বনভোজন

এক ধরনের ভ্রমণ যেখানে বাইরে খাবার খাওয়া হয়

বনভোজন বা চড়ুইভাতি বলতে আনন্দ-উৎসব সহযোগে বনে বা বাড়ীর বাইরে খাবার দাওয়াত করাকে বুঝায়। সাধারণত মনোরম ও সুন্দর জায়গাতেই বনভোজনের জন্য বাছা হয়। যেমন ময়দান বা উদ্যান, হ্রদ বা নদীর কিনারের মতো চিত্তাকর্ষক জাগাতেই প্রাধান্য দেয়া হয়। এছাড়াও, ঐতিহাসিক জায়গাও বনভোজনের জন্য বেছে নেয়া হয়।

গ্রীষ্মকালীন একটি পরিবারের বনভোজন

অংশগ্রহণকারী

সম্পাদনা

বনভোজন সাধারণত পরিবারের স্বজেনদের ঘিরে হয়ে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই জন ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি বড় ধরনের মিলন থানে রূপান্তরিত হয়। বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী কিংবা ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণবন্ত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এর অন্যতম উদাহরণ।

আবেগঘন ও পারিবারিক বনভোজনের বাক্স খাবার বহন আর কম্বল বা চাদর নিয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। মূলতঃ ইউরোপীয় অঞ্চলেই এ বৈশিষ্ট্যটি বিরাজমান যা সময় পরিক্রমায় বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে।

উপকরণাদি

সম্পাদনা
 
বনভোজনের টেবিল

দূরত্ব, সময় ও স্থান নির্ধারণ করে যানবাহন ভাড়া, ব্যক্তিসহ দিনের সংখ্যা নির্ধারণ, প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ, খাদ্যসামগ্রী ক্রয় ও বাবুর্চি নির্বাচন, থালা-বাসন-কলস-গ্লাস সংগ্রহ, জ্বালানী সংগ্রহ, কোমল পানীয়, চিত্ত বিনোদনের জন্য অন্যান্য উপকরণ - বনভোজনের প্রধানতম নিয়ামক।

বনভোজন সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপটে খাবার সংগ্রহের বিষয়টি অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। ঘরের বাইরে অনুষ্ঠেয় বনভোজন খাবারের অনুপ্রবেশের ধারণাটি উনিশশ শতকের শুরুতে দেখা যায়।[]

বিনোদন

সম্পাদনা

সাধারণতঃ বনভোজনে যাত্রাকালীন কিংবা ফিরে আসার সময় আনন্দ, হাসি-তামাসা ইত্যাদি বিষয়াবলী থাকে। নির্দিষ্ট স্থানে রান্না আয়োজনের মধ্যবর্তী সময়কালে অথবা ভোজন পরবর্তী সময়ে খেলাধূলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অপ্রত্যাশিত বিনোদনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদেরকে নির্মল আনন্দ দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। অনেকক্ষেত্রে দর্শনীর বিনিময়ে টিকিট বিক্রয় করে লটারীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এর অন্যতম অংশ হিসেবে বিবেচনায় রাখা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Mary Ellen W. Hern, "Picnicking in the Northeastern United States, 1840-1900", Winterthur Portfolio 24.2/3 (Summer - Autumn 1989), pp. 139-152.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা