কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ
কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ (ইংরেজি:Queen Anne's Revenge) ছিল ইংরেজ জলদস্যু ব্ল্যাকবিয়ার্ডের জলি রজার পতাকাবাহী জাহাজ। তিনি জাহাজটি এক বছরেরও কম সময় ব্যবহার করেছিলেন।[৩] ১৭১৮ সালে ব্ল্যাকবিয়ার্ড বেফোর্ট ইনলেট, উত্তর ক্যারোলিনার (বর্তমান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কাছাকাছি নোঙ্গর করে রেখেছিলেন।[৩] ১৯৯৬ সালের পর ইন্টারসেল নামে উত্তর ক্যারোলিনার মেরিন রিকভারিতে কাজ করা এক ঠিকাদার কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ -এর মত দেখতে একটি জাহাজের অবশিষ্ঠাংশ অবিষ্কার করেন।
১৭৩৬ সালে প্রকাশিত অঙ্কিত চিত্র
| |
ইতিহাস | |
---|---|
ফ্রান্স | |
নাম: | লা কনকর্ড |
অভিষেক: | ca. ১৭১০ |
ইতিহাস | |
জলদস্যু | |
নাম: | কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ |
নিয়তি: | Ran aground on 10 June 1718 near Beaufort Inlet, North Carolina |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | Ship |
Tons burthen: | ২০০ bm |
দৈর্ঘ্য: | 31.4 m (103 ft) |
প্রস্থ: | 7.1 m (24.6 ft) |
জলযাত্রা পরিকল্পনা: | Full-rigged |
লোকবল: | up to 300 in Blackbeard's service |
রণসজ্জা: | ৪০ ক্যানন (কথিত), ৩০ পাওয়া[১] |
কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ | |
নিকটতম শহর | Atlantic Beach, North Carolina |
আয়তন | less than one acre |
নির্মিত | ca. ১৭১০ |
এনআরএইচপি সূত্র # | 04000148[২] |
এনআরএইচপি-তে যোগ | ৯ই মার্চ, ২০০৪ |
ইতিহাস
সম্পাদনা৩০০ টনের এই ভেসেলটির আসল নাম ছিল কনকর্ড, যা ১৭১০ সালে ফ্রিগাট (পূর্বের পাল তোলা ছোট রণতরী) হিসেবে ইংল্যান্ডে তৈরি করা হয়েছিল। এক বছর পর জাহাজটি ফরাসিরা আটক করে। এরপর ফরাসিরা জাহাজটিকে আরো অধিক কার্গো ধারনক্ষমতা সম্পন্ন করে ও দাস বহনের উপযোগী করে নতুন ভাবে তৈরি করেন। এসময় জাহাজটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়, লা কনকর্ডি ডি নানতেস। পরবর্তীতে দাস বহনকারী এই জাহাজটি নভেম্বর ২৮, ১৭১৭ সালে মার্টিনিক দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি জলদস্যু বেঞ্জামিন হার্নিগোল্ড দখল করেন। হার্নিগোল্ড তার বিশ্বস্থ এডোয়ার্ড টীচ (যিনি ব্ল্যাকবিয়ার্ড নামেই বেশি পরিচিত) -এর কাছে জাহাজটি হস্তান্তর করেন ও তাকে জাহাজের ক্যাপ্টেন নিযুক্ত করেন। টীচের ফার্স্ট ম্যাট ছিল ক্রিস্টোফার ব্ল্যাকউড (ব্ল্যাকবিয়ার্ড ক্লাউ), ছিলেন একজন হিংস্র যুদ্ধা এবং তিনি ব্ল্যঅকবিয়ার্ডের অনেক জলদস্যুকে পচিালনা করতেন।
ব্ল্যাকবিয়ার্ড লা কনকর্ডিং জাহাজটি তার জলি রজার পতাকাবাহী জাহাজে পরিনত করেন। এটিতে আরো ক্যানোন যুক্ত করে নাম পরিবর্তন করে রাখেন কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ। নামটি সম্ভবত এসেছে স্প্যানিশদের বিরুদ্ধে, ব্রিটিশদের যুদ্ধের নাম থেকে। যুদ্ধটির নাম ছিল কুইন অ্যানি’স ওয়ার, যে যুদ্ধে ব্ল্যাকবিয়ার্ড রাজকীয় নৌবাহিনীতে কিছু কাল কাজ করেছেন। অথবা রানী অ্যানীর প্রতি তার সহানুভূতি থেকে জাহাজের এমন নামকরণ করেছিলেন।[৪] ব্ল্যাকবিয়ার্ড এই জাহাজ নিয়ে আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল থেকে যাত্রা করে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পৌঁছেছিলেন। পথিমধ্যে, তিনি ব্রিটিশ, ডাচ ও পর্তুগীজদের বণিক জাহাজে আক্রমণ করেছিলেন বলে জানা যায়।
কিছুদিন পরই চার্লস্টোন হার্বারে ১৭১৮ এর মে মাসে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং সরকারের রাজকীয় ক্ষমা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ নিয়ে তিন বেফোর্ট ইনলেটে বালুচরাতে আটকে যান। এরপর অল্প সংখ্যক ক্রু নিয়ে তিনি ছোট তরঅ অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি নিকটবর্তী একটি দ্বীপে তার কিছু জলদস্যু অনুসারীকে নামিদেন যাদের পরবর্তীতে স্টিডি বোনেট উদ্ধার করেন। এর অল্পকাল পরই ব্ল্যাকবিয়ার্ড আত্মসমর্পণ করেন ও রাজকীয় ক্ষমা গ্রহণ করেন কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি পুনরায় জলদস্যুতায় জড়িয়ে পরেন এবং এক যুদ্ধে নিহত হন।
ঐতিহাসিক স্থানের জাতীয় নিবন্ধন
সম্পাদনাকুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্থানের জাতীয় নিবন্ধনের তালিকায় স্থান পায়। এর তথ্যসূত্রের নাম্বার হল, ০৪০০০১৪৮। এটাতে উল্লেখ করা হয়েছে এটি উত্তর ক্যারোলিনা রাজ্যের মোরহেড শহরের সম্পত্তি।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Pirate Arms and Armament | Queen Anne's Revenge Project"। www.qaronline.org। ২০১৭-১২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ কর্মী (২০১০-০৭-০৯)। "জাতীয় নিবন্ধন তথ্য পদ্ধতি"। ঐতিহাসিক স্থানসমূহের জাতীয় নিবন্ধন। জাতীয় পার্ক পরিষেবা।
- ↑ ক খ Brian Handwerk (২০০৫-০৭-১২)। ""Blackbeard's Ship" Yields New Clues to Pirate Mystery"। National Geographic (magazine)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-২৭।
- ↑ "republicofpirates.net"। ২১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "National Register of Historical Places - NORTH CAROLINA (NC), Carteret County"। National Register of Historic Places। National Park Service। ২০০৭-০২-০৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Queen Anne's Revenge: Archaeological Site, North Carolina Department of Cultural Resources