আবদুল গফুর (ভাষা সৈনিক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অসম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
অসম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৫৯ নং লাইন: | ৫৯ নং লাইন: | ||
{{Div col end}} |
{{Div col end}} |
||
==মৃত্যু== |
==মৃত্যু== |
||
তিনি ঢাকার স্বামীবাগে আজগর আলী হাসপাতালে দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। |
তিনি ঢাকার স্বামীবাগে আজগর আলী হাসপাতালে দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=bdnews24.com|ভাষা=en|শিরোনাম=ভাষা সৈনিক সাংবাদিক আবদুল গফুরের মৃত্যু|ইউআরএল=https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/625b929248fb|সংগ্রহের-তারিখ=2024-09-27|ওয়েবসাইট=ভাষা সৈনিক সাংবাদিক আবদুল গফুরের মৃত্যু}}</ref> |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৪:৫০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আবদুল গফুর | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সাংবাদিক, শিক্ষক |
পরিচিতির কারণ | ভাষাসৈনিক |
পুরস্কার | একুশে পদক (২০০৫) |
আবদুল গফুর (জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯-২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪) একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক, শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও ভাষা সৈনিক।[১] ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৫ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
প্ররম্ভিক জীবন
আবদুল গফুর ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ি জেলার (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর) রাজবাড়ী সদর উপজেলা খানগঞ্জ ইউনিয়নের খোর্দ্দদাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতার নামে হাজী হাবিল উদ্দিন মুন্সী ও মাতার নাম শুকুরুন্নেসা খাতুন। ১৯৪৫ সালে স্থানীয় মইজুদ্দিন হাই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৪৭ সালে কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন।[২] তিনিসহ এ বিভাগে তখন মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্য দুজন হলেন নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী ও মমতাজ বেগম।[৩]
ভাষা আন্দোলন শুরু হলে আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে তিনি অংশ নেওয়ার ফলে লেখাপড়ায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও ১৯৬২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[২][৪]
কর্মজীবন
সাংবাদিকতা
আবদুল গফুর ছাত্রাবস্থাতেই ১৯৪৭ সালে পাক্ষিক জিন্দেগীতে সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[২] ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তমদ্দুন মজলিশের বাংলা মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।[৫] ১৯৫৭ সালে দৈনিক মিল্লাত ও ১৯৫৮ সালে দৈনিক নাজাত পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।[২]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।[৬] এরপর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ইংরেজি দৈনিক পিপল, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দৈনিক দেশ পক্রিয়ার সহকারী সম্পাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬] ১৯৮৬ সালে দৈনিক ইনকিলাব প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি তখন থেকে পত্রিকাটির ফিচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[৬]
শিক্ষকতা ও অন্যান্য
আবদুল গফুর ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দারুল উলুম (ইসলামিক একাডেমি)-এর সুপারিন্টেন্ডেট হিসেবে কাজ করেন।[৬] পরবর্তীতে এক বছর চট্টগ্রামে জেলা যুব কল্যাণ অফিসার হিসেবে কাজ করে। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত আবু জর গিফারী কলেজে শিক্ষকতা করেন।[৬] ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকাশনা পরিচালক ছিলেন।[২]
ভাষা আন্দোলন
পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিস পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে। এসময় এর প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেমের সাথে অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলন আবদুল গফুর।[৫][৭] ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের বাংলা মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হলে গফুর প্রথমে এর সহ-সম্পাদক ও পরে সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] ১৯৫১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সৈনিক পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার শিরোনাম ছিল ‘শহীদ ছাত্রদের তাজা রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত, মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে ছাত্র সমাবেশে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ’।[৮] ফলশ্রুতিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পত্রিকাটির অফিস অবরোধ করে সম্পাদক আবদুল গফুর ও প্রকাশক আবুল কাসেমকে গ্রেফতার করে।[৮]
ভাষা আন্দোলন ছাড়াও তিনি পাকিস্তান আন্দোলন ও স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের একজন সক্রিয় কমী ছিলেন।[৬]
উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থ
- ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও ইসলাম
- বিপ্লবী উমর
- কর্মবীর সোলায়মান
- সমাজকল্যাণ পরিক্রমা
- কোরআনী সমাজের রূপরেখা
- খোদার রাজ্য
- ইসলাম কী এ যুগে অচল
- ইসলামের জীবন দৃষ্টি
- রমজানের সাধনা
- ইসলামের রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্য
- আসমান জমিনের মালিক
- শাশ্বত নবী
- আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম
- বাংলাদেশ আমার স্বাধীনতা
- স্বাধীনতার গল্প শোনো
- আমার কালের কথা (স্মৃতিচারণামূলক, ২০০০)
মৃত্যু
তিনি ঢাকার স্বামীবাগে আজগর আলী হাসপাতালে দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।[৯]
তথ্যসূত্র
- ↑ "ভাষা আন্দোলনের কিংবদন্তি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর"। দৈনিক সংগ্রাম। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ নুর, শাহেদ। "প্রেরণার বাতিঘর : ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর" (ইংরেজি ভাষায়)। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "'সৈনিক' ছিল আন্দোলনের মুখপত্র"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "ভাষা আন্দোলনের অন্যতম কিংবদন্তি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "তমদ্দুন মজলিশ"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ভাষা সৈনিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর-এর ৮৭তম জন্মবার্ষিকী আজ" (ইংরেজি ভাষায়)। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "ফরিদপুরে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল শিক্ষার্থীরা"। বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "সংবাদপত্রে ভাষা আন্দোলন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ bdnews24.com। "ভাষা সৈনিক সাংবাদিক আবদুল গফুরের মৃত্যু"। ভাষা সৈনিক সাংবাদিক আবদুল গফুরের মৃত্যু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৭।