}</ref>
১ সেপ্টেম্বর রাতে, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রানিসিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাজারে একটি সম্প্রদায় মন্দিরে হামলা হয়, মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুরের পর পেট্রোল ছিটানো হলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে আগুন জ্বালানো থেকে রক্ষা পায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ=প্রতিনিধি |প্রথমাংশ=নিজস্ব |তারিখ=1 September 2024 |ভাষা=bn |শিরোনাম=শেরপুরে মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর |ইউআরএল=https://ekattor.tv/country/mymensingh/68975/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0 |সংগ্রহের-তারিখ=18 September 2024 |ওয়েবসাইট=একাত্তর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর ও আগুন ধরানোর চেষ্টা |ইউআরএল=https://www.dailykaratoa.com/deshjure/article/100000/6073 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240902125608/https://www.dailykaratoa.com/deshjure/article/100000/6073 |আর্কাইভের-তারিখ=২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |সংগ্রহের-তারিখ=18 September 2024 |ওয়েবসাইট=The Daily Karatoa |সূত্র={{sfnref|The Daily Karatoa}}}}</ref>


৯ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চৈতালি সংঘ পূজা মণ্ডপের দানবাক্স চুরি করা হয়।<ref name=":4" /> ১২ই অক্টোবর বিএনপি নেতা হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হিন্দু নেতাদের হুমকি দেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ভাষা=bn |শিরোনাম=পূজামণ্ডপে হিন্দু চেয়ারম্যানদের মামলার হুমকি বিএনপি নেতার |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/country-news/864755 |সংগ্রহের-তারিখ=2024-10-21 |ওয়েবসাইট=Jugantor}}</ref>
৯ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চৈতালি সংঘ পূজা মণ্ডপের দানবাক্স চুরি করা হয়।<ref name=":4" /> ১২ই অক্টোবর বিএনপি নেতা হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হিন্দু নেতাদের হুমকি দেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ভাষা=bn |শিরোনাম=পূজামণ্ডপে হিন্দু চেয়ারম্যানদের মামলার হুমকি বিএনপি নেতার |ইউআরএল=https://www.jugantor.com/country-news/864755 |সংগ্রহের-তারিখ=2024-10-21 |ওয়েবসাইট=Jugantor}}</ref>

৩ ডিসেম্বর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সনাতন ধর্মের কিছু মানুষের দোকান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=bn|শিরোনাম=ধর্ম অবমাননার অভিযোগ, দোকান-বাড়িঘর ভাঙচুর|ইউআরএল=https://ekattor.tv/country/sylhet/72878/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0?fbclid=IwY2xjawG81zxleHRuA2FlbQIxMAABHWhdp66OMzrCvmi5XZPsU5q-MkrEx1A3l20CFvGxTeVSstvz-Ix0DHuDxQ_aem_G3w3_zTdvDyo5w76fbT1gw|সংগ্রহের-তারিখ=2024-12-04|ওয়েবসাইট=একাত্তর}}</ref>


== প্রতিক্রিয়া ==
== প্রতিক্রিয়া ==
১৮১ নং লাইন: ১৭৯ নং লাইন:


== বিপরীত চিত্র ==
== বিপরীত চিত্র ==
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আক্রমনের ঘটনাসমূহে ভারত এবং হিন্দু সম্প্রদায় মৌলবাদী মুসলিমদের অভিযোগ করলেও অনেক ক্ষেত্রেই এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়। ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে প্রতিমা ভাঙচুরের ক্ষেত্রে অনেক হিন্দু যুবককে অংশ নিতে দেখা যায়। ১১ অক্টোবর ২০২৪ সালে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করার ঘটনায় রানাপদ সরকার নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/national/news/bd/1406140.details| শিরোনাম=রাজবাড়ীতে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় হিন্দু যুবক গ্রেপ্তার| তারিখ=১১ অক্টোবর ২০২৪ | সংবাদপত্র=বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম}}</ref>

১০ অক্টোবর ২০২৪ সালে ভোলায় পূজামণ্ডপের গেট ভাঙচুর করার সময় শিমুল চন্দ্র নামের এক হিন্দু যুবককে আটক করে পুলিশ। ভোলার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী কালের কণ্ঠকে জানান, আটক যুবককে পূজামণ্ডপ থেকে ২০০ গজ দূরত্বের মূল গেট ভাঙচুর ও আলোকসজ্জায় ইট নিক্ষেপের সময় হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/10/1433822| শিরোনাম=পূজামণ্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় হিন্দু যুবক আটক| তারিখ=১০ অক্টোবর ২০২৪ | সংবাদপত্র=কালের কন্ঠ}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.jugantor.com/country-news/863421| শিরোনাম=পূজা মন্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় হিন্দু যুবক আটক| তারিখ=১০ অক্টোবর ২০২৪ | সংবাদপত্র=[[যুগান্তর]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/country/barishal/867262/%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0| শিরোনাম=মণ্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় যুবককে আটক করে পুরস্কার পেলেন পুলিশ কর্মকর্তা| তারিখ=০৯ অক্টোবর ২০২৪ | সংবাদপত্র=বাংলা ট্রিবিউন}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://bholaprotidin.com.bd/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%AD/| শিরোনাম=ভোলায় পূজা মন্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় হিন্দু যুবক আটক| তারিখ=৯ অক্টোবর ২০২৪ | সংবাদপত্র=ভোলা প্রতিদিন}}</ref>

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সঞ্জিত বিশ্বাস নামে একজন হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.ittefaq.com.bd/700382/%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95| শিরোনাম=ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার| তারিখ=১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | সংবাদপত্র=ইত্তেফাক}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://samakal.com/whole-country/article/256207/%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0:-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0| শিরোনাম=ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুর: ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার| তারিখ=১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | সংবাদপত্র=সমকাল}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/e641d4dac848| শিরোনাম=ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার| তারিখ=১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | সংবাদপত্র=বিডিনিউজ২৪.কম}}</ref>

ইসকন গুরু চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চন্দন কুমার ২০২৪ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত সংঘর্ষের মধ্যে উগ্র হিন্দু মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী দ্বারা [[সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ড|সাইফুল ইসলাম আলিফ]] নামের হাইকোর্টের আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের পরিচয় সম্পর্কে যা জানা গেল |ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/28/1451513 |ওয়েবসাইট=kalerkantho.com |সংগ্রহের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০২৪ |তারিখ=২৮ নভেম্বর ২০২৪}}</ref> এসময় উগ্র হিন্দুরা আদালত এলাকার মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুরের চালায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/11/27/1451125| শিরোনাম=ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল বেরোবি| তারিখ=২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | সংবাদপত্র=কালের কন্ঠ}}</ref> পরবর্তীতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় যথাক্রমে রুমিত দাশ, সুমিত দাশ, গগন দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, আমান দাশ ও মনু মেথর গ্রেফতার করে পুলিশ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/3ciug2sjml| শিরোনাম=পুলিশের তিন মামলা, ফুটেজ দেখে হত্যায় জড়িত সাতজন শনাক্ত| তারিখ=২৭ নভেম্বর ২০২৪ | সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]]}}</ref> এছাড়াও হত্যাকান্ডে যুক্ত থাকায় বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/a10eyht5uj| শিরোনাম=ইসকনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার| তারিখ=২৮ নভেম্বর ২০২৪ | সংবাদপত্র=[[প্রথম আলো]]}}</ref>


=== সুশীল হিন্দু সম্প্রদায় থেকে বিবৃতি ===
=== সুশীল হিন্দু সম্প্রদায় থেকে বিবৃতি ===

০৭:৩১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠির উপর সহিংসতার ঘটনা ঘটে। মূলত ৫ই আগস্ট গণআন্দোলনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দেশের অনেক স্থানে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট[] হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি, ব্যবসা এবং মন্দিরগুলিকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ঘটতে থাকে।[] সহিংসতা বন্ধের দাবিতে দেশের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ৮ দফা দাবি কর্মসূচি ঘোষণা করেন।[]

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমরা সেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মন্দির পাহাড়া দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।[][][][]

পটভূমি

২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি ছাত্র অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়, যা ক্রমশ তৎকালীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে প্রসারিত হয়েছিল। এসময় সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে প্রতিহতের চেষ্টা করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা প্রশাসনকে অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। যার ফলে দেশের আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হয়।

শেষ পর্যন্ত ৫ই আগস্ট তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির সুযোগ নিয়ে দেশে নানা ধরণের অরাজকতা শুরু হয়। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা সহ নানা ধরণের অপরাধ ঘটতে থাকে। এই সময় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দিরে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়।[]

হিন্দুধর্মাবলম্বী ছাড়াও হামলা হয় খ্রিষ্টান ও আহমদিয়া সম্প্রদায় এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর।[]

প্রতিবেদন প্রকাশ

৫-২০ আগস্ট - প্রথমআলোর প্রতিবেদন

৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৬৭টি উপজেলায় অনুসন্ধান চালিয়ে ৪৯টি জেলায় হামলার তথ্য পেয়েছেন। হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ১০৬৮টি ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর বাইরে হামলা হয়েছে ২২টি উপাসনালয়ে। মোট ৯১২টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।[]

৪-২০ আগস্ট - বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন

১৯ সেপ্টেম্বের ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তথ্য তুলে ধরে। প্রতিবেদনটিতে ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনার উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯ জনকে হত্যা, ৪ জনকে ধর্ষণ/গণধর্ষণ (এর মাঝে ১জন বাকপ্রতিবন্ধি), ৬৯টি উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ; ৯১৫টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; ৯৫৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; বসতবাড়ি দখল একটি; ৩৮টি শারীরিক নির্যাতন এবং ২১টি জমি/ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের ঘটনা ঘটেছে। ঐক্য পরিষদ বলছে, এসব ঘটনার সবগুলোই সাম্প্রদায়িক, রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা তারা লিপিবদ্ধ করেনি। []

৩০ অক্টোবর প্রকাশিত নেত্র নিউজ-এর একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, হত্যাকাণ্ডগুলোর কোনোটিতেই ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বরং নিহত ৭ জনের ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিশোধ, গণ সহিংসতা এবং অপরাধজনিত হত্যাকাণ্ডের মিশ্রণ কাজ করেছে। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবিগুলি তাদের উল্লেখ করা সংবাদ প্রতিবেদন এবং তাদের নিজস্ব স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্যের দ্বারাই খণ্ডিত হয়েছে।[১০]

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল যে, ৫ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৯ জন শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।[১১]

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের প্রধান বক্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এক সমাবেশে বলেন, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ৯৩ জনকে পুলিশ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভেটেরিনারি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুদের শনাক্ত করা হচ্ছে।[১২][১৩]

বিভাগ অনুযায়ী সহিংসতার ঘটনা

খুলনা বিভাগ

খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিভাগটির ১০টি জেলার সব কটিতেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আলোর তথ্য মতে ৫-২০ তারিখের মাঝে খুলনা বিভাগে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে ২১৯টি, উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে ৫টি এবং ২জনকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী সহিংসতার সংখ্যা ৮১০টি।[]

৫ আগস্ট সন্ধ্যায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুলতাননগর গ্রামের ঋষিপল্লিতে সান্ধ্য পূজার আয়োজন চলাকালে হামলা ও লুটপাট করে ৪০ থেকে ৫০ জনের দল। ১২টি বাড়িতে হামলার পর লুটপাট করা হয়েছে। ঋষিপল্লির হিন্দুদের বসতভিটার পাশাপাশি মন্দির ও মণ্ডপেও হামলা-ভাঙচুর হয়েছে। ভাঙা হয়েছে বেশ কিছু প্রতিমা।[১৪]

৪ সেপ্টেম্বর খুলনায় নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করার অভিযোগে রাত ৮টার দিকে খুলনার আজম খান সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষার্থীরা উৎসব মণ্ডলকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে ধরে নিয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে শত শত লোক গিয়ে ওই কার্যালয় ঘেরাও এবং বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তার মৃত্যুর গুজবও ছড়ায়। পরে সশস্ত্র বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টায় তাঁকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তিনি আশঙ্কা মুক্ত।’ [১৫]

খুলনার দাকোপ উপজেলায় ৬ ও ৭ আগস্ট অন্তত ১১টি হিন্দুবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে একটি শ্রেণি এমন হামলা ও সহিংস কর্মকাণ্ড চালায়। এসব প্রতিহত করতে স্থানীয় লোকজন দলে দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন গ্রাম পাহারা দেন।[১৬] ১০ আগস্ট সহিংসতার প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও মিছিল আয়োজন হয়।[১৭]

১৪ই আগস্ট খুলনায় এক হিন্দু ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।[১৮]

২১ সেপ্টেম্বর দাকোপে, একাধিক মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির কাছে নামবিহীন চিঠি বারবার পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, "দুর্গাপূজা উদযাপন করতে হলে প্রতিটি মন্দিরকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।" এর সঙ্গে আরও একটি ভয়ঙ্কর হুমকি দেওয়া হয়েছে: "যদি কেউ এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বা সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তাকে হত্যা করা হবে।" এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পূজা উদযাপন কমিটি দুর্গাপূজা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনটি মন্দিরে পাঠানো চিঠির বিষয়বস্তু প্রায় একই রকম।[১৯][২০]

স্থানীয় সংবাদে জানানো হয়েছে, মহেশপুর উপজেলার গোপালপুরের স্থানীয় মুসলিমরা ভরত দাস এবং তার ভাই শম্ভু দাসের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ২০৭ শতক জমি দখল করার চেষ্টা করছে। ভরত দাস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বাবুল হোসেন, ইকরামুল, বিপুল, খালেদ হোসেন, জিন্নাহ এবং আরও কয়েকজন সেই জমির ফসল নষ্ট করেছে। ভরত দাস আরও উল্লেখ করেন যে, তারা জন্ম থেকেই এই জমি চাষ করে আসছেন। কিন্তু এখন তাদের জমিতে গেলে হত্যার হুমকি ও অন্যান্য ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদেরকে জমিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।[২১][২২][২৩]

রংপুর বিভাগ

রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা ঘটেছে। এই বিভাগের ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট এবং পঞ্চগড় জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু ছিল।

১ অক্টোবর, রংপুর জেলার কোতোয়ালী থানা এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানায় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ৬ অক্টোবর, ডিমলার সুখ সন্নাসীর মাটির ঢিবি ধ্বংস করা হয়।[২৪] সুন্দরগঞ্জ থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় ভবেশ চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশের মতে, ভবেশ মানসিকভাবে অসুস্থ এবং মাদকে আসক্ত।[২৫] রাজারহাটের ঘাড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের দুর্গা মন্দিরেও ভাঙচুর করা হয়েছে।[২৬]

ময়মনসিংহ বিভাগ

নেত্রকোনা শহরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ১৯টি দোকান, যার মধ্যে গয়ানাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার, দুর্গা মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং উত্তরা হোটেল লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়।[২৭]

৬ আগস্ট, বিএনপি নেতা (যুব দল) কবিরুল ইসলাম দুবাউরায় হিন্দুদের মালিকানাধীন পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। ক্ষতিগ্রস্তদের একজন, অতুল সরকার, বলেন যে তারা ১৯৯৭ সাল থেকে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর, ৬ আগস্ট তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়।[২৮]

২৬ সেপ্টেম্বর, ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় গোবিন্দ জিউর মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।[২৯][৩০]

চট্টগ্রাম বিভাগ

এছাড়াও, চট্টগ্রামের নিকটবর্তী একটি গ্রামে হিন্দু বাড়িগুলিতে আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, প্রত্যক্ষদর্শী এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়দের মতে।[]

কুমিল্লা জেলায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় এবং মন্দিরের দানবাক্স লুট করা হয়।[৩১]

৬ অক্টোবর রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিমা ভাঙচুরের উদ্দেশ্যে ভাঙা ইটের টুকরো ছোড়া হয়।[২৪] ৭ অক্টোবর, খাগড়াছড়ির রামগড়ে একটি মন্দিরের প্রতীক চুরি করা হয়।[২৪]

১০ই অক্টোবর আজিজ ফজিলপুর তুলাতুলির কাছে মুসলিম উগ্রপন্থীরা একটি হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়।[৩২]

২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় কয়েকশ লোক বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে শান্তনেশ্বরী কালী বাড়ি, শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির এবং শনি মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর ঘটনা ঘটে।[৩৩]

ঢাকা বিভাগ

ধামরাই উপজেলায় ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি একটি হিন্দুর বাড়িতে আক্রমণ করে।[৩৪] ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায়, দুর্বৃত্তরা কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আক্রমণ করে, একটি কালী মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং একজন হিন্দু হোমিওপ্যাথি ডাক্তারকে আক্রমণ করে। এছাড়াও, সদরপুর উপজেলায় দুটি হিন্দু মালিকানাধীন দোকান লুট করা হয়।[৩৫] শরীয়তপুরে, দুর্বৃত্তরা ঢাকুয়া মনসা বাড়ি মন্দির ধ্বংস করে এবং হিন্দু বাড়িগুলিতে আক্রমণের চেষ্টা করে, কিন্তু সেনাবাহিনীর আগমনে আক্রমণ ব্যর্থ হয়।[৩৬]

৩০ আগস্ট, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায়, প্রায় ৫০ বছরের পুরনো একটি মন্দির এবং হিন্দু জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। বিএনপি নেতা লেবু মিয়া, ৫০-৬০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে, ‘রাধাগোবিন্দ লোকনাথ নাটমন্দির’ আক্রমণ ও ভাঙচুর করে। হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে, তাদেরও আক্রমণ করা হয়, ফলে ১০-১২ জন আহত হয়। এছাড়াও, মন্দির কমপ্লেক্সের একটি বাড়িতে আক্রমণ করা হয়। এই ঘটনার বিষয়ে, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার আহমেদ জানান যে মন্দিরে আক্রমণের বিষয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দ্রুত জানানো হয়।[৩৭][৩৮]

ঢাকার ধানমন্ডিতে, ব্যান্ড জলের গানের প্রধান রাহুল আনন্দের বাড়ি আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। দ্য ডেইলি স্টারকে উদ্ধৃত করে একটি ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সূত্র জানায়, ‘তারা গেট ভেঙে ফেলতেই বাড়ি ধ্বংস করতে শুরু করে, যা কিছু পায় তা নিয়ে যায়। তারা আসবাবপত্র এবং আয়না থেকে শুরু করে মূল্যবান জিনিসপত্র পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে যায়। তারপর তারা পুরো বাড়ি এবং রাহুল দার বাদ্যযন্ত্র সহ আগুন ধরিয়ে দেয়।’ প্রায় ১৪০ বছর পুরনো এই বাড়িতে রাহুল আনন্দের তৈরি ও ডিজাইন করা ৩,০০০ এরও বেশি বাদ্যযন্ত্র ছিল, যা আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়।[৩৯]

১৯ই আগস্ট ঢাকা কলেজের পশ্চিম হোস্টেলের মন্দিরে একটি মূর্তি ভাঙা হয় এবং মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করা হয়।[৪০]

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বত্রিশ এলাকায় শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউ আখড়া মন্দিরে দেবী দুর্গার সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।[৪১][৪২]

১১ই অক্টোবর রাতে ঢাকার তাঁতিবাজারের চারটি মন্দিরের দুর্গা পূজা মন্ডপে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর হামলাকারীরা ছুরিকাঘাত শুরু করে এবং অন্তত চারজন পূজারী আহত হন। আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।[৪৩][৪৪][৪৫]

১৪ই অক্টোবর পুরান ঢাকায় হিন্দু মূর্তি বিসর্জনের সময় কিছু উগ্রপন্থী একটি ভবনের ছাদ থেকে হিন্দুদের দিকে ইট নিক্ষেপ শুরু করে। কয়েকজন হিন্দু তাদের থামাতে ভবনে উঠতে গেলে, পুলিশ তাদের উপরে উঠতে বাধা দেয়। এ ঘটনায় দুইজন হিন্দু আহত হন।[৪৬]

প্রতিবছর কালীপূজা উপলক্ষে মাদারীপুরের কালকিনিতে শতাব্দী প্রাচীন কুন্ডুবাড়ি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে এ বছর স্থানীয় মুসলিমদের ও ইসলামি পণ্ডিতদের নির্দেশনা অনুসারে প্রশাসন মেলা আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে। মন্দির কমিটির প্রধান, বসু দেব কুন্ডু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিকে বলেন, "আমাদের পূর্বপুরুষরা দীপাবলি ও শ্রী শ্রী কালীপূজার উপলক্ষে এই মেলা আয়োজন করে আসছেন। কিন্তু এ বছর আমাদের মেলা না করার নির্দেশ দিয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে।"[৪৭]

বরিশাল বিভাগ

১৫ সেপ্টেম্বর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হরি মন্দিরে নির্মাণাধীন আটটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। ভাঙ্গা পূজা কমিটির প্রধান স্বপন চন্দ্র সাহা সাংবাদিকদের জানান, 'হরি মন্দিরে কার্তিক, অর্জুন এবং গণেশ সহ মোট আটটি মূর্তির বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে।'[৪৮] এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে এবং দাবি করে যে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ভারতীয় এবং ভারতের নদিয়া জেলা থেকে এসেছেন। ডয়েচে ভেলের এক তদন্তে জানা যায়, পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের না ধরে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) ব্যক্তিকে আটক করে এবং মিথ্যা দাবি করে যে সে ভারতীয়। কিন্তু আসলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বাংলাদেশি।[৪৯]

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায় দুর্বৃত্তরা কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়, একটি কালী মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং একজন হিন্দু হোমিওপ্যাথি ডাক্তারকে আঘাত করে।[৫০]

৪ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জের দেওড়ি বাড়ি সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের দুর্গা পূজা মণ্ডপে তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক, শঙ্কর দেওড়ি, বলেন, 'গত ১১ বছর ধরে এই মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই প্রথমবার এমন একটি ঘটনা ঘটল।'[৫১][৫২]

১৩ই অক্টোবর বরিশালের একটি মন্দিরে পূজার সময় কিছু মুসলিম স্থানীয় বিএনপি নেতা মিজানুরের সঙ্গে গিয়ে কোরআন পাঠ করে এবং হুমকি দেয়।[৫৩]

২১ অক্টোবর, পটুয়াখালী শহরে ২১টি হিন্দু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা চালায় একদল লোক। কালীকাপুর এলাকায় প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের এই জমিতে হিন্দু পরিবারের সদস্যরা বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে, নিজেদের বিএনপি কর্মী দাবি করা একটি দল তাদের বাধা দেয়। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের হত্যার, আঘাত করার এবং দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।[৫৪][৫৫]

রাজশাহী বিভাগ

৪ঠা আগস্ট রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত সরকারের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সুরঞ্জিত সরকার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি দুবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। [৫৬] তিনি ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন যে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভারতের কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানান, তাদের বাড়ি থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১০ তোলা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে। মন্টু চন্দ্র সরকার তাদের বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করা হয় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে রাতে হামলাকারীরা তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। একজন হিন্দু দোকানদারের বাড়িতেও হামলা হয়েছিল।[৫৭]

৫ ও ৬ আগস্ট নওগাঁ শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ২৪টি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আর ১৪টি ঘটনা ঘটে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।[৫৮]

৫ আগস্ট মোহনপুর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামে ২৫টি বাড়ি এবং মোহনপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দিরে হামলা চালানো হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানান, হামলাকারীরা তাদের মিছিলের সময় সবকিছু ভেঙে দেয়। ঘটনার পর থেকে বিদ্যাধরপুরের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আমরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকুমার প্রামাণিকের বাঁ হাত ভেঙে গেছে। ভীমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কুমারও হামলার শিকার হন। মোহনপুর কলেজের শিক্ষক ববিন কুমার সরকারের বাড়ির এবং তার ভাই বিপুল কুমার সরকারের বাড়ির ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের বাড়ির দুটি জানালাও লাঠি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। সুদর্শন চন্দ্র সরকারের বাড়ির কাচের জানালা ভেঙে যায় এবং দরজা বন্ধ থাকায় হামলাকারীরা প্রবেশ করতে পারেনি। নারায়ণ সরকারের বাড়ির বারান্দার ছাদ, অজিত সরকারের দোকান, পরশুরাম প্রামাণিকের দুটি বাড়ির বারান্দার ছাদ, নারায়ণ প্রামাণিকের বাড়ির বারান্দার ছাদ, সুশেন প্রামাণিকের বাড়ির টিনের ছাদ ও টয়লেটের পাইপ, অসিত কুমার সরকারের বাড়ির জানালা এবং রতন প্রামাণিকের বাড়ির জানালা ভেঙে ফেলা হয়। অবিনাশ সাহার বাড়ির কাচের জানালা, রান্নাঘরের ছাদ এবং বায়ু চলাচলের জানালাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অজিত সরকারের দোকান ও তার ভেতরের সব জিনিসপত্র সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেওয়া হয়।[৫৯]

নাটোর জেলায়, দুর্বৃত্তরা ছয়টি বাড়ি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জোটদাইবকী শিব ও কালী মন্দির ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।[৩৪] হামলাকারীরা রনেন্দ্রনাথের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে, এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং রক্তক্ষরণ হতে থাকে। নরেশ চন্দ্র জানান, তার বাড়ি থেকে দুর্বৃত্তরা এক লাখ টাকার বেশি, ৪ তোলা স্বর্ণালংকার, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন এবং চালের বস্তা লুট করেছে। দীপেন্দ্রনাথ সাহা লালপুর থানায় এই ঘটনার কথা জানালে, একজন কর্মকর্তা তাকে জানান যে তিনি পুলিশ পাঠাতে পারবেন না, যেমনটি তিনি প্রথম আলো-কে উল্লেখ করেছেন।[৬০]

দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলায়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ৪০টি দোকান লুট করা হয়েছে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম রায় প্রথম আলোকে জানিয়েছেন যে জেলাজুড়ে ১০-১৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে এবং বাড়ি বাড়ি হুমকি দেওয়া হচ্ছে।[৩৪]

রাজশাহীতে, জাতিগত সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট, মোহনপুর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামে একটি হামলা হয়।[২৭]

৭ আগস্ট, দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর এবং বিরামপুর উপজেলায় হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা এবং মন্দিরে হামলা হয়।

২৪ আগস্ট, রাজশাহীর বাঘায় তিনটি মন্দিরে হামলা হয়। পাকুরিয়া পালপাড়া, পাকুরিয়া ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এবং বাঘা পৌরসভার কালিগ্রামে অবস্থিত মন্দিরগুলিতে আইটেম এবং মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও, হিন্দু মহিলাদের অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।[৬১]

৫ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার জয়নগর, বটতলা হাট এলাকায় দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।[৬২][৬৩]

পাবনার সুজানগরে শনিবার এবং মঙ্গলবার রাতে দুটি মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা অবমাননা করা হয়। শনিবার রাতে সুজানগর পৌরসভার ঋষিপাড়া বারোয়ারি পূজা মণ্ডপে চারটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।[৬৪] ২৮ সেপ্টেম্বর পৌরসভার নিশিপাড়া দুর্গা মন্দিরে একটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।[৬৫][৬৬][৬৭]

সিলেট বিভাগ

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিখ্যাত ভূগোলবিদ ও ভ্রমণকারী রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ির একটি অংশ স্থানীয় একটি দল আব্দুল ওয়াহেদের নেতৃত্বে ভেঙে দিয়েছে। আব্দুল ওয়াহেদ দীর্ঘ সময় ধরে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছিলেন। রামনাথ বিশ্বাস ১৯৩১ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত চারটি মহাদেশ ভ্রমণের জন্য উপমহাদেশে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।[৬৮]

১ সেপ্টেম্বর রাতে, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রানিসিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাজারে একটি সম্প্রদায় মন্দিরে হামলা হয়, মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুরের পর পেট্রোল ছিটানো হলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে আগুন জ্বালানো থেকে রক্ষা পায়।[৬৯][৭০]

৯ অক্টোবর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চৈতালি সংঘ পূজা মণ্ডপের দানবাক্স চুরি করা হয়।[২৪] ১২ই অক্টোবর বিএনপি নেতা হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হিন্দু নেতাদের হুমকি দেন।[৭১]

প্রতিক্রিয়া

রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশ
ঢাকার শাহবাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ

৬ আগস্ট থেকে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থী, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে সংখ্যালঘুদের স্থাপনায় পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়। হিন্দু, মুসলিম ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ উপাসনালয় পাহাড়ায় অংশ নেয়।[৭২][৭৩][৭৪][৭৫]

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা নিজেদেরকে এই আক্রমণ থেকে দূরে রেখেছেন এবং জনগণকে এমন আক্রমণ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন। [৭৬]

৯ আগস্ট থেকে হিন্দু সংগঠনগুলি বাংলাদেশ জুড়ে সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। ঢাকার শাহবাগে টানা দুই দিন বড় প্রতিবাদ করা হয়। [৭৭] ১০ আগস্ট সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। [৭৮] ১১ আগস্ট টাঙ্গাইল,[৭৯] জামালপুর,[৮০] মৌলভীবাজার,[৮১] বগুড়া থেকে আরও প্রতিবাদের খবর পাওয়ার যায়। [৮২] প্রতিবাদকারীরা হিন্দু মন্দির ও সম্পত্তির আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ১০% আসন, সংখ্যালঘু ধর্মের জন্য ফাউন্ডেশন গঠন, ভেস্টেড প্রপার্টি অ্যাক্টের অধীনে জব্দকৃত সম্পত্তি ফেরত এবং দুর্গাপূজার জন্য পাঁচ দিনের ছুটির দাবি জানায়। [৭৭]

১৩ আগস্ট বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের ৪০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। ওই দিন তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাচ্ছি, যেটা একটা পরিবার, এটাই হচ্ছে মূল জিনিস। এই পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করার প্রশ্নই আসে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশি।’

২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম শহরের লালদিঘী ময়দানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ আট দফা দাবিতে একটি গণসমাবেশের আয়োজন করে। "আমার মাটি আমার মা, এ দেশ ছেড়ে কোথাও যাব না" শ্লোগান দিয়ে হিন্দু নারী-পুরুষেরা দলে দলে সমাবেশে যোগদান করেন।[১২][১৩] প্রধান বক্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন,

বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক শক্তি সাম্প্রদায়িক আচরণ করে রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না। ক্ষমতার হাতবদল বারবার ঘটছে, কিন্তু এই দেশে স্থিতিশীলতা আসছে না। এর কারণ সহনশীলতা হারিয়ে যাচ্ছে। সম্মান হারিয়ে যাচ্ছে; শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ৯৩ জনকে পুলিশ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভেটেরিনারি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুদের শনাক্ত করা হচ্ছে। কিছু সময়ের জন্য এমন অন্যায় কার্যকলাপ কমেছিল, কিন্তু এখন তা আবার শুরু হয়েছে। আমরা আর চুপ করে থাকব না।[১২][১৩]

প্রবাসী

১১ আগস্ট, বার্মিংহামে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রবাসীরা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এই সমাবেশে “মন্দির ও গির্জায় হামলা” এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর “নির্যাতনের” বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।[৮৩][৮৪]

পার্লামেন্ট স্কয়ার এবং ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসির সদর দপ্তরের সামনে, প্রবাসীরা “Protect Hindus,” “Hindu Lives Matter,” এবং “Justice for Hindus” লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে শ্লোগান দেন।[৮৫][৮৬][৮৭] প্রবাসী অজিত কে. সাহা অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে বিবিসি পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রকাশ করেছে। তারা কখনোই হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো তুলে ধরেনি।” প্রতিবাদকারীরা বিবিসির নিউজরুমে একটি প্রতিবাদ পত্র জমা দেন, যেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের সাম্প্রতিক ভোগান্তির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করার কথা বলা হয়।[৮৮]

