বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:Jonoikobangali/হিন্দুধর্ম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Jonoikobangali/হিন্দুধর্ম
Four vedas
চারি বেদ
তথ্য
ধর্মহিন্দুধর্ম
ভাষাবৈদিক সংস্কৃত
যুগআনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০-১২০০ অব্দ (ঋগ্বেদ),[][note ১]
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০–৯০০ অব্দ (যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ)[][]
শ্লোক২০,৩৭৯ মন্ত্র[]
হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ বেদ সংস্কৃত ভাষায় রচিত। উপরে: অথর্ববেদের একটি পৃষ্ঠা।

বেদ (/ˈvdəz/,[] আইএএসটি: veda, সংস্কৃত: वेदः, অনুবাদ'knowledge') হল প্রাচীন ভারতে রচিত ধর্মীয় গ্রন্থাবলির একটি বৃহৎ সংকলন। বৈদিক সংস্কৃত রচিত বেদ গ্রন্থাবলি সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম স্তর তথা হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ[][][]

বেদ চারটি: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদঅথর্ববেদ[][] প্রতিটি বেদের আবার চারটি করে ভাগ: সংহিতা (মন্ত্রআশীর্বচন), আরণ্যক (আচার-অনুষ্ঠান, যজ্ঞ ও প্রতীকী যজ্ঞ-সংক্রান্ত গ্রন্থ), ব্রাহ্মণ (আচার-অনুষ্ঠান ও যজ্ঞের ব্যাখ্যা) এবং উপনিষদ্‌ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান আলোচনাকারী গ্রন্থাবলি)।[][১০][১১] কোনও কোনও গবেষক উপাসনা (পূজা) নামে একটি পঞ্চম বিভাগের কথাও উল্লেখ করে থাকেন।[১২][১৩] উপনিষদে আলোচিত বিষয়বস্তুর সঙ্গে নাস্তিক "শ্রমণ" ধারাগুলির দর্শনের আলোচ্য বিষয়ের কিছু সাদৃশ্য লক্ষিত হয়।[১৪]

বেদ হল "শ্রুতি" ("যা শোনা গিয়েছে")।[১৫] "স্মৃতি" ("যা স্মরণে রাখা হয়েছে") নামক অপর এক বর্গের হিন্দুশাস্ত্রের সঙ্গে এখানেই তার পার্থক্য। হিন্দুরা মনে করেন, বেদ "অপৌরুষেয়" (অর্থাৎ "যা মনুষ্যরচিত নয়, অতিলৌকিক"[১৬] এবং "নৈর্বক্তিক, রচয়িতাবিহীন,"[১৭][১৮][১৯])। হিন্দু মতে, অপৌরুষেয় বেদ হল গভীর ধ্যানের মাধ্যমে প্রাচীন ঋষিদের দ্বারা শ্রুত পবিত্র মন্ত্রাবলির দৈব প্রকাশ।[২০][২১]

খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দ থেকে বিশদ মন্ত্রপাঠ পদ্ধতির সাহায্যে মৌখিকরূপে প্রচলিত ছিল।[২২][২৩][২৪] মন্ত্রগুলি বেদের প্রাচীনতম অংশ। আধুনিক যুগে বাগর্থবিজ্ঞানের পরিবর্তে সেগুলির ধ্বনিবিজ্ঞান-সংক্রান্ত কারণেই এগুলি পাঠ করা হয় এবং এগুলিকে "সৃষ্টির আদিম ছন্দ" মনে করা হয়, এগুলিতে উদ্দিষ্ট রূপগুলির পূর্ববর্তী এই মন্ত্রগুলি।[২৫] হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এগুলির পাঠের ফলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পুনঃসৃজিত হয় "সেগুলির মূলগত সৃষ্টির রূপগুলিকে প্রাণবন্ত ও পরিপুষ্ট করার মাধ্যমে"।[২৫]

ভারতীয় দর্শনের ভিন্ন ভিন্ন শাখা ও বিভিন্ন হিন্দু শাখাসম্প্রদায়সমূহ বেদ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে। ভারতীয় দর্শনের যে সকল শাখা বেদের প্রামাণ্যতাকে স্বীকার করে সেগুলিকে "আস্তিক" বর্গভুক্ত করা হয়।[note ২] চার্বাক, আজীবিক, বৌদ্ধধর্মজৈনধর্ম সহ অন্যান্য শ্রমণ ধারাগুলি যা বেদের প্রামাণ্যতাকে স্বীকার করে না, সেগুলিকে বলা হয় "নাস্তিক" দর্শন।[১৪][২৬]

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Flood 2003 69 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. Flood 1996, পৃ. 37।
  3. "Construction of the Vedas"VedicGranth.Org। ১৭ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০২০ 
  4. "Veda". Random House Webster's Unabridged Dictionary.
  5. see e.g. Radhakrishnan ও Moore 1957, পৃ. 3; Witzel 2003, পৃ. 68; MacDonell 2004, পৃ. 29–39.
  6. Sanskrit literature (2003) in Philip's Encyclopedia. Accessed 2007-08-09
  7. Sanujit Ghose (2011). "Religious Developments in Ancient India" in World History Encyclopedia.
  8. Gavin Flood (1996), An Introduction to Hinduism, Cambridge University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৪৩৮৭৮-০, pp. 35–39
  9. Bloomfield, M. The Atharvaveda and the Gopatha-Brahmana, (Grundriss der Indo-Arischen Philologie und Altertumskunde II.1.b.) Strassburg 1899; Gonda, J. A history of Indian literature: I.1 Vedic literature (Samhitas and Brahmanas); I.2 The Ritual Sutras. Wiesbaden 1975, 1977
  10. A Bhattacharya (2006), Hindu Dharma: Introduction to Scriptures and Theology, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫৯৫-৩৮৪৫৫-৬, pp. 8–14; George M. Williams (2003), Handbook of Hindu Mythology, Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৩৩২৬১-২, p. 285
  11. Jan Gonda (1975), Vedic Literature: (Saṃhitās and Brāhmaṇas), Otto Harrassowitz Verlag, আইএসবিএন ৯৭৮-৩-৪৪৭-০১৬০৩-২
  12. Bhattacharya 2006, পৃ. 8–14।
  13. Holdrege 1995, পৃ. 351–357।
  14. Flood 1996, পৃ. 82।
  15. Apte 1965, পৃ. 887।
  16. Apte 1965, "apauruSeya"।
  17. Sharma 2011, পৃ. 196–197।
  18. Westerhoff 2009, পৃ. 290।
  19. Todd 2013, পৃ. 128।
  20. Pollock 2011, পৃ. 41–58।
  21. Scharfe 2002, পৃ. 13–14।
  22. Wood 2007
  23. Hexam 2011, পৃ. chapter 8।
  24. Dwyer 2013
  25. Holdrege 1996, পৃ. 347।
  26. "astika" and "nastika". Encyclopædia Britannica Online, 20 April 2016.


উদ্ধৃতি ত্রুটি: "note" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="note"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি