কিম দায়ে জং
কিম দায়ে জং (কোরীয়: 김대중; জন্ম: ৬ জানুয়ারি, ১৯২৫ - মৃত্যু: ১৮ আগস্ট, ২০০৯) দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন।[২] Sunshine Policy বাস্তবায়নের কারণে তিনি ২০০০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি হচ্ছেন কোরিয়ার প্রথম ব্যক্তি যিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন।[৩] ১৯৫৭ সালে রোমান ক্যাথলিক হন। কখনো কখনো তাকে এশিয়ার নেলসন ম্যান্ডেলা নামে ডাকা হয়।[৪] কেননা, ক্ষমতায় আরোহণ করতে তাকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।[৫]
কিম দায়ে জং | |
---|---|
김대중 金大中 | |
দক্ষিণ কোরিয়ার ৮ম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ – ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ | |
প্রধানমন্ত্রী | কিম জং পিল পার্ক তাই জুন লি হ্যান ডং চ্যাং স্যাং জিয়ন উন চার্ল চ্যাং দায়ে হুয়ান কিম সুক সু |
পূর্বসূরী | কিম ইয়াং স্যাম |
উত্তরসূরী | রোহ মু হিউয়ান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [১] হাউই-দো, সিনান, জিওলানাম-দো, জাপানি কোরিয়া (এখন হাউই-দো, দক্ষিণ কোরিয়া) | ৩ ডিসেম্বর ১৯২৫
মৃত্যু | ১৮ আগস্ট ২০০৯ সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া | (বয়স ৮৩)
জাতীয়তা | দক্ষিণ কোরিয়ান |
রাজনৈতিক দল | মিলেনিয়াম ডেমোক্র্যাটিক (বর্তমানে ডেমোক্র্যাটিক ইউনাইটেড পার্টি) |
দাম্পত্য সঙ্গী | লি হুই হো |
ধর্ম | রোমান ক্যাথলিক |
স্বাক্ষর | |
নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০০) |
১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতাসীন ছিলেন। তিনি কিম ইয়াং স্যামের স্থলাভিষিক্ত হন। দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলবর্তী দক্ষিণ জিওলা প্রদেশের হাউই-দো এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাকিম মনে করতেন যে তিনি ৬ জানুয়ারি, ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে জানা যায় যে, জাপানী ঔপনিবেশিক শাসনামলকে দূরে সরিয়ে রাখতেই তার জন্ম তারিখ ৩ ডিসেম্বর, ১৯২৫ রাখা হয়েছে।[১] তৎকালীন জিওলা প্রদেশের সিনান এলাকা ছিল তার জন্মস্থান; যা বর্তমানের জিওলানাম-দো শহর। মকপো কমার্শিয়াল হাই স্কুল থেকে শীর্ষস্থান অধিকার করে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। জাপান অধিগ্রহণকৃত কোরিয়ায় সামান্য একজন কেরাণী হয়ে জাপানী মালিকানাধীন জাহাজ কোম্পানী কাজ শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি নিজেই এ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা স্বত্ত্ব লাভ করেন এবং খুবই ধনী লোকে পরিণত হন। কোরিয়ার যুদ্ধের সময়কালে কমিউনিস্টদের হাতে আটক হয়েছিলেন তিনি।[৬]
রাজনীতিতে প্রবেশ
সম্পাদনাকোরিয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি সিংমেন রি'র সরকার প্রশাসনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ১৯৫৪ সালে প্রথম কিম দায়ে জং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে জাতীয় পরিষদের সদস্যরূপে নির্বাচিত হলেও সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহণকারী স্বৈরশাসক পার্ক চুং হি তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচন বাতিল করে দেন। এছাড়াও, ১৯৬৩ এবং ১৯৬৭ সালেও ধারাবাহিকভাবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করলেও প্রত্যেকবারই বিরোধীদলের নেতার ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে তিনি পার্ক চুং হিকে প্রায় পরাভূত করেছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েকবার হাতকড়া পড়ায় ক্ষমতাসীন প্রার্থীকে পরাভূত করা সম্ভব হয়নি।[৭]
খুবই প্রথিতযশা বক্তা কিম তার স্বভাবসুলভ বাগ্মীতা প্রদর্শনের মাধ্যমে সমর্থকদেরকে আকৃষ্ট ও তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছিলেন। তার প্রতি ভোটারদের সমর্থনের প্রভাব পড়ে জিওলা অঞ্চলে। সেখানে তিনি অবিশ্বাস্যভাবে ৯৫% ভোট পেয়েছিলেন। শতাংশের বিচারে তা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে অনতিক্রম্য দূরত্বে অবস্থান করেছে।
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনা- নোবেল শান্তি পুরস্কার, (২০০০)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Obituary: Kim Dae-jung." BBC News. 18 August 2009. Retrieved 7 November 2009.
- ↑ Kim Dae Jung কোরীয়: 김대중; Hanja 金大中
- ↑ Kim Dae-Jung ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুন ২০০৭ তারিখে (Short Asian Week biography)
- ↑ Kim Dae-Jung ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে (Short CNN biography)
- ↑ ""Kim Dae-jung: Dedicated to reconciliation". CNN. 14 June 2001. Retrieved 18 August 2009."। ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ "Kim Dae Jung". Encyclopædia Britannica. 2009. Retrieved 18 August 2009.
- ↑ "Kim Dae-jung – Biography". The Nobel Foundation. 2000. Retrieved 18 August 2009.