বিষয়বস্তুতে চলুন

২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hdmoviekey (আলোচনা | অবদান)
বহিঃসংযোগ: সংশোধন, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, পরিষ্কারকরণ
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
Hdmoviekey (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Salekin.sami36-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৪৩৮ নং লাইন: ৪৩৮ নং লাইন:




=== অন্যান্য বিতর্ক ===
=== আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগ ===


২০২৪ সালের ১৩ জুলাই [[টেন মিনিট স্কুল|টেন মিনিট স্কুলের]] প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ১৪ জুলাই ঢাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর [[বাংলাদেশ ছাত্রলীগ|ছাত্রলীগের]] সশস্ত্র হামলার পর তিনি লিখেন:<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jagonews24.com/social-media/news/955804|শিরোনাম=আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন, প্রতিবাদ জানাই: আয়মান সাদিক|তারিখ=১৫ জুলাই ২০২৪|কর্ম=জাগোনিউজ২৪.কম|সংগ্রহের-তারিখ=১৭ জুলাই ২০২৪|আর্কাইভের-তারিখ=১৮ জুলাই ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240718070428/https://www.jagonews24.com/social-media/news/955804|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগ:দেশব্যাপী সংঘটিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত ব্যাপক সংঘর্ষ, সহিংসতা এবং প্রাণহানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি বিদেশী সংস্থা ও দেশ। প্রশাসন মনে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তারা ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ’ করেছে।


{{Cquote
প্রশাসন মনে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তারা ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ’ করেছে।
| quote = রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।
| author = আয়মান সাদিক (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, [[টেন মিনিট স্কুল]])
}}


১৬ জুলাই বাংলাদেশ সরকারের [[তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ|তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের]] আওতাধীন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান "স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড" টেন মিনিট স্কুলে তাদের ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব বাতিল করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/national/828724/%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80|শিরোনাম=আয়মান সাদিকের টেন মিনিট স্কুলের বরাদ্দ বাতিল, নেপথ্যে কী?|কর্ম=দৈনিক যুগান্তর|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ জুলাই ২০২৪|আর্কাইভের-তারিখ=১৬ জুলাই ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240716083237/https://www.jugantor.com/national/828724/%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> এটি নিয়ে নেটিজেনরা সমালোচনা করেন, অনেকে লিখেন কোটা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এই বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|শেষাংশ২=|প্রথমাংশ২=|তারিখ=2024-07-16|ভাষা=|শিরোনাম=টেন মিনিট স্কুলের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল কেন?|ইউআরএল=https://jamuna.tv/news/550520|সংগ্রহের-তারিখ=2024-07-16|ওয়েবসাইট=[[যমুনা টেলিভিশন]]|আর্কাইভের-তারিখ=২০২৪-০৭-১৬|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240716200536/https://jamuna.tv/news/550520|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী [[জুনাইদ আহমেদ পলক|জুনাইদ আহমেদ পলককে]] কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন "কেউ যদি বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে বিতর্ক তোলে, এসব আদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, সেখানে সরকার ব্যবস্থা নেবেই"<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/national/828735/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95|শিরোনাম=টেন মিনিট স্কুলের বরাদ্দ বাতিল, যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক|কর্ম=দৈনিক যুগান্তর|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ জুলাই ২০২৪|আর্কাইভের-তারিখ=১৭ জুলাই ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240717022012/https://www.jugantor.com/national/828735/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ও যেসব আলোচনা হচ্ছে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=ইসলাম|প্রথমাংশ=রাহিতুল|তারিখ=2024-07-16|ভাষা=bn|শিরোনাম=টেন মিনিট স্কুলের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল, যা বললেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/technology/j13j30gbhp|সংগ্রহের-তারিখ=2024-07-16|ওয়েবসাইট=দৈনিক প্রথম আলো|আর্কাইভের-তারিখ=২০২৪-০৭-১৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240718070421/https://www.prothomalo.com/technology/j13j30gbhp|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে যদিও সরকার যে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ পরিস্থিতি তৈরি করেছে এর কোনও প্রভাব নেই।। কিন্তু বাংলাদেশে এর থেকে ‘নেতিবাচক’ প্রভাব পড়তে পারে।


১৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে মর্মাহত হয়ে [[মুহম্মদ জাফর ইকবাল]] লিখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমার মনে হয়, আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই ‘রাজাকার’। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন, সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?” এই মন্তব্যকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=‘রাজাকার’ মন্তব্যে বিপাকে জাফর ইকবাল |ইউআরএল=https://ekattor.tv/national/67136/%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E2%80%99-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2 |প্রকাশক=একাত্তর টিভি |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ জুলাই ২০২৪}}</ref> এবং উক্ত দিনেই [[রকমারি]]সহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বইয়ের দোকান তার বই বিক্রি বন্ধ করে দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি বন্ধ করেছে রকমারি |ইউআরএল=https://www.kalbela.com/national/105208 |প্রকাশক=দৈনিক কালবেলা |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ জুলাই ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://archive.ph/MUpnG |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ জুলাই ২০২৪ |তারিখ=১৭ জুলাই ২০২৪}}</ref> এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জাফর ইকবালকে শাবিপ্রবিতে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন শিক্ষার্থীরা |ইউআরএল=https://bonikbarta.net/home/news_description/391841/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE |ওয়েবসাইট=দৈনিক বণিক বার্তা |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ জুলাই ২০২৪ |তারিখ=১৭ জুলাই ২০২৪}}</ref>
তারা বিশ্বাস করে যে আন্দোলনের গতিপথটি বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলি এখন তাদের কাছে থাকা ‘প্রমাণ’-এর জন্য নীতি-নির্ধারকদের উপর খুব সহজেই বিভিন্ন চাপ দিতে পারে ।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল,
ছবি BBC NEWS
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগ
হাসিনার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি,হামলাবাজদের শেষ দেখে ছাড়ব
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগ
কোটা আন্দলনে বাংলাদেশে বাহিনীর সরাসরি বন্দুক ব্যবহার সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগ প্রকাশ করে, একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে এবং ব্যক্তিগতভাবে ঢাকা ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানাই , 25 জুলাই বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে গণগ্রেফতার ও হত্যাকান্দে কী ঘটছে তা আমরা দেখেছি। সহিংসতার প্রতিটি কাজ সাবধানে এবং আন্তরিকভাবে তদন্ত করতে হবে। এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত, যা হবে সংলাপের উপযোগী।”

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক, বাংলাদেশ সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিক্ষোভকারীদের দমন সম্পর্কে বিস্তৃত বিবরণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে যে সরকারকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে হবে যাতে মিডিয়া আউটলেট এবং সাংবাদিকরা সহ সবাই অবাধে যোগাযোগ করতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের নিয়ম এবং মূল্যবোধকে সম্মান করার দায়িত্ব রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ একই দিনে এক সংবাদ এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছয় দিনের যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ “বেআইনিভাবে বল প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে”।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা তিনটি ভিডিওর পরীক্ষার ভিত্তিতে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্মীরা বিক্ষোভের অবসান ঘটাতে মারাত্মক এবং মৃদু প্রাণঘাতী উভয় অস্ত্রই ব্যবহার করেছে,

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর ডিপ্রোস মুচেনা বলেছেন, “বাংলাদেশের ভিডিও এবং ছবিগুলির ক্রমাগত পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ভয়াবহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।” ইন্টারনেট বন্ধ করে (যা এখনও আংশিকভাবে চালু আছে) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের অভাবে প্রতিবাদকারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে এমন কোনো গ্যারান্টি নেই, বিশেষ করে বাংলাদেশী সরকারের মানবাধিকারের মর্মান্তিক রেকর্ডের আলোকে এবং তাদের পদক্ষেপের আলোকে। বিক্ষোভ দমনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) পাঠানো হয়েছে।

মানবাধিকার রক্ষায় নিবেদিত বিশ্বব্যাপী সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জাতিসংঘের সামনে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগ [http://https://jknews.info/%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%b0/ আরও জানুন]


==প্রতিক্রিয়া==
==প্রতিক্রিয়া==
৫৩৪ নং লাইন: ৫১৫ নং লাইন:
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কোটাপ্রথা নিয়ে আন্দোলন: এত দিন যা যা ঘটেছে |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/djik2als3t |ওয়েবসাইট=দৈনিক প্রথম আলো |তারিখ=২৩ জুলাই ২০২৪}}
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কোটাপ্রথা নিয়ে আন্দোলন: এত দিন যা যা ঘটেছে |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/djik2als3t |ওয়েবসাইট=দৈনিক প্রথম আলো |তারিখ=২৩ জুলাই ২০২৪}}
* [[বিবিসি বাংলা]]য় আন্দোলন শুরুর পর থেকে [https://www.bbc.com/bengali/live/c0dmk0jykz7t প্রতিদিনের সরাসরি কভারেজ]
* [[বিবিসি বাংলা]]য় আন্দোলন শুরুর পর থেকে [https://www.bbc.com/bengali/live/c0dmk0jykz7t প্রতিদিনের সরাসরি কভারেজ]
* [https://JKNEWS.INFO কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের তালিকা নিয়ে তৈরি ওয়েবসাইট]
* [https://shohid.info কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের তালিকা নিয়ে তৈরি ওয়েবসাইট]


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}


{{বাংলাদেশে কোটা সংস্কার#পুনর্নির্দেশ [[]] আন্দোলন}}
{{বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন}}


[[বিষয়শ্রেণী:২০২৪-এ প্রতিবাদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০২৪-এ প্রতিবাদ]]

২০:০৬, ২৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ
২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকার শাহবাগে, ছাত্রদের বিক্ষোভ
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গনজমায়েতে পুলিশি বাধা, এক নারী শিক্ষার্থীর হাতে "কোটা না মেধা? মেধা! মেধা!" লেখা পোস্টার, এক পুরুষ শিক্ষার্থীর গলায় ঝোলানো "ভেঙে ফেল কোটার ঐ শিকল" লেখা বোর্ড
তারিখপ্রথম পর্যায়: ৬-১০ জুন ২০২৪ (৪ দিন)
দ্বিতীয় পর্যায়: ৩০ জুন ২০২৪ – চলমান (৫ মাস ও ২ দিন)
অবস্থান
কারণ২০১৮ সালের সরকারি পরিপত্রকে বেআইনি ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ হাইকোর্ট কর্তৃক সরকারি চাকরিতে পূর্বেকার কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল
লক্ষ্যঅধিকাংশ:
বাংলাদেশের সকল সরকারি চাকুরিতে কোটার সংখ্যা হ্রাস
অংশবিশেষ:
কোটাব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিলুপ্তি
পদ্ধতি

উল্লেখযোগ্য ঘটনা:

  • আপিল বিভাগ ১০ জুলাই কোটা ইস্যুতে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দেন
  • বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দমন-পীড়ন, সশস্ত্র ও সহিংস হামলার শিকার হন
  • পুলিশ রাবার বুলেট, ছররা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে, লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে
  • সরকার প্রায় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও এইচ.এস.সি পরীক্ষা স্থগিত করে
  • আন্দোলনকারীদের আগুনে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ভবন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত
  • সরকার সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় ও সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করে
ফলাফল
  • ২১ জুলাই ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে ও ৭% কোটা রেখে সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে
  • ২৩ জুলাই সুপ্রীম কোর্টের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে
পক্ষ


কোটা পুনরুদ্ধার আন্দোলনকারীরা
নেতৃত্ব দানকারী
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি

মৃত্যু: অন্তত ২০৯ জন[১২]
আহত: ২,০০০+ জন[১৩][১৪]

গ্রেফতার: ৫৫০০+ জন [১৫]
মৃত্যু: ১ জন ছাত্রলীগ কর্মী এবং ৩ জন পুলিশ সদস্য

আহত: ১১১৭ জন পুলিশ সদস্য[১৬] এবং বহু ছাত্রলীগ কর্মী
১ জন সাংবাদিক নিহত এবং ২৫ জন আহত[১৭]
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহ্তদের তালিকা নিয়ে তৈরি ওয়েবসাইট: shohid.info

২০২৪-এর কোটা সংস্কার আন্দোলন হলো বাংলাদেশে সব ধরনের সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটাভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত একটি আন্দোলন। ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকার কর্তৃক জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করার পর কোটা পদ্ধতির সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ সালে নতুনভাবে আলোচনায় আসে।[১৮] ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা পরিপত্রটিতে নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সকল কোটা বাতিল করা হয়।[১৯][২০]

শুরুতে আন্দোলন সভা-সমাবেশের মধ্যে স্থির থাকলেও ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে কোটা আন্দোলনকারীদের “রাজাকারের নাতি-পুতি” হিসেবে অভিহিত করেন,[২১] প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যাঙ্গ করে “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার” এবং “চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার” স্লোগান দেয়।[২২] এর পরেরদিন ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা, মন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নষ্ট করার অভিযোগ আনেন।[২৩] একই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের উপর রড, লাঠি, হকি স্টিক, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়।[২৪] একই সাথে পুলিশও লাঠি, রাবার বুলেট দিয়ে হামলা করে। প্রতিবাদে আন্দোলনকারীও তাদের দিকে ইটের টুকরা ছুড়ে ও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এইসব ঘটনায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারী আহত হওয়ার পাশাপাশি ২০৯ জনের অধিক নিহত হন।[১২]

২১ জুলাই বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে ও সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। ২৩ জুলাই এই বিষয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে।[২৫]

পটভূমি

২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের জন্য চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। লাগাতার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৪৬ বছর ধরে চলা কোটাব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে সরকার একটি পরিপত্র জারি করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়:[২৬]

উক্ত পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে অহিদুল ইসলামসহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন।[২৭] ২০২৪ সালের ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পরিপত্র বাতিল করে রায় দেন। রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে একত্রিত হন। প্রথমদিকে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে আন্দোলন পিছিয়ে দেওয়া হয়। ছুটি শেষে পুনরায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন শুরু হলেও ক্রমে এটি ব্যাপক আকার ধারণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্লকেড নামে অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়েই ১০ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করে। আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনের সাথে আদালতের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা সরকারের কাছে কোটা সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাইছেন।[২৮]

সংগঠন

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অবদান আছে। পরবর্তীতে তারা একটি সমন্বয় কমিটি, আহবায়ক কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করে, যাদের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনের সদস্যরা আরও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়াতে ক্যাম্পাসগুলোতে বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালায়। সংগঠকের এক সমন্বয়ের মতে তাদের সংগঠনে কোন একক উচ্চতম নেতা নেই। আগের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সদস্যগণ সমন্বয়ক কমিটিতে রয়েছে। আন্দোলনের প্রয়োজনে বিতর্ক এড়াতে যেকোনো রাজনৈতিক ছাত্র অঙ্গসংগঠনের সদস্যদের এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে।[২৯]

দাবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন নিম্নের দাবিগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরেছে:[২৯]

  • সরকারি চাকরিতে কার্যকর বর্তমান কোটা পদ্ধতি বাতিল
  • অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ন্যায্য হারে কোটা প্রদান করা
  • কোটা সর্বোচ্চ ৫% পর্যায়ে নামিয়ে সংসদে নতুন আইন পাশ করা[৩০]

ঘটনাপ্রবাহ

আন্দোলনের সময় ব্যানার হাতে এক শিক্ষার্থী যাতে লেখা "কোটা একটি ভিক্ষা, মুক্তি পাক শিক্ষা"।
চিত্র:Anti-quota protester at Kuril, Dhaka.jpg
একজন কোটাবিরোধী বিক্ষোভকারীর হাতে ব্যানারের লেখা "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ১৫ জুলাই, আমরা কিভাবে ভুলে যাই? কোটা মুক্ত দেশ চাই!"

৫ জুন - ৯ জুলাই

৫ জুন হাইকোর্ট ২০১৮ সালে সরকারের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। ৬ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে ও কোটা বাতিলের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা বিক্ষোভ করে। ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।[৩১] ১০ জুন আন্দোলনকারীরা দাবি মেনে সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় ও ঈদুল আযহার কারণে আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা করে।[৩২] ৩০ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে।[৩৩] ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে ও তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে।[৩৪] ২ থেকে ৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে। ৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’-এর ডাক দেয় যার আওতায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে।[৩৫] ৮, ৯ জুলাই একই রকম কর্মসূচি পালন করা হয়।

১০ জুলাই

এই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে শাহবাগে গিয়ে স্থানটি অবরোধ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান করে। দুপুরে জানা যায় কোটাব্যবস্থা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে চার সপ্তাহ স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি শিক্ষার্থীদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবরোধের কারণে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা স্থিমিত হয়ে আসে। দূরপাল্লার বাসগুলো আন্দোলনের কারণে বন্ধ হয়ে যায়।[৩৬]

১১ জুলাই

বিকেল ৩টা থেকে শাহবাগ অবরোধের কথা থাকলেও বৃষ্টির ফলে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধাকে অতিক্রম করে ৪:৩০ টায় শুরু করে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধার ফলে পিছিয়ে যায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে শাহবাগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়। শাহবাগ ছাড়া ঢাকার অন্যান্য স্থানগুলো আন্দোলনের প্রভাবমুক্ত ছিল। রাত ৯টায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শেষ করে তাদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ১২ জুলাইয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়।[৩৭]

এ দিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা করে।[৩৮]

১২ জুলাই

এই দিন বিকেল ৫টায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সতর্কবাণী উপেক্ষা করে শাহবাগে জড়ো হয়ে অবরোধ করে।[৩৯]

এই দিনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে থাকলে ছাত্রলীগের একদল কর্মী আক্রমণ করে বসে। এ সময় সে অবস্থায় ভিডিও করায় কলেজের এক শিক্ষার্থীকে তুলে হলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।[৪০]

বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজারসংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এতে সারা দেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। [৪১]

১৩ জুলাই

রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।[৪২] ঢাকায় ঢাবির শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন, তারা অভিযোগ করেন ‘মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধার চেষ্টা করা হচ্ছে’।[৪৩]

বগুড়া শহরের পৌর এডওয়ার্ড পার্কের শহীদ টিটু মিলনায়তনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন:[৪৪]

১৪ জুলাই

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকায় গণপদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।[৪৫]

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকায় বিক্ষোভ করে। রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও তালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন।[৪৬] সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৪–জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিতে অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়।[৪৭] চট্টগ্রামে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।[৪৮][৪৯]

১৫ জুলাই

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, সূর্যসেন হল ও ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।[৫০]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে শতাধিক ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের মতে এই সংখ্যা দুইশ' এর বেশি।[৫১] ১৫ জুলাই বিকেলে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে ক্যাম্পাসে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে, এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় মেডিকেলের দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে রড, লাঠি, হকি স্টিকসহ বিভিন্ন অস্ত্র দেখা যায়। হেলমেট পরিহিত একদল তরুণকেও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনেকে এসময় আশপাশের ভবনে আশ্রয় নেন।[৫১]

বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিকাল আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে বিজয় একাত্তর হলের সামনে মাইকিং করতে শুরুর করলে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। এরপর কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেন। অপরদিকে সূর্যসেন হলের আশপাশেও হামলা থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।[৫০] বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরও শহীদুল্লাহ হলের সামনে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।[৫১] আন্দোলনকারীরা সরে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রড ও লাঠি নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায়।[৫১]

এর আগে, দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য অপমানজনক। এই বক্তব্য আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত রাতে বিক্ষোভ করে আমরা সোমবার ১২টার প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রত্যাহার না হওয়ায় আমরা রাস্তায় নেমেছি”। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারে সরকারকে দেয়া দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুপুর ১২টা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকে। এই আন্দোলনকে ঘিরে শাহবাগসহ আশপাশের রাস্তায় জলকামানসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়।[৫১]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত ২৯৭ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।[৫২] আহত শিক্ষার্থীদের যাঁরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছেন, তাঁদের সেখান থেকে ধাওয়া দিয়ে বের করে দেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। এরপর ঢাকা মেডিকেলের সামনের সড়কে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।[৫৩] সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ঢুকে পড়ে। এ সময় চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।[৫৪]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ১৫ জুলাই সোমবার রাত ১০টার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন তল্লাশি ও মারধর করে। স্যার এ এফ রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে এমন ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনে যুক্ত কি না, তা দেখতে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন তল্লাশি করা হয়েছে। আন্দোলনে যুক্ততা পেলেই মারধর করা হয়েছে।[৫৫]

১৬ জুলাই

মুরাদপুর, চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেন। রাত সোয়া ২টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা সেখানে ঢুকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এর আগে রাত ১২টার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে বহিরাগতসহ ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতা–কর্মী অংশ নেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।[৫৬]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের প্রথম ও দ্বিতীয় ব্লকের শিক্ষার্থীরা রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে থালা বাজিয়ে বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলন করেন। এরপর রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাদার বখশ হলের প্রথম ব্লকের তৃতীয় তলায় অন্তত ছয়টি কক্ষে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তল্লাশি চালান। তাদের বেশ কয়েকজনের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল বলে জানা যায়।[৫৭] পরবর্তীতে বিকাল ৩ টার কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হন। জানা যায়, হলে হলে তালা ঝুলিয়ে মাদারবক্স হলের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। [৫৮] আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়েন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মাদার বখশ হলের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর এবং আগুনে কিছু মটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে অভিযান চালান। এ সময় সভাপতির কক্ষ থেকে পিস্তল, রামদা ও বিদেশি মদ এবং সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ থেকে ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। [৫৯]

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা এই সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভাটারা এলাকার প্রগতি সরনী ও কুড়িল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।[৬০][৬১]

সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল শহিদ মিনারের কাছে পৌঁছালে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে এক শিক্ষার্থীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা।[৬২]

দুপুর ১টায় মিরপুর ১০-এ রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিসহ মিরপুরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি বিরাট দলসহ নেতা-কর্মীরা এসে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের ওপর হামলা করেন।[৬৩]

দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। পুলিশ গুলি চালালে আবু সাইয়িদ নামের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।[৬৪] হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মোঃ ইউনুস আলী জানান, "এক শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এ ছাড়া আহত অবস্থায় আরও ১৫ জন হাসপাতালে এসেছেন।"[৬৫]

বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ও আরেকজন পথচারী।[৬৬]

বিকেলে রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে এক যুবক নিহত হন। পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. রিফাতুল ইসলাম বলেন, বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় একদল লোককে এক ব্যক্তিকে পেটাতে দেখেছেন তাঁরা। পরে শুনেছেন, তিনি ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন।[৬৭]

সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় এইদিন সন্ধায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহী শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।[৬৮] এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহার করতে সমস্যা হওয়ার খবর পাওয়া যায়।[৬৯]

কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।[৭০] এছাড়া বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করে।[৭১]

এদিন রাতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ঘোষণা করে যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। একই সময়ে, সমস্ত অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য কলেজগুলিও বন্ধ থাকবে।[৭২][৭৩] শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আবাসিক হলগুলো খালি করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় কমিশন।[৭৪][৭৫]

রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহতদের স্মরণে ১৭ জুলাই গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এক বার্তায় তারা জানান, ‘মঙ্গলবার পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলা ও গুলিবর্ষণে শহীদ ভাইদের জন্য ১৭ জুলাই দুপুর ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল হবে।’[৭৬]

১৭ জুলাই

এদিন গ্রামীণফোন কোম্পানিসহ সকল মোবাইল কোম্পানীকে সরকার সকল ধরণের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। [৭৭] [৭৮][৭৯]কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানির ঘটনার পর আন্দোলনকারী ছাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের নেত্রীরা। হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসাইনসহ ১০ নেত্রীকে রাত ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হল থেকে নিয়ে আসে প্রোক্টরিয়াল বডি। পরে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রাধ্যক্ষ নিলুফার পারভিনকে বাধ্য করেন। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের অভ্যন্তরে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।[৮০][৮১] পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল‌, ফজলুল হক মুসলিম হল, অমর একুশে হল, রোকেয়া হল, মহসীন হল, কুয়েত মৈত্রী হল, জহুরুল হক হল, শামসুননাহার হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সুফিয়া কামাল হলসহ বিভিন্ন হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।[৮২]

সকাল ১০টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের হাতে, হল ছাড়লো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সকল হলের প্রোক্টরদের থেকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নোটিশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।[৮৩]

সকাল ১০টায় শনির আখড়ার দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থীসহ যাত্রাবাড়ীর স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।[৮৪]

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুপুর ১২টার দিকে সিন্ডিকেটের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিকেল ৪টার মধ্যে হল ছাড়ার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান। সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনিক ভবনে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ভবনের উভয় ফটকে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক, মূল ফটক ও আশপাশের এলাকায় সাঁজোয়া যানসহ অবস্থান নেয় পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব। [৮৫] বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়েন। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। বেশ কয়েকজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। [৮৫] পুলিশের সহযোগিতায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপাচার্যসহ অবরুদ্ধ অন্যরা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে যান। এরপর ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ সরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেয়।

পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় নিহত শিক্ষার্থীদের জন্য ২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘গায়েবানা জানাজা ও কফিনমিছিল’ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশের বাধায় সেখানে গায়েবানা জানাজা হয়নি। পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেডকাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান ও পরে সূর্য সেন হলের সামনে জড়ো হন।[৮৬] এরপর পুলিশ সদস্যরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা তার জবাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশের সঙ্গে টিকতে না পেরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা ওই এলাকার হলগুলোর ভেতরে চলে যান। পরে পুলিশ সূর্য সেন হলের সামনে এসে অবস্থান নেয়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল হক সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা বন্ধ করে।[৮৭]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আলোচনায় বসেন। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনের ফটক তালা দিয়ে ঘেরাও করেন। এতে উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভেতরেই আটকা পড়েন। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যকে মুক্ত করতে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে পুলিশ, বিজিবির‍্যাবের সদস্যরা যৌথভাবে অংশ নেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। চার ঘণ্টা পর পুলিশ উপাচার্যকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়।[৮৮]

ঢাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আন্দোলনকারীদেরকে পুলিশ আক্রমণ করে এবং পুলিশের শটগানের গুলিতে ৬ জন আহত হন। ফলে, আন্দোলনকারীরা মেয়র হানিফ উড়ালসড়কের কাজলা অংশের টোল প্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেন। সড়কের শনির আখড়া ও কাজলার মধ্যবর্তী স্থানে অন্তত ২০টি জায়গায় মধ্যরাত পর্যন্ত আগুন জ্বলছে।[৮৪]

রাত আটটার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আরেক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে থেকে ঘটনার শুরু। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চানখাঁরপুল মোড় পর্যন্ত দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।

রাত ১২টার দিকে রাতে বাসায় ফেরার পথে সিয়াম নামের এক তরুণ যাত্রাবাড়ীতে হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। [৮৯]

১৮ জুলাই

১৭ জুলাই রাতে আন্দোলনকারীরা ১৮ জুলাইয়ের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা করে।[৯০]

সকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।[৯১]

সকাল ১১টার দিকে মিরপুর ১০-এ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিসহ মিরপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির’ প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, যা আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় পুরোপুরি পণ্ড হয়ে যায়।[৯২][৯৩]

সকাল ১১টার দিকে সকাল থেকে আন্দোলনরত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজ থেকে মেরুল বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করেতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ। একই সাথে তাদেরকে আক্রমণ করে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা।[৯৪]

দুপুর ১২টার দিকে সকাল থেকে আন্দোলনরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ও স্থানীয় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অনেক শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও অনেকে মিরপুর ডিওএইচএস-এ আটকে পড়ে। পরবর্তীতে ডিওএইচএসের ভেতর ঢুকে হামলা চালানো শুরু করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। বিইউপি ও এমআইএসটি হলে সকল শিক্ষার্থীকে আশ্রয়ের সুযোগ দেয়া হয়।[৯৩][৯৫]

দুপুর ২টার দিকে পুলিশের গুলিতে নর্দান ইউনিভার্সিটির ২ শিক্ষার্থী নিহত ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।[৯৬][৯৭][৯৮]

দুপুর ৩টার দিকে পুলিশের ধাওয়ায় হ্রদে পড়ে মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।[৯৯] এছাড়াও রামপুরায় পুলিশের সাথে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক গাড়ি চালক পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন।[১০০]

এদিন সরকারের নির্দেশে ৪জি মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়।[১০১] রাত ৯টার দিকে সরকার সারাদেশে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

১৯ জুলাই

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রোধ করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ঢাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[১০২] সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ঢাকার সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রেল কর্মকর্তা তাদের বলেন, ট্রেনে চলাচল করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা যাতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করতে না পারে ও ছোট-বড় জমায়েত না করতে পারে তার জন্যই এমনটা করা হয়েছে।[১০৩] ১৮ জুলাইয়ের ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাইতেও সারাদেশে সকল ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়।

এইদিনেও সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অবরোধ চলে। সকাল ১০টার দিকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানান।[১০৪] বেলা পৌনে ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানা ঘেরাও করলে থানার ভেতর থেকে পুলিশ সদস্যরা ছররা গুলি ছুড়েন, এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।[১০৫]

ঢাকার উত্তরা, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা পল্টনসহ কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সারাদিন দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মিরপুরে জুমার নামাজের পর বেলা তিনটার দিকে কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া এবং মিরপুর - ১০-এর বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় বেরিয়ে আসে। সাভারে বিকাল তিনটা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হাজারো শিক্ষার্থী জড়ো হয়। বিকেল চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকার রামপুরা থানা ঘেরাও করে। বিকেল পাঁচটায় বিক্ষোভকারীরা মিরপুর ১৪ নম্বরে অবস্থিত বিআরটিএ ভবনে আগুন দেয়।[১০৬]

নরসিংদীতে দুই হাজারের মতো উত্তেজিত জনতা নরসিংদী কারাগার ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে কারাগার থেকে ৮২৬ জন কয়েদী পালিয়ে যান। কারা সূত্রমতে আন্দোলনকারী ও বন্দীরা মিলে অস্ত্রাগারের চাবি ছিনিয়ে ৮৫টি অস্ত্র, চায়নিজ রাইফেলের ৭ হাজার গুলি ও শটগানের ১ হাজার ৫০টি গুলি ছিনিয়ে নেন।[১০৭]পরবর্তীতে ৩৩১ জন কয়েদী আত্মসমর্পণ করেন। [১০৮]

সারাদেশে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করে সরকার।[১০৯] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কারফিউ প্রসঙ্গে বলেন “এটা অবশ্যই কারফিউ। এটা নিয়ম অনুযায়ীই হবে এবং সেটা শুট অ্যাট সাইট [দেখা মাত্রই গুলি] হবে”।[১১০]

মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে আটক করা হয়।[১১১] এছাড়া গণঅধিকার পরিষেদের সভাপতি নুরুল হক নুরকেও আটক করা হয়।[১১২] যেসময়ে নাহিদ ইসলামকে আটক করা তার কাছাকাছি সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন প্রতিনিধির সাথে সরকারের তিনজন প্রতিনিধির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় যেখানে তারা সরকারের কাছে 'আট দফা দাবি' জানান। সরকারের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সহ-সমন্বয়ক তানভীর আহমেদ।[১১৩] উল্লেখ্য সারজিস আলম ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন এবং ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।[১১৪]

সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫ হয়েছে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নিহতের সংখ্যার দাবিটি ঠিক নয়।[১১৫] বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্র অনুযায়ী ১৯ জুলাই শুক্রবার সারাদেশে কমপক্ষে ৫৬-৬৬ জনের মৃত্যু হয়।[১১৬]

সহায়তা চেয়ে ৯৯৯ নম্বরে সবচেয়ে বেশি ফোন ১৯ জুলাই এসেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ। ১৬ জুলাই থেকে ৮ দিনে প্রায় ৩ লাখ ফোনকল আসে। সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার ফোনকল আসে ১৯ জুলাই।[১১৭]

২০ জুলাই

চিত্র:কোটা সংস্কার আন্দোলনে সেনাবাহিনীকে দেশের বিভিন্ন অংশে কারফিউর অংশ হিসেবে টহল দেয়.webp
সেনাবাহিনীকে দেশের বিভিন্ন অংশে কারফিউর অংশ হিসেবে টহল দিতে দেখা যায়।

তৃতীয় দিনের মতো সারা বাংলাদেশ ইন্টারনেটবিহীন ছিল। সেনাবাহিনীকে দেশের বিভিন্ন অংশে কারফিউর অংশ হিসেবে টহল দিতে দেখা যায়। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল রেখে পুনরায় কারফিউ শুরু হয়। রবি ও সোমবার বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

১৯ জুলাই শুক্রবার মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রতিনিধির সাথে সরকারের তিনজন মন্ত্রীর যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠক ও বৈঠকে উত্থাপিত দাবি নিয়ে নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায়। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, “তারা [গতকাল রাতে মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করা তিন প্রতিনিধি] বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটা পোর্শনও [অংশ] না। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথেই নাই। তারা যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে প্রচার করেন, তবে তারা মিথ্যাচার করছেন।” অন্য আরেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, “কয়েকজন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ককে দিয়ে জোরপূর্বক গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে।”[১১৮]

কারফিউর মধ্যেই যাত্রাবাড়ী, রামপুরা-বনশ্রী, বাড্ডা, মিরপুর, আজিমপুর, মানিকনগরসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এইসব সংঘর্ষে দুইজন পুলিশসহ অন্তত ১০ জন নিহত হন, অন্তত ৯১ জন আহত হন।

২১ জুলাই

চিত্র:কোটা সংস্কার আন্দোলনের নাহিদ ইসলামকে নির্যাতন.webp
বাংলাদশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।

চতুর্থ দিনের মতো সারা বাংলাদেশ ইন্টারনেটবিহীন ছিল ও সারাদেশে কারফিউ বলবৎ ছিল। ভোরে ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় আন্দোলের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে পাওয়া যায় ও পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন তাকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “ডিবি পরিচয়ে রাষ্ট্রীয় একটি বাহিনী আমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। এখনো আমার দুই কাঁধ ও বাম পায়ের রক্ত জমাট বেধে আছে ... কিছু সময় পর গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাড়ির রুমে নেওয়া হয়। আমাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরবর্তীতে আমার উপর মানসিক ও শারীরিক টর্চার শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমার কোন স্মৃতি নাই।”

১৬ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের প্রেক্ষিতে সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি শুরু হয়। সব পক্ষের শুনানি শেষে দুপুর ১টার দিকে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয় ও সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।[১১৯]

এদিন ঢাকায় বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে র‍্যাব, পুলিশ ও বিজিবি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। যাত্রাবাড়ীতে সারাদিন ধরে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়। সেতু ভবন ভাঙ্গচুর, রামপুরার বিটিভির ভবনে আগুন দেয়া, ও বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন মামলায় পুলিশ বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নিপুণ রায় ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি পক্ষ ‘৯ দফা’ দাবি জানিয়ে শাটডাউন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

২২ জুলাই

পঞ্চম দিনের মতো সারা বাংলাদেশ ইন্টারনেটবিহীন ছিল ও তৃতীয় দিনের মতো সারাদেশে কারফিউ বলবৎ ছিল। এক নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি আরও একদিন বাড়ানো হয়।

দুপুরের দিকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কিছু ব্যবসায়ী বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও সহিংসতার জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, শিবিরকে দায়ী করেন ও ‘আরও শক্ত অ্যাকশন’ নেওয়ার কথা জানান।[১২০]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম চার দফা দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করেন, তিনি জানান “আমাদের চার দফার মধ্যে রয়েছে - ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইন্টারনেট চালু, ক্যাম্পাসগুলো থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাস চালু, সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা প্রদান এবং কারফিউ প্রত্যাহার ... যারা নয় দফা দাবি ও শাটডাউন অব্যাহত রেখেছে তাদের সাথে আমাদের নীতিগত কোন বিরোধ নেই। নিজেদের মধ্যে কোন যোগাযোগ না থাকায় আমরা তাদের সাথে কথা বলতে পারছি না”।

২৩ জুলাই

ষষ্ঠ দিনের মতো সারা বাংলাদেশ ইন্টারনেটবিহীন ছিল। তবে রাতের দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সীমিত আকারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়।[১২১] এছাড়া চতুর্থ দিনের মতো সারাদেশে কারফিউ বলবৎ ছিল। কিছু কিছু জেলায় কারফিউ শিথিল করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে কারফিউর মেয়াদ আরও দুইদিন বাড়ানোর কথা জানায়।[১২২]

২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যাতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য পাঁচ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য এক শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ কোটা নির্ধারণের কথা বলা হয়।[১২৩] এছাড়া এই প্রজ্ঞাপনে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরে জারি করা প্রজ্ঞাপন রহিত করার কথা জানানো হয়।[১২৪]

২৪ জুলাই

সীমিত পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকে। পঞ্চম দিনের মতো সারাদেশে কারফিউ বলবৎ ছিল, তবে তা শিথিল পর্যায়ে ছিল।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যু হয় ও নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৭ হয়।[১২৫][১২৬] শিক্ষার্থীদের মতে নিহতের সংখ্যা আরও অনেকগুণ বেশি যা ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় জানা যায় নি।

২৪ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় পুলিশ ১,৭৫৮ জনকে গ্রেফতার করে।[১২৭]

বিক্ষোভের সময় সেনা মোতায়েন পর জাতিসংঘের লোগোসংবলিত যান ব্যবহৃত হলে জাতিসংঘ এই নিয়ে উদ্বেগ জানায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘জাতিসংঘের কোনো যান ব্যবহৃত হচ্ছে না। আমি এখানে বিষয়টি পরিষ্কার করি। এগুলো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। লোগোটা মোছা হয়নি, ভুলে। সেই লোগোগুলো এখন মুছে দেওয়া হয়েছে।’[১২৮]

১৯ জুলাই থেকে নিখোঁজ থাকার পর ২৪ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদের খোঁজ পাওয়া যায়।[১২৯]

২৪ জুলাই রাত পর্যন্ত আরও ৪ জনসহ মোট ২০১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।[১৩০]

২৫ জুলাই

২৫ জুলাই বিকেল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ডে ধীরগতির ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে। এখনও সরকার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রেখেছে। পাশাপাশি মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট এখনও চালু করা হয় নি।[১৩১]

এদিন আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আটটি বার্তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে হতাহতদের তালিকা তৈরি, হত্যা ও হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খুলে দেওয়ার চাপ তৈরি করা। এছাড়াও আপিল বিভাগের রায়ের পর কোটা সংস্কার করে সরকারের দেওয়া প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই কোটা সংস্কারের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটিকে তাঁরা চূড়ান্ত সমাধান মনে করছেন না। তাঁরা মনে করেন, যথাযথ সংলাপের পরিবেশ তৈরি করে নীতিনির্ধারণী জায়গায় সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। [১৩২]

২৬ জুলাই

নাহিদ ইসলামসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদাপোশাকের এক দল ব্যক্তি। তাঁরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়েছেন বলে সেখানে উপস্থিত এক সমন্বয়কের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান।[১৩৩] সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটককে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ নামকরণ করে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।[১৩৪]

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনায় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সরাসরি গুলি ব্যবহারের ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এক বিবৃতির মাধ্যমে তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করে।[১৩৫]

২৭ জুলাই

তিন সমন্বয়ককে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষটি স্বীকার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার জুনায়েদ আলম জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সহিংসতার বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।[১৩৬] নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা থাকলে তাঁদের পরিবারের কাছে না দিয়ে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হলো কেন, সেই প্রশ্ন তুলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি দল। তিন শিক্ষার্থীর খোঁজখবর নিতে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যান এই শিক্ষকেরা। যদিও শিক্ষকদের সাথে দেখা করতে ডিবিপ্রধান অস্বীকৃতি জানান।[১৩৭]

আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ, সংঘাত, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে অভিযান চালানো হয়।[১৩৮]

এদিনও কারফিউ চলমান থাকে। তবে এই কারফিউ কিছু সময় শিথিল থাকে।[১৩৯] জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৮শে জুলাই থেকে ৩০শে জুলাই পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সূচি ছয় ঘণ্টা করার সিদ্ধান্ত জানায়।[১৪০]

রাত ৯টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ককে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাঁরা হলেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। এ নিয়ে মোট ৫ সমন্বয়ককে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।[১৪১]

রোববারের মধ্যে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ, আসিফ মাহমুদসহ আটক সকল শিক্ষার্থীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থী গণহত্যার সাথে জড়িত মন্ত্রী পর্যায় থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকল দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই তিন দফা না মানা হলে তা না হলে পরশুদিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরো কঠিন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে। একই সাথে রোববার সারাদেশের দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। এছাড়া সোমবার থেকে সারাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা, উপজেলা ও নগরকেন্দ্রিক "হেলথ ফোর্স" গঠন করে আহত-নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, এবং আহত-নিহত ছাত্র-নাগরিক ও তাদের পরিবারকে মানসিক ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দেয়া হয়। একইসাথে "লিগ্যাল ফোর্স" গঠন করে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের নামে মামলার ডকুমেন্টেশন এবং যাদের আইনি সাহায্যের প্রয়োজন তাদেরকে সেই সাহায্যের ব্যবস্থা করারও ঘোষণা দেয়া হয়।[১৪২]

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত শুক্রবার গভীর রাতে হাতিরঝিলের বাসা থেকে আটক করা হয় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে। পুলিশ হেফাজতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন তার স্ত্রী।[১৪২]

আজও ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু করে নি সরকার। পাশাপাশি, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও ধীর গতিতে চলছে। মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে অপারেটরদের সঙ্গে কাল বসবে সরকার।[১৪৩]

হতাহত

মৃত্যুর কিছু মুহূর্ত আগে আবু সাঈদ এভাবে বুক চিতিয়ে পুলিশের দিকে দাঁড়িয়ে থাকেন, পুলিশ তার দিকে মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ছুড়লে তিনি ক্ষতবিক্ষত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও রক্তক্ষরণে মারা যান।

২৪ জুলাই ২০২৪ অনুযায়ী, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অনান্য সংগঠন, বিজিবি এবং পুলিশের সম্মিলিত হামলা ও সহিংসতায় সারা দেশে ২০১ জনের অধিক নিহত [১২] হওয়ার খবর এবং ৬ হাজারের অধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।[১২৫][১২৬][১৪৪][১৪৫][১৪৬] সরকারপক্ষের মৃতদের বাদে বাকি নিহতদের 'শহীদ' হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সরকার ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক নেতারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ কথা বলেন।[১৪৭] হামলা–সংঘর্ষে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের তালিকা জাতির সামনে তুলে ধরার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। পাশাপাশি এ ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের নামও প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।[১৪৮] আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত এক শিশুসহ ২১ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। পুলিশ এসব লাশ পরিচয় সনাক্ত বা পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কোন উদ্যোগ নেয়নি। এসব লাশ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ে ছিলো, পরে হাসপাতালের মর্গ থেকে পুলিশ এই ২১ জনের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দিয়েছে। পরে সংস্থাটি লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করে।[১৪৯]

ঢাকার যাত্রাবাড়ি-শনির আখড়া, উত্তরা-আবদুল্লাহপুর, রামপুরা-বাড্ডা এবং মোহাম্মদপুর-বসিলা এলাকার আশেপাশের হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে ১৮ থেকে ২০শে জুলাই প্রায় ৪ হাজার ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে আসা বেশিরভাগই ছিলেন বুলেট বিদ্ধ। এদিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ দাফন করা হচ্ছে।[১৩৫]

র‍্যাবের বেল ৪০৭ থেকে আন্দোলনকারীদের দিকে তাক করে গুলি করার মুহূর্ত

বিক্ষোভ দমনে র‌্যাবের হেলিকপ্টার ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। হেলিকপ্টার থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার পাশাপাশি গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে র‌্যাব বলেছে, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে হেলিকপ্টার থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোনো ধরনের গুলি করা হয়নি বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।[১৫০] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ২৪ জুলাই নিহতদের তথ্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,[১৫১]

ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, সংঘাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালেই ৮১ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ৬০ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়, বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।[১৫২]

আন্দোলনকে ঘিরে কাঁদানে গ্যাস ও ছররা গুলিতে চোখে আঘাত পেয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪২৪ জন। এর মধ্যে চোখের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে ২৭৮ জনের। অস্ত্রোপচার করা বেশির ভাগ রোগীর চোখে ছররা গুলির আঘাত ছিল।[১৫৩]

পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলন শুরুর পর থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ১১৭ জন। এছাড়া পুলিশের ২৩৫টি থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের ২৮১টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।[১৫৪] ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গত সাত দিনে সারা দেশে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ১১৩টি। এরমধ্যে ঢাকাতেই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৯০টি।[১৫৫]

প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে রয়েছেন:

  • আবু সাঈদ (২২) — বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।[১৫৬]
  • মো. ফারুক — একটি আসবাবের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।[১৪৫]
  • ওয়াসিম আকরাম — চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।[১৪৫]
  • ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২৪) — ওমরগনি এম.ই.এস কলেজের ছাত্র ছিলেন।[১৫৭]
  • মো. শাহজাহান (২৫) — তিনি নিউমার্কেট এলাকার হকার ছিলেন।[১৫৮]
  • সবুজ আলী (২৫) — ঢাকা কলেজ পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।[১৫৯]
  • সিয়াম (১৮) — তিনি গুলিস্তানের একটি ব্যাটারির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।[১৪৬]
  • আসিফ ও সাকিল — নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।[৯৬][৯৭][৯৮][১৬০]
  • দিপ্ত দে — মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।[৯৯]
  • দুলাল মাতবর — গাড়ি চালক।[১০০]
  • ফারহান ফাইয়াজ — ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।[১৬১]
  • ইয়ামিন — মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির।[১৬২]
  • মো. জিল্লুর শেখ — ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ।[১৬৩]
  • শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন — মিরপুর এমআইএসটির কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী[১৬০]
  • হাসান মেহেদী — নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস[১৬৪]
  • রিয়া গোপ (৬) — বাসার ছাদে খেলতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।[১৬৫]
  • সাফকাত সামির (১১) — একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।[১৬৬]
  • তাহমিদ তামিম (১৫) — নরসিংদী শহরের নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমসের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।[১৬০]
  • মো. ইমন মিয়া (২২) — শিবপুরের সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের শিক্ষার্থী।[১৬০]

ইন্টারনেট বিভ্রাট

ক্লাউডফ্লেয়ার রাডারে বাংলাদেশ সময় ১৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হলে ১৭ জুলাই (বুধবার) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ২৩ জুলাই সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জাতীয় ও নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের ক্ষেত্রে সরকার ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টারে আগুন দেওয়াকে দায়ী করলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্যে মূলত সরকারের নির্দেশকেই দায়ী করা হয়।[৭৭] যদিও খাজা টাওয়ারের নিরাপত্তারক্ষী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এক ভবন পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে। কিন্তু সবাই শুধু খাজা টাওয়ারে এসে খোঁজ নিচ্ছে। অথচ এ ভবনে কোনো কিছুই ঘটেনি। গত কয়েকদিন ধরে ভবনটি বন্ধ রাখা হয়েছে নিরাপত্তার কারণে।[১৬৭] আগুনে সারা দেশে চারটি ডেটা সেন্টার এবং ৪০টির মতো সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Cloudflare Radar এক্স লোগো, শৈলীযুক্ত এক্স অক্ষর
@CloudflareRadar

ইংরেজি: Bangladesh is experiencing a near complete #Internet outage after a government-ordered shutdown of mobile networks. Traffic and announced address space dropped to near-zero around 15:00 UTC (21:00 local).


সরকারের-নির্দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের পর বাংলাদেশে পূর্ণ #ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ট্র্যাফিক এবং ঘোষিত অ্যাড্রেস স্পেস ১৫:০০টা ইউটিসিতে (স্থানীয় ২১:০০টায়) প্রায় শূন্যের-কাছাকাছি নেমে আসে।

১৯ জুলাই ২০২৪[১৬৮]

ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ক্লাউডফ্লেয়ার ইন্টারনেট বন্ধের জন্য সরাসরি বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করে টুইট বার্তা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘ইন্টারনেট সোসাইটি’-র তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫ দিন ১২ ঘণ্টা ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ ছিল।[১৬৯]

পাঁচ দিন ইন্টারনেট না থাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল, অনলাইনে টাকা লেনদেন, মুঠোফোনে টাকা ভরা, অনলাইনে কেনাবেচা, ফ্রিল্যান্সিং, বিমানের টিকিট কেনা, অনলাইনভিত্তিক বিনোদনের মাধ্যম (ওটিটি, ইউটিউব প্রভৃতি) ও পড়াশোনা—সব সেবাই হয় বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে সমস্যায় পড়ে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ তথ্যমতে, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে ইন্টারনেট সুবিধাভোগী আরও পাঁচ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সরকারি সব ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে আসে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।[১৭০]

ইন্টারনেট না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় অনলাইন ফ্রিল্যান্সার এবং সফটওয়্যার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ।[১৭১] বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) তথ্যমতে, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে পাঁচ দিনে সফটওয়্যার খাতের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০০ কোটি টাকার ওপরে।[১৭২]

সুপ্রিম কোর্টের রায়

কোটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৭ আগস্ট শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। তবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায়, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অ্যাটর্নি জেনারেলকে মামলার শুনানি এগিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।[১৭৩] ১৮ জুলাই সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোঃ ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ চেম্বার জজ আদালত লিভ-টু-আপিল শুনানির জন্য ২১ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করে ও আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৩ নম্বর ক্রমিকে সেটিকে রাখা হয়।[১৭৪]

২১ জুলাই ১০টা ১৭ মিনিটে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি শুরু হয়। আইনজীবী আহসানুল করিম আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু শিক্ষার্থীর পক্ষে কোটা নিয়ে ‘সাবজেক্ট ম্যাটার’ শুনানি করতে আবেদন করেন। এরপর আরও কয়েক আইনজীবী অনুমতি চান। পরে আদালত পাঁচজন আইনজীবীকে শুনানির অনুমতি দেন। সব পক্ষের শুনানি শেষে দুপুর ১টার দিকে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয় ও সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।[১১৯] আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে বলা হয়:[১৭৫]

এছাড়া আদালত অনতিবিলম্বে সরকারকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেয়। পরে ২৩ জুলাই এই বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়:[১২৩]

বিতর্ক

রাজাকার বিতর্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে ১১:৩০ রাতে 'চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার' স্লোগান ব্যবহার করছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে কোটা নিয়ে গণভবনে বলেন:[২১]

রাজাকার ছিল একটি আধা-সামরিক বাহিনী যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে রাজাকার শব্দটিকে নেতিবাচক হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, শিক্ষার্থীরা ব্যাঙ্গ করে “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার” এবং “চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার” স্লোগান ব্যবহার করা শুরু করে।[২২] আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য অপমানজনক। এই বক্তব্য আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত রাতে বিক্ষোভ করে আমরা সোমবার ১২টার প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রত্যাহার না হওয়ায় আমরা রাস্তায় নেমেছি”। পূর্ব ঘোষণা অনুয়ায়ী ১৫ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে ঢাবির বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। রাজু ভাস্কর্যের সামনে এদিন শিক্ষার্থীরা ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’-সহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। আন্দোলনে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মনে আঘাত দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বাইরে সবাইকে রাজাকার বলেছেন। আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কারের দাবি জানাই।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হুমকি দেয় যে, কোনো বিক্ষোভকারী এই স্লোগান ব্যবহার করলে তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত শক্তি পাকিস্তানে পাঠানো হবে। সংগঠনটি বলে যে বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চেতনাকে আঘাত করেছে এবং ১৫ জুলাইয়ের পরে যাতে তাদের দেখা না যায়। এই স্লোগানগুলোর ব্যবহার বন্ধ না হলে তারা বিক্ষোভ করার ঘোষণা দেয়। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আন্দোলনকারীদের ‘তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়ব’ বলে হুংকার দেন।[১৭৬] বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেন:[১৭৭]

এই ঘটনাগুলোর কারণে প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তাদের আচরণকে "অত্যন্ত দুঃখজনক" বলে অভিহিত করেন।[১৭৮]


অন্যান্য বিতর্ক

২০২৪ সালের ১৩ জুলাই টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ১৪ জুলাই ঢাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলার পর তিনি লিখেন:[১৭৯]

১৬ জুলাই বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান "স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড" টেন মিনিট স্কুলে তাদের ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব বাতিল করে।[১৮০] এটি নিয়ে নেটিজেনরা সমালোচনা করেন, অনেকে লিখেন কোটা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এই বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।[১৮১] ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন "কেউ যদি বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে বিতর্ক তোলে, এসব আদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, সেখানে সরকার ব্যবস্থা নেবেই"[১৮২] ও যেসব আলোচনা হচ্ছে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।[১৮৩]

১৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে মর্মাহত হয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমার মনে হয়, আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়তো সেই ‘রাজাকার’। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন, সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?” এই মন্তব্যকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়[১৮৪] এবং উক্ত দিনেই রকমারিসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বইয়ের দোকান তার বই বিক্রি বন্ধ করে দেয়।[১৮৫] এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।[১৮৬]

প্রতিক্রিয়া

অভ্যন্তরীণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানায়। দলটির রাজনীতিবিদ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন সরকার শিক্ষার্থীদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।[১৮৭] ১৬ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশের ১১৪ বিশিষ্ট নাগরিক আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান ও শাস্তির দাবি করেন।[১৮৮] ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের রাজনীতিবিদরাও নিন্দা জানান ও বলেন "কোটাব্যবস্থার যুক্তিসংগত সংস্কারের দাবি মানার ঘোষণার পরিবর্তে সরকার উসকানিমূলক বক্তব্যে দিচ্ছে"।[১৮৯] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশও এই ঘটনার নিন্দা জানায়।[১৯০]

দৈনিক প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক ১৭ জুলাইতে তার প্রকাশিত এক কলামে লিখেন "সবাই যেখানে সংস্কার চায়, সেখানে এত রক্ত কেন"।[১৯১] এই দিন সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলাচলের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেয়। একই সাথে ১৮ জুলাই সাধারণ মানুষের জন্য দূতাবাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।[১৯২]

২৩ জুলাই দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক কলামে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের লিখেন, “সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের কারণে, জেদাজেদির কারণে, জোর করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার কারণে এত প্রাণ ঝরল। যে মায়ের কোল খালি হলো, যে পরিবার ধ্বংস হয়ে গেল, এর দায়দায়িত্ব সরকারকে নেওয়া উচিত ছিল।”[১৯৩]

২৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষক জাহিদুল করিম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[১৯৪]

আন্তর্জাতিক

  • জাতিসংঘ ১৬ জুলাই জাতিসংঘ মহাসচিবের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র স্তেফান ডুজারিক বলেন জাতিসংঘ গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, একই সাথে তিনি যেকোনো হুমকি ও সংঘাত থেকে প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।[১৯৮] ১৭ জুলাই জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক এক্সে প্রকাশিত এক বার্তায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।[১৯৯] ১৯ জুলাই জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশে চলমান অবস্থার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে সংলাপের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং অচলাবস্থা নিরসনে বিক্ষোভকারীদের সংলাপে বসতে উৎসাহিত করেন। ২৪ জুলাই সহিংসতার সব ঘটনা স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত ও দ্রুত পুর্নাঙ্গ ইন্টারনেট চালু চায় বলে জানায় জাতিসংঘ।[২০০]
  • ১৬ জুলাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হামলার নিন্দা করে এবং সরকারকে "অবিলম্বে সকল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে" আহ্বান জানায়।[২০১]
  • ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৭ জুলাই বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন "বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান দেখতে চায় বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদাররা" এবং তিনি "আরও সহিংসতা ও রক্তপাত এড়াতে" সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।[২০২]
  • যুক্তরাজ্য ১৮ জুলাই যুক্তরাজ্য সরকারের বিদেশ, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিস বিক্ষোভের পর সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় পক্ষকে 'সহিংসতা বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ পথ খুঁজে বের করার' আহ্বান জানায়।[২০৩] ২৩ জুলাই যুক্তরাজ্যের সংসদে ‘বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ’ শিরোনামে একটি মোশন উত্থাপন করা হয়, মোশনে সহিংসতা, বেআইনি হত্যা, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা এবং অন্যান্য ধরনের দমনপীড়ন অগ্রহণযোগ্য এবং বাংলাদেশের মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করা হয়।[২০৪]

বাংলাদেশের বাইরে

ভারতে, ১৭ জুলাই নিখিল ভারত ছাত্র অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভের সাথে তাদের সংহতি প্রকাশ করে।[২০৬] ১৮ জুলাই সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন (এআইডিএসও) বাংলাদেশের ছাত্রদের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিক্ষোভ করে।[২০৭]

নেপালে, ২০ জুলাই অল নেপাল ন্যাশনাল ফ্রি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ করে।[২০৮]

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ১৭ জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন। সমাবেশে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশে যোগ দেন।[২০৯]

অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, প্রবাসী বাংলাদেশীরাও বাংলাদেশ সরকারের আন্দোলনকারীদের উপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমতি ছাড়া যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ থাকায় উক্ত বিক্ষোভ থেকে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।[২১০]

আন্দোলনে হতাহত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সমাবেশস্থলে বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলাসহ নির্যতন বন্ধের আহ্বান জানান এবং রাস্তায় থাকা সেনাবাহিনী প্রত্যাহারেরও জোর দাবি জানান।[২১১]

এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে জার্মানির লাইপ্‌ৎসিশে, ডুসেলডর্ফ শহরে, স্টুটগার্টে, পাঠারবনে, হামবুর্গে, নুরেমবার্গে, ড্রেসডেনে, ম্যাগডেবার্গে, ব্রেমেনে, এসেনে, বনে, মিউনিখে, ব্রান্ডেনবুর্গে, ম্যনশেনগ্লাডবাখে। এছাড়াও আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে ইউরোপের নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগ-এ, ইটালির ভেনিসে, ফ্রান্সের প্যারিসে, উত্তর সাইপ্রাসে, যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথে, ওয়ারশতে[২১২]

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ও ২১ এপ্রিল রোববার নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে এক সমাবেশে সপরিবারে যোগ দেন প্রবাসী বাংলাদেশি ও নতুন প্রজন্মসহ শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ‘পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন’-এর অভিযোগ তুলে সময় টিভি’র যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক আজকাল-এর সহযোগী সম্পাদক হাসানুজ্জামান সাকীর উপর চড়াও হয় এবং তাকে লাঞ্ছিত করে। এ ছাড়াও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে জাতিসংঘ সদর দপ্তর সামনে, নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায়, নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে, হোয়াইট হাউজের সামনে, ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে, নিউ জার্সি রাজ্যের প্যানিংটন পার্কে, জর্জিয়ায়, কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে, নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে, ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিকাগোতে, পেনসিলভেনিয়ায় সহ বিভিন্ন স্থানে। সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন সবাই।[২১৩]

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছে উত্তর আমেরিকায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারস ইন নর্থ আমেরিকা। এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি; যারা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কারের জন্য যথাযথভাবে প্রতিবাদ করছে এবং এখন নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু ও চলমান আইনি হয়রানির বিচারের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অন্যায্য কোটা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি। এছাড়া বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কার ও হত্যাকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ক্রমবর্ধমান দাবির প্রতিও আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।' বিবৃতিতে মোট ৫০ জন শিক্ষক, পিএইচডি গবেষক ও শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করেন।[২১৪]

আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে জাপানের টোকিওতে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র সমাজের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ জুলাই টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে এই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রবাসীরাও অংশ নেন এবং প্রতিবাদ জানান।[২১৫]

