বিষয়বস্তুতে চলুন

নিউক্লীয় বিভাজন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
একটি নিউক্লিয় বিভাজন বিক্রিয়াঃ ইউরেনিয়াম-২৩৫-এর নিউক্লিয়াস কর্তৃক একটি ধীর গতির নিউট্রন শোষণের ফলে তা দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষুদ্র আকৃতির হালকা পদার্থে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে তিনটি নিউট্রন উৎপন্ন হয়।

নিউক্লীয় বিভাজন বা নিউক্লিয় ফিশন (neuclear fission) একটি পারমাণবিক বিক্রিয়া যেখানে পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের ভাঙন ঘটে এবং তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়। সাধারণভাবে যে সকল পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা ৯২ বা তার বেশি তারা ফিশন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এক্ষেত্রে নিউক্লিয়াস নিউট্রন এবং অপেক্ষাকৃত কম ভরবিশিষ্ট নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। এই নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার ফলে গামা রশ্মির আকারে ফোটন নির্গত হয়। ভারী পদার্থের ক্ষেত্রে নিউক্লিয় ফিশন একটি তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া যা বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত করে। এই শক্তি তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ বা গতিশক্তিরূপে নির্গত হতে পারে।(প্রায় ২০০ MeV) শক্তি উৎপাদনের জন্য বিভাজন বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থের মোট বন্ধন শক্তি অবশ্যই প্রাথমিক পদার্থের বন্ধন শক্তির তুলনায় বেশি হতে হবে। উৎপন্ন পদার্থ এক্ষেত্রে প্রাথমিক পদার্থের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞান এবং নিউক্লিয় রসায়নে বিভাজন বিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের জন্য বিভাজন বিক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ সরিয়ে নেবার জন্যও এই বিক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। উভয় পদ্ধতিই সম্ভব হয়েছে কারণ কিছু কিছু পদার্থ যাদেরকে পারমাণবিক জ্বালানি বলে, তারা মুক্ত নিউট্রনের আঘাতের ফলে এই ফিশন বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে শিকল বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়। পারমাণবিক চুল্লীতে এই বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রিতভাবে ঘটাতে না পারলে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

আবিষ্কারক

[সম্পাদনা]

১৯৩৯ সালে জার্মান বিজ্ঞানী অটোহ্যান ফিশন আবিষ্কার করেন।

ব্যবহার

[সম্পাদনা]

নিউক্লিয় ফিশন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন রেডিও আইসোটোপ তৈরি হয়।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]