ইন্দ্রপ্রস্থ

ভারতের মানব বসতি স্থান

ইন্দ্রপ্রস্থ (আক্ষরিক অর্থে: ইন্দ্রের শহর) ছিল মহাভারতের পাণ্ডবদের রাজ্যের রাজধানী।[] বর্তমান নতুন দিল্লী যে অঞ্চলে অবস্থিত, ইন্দ্রপ্রস্থের অবস্থান ছিল সেই একই অঞ্চলে। এই শহরটি খাণ্ডবপ্রস্থ নামেও পরিচিত, যা যমুনা তীরবর্তী একটি বনাঞ্চল।[]

ইন্দ্রপ্রস্থ
নতুন দিল্লী
শহর
Indraprastha দিল্লি-এ অবস্থিত
Indraprastha
Indraprastha
Indraprastha ভারত-এ অবস্থিত
Indraprastha
Indraprastha
দিল্লিতে অবস্থিত
স্থানাঙ্ক: ২৮°৩৬′৫০″ উত্তর ৭৭°১২′৩২″ পূর্ব / ২৮.৬১৩৮৯৫৪° উত্তর ৭৭.২০৯০০৫৭° পূর্ব / 28.6138954; 77.2090057
প্রতিষ্ঠাতাপাণ্ডব
নামকরণের কারণইন্দ্র
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকনতুন দিল্লি পৌর ​​কাউন্সিল
ইন্দ্রপ্রস্থেের সম্মুখভাগ (পাণ্ডবরাজ্যের সম্মুখভাগ)
অর্জুন ও শ্রীকৃষ্ণ এক উঁচু স্থান থেকে ইন্দ্রপ্রস্থ নগরী দেখছেন

ঐতিহাসিক তাৎপর্য

সম্পাদনা

মহাভারতে ইন্দ্রপ্রস্থ

সম্পাদনা

মহাভারতের আদিপর্বে রাজ্যলাভ পর্বে আছে, ধৃতরাষ্ট্র যুধিষ্ঠিরের পাঁচ ভ্রাতুষ্পুত্রকে কুরু-রাজধানী হস্তিনাপুর থেকে কিছু দূরবর্তী যমুনাতীরবর্তী খাণ্ডবপ্রস্থে বসবাস করতে বলেন। তখন যুধিষ্ঠির তার ভাইদের সঙ্গে খাণ্ডবপ্রস্থে যান। সেখানে তিনি সৌধমালাশোভিত পরিখাপ্রাকারবেষ্টিত উপবন-সরোবর-ভূষিত স্বর্গধামতুল্য যে নগর স্থাপন করেন, কালক্রমে তাই সাহিত্য ও ইতিহাসে যুধিষ্ঠিরের রাজধানী ইন্দ্রপ্রস্থ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।

পদ্মপুরাণে ইন্দ্রপ্রস্থ

সম্পাদনা

পদ্মপুরাণে আছে, ইন্দ্র এ স্থানে স্বর্ণযূপ দিয়ে অনেক যাগযজ্ঞ করেছিলেন এবং সেসব যজ্ঞে ব্রাহ্মণদের বহু রত্নপ্রস্থ দান করেছিলেন। এজন্য এ স্থানের নাম ইন্দ্রপ্রস্থ। এখানে মৃত্যুবরণ করলে মানুষ পুনর্জন্মের হাত থেকে অব্যাহতি লাভ করে। এই শহরের আয়তন সাত যোজন। ইতিহাসের নানা উত্থান-পতনের মধ্যে যমুনা তীরবর্তী নিগমবোধ ঘাট এখনও প্রাচীন ইন্দ্রপ্রস্থের পবিত্র মহিমা বহন করছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Singh, Upinder, সম্পাদক (২০০৬)। Delhi: Ancient History। Berghahn Books। পৃষ্ঠা xvii–xxi, 53–56। আইএসবিএন 9788187358299 
  2. Tankha, Madhur (১১ মার্চ ২০১৪)। "The discovery of Indraprastha"The HIndu। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৪