বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা
বাংলা ভাষা আন্দোলনের রাজনৈতিক দলের সংখ্যা অনেক ছিলো না। সেই সময় মুসলিম লীগ, ছিল প্রধান সারি একটি দল। প্রধানত আওয়ামী লীগ, জাতীয় কংগ্রেস এবং পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি এই আন্দোলনে সমর্থনে ছিলো।
জাতীয় মহাসভা
[সম্পাদনা]জাতীয় কংগ্রেস ছিলে এইসময় বিরোধীদলীয় পার্শ্ব কেবলমাত্র দল। বিধানসভা এবং গণপরিষদ উভয় স্থানে তারা ভাষা চাহিদার দাবি যুক্তিসহ উল্লেখ করেন। এই দাবির ফলে কিছু সদস্যদের ভারতীয় চর হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় এবং তারা সরকার দ্বারা নিগৃহীত হয়েছিলেন। কিছু নেতাদের গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের একজনকে কারাগারের ভেগত হত্যা করা হয়। [১]
আওয়ামী লীগ
[সম্পাদনা]নতুন যাত্রা শুরু করা আওয়ামী লীগ আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে। তাদের সহ - চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান আন্দোলনে সহযোগীতা করার লক্ষ্যে গঠিত কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কার্মপরিষদের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। তাদের নেতাকেও কারাহেফাজতে অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়। [২]
কমিউনিস্ট পার্টি
[সম্পাদনা]ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত সময়ে সরকার এটিকে কমিউনিস্টদের একটি অন্তর্ঘাত হিসেবে বর্ণনা করে। তাদের মতে, স্থানীয় কমিউনিস্টরা ভারতীয় কমিউনিস্টদের দ্বারা চক্রান্তের শিকার হয়েছিল। সমগ্র আন্দোলনের সময়, কমিউনিস্টদের কার্যক্রম অনেক ভাবেবিদ্ধ হয়েছিল। তমদ্দুন মজলিশ একবার কমিউনিস্টদের এই আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করে যে, তারা এই আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে এবং তারা এতটাই দূর্বল যে তারা আন্দোলনে কোনো ধরনের অবদান রাখতে অপারগ। ১৯৪৮ সালে, প্রখ্যাত ভারতীয় কমিউনিস্ট নেতা মোজাফ্ফর আহমেদ ঢাকা সফরে আসেন (ঢাকা হিসাবে তারপর পরিচিত) এবং দলের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তমদ্দুন মজলিশ তাদের এই আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য আহ্বান জানালে সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। মোজাফ্ফর তার এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে ভারত সমর্থিত আন্দোলন হিসাবে আখ্যা দেওয়া, তাই এটি এড়ানোর জন্য তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১৯৫২ সাল থেকে, সরকার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তাদের প্রকাশ্য কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এই সময়ে তাদের সংগঠিত ক্ষমতা হারিয়ে গিয়েছিল। তাদের নেতাদের প্রায়ই গ্রেপ্তার, নির্যাতন করা হতো এমনকি কারাগারের ভেতর হত্যাও করা হয়েছে। তবে ১৯৪০ এর আন্দোলন কমিউনিস্টরা নৈতিকভাবে সমর্থন করেছিলো। বাংলা এবং উর্দুকে সমান মর্যাদা দেয়ার প্রথম প্রস্তাবটি দেয়া হযেছিল কমিউনিস্টরা পক্ষ থেকে। ১৯৪৮ এর মোহাম্মদ তোয়াহা এবং ১৯৫২ এর অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতা আব্দুল মতিন ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। [৩]
উদ্ধৃত বাক্যসমূহ
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Al Helal, B (২০০৩), Bhasha Andoloner Itihas, Agamee Prakashani, Dhaka, আইএসবিএন 984-401-523-5
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |