মাওরি জাতি
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
---|---|
নিউজিল্যান্ড | ৭৭৫,৮৩৬ (২০১৮ গণনা)[১] |
অস্ট্রেলিয়া | ১৪২,১০৭ ( ২০১৬)[২] |
যুক্তরাজ্য | ৮০০০ (২০০০)[৩] |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৩৫০০ (২০০০)[৪] |
কানাডা | ২,৫০০ (২০১৬)[৫] |
অন্যান্য দেশ | ৮,০০০[৩] |
ভাষা | |
মাওরি ভাষা, ইংরেজি | |
ধর্ম | |
প্রধানত খ্রিস্টান বা অধর্মীয়, ইসলাম (সংখ্যালঘু) | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
অন্যান্য পলিনেশীয় জাতিগোষ্ঠী; ভারতীয় মাওরি, অস্ট্রেলীয় মাওরি, মার্কিন মাওরি |
মাওরি জাতি হলো নিউজিল্যান্ড ভূখণ্ডের আদিবাসী একটি পলিনেশীয় জাতি। [৬] মাওরিদের পূর্বপুরুষেরা পূর্ব পলিনেশিয়ায় বসতি স্থাপনকারীদের থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, যারা প্রায় ১৩২০ থেকে ১৩৫০ সালের মধ্যে বিভিন্ন যাত্রায় নিউজিল্যান্ডে আসেন। [৭] বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক শতাব্দী যাবত এই বসতি স্থাপনকারীরা একটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল, যার ভাষা, পৌরাণিক , কারুশিল্প অন্যান্য পূর্ব পলিনেশীয় সংস্কৃতিধারা থেকে স্বাধীনভাবে বিকশিত হয়েছিল। কিছু প্রারম্ভিক মাওরি চাথাম দ্বীপপুঞ্জে চলে যায়, যেখানে তাদের বংশধররা নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য পলিনেশীয় আদিবাসী জাতি গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। [৮]
মাওরি এবং ইউরোপীয়দের মধ্যে প্রাথমিক যোগাযোগ ১৮ শতকে শুরু হয়েছিল, যা লাভজনক বাণিজ্য থেকে প্রাণঘাতী সহিংসতা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মাওরিরা তখন সক্রিয়ভাবে নতুনদের কাছ থেকে অনেক প্রযুক্তি গ্রহণ করে। ১৮৪০ সালে ওয়েতাঙ্গির চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুটি সংস্কৃতি একটি প্রজন্মের জন্য সহাবস্থান করতে শুরু করে। মাওরিদের থেকে বিতর্কিত জমি ক্রয় নিয়ে উভয়ের মাঝে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ১৮৬০ এর দশকে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাদের জমি বাজেয়াপ্ত হয়। ১৮৭৭ সালে চুক্তিটিকে আইনী বাতিল ঘোষণা করার পর মাওরিরা পশ্চিমা সংস্কৃতির অনেক দিককে আত্তীকরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। সামাজিক উত্থান ও প্রবর্তিত রোগের মহামারী মাওরি জনসংখ্যার উপর একটি বিধ্বংসী ধাক্কা দেয়। এতে তাদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু বিশ শতকের শরুতে তারা সে সংখ্যা পুনরুদ্ধার করতে শুরু করে। ২০২২ সালের জুনে নিউজিল্যান্ডের মোট মাওরি জনসংখ্যা ৮৯২,২০০, মোট জনসংখ্যার ১৭.২% হিসাব করা হয়। [৯]
ইউরোপীয়দের পরে মাওরিরা নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় ১৮০,০০০ এর বেশি মাওরি বাস করে। মাওরিরা নিউজিল্যান্ডের সংস্কৃতি, মিডিয়া, রাজনীতি ও খেলাধুলাসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে সক্রিয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "2018 Census population and dwelling counts | Stats NZ"। www.stats.govt.nz। Table 11। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "2016 Census Community Profiles: Australia"। www.censusdata.abs.gov.au। ৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ ক খ Walrond, Carl (৪ মার্চ ২০০৯)। "Māori overseas"। Te Ara: The Encyclopedia of New Zealand। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১০।
- ↑ New Zealand-born figures from the 2000 U.S. Census; maximum figure represents sum of "Native Hawaiian and Other Pacific Islander" and people of mixed race. United States Census Bureau (2003)."Census 2000 Foreign-Born Profiles (STP-159): Country of Birth: New Zealand" (পিডিএফ)। (103 KB). Washington, D.C.: U.S. Census Bureau.
- ↑ Government of Canada, Statistics Canada (২৫ অক্টোবর ২০১৭)। "Ethnic Origin (279), Single and Multiple Ethnic Origin Responses (3), Generation Status (4), Age (12) and Sex (3) for the Population in Private Households of Canada, Provinces and Territories, Census Metropolitan Areas and Census Agglomerations, 2016 Census – 25% Sample Data"। www12.statcan.gc.ca।
- ↑ "Maori"। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। (Sসাবস্ক্রিপশন বা পার্টিশিপেটিং ইনস্টিটিউট মেম্বারশিপ প্রয়োজনীয়.)
- ↑ Walters, Richard; Buckley, Hallie (৭ অক্টোবর ২০১৭)। "Mass Migration and the Polynesian Settlement of New Zealand": 351–376। ডিওআই:10.1007/s10963-017-9110-y ।
- ↑ Te Ara: The Encyclopedia of New Zealand (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Māori population estimates: At 30 June 2022 | Stats NZ"। www.stats.govt.nz। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-৩১।