শনিবার দুপুরে, টরন্টোর নাথান ফিলিপস স্কয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি সমাবেশ করেন। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এতে অংশ নেন।[৮৯][৯০] এই সমাবেশে কানাডার সংসদ সদস্য কেভিন ভুয়ং, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধি অভিষেক চৌবে এবং কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি নরেশ চাওদা সংহতি প্রকাশ করতে উপস্থিত ছিলেন। অনেকেই বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণে ''কানাডার প্রভাব'' ব্যবহারের আহ্বান জানান। তারা প্রস্তাব করেন যে, "কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা করা বাংলাদেশি হিন্দুদের জন্য দ্রুত ভিসা প্রদানের প্রক্রিয়া চালু করা যেতে পারে।"[৯১][৯২][৯৩][৯৪][৯৫]

রবিবার সকালে, ৩০০ জনেরও বেশি ভারতীয় আমেরিকান ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দু হিউস্টনের সুগার ল্যান্ড সিটি হলে জড়ো হন। তারা বাইডেন প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। হিন্দুপ্যাক্ট সংগঠনের সহ-সমন্বয়কারী দীপ্তি মহাজন তার বক্তৃতায় বলেন, “দশ মিলিয়ন হিন্দু গণহত্যার একটি ঘনঘন বোমার ওপর বসে আছে।”[৯৬][৯৭] মিশিগান থেকে হিউস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ওয়াশিংটন, ডিসি পর্যন্ত ভারতীয় ও বাংলাদেশি আমেরিকানরা “Protect Hindu Rights,” “Religion is not a crime,” “Live and Let Live” ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাদের “হিন্দু ভাই-বোনদের” সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।[৯৮][৯৯]

আন্তর্জাতিক

সরকার

  • ভারত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে বলেছেন: “বিশেষভাবে উদ্বেগজনক ছিল যে সংখ্যালঘুদের, তাদের ব্যবসা এবং মন্দিরগুলিও একাধিক স্থানে আক্রমণের শিকার হয়েছিল। এর সম্পূর্ণ পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।”
  • অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন ও শক্তি মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন বাংলাদেশে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মুখোমুখি হওয়া সহিংসতা ও চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে। “যেমন আমি শুরুতেই বলেছিলাম, সমস্ত বাংলাদেশিদের প্রতি সমস্ত সহিংসতা নিন্দনীয়,” বোয়েন ১০ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ান সংসদের একটি অধিবেশনে বলেছেন। বোয়েন ব্যাপক ক্ষতি, লুটপাট এবং আক্রমণের রিপোর্ট উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে ৭২৫টি বাড়ি ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৭২৪টি লুটপাট হয়েছে, ৫৮টি আগুনে পুড়ে গেছে এবং ১৭টি উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২১টি লুটপাট হয়েছে।[১০০]
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুইজন মার্কিন আইনপ্রণেতা, কংগ্রেসম্যান শ্রী থানেদার এবং রাজা কৃষ্ণমূর্তি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেছেন যে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং সহিংসতার ফলে অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা মার্কিন স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় আইনপ্রণেতা মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার এবং সহিংসতা বন্ধ করার, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন। থানেদার বাইডেন প্রশাসনকে নিপীড়িত বাংলাদেশি হিন্দুদের আশ্রয়প্রার্থী মর্যাদা দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন। [১০১][১০২][১০৩]
  • কানাডা ক্যানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেছেন যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তিনি আরও বলেছেন যে কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের পরিবার বাংলাদেশে রয়েছে, তারা সেখানকার মানুষ, তাদের মন্দির এবং সম্পত্তির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।[১০৪]

সংস্থা

  • জাতিসংঘ জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জাতিগত হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। নিউ ইয়র্কে দৈনিক ব্রিফিংয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, "আমরা যা স্পষ্ট করেছি তা হল আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে বাংলাদেশে যে সহিংসতা ঘটছে তা কমে যায়। অবশ্যই, আমরা যে কোনও জাতিগত ভিত্তিক হামলা বা জাতিগত ভিত্তিক সহিংসতার প্ররোচনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।"[১০৫]
  • ব্রিটিশ মুসলিম সমিতি হিন্দুদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি ফতোয়া জারি করেছে এবং বাঙালি মুসলমানদের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে সংহতি প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে। [১০৬][১০৭]
  • অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক বাবু রাম পান্ত বলেন:

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যে, হিন্দু, আহমদিয়া এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং এর সাথে সম্পর্কিত গণহিংসার ঘটনাগুলোর দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্ত করা হোক এবং যারা দোষী তাদের ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচারের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করা হোক।[১০৮]

স্বতন্ত্র ব্যক্তি

ডোনাল্ড ট্রাম্প

বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেন,

‘‘আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘বর্বর সহিংসতার’ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, যারা উচ্ছৃঙ্খল জনতা দ্বারা আক্রমণ ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল।”[১০৯][১১০][১১১]

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে পাঠানো এক চিঠিতে, হাউস অফ লর্ডসের সদস্য লেস্টারের ব্যারনেস সন্ধিপ ভার্মা লিখেছেন:

আমি আপনাকে লিখছি কারণ পরিবার, বন্ধু এবং সম্প্রদায় সংগঠনগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীর আক্রমণের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ধর্মীয় উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, নিরপরাধ মানুষদের উপর অকথ্য সহিংসতা চালানো হয়েছে, এবং পুলিশ প্রায় কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। এই অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে অবিলম্বে জনসমক্ষে নিন্দা জানানো প্রয়োজন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসকে অবশ্যই এই জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে আইনের পূর্ণ শক্তি এবং আদালতের ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ দিতে হবে। যদিও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের একজন দৃঢ় মিত্র, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন ও আক্রমণ চলতে দেওয়া যায় না, এবং আমি অনুরোধ করছি যে, এই বিষয়টি অবিলম্বে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করা হোক।[১১২][১১৩]

বিপরীত চিত্র

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আক্রমনের ঘটনাসমূহে ভারত এবং হিন্দু সম্প্রদায় মৌলবাদী মুসলিমদের অভিযোগ করলেও অনেক ক্ষেত্রেই এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়। ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে প্রতিমা ভাঙচুরের ক্ষেত্রে অনেক হিন্দু যুবককে অংশ নিতে দেখা যায়। ১১ অক্টোবর ২০২৪ সালে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করার ঘটনায় রানাপদ সরকার নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।[১১৪]

১০ অক্টোবর ২০২৪ সালে ভোলায় পূজামণ্ডপের গেট ভাঙচুর করার সময় শিমুল চন্দ্র নামের এক হিন্দু যুবককে আটক করে পুলিশ। ভোলার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী কালের কণ্ঠকে জানান, আটক যুবককে পূজামণ্ডপ থেকে ২০০ গজ দূরত্বের মূল গেট ভাঙচুর ও আলোকসজ্জায় ইট নিক্ষেপের সময় হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।[১১৫][১১৬][১১৭][১১৮]

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সঞ্জিত বিশ্বাস নামে একজন হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।[১১৯][১২০][১২১]

ইসকন গুরু চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চন্দন কুমার ২০২৪ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত সংঘর্ষের মধ্যে উগ্র হিন্দু মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী দ্বারা সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের হাইকোর্টের আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।[১২২] এসময় উগ্র হিন্দুরা আদালত এলাকার মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুরের চালায়।[১২৩] পরবর্তীতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় যথাক্রমে রুমিত দাশ, সুমিত দাশ, গগন দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, আমান দাশ ও মনু মেথর গ্রেফতার করে পুলিশ।[১২৪] এছাড়াও হত্যাকান্ডে যুক্ত থাকায় বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন[১২৫]

সুশীল হিন্দু সম্প্রদায় থেকে বিবৃতি

‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তাদের আশ্রয় দেওয়া ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তি ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার’ বলে বিবৃতি দিয়ে সুশীল হিন্দু সম্প্রদায় সকল প্রকার উগ্র কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন দেবাশীষ চক্রবর্তী, দীপক সুমন, খোকন দাস, প্রীতম দাস, মেঘমল্লার বসু, দ্রুবজ্যোতি হোর, সীমা দত্ত, স্নেহার্দ্রী চক্রবর্তী, জয়দীপ ভট্টাচার্য, অনিক রায়, বিথী ঘোষ, ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য, সজীব চক্রবর্তী, দীপংকর বর্মণ, দুর্জয় রায়, নয়ন সরকার ও সজীব কিশোর চক্রবর্তী। এই সুশীল আরো উল্লেখ করেন,

[১২৬]

বিকৃত তথ্য

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের প্রাক্তন মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে বলেছিলেন যে তারা (ভারতীয় মিডিয়া) পরিস্থিতি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। প্রামাণিক উল্লেখ করেছেন যে ভাঙচুরের ঘটনাগুলি শুধুমাত্র কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে লক্ষ্য করা হয়েছিল, যারা হিন্দু ও মুসলিম উভয়ই ছিলেন এবং তাদের আগ্রাসী কার্যকলাপের ইতিহাস ছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী সহ বিরোধী দলের সদস্যরা হিন্দু মন্দির এবং বাড়িগুলিকে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করেছিলেন। [১২৭][১২৮] তবে মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক তার বিবৃতিকে মিথ্যা ও দেশের হিন্দুদের জন্য চরম অপমানজনক ও লজ্জাকর মনে করেন এবং একই সাথে উল্লেখ করেন ২০২০ সালে ঘৃণ্য কার্যকলাপের জন্য প্রামাণিককে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।[১২৯]

কিছু ভারত-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশী হিন্দুদের উপর আক্রমণ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বিভ্রান্তিকর ভিডিও এবং চিত্র প্রচার করেছে, যা পরবর্তীতে কয়েকটি ফ্যাক্ট চেকার সংস্থা গুজব বলা হয়েছিল। [১৩০] একটি মিথ্যা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে বাংলাদেশি ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল, যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। [১৩১][১৩২] দাস নিজেই একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি অস্বীকার করেছেন। [১৩৩]

বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমানের মতে, ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে “তাদের ইসলামফোবিক দৃষ্টিতে” দেখেছে, যদিও বাংলাদেশে এটি একটি জনপ্রিয় আন্দোলন হিসেবে দেখা হয়েছিল।[১৩৪]

বিবিসির অনুসন্ধানে সংখ্যালঘু হামলা নিয়ে অনেক মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে। [১৩৫][১৩৬][১৩৭][১৩৮]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "ইসলাম বিদ্বেষ, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতীয় গণ ও সামাজিক মাধ্যমগুলো ঢাকাকে অস্থিতিশীল করতে নয়াদিল্লির অভিপ্রায়ের প্রতিফলন ঘটছে"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০২ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-১০-২৫)। "চট্টগ্রামে ৮ দফা দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের গণসমাবেশ, ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০২ 
  3. প্রতিনিধি, জেলা (২০২৪-০৮-০৭)। "পঞ্চগড়ে রাত জেগে মন্দির পাহারা দিচ্ছেন মুসলিম যুবকরা"dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০২ 
  4. ডেস্ক, আন্তর্জাতিক (২০২৪-০৮-১২)। "বাংলাদেশে মুসলিমরা হিন্দুদের পাহারা দিচ্ছে, বললেন শশী থারুর"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০২ 
  5. "সম্প্রীতির বাংলাদেশ: মুসলমানদের রাতজেগে মন্দির-গির্জা পাহারায় অভিভূত বিশ্ব"banglanews24.com। ২০২৪-০৮-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০২ 
  6. "ইসলাম বিদ্বেষ, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতীয় গণ ও সামাজিক মাধ্যমগুলো ঢাকাকে অস্থিতিশীল করতে নয়াদিল্লির অভিপ্রায়ের প্রতিফলন ঘটছে"দৈনিক ইনকিলাব। ২০২৪-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০২ 
  7. Hasnat, Saif; Nauman, Qasim (২০২৪-০৮-০৭)। "Hindus in Bangladesh Face Attacks After Prime Minister's Exit"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯ 
  8. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৯-১২)। "৫–২০ আগস্ট: হামলার শিকার সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৬৮"Prothomalo। ২০২৪-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১২ 
  9. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৯-১৯)। "২ হাজার ১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ৯: বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ"Prothomalo। ২০২৪-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১০ 
  10. "নয় হিন্দুর হত্যাকাণ্ডে সাম্প্রদায়িক যোগসূত্র থাকার দাবি বিভ্রান্তিকর"নেত্র নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২৪ 
  11. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৮-৩১)। "সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৯ শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে"Prothomalo। ২০২৪-০৮-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-৩০ 
  12. "Over thousand Hindus hold rally in Ctg with 8-point demand, announce long march to Dhaka"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১০-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-৩০ 
  13. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-১০-২৫)। "চট্টগ্রামে ৮ দফা দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের গণসমাবেশ, ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-৩০ 
  14. আলম, মাসুদ (২০২৪-০৮-২৫)। "হামলার দুই সপ্তাহ পরও আতঙ্কে যশোরের বাঘারপাড়ার হিন্দুরা"Prothomalo। ২০২৪-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১০ 
  15. "খুলনায় গণপিটুনিতে আহত হিন্দু তরুণ জীবিত, সেনা হেফাজতে চিকিৎসাধীন"Ajker Patrika (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৯-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫ 
  16. প্রতিনিধি (২০২৪-০৮-০৭)। "খুলনার দাকোপে রাত জেগে দলে দলে উপাসনালয়, বাড়িঘর পাহারা"Prothomalo। ২০২৪-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১০ 
  17. প্রতিনিধি (২০২৪-০৮-১০)। "হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশ"Prothomalo। ২০২৪-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১০ 
  18. প্রতিনিধি (২০২৪-০৮-১৫)। "হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পাইকগাছা বিএনপির সম্পাদকসহ ২ জন বহিষ্কার"Prothomalo। ২০২৪-০৮-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  19. "Pay Tk 5 lakh or there'll be no Durga Puja"The Daily Star। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  20. প্রতিনিধি (২০২৪-০৯-২১)। "দাকোপে মন্দিরে মন্দিরে উড়োচিঠি, 'দুর্গাপূজা করতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে'"Prothomalo। ২০২৪-১০-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১০ 
  21. শামীম, শামীমুল ইসলাম (৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪)। "ঝিনাইদহে সংখ্যালঘুর জমি দখল করে বানালো খেলার মাঠ"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  22. "সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সম্পত্তি দখলের অভিযোগ গ্রহণ"Kalbela। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  23. "সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ"Dhaka Post। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  24. হাসান, মাহমুদুল। "দুর্গাপূজা: প্রতিমা ভাঙচুর, চুরি, ঢিল নিক্ষেপ ও মারামারির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮"দৈনিক প্রথম আলো। ৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২৪ 
  25. এ বি সিদ্দিক (২০২৪-১০-০৫)। "সুন্দরগঞ্জে প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে ভবেশ চন্দ্র দাস গ্রেপ্তার"উত্তরের আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১২ 
  26. "মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা, পালিয়ে বেড়াচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীরা" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১০-১৭T১১:৪১:১৪+০৬:০০। সংগ্রহের তারিখ 2024-10-21  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  27. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :0 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  28. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪)। "ময়মনসিংহে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে হিন্দুদের ৫টি দোকানে তালা দিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ"Prothomalo। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  29. "ময়মনসিংহে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর, যুবক আটক" [Durga idol vandalized in Mymensingh, youth arrested]। ময়মনসিংহে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর, যুবক আটক। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০২৪ 
  30. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪)। "ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর, তরুণ আটক"Prothomalo। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  31. "Why is there fear of unrest in Bangladesh ahead of Durga Puja festivities?"Firstpost (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১০-০৩। ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৮ 
  32. "Bangladesh Durga Puja Events Disrupted, Theft At Kali Temple, Hindu Family's House Set On Fire | Exclusive"News18 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  33. bdnews24.com। "চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় তিন মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর"চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় তিন মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-২৯ 
  34. "Minorities' houses, worship places attacked at various places"Prothomalo। ৭ আগস্ট ২০২৪। ৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  35. "Attacks, vandalism on minority communities in Faridpur"Dhaka Tribune। ৮ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  36. Report, Star (৭ আগস্ট ২০২৪)। "Attacks on Hindu houses, temples, businesses go on"The Daily Star। ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  37. ‘জমি দখলের চেষ্টা’ গাজীপুরে মন্দির ভাঙচুর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ [Temple vandalized in Gazipur over ‘attempt to grab land’; protest ensues]। BDNews24.com। ৩০ আগস্ট ২০২৪। ৩০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  38. বিক্ষোভ, প্রতিবাদে (৩০ আগস্ট ২০২৪)। "'জমি দখলের চেষ্টা' গাজীপুরে মন্দির ভাঙচুর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ"‘জমি দখলের চেষ্টা’ গাজীপুরে মন্দির ভাঙচুর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ৩০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  39. Biswas, Dowel (৬ আগস্ট ২০২৪)। "Rahul Ananda's home, a once vibrant cultural hub, looted and burnt"The Daily Star। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  40. Report, Star Digital (২০২৪-০৮-১৯)। "Probe body formed to investigate idol vandalism at Dhaka College"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  41. "কিশোরগঞ্জে পাহারার মধ্যে প্রতিমা ভাঙচুর" [Idols vandalized in Kishoreganj despite being under surveillance.]। কিশোরগঞ্জে পাহারার মধ্যে প্রতিমা ভাঙচুর। ৩ অক্টোবর ২০২৪। ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২৪ 
  42. "কিশোরগঞ্জে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সদর থানার ওসি প্রত্যাহার"Prothomalo। ৩ অক্টোবর ২০২৪। ৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  43. প্রতিবেদক, নিজস্ব (১১ অক্টোবর ২০২৪)। "তাঁতিবাজারে পূজামণ্ডপে ককটেল সদৃশ বস্তু নিক্ষেপ, ছুরিকাঘাতে আহত ৪"Independent Television। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২৪ 
  44. প্রতিবেদক, কালবেলা। "তাঁতীবাজার পূজামণ্ডপে হামলায় আহতদের দেখতে মিটফোর্ডে নাহিদ | কালবেলা"কালবেলা | বাংলা নিউজ পেপার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  45. ডেস্ক, ইত্তেফাক ডিজিটাল (১১ অক্টোবর ২০২৪)। "পূজামণ্ডপে কক/টেল সদৃশ বস্তু নিক্ষেপ, ছু/রিকাঘা/তে আ/হত ৪"The Daily Ittefaq। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২৪ 
  46. Report, Star Digital (২০২৪-১০-১৪)। "Late-night clash between police, people of Hindu community in Old Dhaka"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  47. মল্লিক, রিপনচন্দ্র (২৫ অক্টোবর ২০২৪)। "বন্ধ করে দেওয়া হলো শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কুণ্ডুবাড়ী মেলা"Independent Television। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২৪ 
  48. প্রতিনিধি, ফরিদপুর (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪)। "ফরিদপুরে মন্দিরে নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর"ফরিদপুরে মন্দিরে নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  49. "মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগ: যেভাবে বাংলাদেশি হয়ে যান 'ভারতীয়' – DW – 17.09.2024"dw.com। ২০২৪-০৯-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  50. "Attacks, vandalism on minority communities in Faridpur"Dhaka Tribune। ৮ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৪ 
  51. ভাঙচুর (৪ অক্টোবর ২০২৪)। "বরিশালে দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর, ওসি প্রত্যাহার"। ৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪  Authors list-এ |প্রথমাংশ2= এর |শেষাংশ2= নেই (সাহায্য)
  52. "বাকেরগঞ্জে দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর, তাৎক্ষণিক ওসিকে প্রত্যাহার"Bangla Tribune। ৫ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৪ 
  53. Correspondent, Our; Barishal (২০২৪-১০-১৫)। "Quran recited at Durga Puja event"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  54. প্রতিনিধি (২০২৪-১০-২১)। "পটুয়াখালীতে ২১টি হিন্দু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২২ 
  55. "২১টি হিন্দু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা ভূমিদস্যুদের"Bhorer Kagoj। ২২ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২৪ 
  56. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৮-১৯)। "পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নেতা সুরঞ্জিতের ভাঙচুর হওয়া বাড়ি পরিদর্শনে ইউএনও-ওসি"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-৩০ 
  57. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৮-১৯)। "পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নেতা সুরঞ্জিতের ভাঙচুর হওয়া বাড়ি পরিদর্শনে ইউএনও-ওসি"Prothomalo। ২০২৪-০৮-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  58. প্রতিনিধি (২০২৪-০৮-২৬)। "'সংখ্যালঘু মানুষ, সব সময় আতঙ্কে থাকি, মামলা করে শত্রু হতে চাই না'"Prothomalo। ২০২৪-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১০ 
  59. Azad, Abul Kalam Mohammad (২০২৪-০৮-২৪)। "Locals guard temples, houses after attack on Bidyadharpur Hindu community"Prothomalo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-৩০ 
  60. প্রতিনিধি (২০২৪-০৮-০৬)। "লালপুরে মন্দির ও ছয় বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর–লুটপাট"Prothomalo। ২০২৪-০৮-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  61. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২৪ আগস্ট ২০২৪)। "'আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে' মন্দিরে হামলা, মাদ্রাসাছাত্র গ্রেপ্তার"Prothomalo। ২৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  62. প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ (৬ অক্টোবর ২০২৪)। "রাতের আঁধারে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর"। ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  63. প্রতিবেদক, নিজস্ব (৬ অক্টোবর ২০২৪)। "চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর"Prothomalo। ৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  64. "পাবনার সুজানগরে দুটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, ওসি প্রত্যাহার"Prothomalo। ৩ অক্টোবর ২০২৪। ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  65. প্রতিনিধি, পাবনা (৮ অক্টোবর ২০২৪)। "পাবনায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার: পুলিশ"। ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  66. "2 Durga idols vandalized in Pabna, OC transferred"Dhaka Tribune। ৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  67. Report, Star (৪ অক্টোবর ২০২৪)। "Idols vandalised in Kishoreganj and Pabna"The Daily Star। ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪ 
  68. বানিয়াচংয়ে রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি ভাঙার অভিযোগ [The accusation of demolishing Ramnath Biswas’s house in Baniachang]। Samakal। ৩০ আগস্ট ২০২৪। ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  69. প্রতিনিধি, নিজস্ব (১ সেপ্টেম্বর ২০২৪)। "শেরপুরে মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর"একাত্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  70. "মন্দিরের তালা ভেঙে প্রতিমা ভাঙচুর ও আগুন ধরানোর চেষ্টা"The Daily Karatoa। ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  71. "পূজামণ্ডপে হিন্দু চেয়ারম্যানদের মামলার হুমকি বিএনপি নেতার"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২১ 
  72. টাইমস, হিন্দুস্তান (২০২৪-০৮-২৫)। "বাংলাদেশ যখন জ্বলছিল ঢাকেশ্বরী মন্দির পাহারায় ছিলেন মুসলিমরা, নিত্যভোগও হয়েছে, পুরোহিত কী বললেন"Prothomalo। ২০২৪-০৮-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১১ 
  73. "Bangladesh: Muslims Stand Guard at Temples, Call to Protect Minorities"Clarion India (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ আগস্ট ২০২৪। ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৮ 
  74. "Students, other Muslims protect temples, churches amid Bangladesh unrest" (ইংরেজি ভাষায়)। Al Jazeera। ৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৮ 
  75. "Hindus in Bangladesh try to flee to India amid violence"Reuters 
  76. Paul, Ruma; Das, Krishna M. (২০২৪-০৮-০৬)। "Hindu homes, temples targeted in Bangladesh after Hasina ouster, minority group says"Reuters 
  77. Mohammad, Mahathir (২০২৪-০৮-১০)। "Hindu community protests in Shahbagh for second day"Dhaka Tribune 
  78. হিন্দুদের ওপর হামলা: এবার চট্টগ্রামে বড় বিক্ষোভbdnews24.com। ২০২৪-০৮-১০। ২০২৪-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৪ 
  79. "Protest in Tangail demands action over attacks on Hindu community"Dhaka Tribune। ২০২৪-০৮-১১। 
  80. জামালপুরে সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশJugantor। ২০২৪-১১-০৮। 
  81. "Moulvibazar minority community protest attacks on Hindu properties"The Daily Observer। ২০২৪-১১-০৮। ২০২৪-০৯-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৪ 
  82. Nasim, Nazmul Huda (২০২৪-০৮-১১)। "Demonstration held over attacks on Hindu communities in Bogra"Dhaka Tribune 
  83. bdnews24.com। "বার্মিংহামে সমাবেশ: বাংলাদেশে 'হিন্দু নিপীড়ন' বন্ধের দাবি"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৭ 
  84. Balloo, Stephanie (২০২৪-০৮-০৯)। "'Mass' protest planned in Birmingham city centre after Bangladesh deaths"Birmingham Live (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৭ 
  85. "Protesters Outside UK Parliament Condemn Violence Against Bangladeshi Hindus"www.ndtv.com। ১১ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২৪ 
  86. "UK: Massive Protest Erupts Outside Houses Of Parliament In London Condemning Violence Against Hindus In Bangladesh; Visuals Surface"Free Press Journal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  87. "Protest outside UK Parliament condemns violence against Hindus in Bangladesh"Asian News International (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  88. "হিন্দুদের রক্ষায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও বিবিসির সামনে বিক্ষোভ"bdnews24.com। ২০২৪-০৯-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  89. "Downtown Toronto witnesses protest over anti-Hindu violence in Bangladesh"The Indian EYE (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  90. "SAVE HINDUS in BANGLADESH"AllEvents.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  91. "হিন্দুদের ওপর সহিংসতা রুখতে টরন্টোতে প্রবাসীদের বিক্ষোভ"bdnews24.com। ২০২৪-০৯-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  92. "Canada: Thousands protest in Downtown Toronto over violence against Hindus in Bangladesh"www.indiatvnews.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  93. ANI (২০২৪-০৮-১১)। "Protests erupt in Downtown Toronto over violence against Hindus in Bangladesh"ThePrint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  94. "Protests erupt in Downtown Toronto over violence against Hindus in Bangladesh"ANI News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  95. "'We want justice': Thousands protest in Toronto against attacks on Hindus in Bangladesh"The Times of India। ২০২৪-০৮-১১। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  96. "Hundreds Gather In US To Protest Violence Against Hindus In Bangladesh"www.ndtv.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  97. "Indian Americans' 'Save Hindus In Bangladesh' Vigil Draws Hundreds In US's Houston"Times Now (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  98. "US advocacy groups raise awareness for plight of Bangladeshi Hindus"religionnews.com। ২০২৪-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  99. "Hundreds Join Indian Americans Vigil, 'Save Hindus in Bangladesh' in Houston"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১২। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  100. "Australian Minister raises concern over situation of minorities in Bangladesh"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৯-১২। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৩ 
  101. "2 Indian-American lawmakers seek US intervention to stop 'coordinated' anti-Hindu attacks in Bangladesh | World News"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১০। ২০২৪-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৭ 
  102. "Hasina was no friend of Hindus, BNP wants friendly ties with India, says top party leader"। The Print। ১৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪ 
  103. "The new normal? Journalists detained, Hindu teachers forced to resign in Bangladesh"। Indian New Express। ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪ 
  104. "Chandra Arya, "Bangladesh" on Sept. 16th, 2024"openparliament.ca। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  105. Nurul Islam Hasib (৯ আগস্ট ২০২৪)। "UN stands against racially based attacks on minorities in Bangladesh"Dhaka Tribune 
  106. Dutta, Pradeep (২৪ আগস্ট ২০২৪)। "Fatwa For Peace: British Muslims Association Condemns Violence Against Bangladeshi Hindus"। Times Now। ২৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪ 
  107. "India's Modi voices concern over unrest in neighboring Bangladesh and attacks on Hindus there"। abcnews। ২৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪ 
  108. "Bangladesh: Interim government must take immediate actions to protect Hindu and other minority communities"Amnesty International (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  109. ডেস্ক, প্রথম আলো। "বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ট্রাম্প"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০১ 
  110. bvnews24.com। "বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ এনে তীব্র নিন্দা ট্রাম্পের"BVNEWS24 || বিভিনিউজ২৪ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০১ 
  111. "বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্পের নিন্দা"ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। ১ নভেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২৪ 
  112. "বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া দাবি ব্যারোনেস ভার্মার"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৬ 
  113. "UK baroness urges action by PM Starmer on violence against Hindus in Bangladesh"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২৪ 
  114. "রাজবাড়ীতে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় হিন্দু যুবক গ্রেপ্তার"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১১ অক্টোবর ২০২৪। 
  115. "পূজামণ্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় হিন্দু যুবক আটক"কালের কন্ঠ। ১০ অক্টোবর ২০২৪। 
  116. "পূজা মন্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় হিন্দু যুবক আটক"যুগান্তর। ১০ অক্টোবর ২০২৪। 
  117. "মণ্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় যুবককে আটক করে পুরস্কার পেলেন পুলিশ কর্মকর্তা"বাংলা ট্রিবিউন। ০৯ অক্টোবর ২০২৪।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  118. "ভোলায় পূজা মন্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় হিন্দু যুবক আটক"ভোলা প্রতিদিন। ৯ অক্টোবর ২০২৪। 
  119. "ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার"ইত্তেফাক। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪। 
  120. "ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুর: ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার"সমকাল। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪। 
  121. "ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার"বিডিনিউজ২৪.কম। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪। 
  122. "চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের পরিচয় সম্পর্কে যা জানা গেল"kalerkantho.com। ২৮ নভেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২৪ 
  123. "ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল বেরোবি"কালের কন্ঠ। ২৭ নভেম্বর, ২০২৪।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  124. "পুলিশের তিন মামলা, ফুটেজ দেখে হত্যায় জড়িত সাতজন শনাক্ত"প্রথম আলো। ২৭ নভেম্বর ২০২৪। 
  125. "ইসকনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার"প্রথম আলো। ২৮ নভেম্বর ২০২৪। 
  126. "হিন্দু সম্প্রদায়কে ধর্মীয় উগ্রতার বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান"প্রথম আলো। ২৮ নভেম্বর ২০২৪। 
  127. "Hindu leader refutes false claims by Indian media regarding attacks in Bangladesh"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। আগস্ট ২০২৪। ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২৪ 
  128. "Fact check: False claims fuel ethnic tensions in Bangladesh"Deutsche Welle। ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৪ 
  129. Pratidin, Bangladesh (২০২৪-০৮-০৯)। "গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের বক্তব্যের প্রতিবাদ হিন্দু মহাজোটের"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২৪-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২০ 
  130. বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে ভারতে অপতথ্যের প্রচারProthom Alo। ১১ আগস্ট ২০২৪। ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৪ 
  131. "Did protesters set Hindu Bangladesh cricketer Liton Das' house on fire?"Deccan Chronicle। ৭ আগস্ট ২০২৪। ৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৪ 
  132. "Fact check: False claims fuel ethnic tensions in Bangladesh"Times of Oman। ৮ আগস্ট ২০২৪। ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪ 
  133. "Litton denies rumors of attack on his home"Dhaka Tribune। ৯ আগস্ট ২০২৪। 
  134. Mahmud, Faisal; Sarker, Saqib (৮ আগস্ট ২০২৪)। "'Islamophobic, alarmist': How some India outlets covered Bangladesh crisis"Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪ 
  135. "Attacks on minorities: BBC, dismislab debunk fake news"The Daily Star। ১২ আগস্ট ২০২৪। ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪ 
  136. "BBC Verify uncovers misinformation about Hindu persecution in Bangladesh"Dhaka Tribune। ১২ আগস্ট ২০২৪। 
  137. "Far-right spreads false claims about Muslim attacks in Bangladesh"BBC News। ১৮ আগস্ট ২০২৪। ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪ 
  138. "Old video of student rally falsely shared as Hindus protesting in Bangladesh after PM ouster"। AFP। ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৪