চিত্রশালা

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. "কোটাবিরোধী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন বিএনপির"প্রতিদিনের সংবাদ। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  2. "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন ঘোষণা"দৈনিক ইনকিলাব। ১৮ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  3. প্রতিনিধি, বিশেষ (২০২৪-০৭-১৬)। "কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সমর্থন জি এম কাদেরের"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  4. প্রতিনিধি, বিশেষ (২০২৪-০৭-০৫)। "কোটা ও পেনশনবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ জাসদের সমর্থন"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  5. "কোটা সংস্কারের দাবি ন্যায়সংগত : হেফাজতে ইসলাম"ঢাকা পোস্ট। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  6. "কাল সারা দেশে বিক্ষোভ ডেকেছেন চরমোনাই পীর"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  7. "কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা, কারফিউ, সেনা মোতায়েন, ইন্টারনেট বন্ধ-আরো যা যা ঘটেছে"বিবিসি বাংলা। ২৩ জুলাই ২০২৪। ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  8. প্রতিবেদক, নিজস্ব (১৬ জুলাই ২০২৪)। "ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, রংপুর ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  9. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-০৭-১৬)। "ছাত্রদের মতবিরোধ হলেই বাকবিতণ্ডা হয়, সে রকমই কিছু কিছু জায়গায় হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  10. "যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়ব: ছাত্রলীগ সভাপতি"ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  11. ব্যুরো, রাজশাহী। "কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রুখে দেওয়ার ঘোষণা যুবলীগের"কালবেলা। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  12. "নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৯"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪ 
  13. "আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি কয়েকশ শিক্ষার্থী"বণিক বার্তা। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  14. "কোটা সংস্কার আন্দোলন: দেশজুড়ে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ–গুলি, নিহত ২৭"প্রথম আলো। ১৯ জুলাই ২০২৪। ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৪ 
  15. "গ্রেপ্তার সাড়ে ৫ হাজার, মামলা পাঁচ শতাধিক"দৈনিক প্রথম আলো। প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০১: ১১। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  16. "কোটা আন্দোলন: পুলিশের যা যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে"বাংলা ট্রিবিউন। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  17. "সাংবাদিকদের ওপর হামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  18. "মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ: হাই কোর্টের রায়"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২৪ 
  19. "কী ছিল ২০১৮ সালের সেই পরিপত্রে?"। ০৯ জুলাই, ২০২৪ ০৮:০১। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সেই সময়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদের সই করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, সরকার সব সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭/০৩/১৯৯৭ তারিখের সম(বিধি-১)এস-৮/৯৫(অংশ-২)-৫৬(৫০০) নম্বর স্মারকে উল্লিখিত কোটা পদ্ধতি নিম্নরূপভাবে সংশোধন করল: (ক) নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে; এবং (খ) নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।  line feed character in |উক্তি= at position 344 (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  20. "২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ : সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল"বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ১১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২৪ 
  21. "মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন, কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী"আজকের পত্রিকা। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  22. "'তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি"বাংলা ট্রিবিউন। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  23. মাহমুদ, নাদিম (১৬ জুলাই ২০২৪)। "শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' রক্ষা হবে কি"দৈনিক প্রথম আলো। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  24. "কোটা সংস্কার আন্দোলনে কে এই অস্ত্রধারী?"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  25. "প্রজ্ঞাপন জারি: কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পেলে মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ" 
  26. "সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকুরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন" (পিডিএফ)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  27. "মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ: হাই কোর্টের রায়"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  28. "কোটা আন্দোলন: মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা আপিল বিভাগের"বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-১০। ২০২৪-০৭-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২৪ 
  29. আজাদ, আবুল কালাম (১২ জুলাই ২০২৪)। "কোটা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে কারা?"বিবিসি বাংলা। ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৪ 
  30. "সরকারি সব চাকরির কোটা সংস্কারের নতুন দাবি, আজ আবারও বাংলা ব্লকেড"প্রথম আলো। ১১ জুলাই ২০২৪। ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৪ 
  31. "চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা: স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হবে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে"প্রথম আলো। ৯ জুন ২০২৪। ১০ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৪ 
  32. "কোটা সংস্কারের দাবিতে সোমবার থেকে আবার আন্দোলন"প্রথম আলো। ২৯ জুন ২০২৪। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৪ 
  33. "সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন"প্রথম আলো। ৩০ জুন ২০২৪। ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৪ 
  34. ডেস্ক, ভিডিও (১ জুলাই ২০২৪)। "কোটা বাতিল: ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ"প্রথম আলো। ২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৪ 
  35. প্রতিবেদক,প্রতিবেদক, নিজস্ব (৭ জুলাই ২০২৪)। "আজ ক্যাম্পাসে ধর্মঘট, সড়কে 'বাংলা ব্লকেড'"প্রথম আলো। ৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৪ 
  36. "কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারাদিন যা হয়েছে"বিবিসি বাংলা। ১০ জুলাই ২০২৪। ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৪ 
  37. "সংসদে আইন পাস না করা পর্যন্ত আন্দোলন, কাল বিক্ষোভ"প্রথম আলো। ১১ জুলাই ২০২৪। ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৪ 
  38. "কুমিল্লায় কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা, দুই সাংবাদিক আহত"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২৪-০৭-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১২ 
  39. "কোটা সংস্কার আন্দোলন: শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা"ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি। ১২ জুলাই ২০২৪। 
  40. "কোটা আন্দোলনের ভিডিও করায় শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পিটুনি"banglanews24.com। ২০২৪-০৭-১২। ২০২৪-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৪ 
  41. "'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ"। ১২ জুলাই ২০২৪, ১৮:০৮।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  42. ডেস্ক, ভিডিও (১৩ জুলাই ২০২৪)। "ছুটির দিনেও রেলপথ অবরোধ করে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ"প্রথম আলো। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  43. ডেস্ক, ভিডিও (১৩ জুলাই ২০২৪)। "'মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধার চেষ্টা করা হচ্ছে'"প্রথম আলো। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  44. "কোটা সমাধান আদালতেই হতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী"প্রথম আলো। ১৩ জুলাই ২০২৪। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  45. "রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে যা বলেছেন আন্দোলনকারীরা"প্রথম আলো। ১৪ জুলাই ২০২৪। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  46. "রোকেয়া হলের তালা ভেঙে রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রীরা"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  47. "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  48. "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে হামলা"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২৪ 
  49. ডিজিটাল ডেস্ক, ইত্তেফাক (২০২৪-০৭-১৫)। "চবিতে-কোটাবিরোধী-আন্দোলনকারীদের-ওপর-ছাত্রলীগের"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২৪-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৫ 
  50. "ঢাবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৫ 
  51. "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, শতাধিক আহত"বিবিসি বাংলা। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  52. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৫)। "আহত ২৯৭ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  53. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "হামলায় আহত শতাধিক ঢাকা মেডিকেলে"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  54. ডিজিটাল ডেস্ক, ইত্তেফাক (২০২৪-০৭-১৫)। "ঢামেকের জরুরি বিভাগে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৫ 
  55. প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৬)। "রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন তল্লাশি ও মারধরের অভিযোগ"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  56. "গভীর রাতে জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলনকারীদের মারধর,পরে ছাত্রলীগকে ধাওয়া"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  57. প্রতিনিধি (২০২৪-০৭-১৬)। "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে মধ্যরাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগের 'তল্লাশি'"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  58. "শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় রাবি ক্যাম্পাস ছাড়ল ছাত্রলীগ" 
  59. "রাবিতে শিক্ষার্থীদের অভিযানে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষে মিলল পিস্তল"আজকের পত্রিকা। ১৬ জুলাই ২০২৪, ২০:২১। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  60. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৬)। "ব্র্যাক ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  61. "কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ"unb.com.bd। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  62. সংবাদদাতা, নিজস্ব; টাঙ্গাইল (২০২৪-০৭-১৬)। "টাঙ্গাইলে কোটা আন্দোলনকারীদের মিছিলে লাঠি-রড নিয়ে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  63. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৬)। "হামলার পর মিরপুর ১০ ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  64. "রংপুরে সংঘর্ষে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত"abnews24.com। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  65. সংবাদদাতা, নিজস্ব; দিনাজপুর (২০২৪-০৭-১৬)। "রংপুরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  66. প্রতিবেদক, নিজস্ব; চট্টগ্রাম (২০২৪-০৭-১৬)। "চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ২"ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  67. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৬)। "ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষের মধ্যে যুবক নিহত"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  68. "ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন"বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  69. "মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যা"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  70. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৭-১৬)। "সারা দেশে সব স্কুল–কলেজে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  71. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৭-১৬)। "এইচএসসি ও সমমানের বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  72. রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (১৬ জুলাই ২০২৪)। "সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা"ডেইলি স্টার। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  73. "সারা দেশে নিহত ছয়, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ – DW – 16.07.2024"ডয়চে ভেলে। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  74. প্রতিবেদক, বিশেষ (১৭ জুলাই ২০২৪)। "এবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  75. "সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ"বাংলা ট্রিবিউন। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  76. "আজ সারা দেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবেন শিক্ষার্থীরা"ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  77. ইয়ু, অ্যালিস (২০২৪-০৭-২৪)। "Situation in Bangladesh"টেলিনর এশিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৪ 
  78. "Bangladesh minister confirms shutdown of mobile internet service"The New Age। ১৮ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  79. "Mobile Internet Shut Down in Bangladesh Amidst Protests"pulse.internetsociety.org। ২০২৪-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৪ 
  80. প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৭)। "আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে রোকেয়া হল থেকে বের করা হলো ১০ ছাত্রলীগ নেত্রীকে"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  81. "মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেত্রীদের ওপর হামলা, রোকেয়া হল রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা"www.kalerkantho.com। ২০২৪-০৭-১৭। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  82. "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা"দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২০২৪-০৭-১৭। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  83. "ঢাবির সব হলের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের হাতে, হল ছাড়লো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা"মানবজমিন। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  84. আসাদুজ্জামান (২০২৪-০৭-১৮)। "শনির আখড়ায় সড়কে অন্তত ২০ জায়গায় আগুন, মধ্যরাতেও পাল্টাপাল্টি অবস্থান"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  85. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৮)। "জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ৩টায়ও বিদ্যুৎ ফেরেনি"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  86. প্রতিবেদক,প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৮)। "দিনভর ছাত্র বিক্ষোভ, সংঘর্ষ"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  87. প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৮)। "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে আবার পুলিশ–শিক্ষার্থী সংঘর্ষ"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  88. প্রতিনিধি (২০২৪-০৭-১৭)। "অবরুদ্ধ উপাচার্যকে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  89. প্রতিবেদক, ঢামেক (২০২৪-০৭-১৮)। "হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষ : গুলিতে যুবক নিহত"dhakapost.com। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  90. প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৮)। "সারা দেশে আজ 'কমপ্লিট শাটডাউন', জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধের ঘোষণা"Prothomalo। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  91. "'কমপ্লিট শাটডাউন' এর শুরুতে ঢাকায় যে পরিস্থিতি দেখা গেছে, ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন"বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-১৮। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  92. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৮)। "মিরপুর-১০ রণক্ষেত্র, আ.লীগের সমাবেশ পণ্ড"dhakapost.com। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  93. "মিরপুরে শিক্ষার্থী-পুলিশ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ"banglanews24.com। ২০২৪-০৭-১৮। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  94. "রামপুরা-বাড্ডায় পুলিশ-ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ"banglanews24.com। ২০২৪-০৭-১৮। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  95. "কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মিরপুর-১২"thedailycampus.com। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  96. "উত্তরায় গুলিতে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী নিহত"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  97. "উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত"ভোরের কাগজ। ২০২৪-০৭-১৮। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  98. "উত্তরায় পুলিশ-র‍্যাবের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ"যায়যায়দিন। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  99. "পুলিশের ধাওয়ায় লেকে পড়ে আন্দোলনরত কলেজছাত্রের ‍মৃত্যু"thedailycampus.com। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  100. "রামপুরায় ব্র্যাকের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১"thedailycampus.com। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  101. "সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ফোরজি সেবা বন্ধ"বণিক বার্তা। ১৮ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  102. "রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি"প্রথম আলো। ১৯ জুলাই ২০২৪। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৪ 
  103. প্রতিনিধি, বিশেষ (১৯ জুলাই ২০২৪)। "পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ"প্রথম আলো। ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৪ 
  104. "মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাজশাহী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিবাদ"প্রথম আলো। ১৯ জুলাই ২০২৪। ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৪ 
  105. "ভৈরবে থানা ঘেরাও করলেন আন্দোলনকারীরা, গুলি, আহত শতাধিক"প্রথম আলো। ১৯ জুলাই ২০২৪। ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৪ 
  106. "তাণ্ডবে বিআরটিএর সব সেবাই বন্ধ"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৩ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২৪ 
  107. "নরসিংদী কারাগার যেন ধ্বংসস্তূপ"প্রথম আলো। ২৩ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  108. "নরসিংদী কারাগার থেকে পলাতক ৩৩১ কয়েদির আত্মসমর্পণ"banglanews24.com। ২০২৪-০৭-২৪। ২০২৪-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৫ 
  109. "ব্যাপক সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি"দৈনিক ইনকিলাব। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  110. "শুট অ্যাট সাইট হবে: ওবায়দুল কাদের"দৈনিক ইনকিলাব। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  111. "কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম আটক"দৈনিক ইনকিলাব। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  112. "নুরুল হক নুরকে আটক করা হয়েছে"দৈনিক ইনকিলাব। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  113. "সরকারের কাছে 'আট দফা দাবি' কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের: 'শাটডাউন' কর্মসূচি চলবে"দৈনিক ইনকিলাব। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  114. মোস্তফা, মোহাম্মদ (১৩ জুলাই ২০২৪)। "যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কথা বললে তা হতাশ করে"প্রথম আলো। ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  115. "Army deployed, curfew across Bangladesh" [সেনা মোতায়েন, সারাদেশে কারফিউ]। দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ জুলাই ২০২৪। ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  116. "পত্রিকা ( ২০শে জুলাই): 'শুক্রবার সারা দেশে অন্তত ৫৬ জন নিহত, তিনদিনে শতাধিক মৃত্যু'"বিবিসি বাংলা। ২০ জুলাই ২০২৪। ২১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  117. আখতার, নাজনীন (২০২৪-০৭-২৭)। "সহায়তা চেয়ে ৯৯৯ নম্বরে সবচেয়ে বেশি ফোন ১৯ জুলাই"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  118. "কোটা আন্দোলনকারী আর মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক নিয়ে সমন্বয়কদের মধ্যে মতভেদ"বিবিসি বাংলা। ২০ জুলাই ২০২৪। ২১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪ 
  119. "কোটা আন্দোলন: কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে রোববার যা হয়েছে"বিবিসি বাংলা। ২১ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৪ 
  120. "কোটা আন্দোলন : শেখ হাসিনা আরও শক্ত অ্যাকশন নেওয়ার কথা বলেছেন"বিবিসি বাংলা। ২২ জুলাই ২০২৪। ২২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২৪ 
  121. "ফিরল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট"www.kalerkantho.com। জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  122. "অফিস খুলছে: বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা করে চলবে"প্রথম আলো। ২৩ জুলাই ২০২৪। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  123. "সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকুরিতে/কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন" (পিডিএফ)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  124. "প্রজ্ঞাপন জারি: চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে"banglanews24.com। ২৩ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  125. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-২৪)। "চিকিৎসাধীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১৯৭"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৪ 
  126. প্রতিনিধি, বিশেষ (২০২৪-০৭-২৪)। "কোটাপ্রথা নিয়ে আন্দোলন: এত দিন যা যা ঘটেছে"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৪ 
  127. "বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাসহ ঢাকায় গ্রেফতার ১৭৫৮"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  128. প্রতিবেদক, কূটনৈতিক (২৪ জুলাই ২০২৪)। "জাতিসংঘের লোগো ভুলে মোছা হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী"প্রথম আলো। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  129. "৩ সমন্বয়কের খোঁজ পাওয়া গেছে"প্রথম আলো। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  130. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-২৫)। "চিকিৎসাধীন আরও চারজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২০১"Prothomalo। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৫ 
  131. "Outage Center | Cloudflare Radar"web.archive.org। ২০২৪-০৭-২৫। Archived from the original on ২০২৪-০৭-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৫ 
  132. "আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৮ বার্তা দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন"প্রথম আলো। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  133. "নাহিদসহ তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে"প্রথম আলো। ২৬ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২৪ 
  134. "শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটককে 'শহীদ রুদ্র তোরণ' নাম দিলেন আন্দোলনকারীরা"প্রথম আলো। ২৬ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২৪ 
  135. "পত্রিকা (২৬শে জুলাই): 'নিরাপত্তা বাহিনীর সরাসরি গুলিতে উদ্বেগ জাতিসংঘের'"BBC News বাংলা। ২০২৪-০৭-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  136. "নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে"প্রথম আলো। ২৭ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪ 
  137. "নিরাপত্তার শঙ্কা থাকলে পরিবারের কাছে না দিয়ে ডিবি হেফাজতে কেন"প্রথম আলো। ২৭ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪ 
  138. "এলাকা ভাগ করে 'ব্লক রেইড'"প্রথম আলো। ২৭ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪ 
  139. "আজও ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল"প্রথম আলো। ২৭ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪ 
  140. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৭-২৭)। "আগামী তিন দিন অফিস চলবে ৬ ঘণ্টা করে"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  141. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-২৭)। "কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  142. "কোটা আন্দোলন: সারজিস-হাসনাত ডিবি হেফাজতে, তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের"BBC News বাংলা। ২০২৪-০৭-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  143. Desk, Jamuna Online; Television, Jamuna (২০২৪-০৭-২৭)। "মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে অপারেটরদের সঙ্গে কাল বসবে সরকার"Jamuna Television (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  144. "সারা দেশে বিক্ষোভ–সংঘাত, নিহত ৬"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  145. "ছাত্রলীগ–পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৬"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  146. "হানিফ ফ্লাইওভারে সংঘর্ষ : গুলিতে যুবক নিহত"ঢাকা পোস্ট। ১৮ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  147. "কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সরকার 'গণহত্যা' চালিয়েছে, অভিযোগ বিএফইউজে–ডিইউজের একাংশের"প্রথম আলো। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  148. "নিহতদের তালিকা প্রকাশের দাবি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের"প্রথম আলো। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  149. "বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন ২১ লাশ"প্রথম আলো। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  150. "হেলিকপ্টার থেকে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ হয়েছে, গুলি করা হয়নি: র‌্যাব"প্রথম আলো। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  151. "কোটা আন্দোলন: ঢামেকেই মারা গেছেন ৮১ জন"বাংলা ট্রিবিউন। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  152. "কোটা আন্দোলন: ঢামেকেই মারা গেছেন ৮১ জন"বাংলা ট্রিবিউন। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  153. "চোখে অস্ত্রোপচার ২৭৮ জনের, চিকিৎসা নিয়েছেন ৪২৪ জন"প্রথম আলো। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  154. "কোটা আন্দোলন: পুলিশের যা যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে"বাংলা ট্রিবিউন। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  155. "কোটা আন্দোলন: পুলিশের যা যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে"বাংলা ট্রিবিউন। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  156. "রংপুরে যেভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন আন্দোলনকারী আবু সাঈদ"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  157. "কোটা আন্দোলন ইস্যুতে মঙ্গলবার সারাদেশে যা ঘটলো"ভোরের কাগজ। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  158. "ঢাকায় সংঘর্ষের মধ্যে নিহত এক যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  159. "ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে"দৈনিক যুগান্তর। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  160. "নিহতদের মধ্যে অন্তত ১১ জন ছাত্র, শরীরে গুলির ক্ষত"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৯ 
  161. প্রতিবেদকঢাকা, নিজস্ব। "কোটা সংস্কার আন্দোলন: রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ফারহান নিহত"প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  162. "সাভারে মিলিটারি ইনস্টিটিউটের ছাত্র গুলিতে নিহত"। আরটিভি। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  163. "রাজধানীতে সংঘর্ষে এবার ইমপেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী নিহত"। দৈনিক করতোয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  164. "ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক নিহত"। বণিক বার্তা। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  165. "বাসার ছাদে বাবার কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট মেয়েটি"প্রথম আলো। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  166. "জানালায় দাঁড়াতেই গুলি এসে কেড়ে নিল শিশুটিকে"প্রথম আলো। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  167. "দেশের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থাপনা শুধু মহাখালীর ওপর নির্ভরশীল নয়"বণিক বার্তা। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  168. Cloudflare Radar [@CloudflareRadar] (১৯ জুলাই ২০২৪)। "Bangladesh is experiencing a near complete #Internet outage after a government-ordered shutdown of mobile networks. Traffic and announced address space dropped to near-zero around 15:00 UTC (21:00 local)." (টুইট) – টুইটার-এর মাধ্যমে। 
  169. আফরিন, সুহাদা (২৭ জুলাই ২০২৪)। "গণতন্ত্র সুসংহত নয়, এমন দেশ ইন্টারনেট বন্ধ রাখে"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪ 
  170. "ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট : মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের আইটি খাত"ঢাকা পোষ্ট। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  171. ইসলাম, রাহিতুল (২৭ জুলাই ২০২৪)। "এত ধীরগতির ইন্টারনেট দিয়ে আমরা কী করব"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪ 
  172. "ইন্টারনেট সীমিতভাবে চালু হলো পাঁচ দিন পর"দৈনিক প্রথম আলো। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  173. "দ্রুত শুনানি করতে রবিবার সকালে আপিল বিভাগে যাবো: অ্যাটর্নি জেনারেল"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২৪ 
  174. "কোটা নিয়ে আপিল শুনানি রবিবার"www.kalerkantho.com। জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২৪ 
  175. "নাতিপুতিরা পাচ্ছেন না মুক্তিযোদ্ধা কোটা"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৪ 
  176. "'তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়ব' ছাত্রলীগ সভাপতির হুঙ্কার"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  177. "'যারা নিজেদের রাজাকার বলে, তাদের পতাকা হাতে মিছিল করার অধিকার নেই'"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  178. "নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪ 
  179. "আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন, প্রতিবাদ জানাই: আয়মান সাদিক"জাগোনিউজ২৪.কম। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  180. "আয়মান সাদিকের টেন মিনিট স্কুলের বরাদ্দ বাতিল, নেপথ্যে কী?"দৈনিক যুগান্তর। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  181. "টেন মিনিট স্কুলের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল কেন?"যমুনা টেলিভিশন। ২০২৪-০৭-১৬। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  182. "টেন মিনিট স্কুলের বরাদ্দ বাতিল, যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক"দৈনিক যুগান্তর। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  183. ইসলাম, রাহিতুল (২০২৪-০৭-১৬)। "টেন মিনিট স্কুলের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল, যা বললেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ"দৈনিক প্রথম আলো। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  184. "'রাজাকার' মন্তব্যে বিপাকে জাফর ইকবাল"। একাত্তর টিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  185. "জাফর ইকবালের সব বই বিক্রি বন্ধ করেছে রকমারি"। দৈনিক কালবেলা। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  186. "জাফর ইকবালকে শাবিপ্রবিতে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন শিক্ষার্থীরা"দৈনিক বণিক বার্তা। ১৭ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  187. "অধিকার চাইতে গেলেই বলা হচ্ছে 'রাজাকার': আমীর খসরু"প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  188. "আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় নিন্দা, শাস্তির দাবি ১১৪ নাগরিকের বিবৃতি"প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  189. "ক্ষমতাসীনদের উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই এই সংকট: বাম গণতান্ত্রিক জোট"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  190. "শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বলপ্রয়োগের নিন্দা টিআইবির"বণিক বার্তা। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  191. হক, আনিসুল (১৭ জুলাই ২০২৪)। "সবাই যেখানে সংস্কার চায়, সেখানে এত রক্ত কেন"দৈনিক প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  192. "যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা, বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে দূতাবাস"প্রথম আলো। ১৮ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  193. "সরকারের জেদে এত প্রাণ ঝরল"প্রথম আলো। ২৩ জুলাই ২০২৪। ২৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  194. প্রতিনিধি (২০২৪-০৭-২৫)। "শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষক"Prothomalo। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৫ 
  195. "কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা"দৈনিক আমার সংবাদ। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  196. "ম্যাথিউ মিলারের বক্তব্যে বাংলাদেশের হতাশা প্রকাশ"ভয়েস অফ আমেরিকা। ১৬ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  197. ডেস্ক, প্রথম আলো (২০২৪-০৭-২৫)। "মার্কিন দূতাবাসের জরুরি নন, এমন কর্মীদের চলে যাওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র"Prothomalo। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৫ 
  198. "বাংলাদেশ সরকারের উচিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার নিশ্চিত করা: জাতিসংঘ"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  199. "সরকারের প্রতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান ফলকার টুর্কের"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪ 
  200. ডেস্ক, প্রথম আলো (২০২৪-০৭-২৫)। "সহিংসতার সব ঘটনা স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত করা উচিত: জাতিসংঘ"Prothomalo। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৫ 
  201. "কোটাবিরোধীদের ওপর হামলায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নিন্দা"চ্যানেল আই। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪ 
  202. "বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান দেখতে চায় বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদাররা: হোয়াইটলি"unb.com.bdইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশ। ১৮ জুলাই ২০২৪। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  203. "Student protests in Bangladesh, July 2024: FCDO Parliamentary Under-Secretary of State's statement"gov.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জুলাই ২০২৪। ২২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪ 
  204. "বাংলাদেশে হতাহতের ঘটনায় যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে মোশন উত্থাপন"প্রথম আলো। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  205. "'তাজা প্রাণগুলো চলে যাচ্ছে', বাংলাদেশ নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে আর কী কী বললেন মমতা?"দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ২১ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  206. "AISA Stands with Student Protestors in Bangladesh - AISA" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-১৭। ২০২৪-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৮ 
  207. আচার্য, সুব্রত (২০২৪-০৭-১৭)। "বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কলকাতায় বিক্ষোভ, সেখানেও পুলিশের বাধা!"সময় টিভি। ২০২৪-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৯ 
  208. "কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা, কারফিউ, সেনা মোতায়েন, ইন্টারনেট বন্ধ-আরো যা যা ঘটেছে, পৃষ্ঠা 3 এর মধ্যে 7"বিবিসি বাংলা। ২২ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  209. "কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সিডনিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ"দ্যা ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৪ 
  210. "আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশির কারাদণ্ড"প্রথম আলো। ২৪ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪ 
  211. "কোটা আন্দোলন: হতাহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বার্লিনে বিক্ষোভ"সময় নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২৪ 
  212. "কোটা আন্দোলনের প্রতি সংহতি, আর সহিংসতার প্রতিবাদ ইউরোপে"ডয়েচে ভেলে। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৪ 
  213. "বিক্ষোভে উত্তাল টাইমস স্কয়ার"ঠিকানা নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪ 
  214. "কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর 'সহিংস দমন-পীড়নে' নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের"দ্যা ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২৪ 
  215. "টোকিওতে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ"দ্যা ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৪