ইলিয়াস আলী
এম. ইলিয়াস আলী | |
---|---|
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – ১২ জুন ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | মকসুদ ইবনে আজিজ লামা |
উত্তরসূরী | শাহ আজিজুর রহমান |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | শাহ আজিজুর রহমান[১] |
উত্তরসূরী | শফিকুর রহমান চৌধুরী[২] |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ জানুয়ারী ১৯৬১ রামধানা, বিশ্বনাথ, সিলেট, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | তাহসিনা রুশদীর লুনা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট সরকারি কলেজ |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
এম. ইলিয়াস আলী (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৬১ - নিখোঁজ: ১৭ এপ্রিল ২০১২) হচ্ছেন সিলেট জেলার একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় সংসদের (২০০১-২০০৬) একজন সাবেক সদস্য। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ২০১০ সালে নির্বাচিত হয়ে তিনি হরতাল (সাধারণ ধর্মঘট) থেকে শুরু করে প্রতিরোধ কর্মসূচী, বিক্ষোভ এবং দলগঠন সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় মধ্যরাতে তাকে এবং তার গাড়ি চালককে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল।[৩] বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অভিযোগ আনেন যে, বিরোধীদের দমন নিপীড়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অপহরণ করে কিন্তু সরকার সে দাবি অস্বীকার করেছে।[৪]
প্রথম জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]ইলিয়াস আলী ১ জানুয়ারী ১৯৬১ সালে সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানায় জন্মগ্রহণ করেন। শিশু অবস্থায় তিনি তার মায়ের কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা লাভ করেন। তিনি রামধানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে বিশ্বনাথ উপজেলার রামসুন্দর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগ থেকে বি.কম (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.কম (মাস্টার্স) ব্যাংকিংয়ে ছাত্র ছিলেন, কিন্তু তৎকালিন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়ায় ১৯৮৭ সালে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।[৪]
বিবাহ এবং পরিবার
[সম্পাদনা]ইলিয়াস আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার তাহসিনা রুশদীরকে বিয়ে করেছেন। তাদের দুই পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছে। তাদের বড় ছেলে মোঃ আবরার ইলিয়াস পশ্চিম ইংল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেছেন,এবং ছোট ছেলে মোঃ লাবিব শারর কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। সর্ব কনিষ্ঠ, সায়ারা নাওয়াল বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যয়ন করছে।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]ছাত্র রাজনীতি
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৮০ সালে বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন, যা এক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলের মধ্যে বসবাস করেছেন। কয়েক বছরের মধ্যে, তিনি হলের নেতা হন এবং ১৯৮৩ সালে জাতীয়তাবাদি ছাত্রদলের (জেসিডি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হন। ১৯৮৬ সালে, জেসিডির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব হিসাবে নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এরশাদ কিছু রাজনৈতিক অধিকার পুনরুদ্ধারের স্বীকৃতি দিলেও বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করে এবং উভয় দলের ছাত্ররা এই দাবি নিয়ে প্রতিবাদ করতে আগ্রহী ছিল। এরশাদ ১৯৮৭ সালে, ইলিয়াস আলীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিসিডির ৯ ছাত্র নেতাকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। ১৯৮৮ সালে তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে গ্রেফতার হন। সাত মাস কারাগারে থাকার পর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আদেশে ইলিয়াস আলী কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "পঞ্চম জাতীয় সংসদ"। ১৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "নবম জাতীয় সংসদ"। ৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Five years on, police yet to find Ilias Ali"। Dhakatribune। এপ্রিল ১৭, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ "Ilias Ali, driver go missing"। The Daily Star। এপ্রিল ১৯, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
- "ওসমানীনগরে ইলিয়াস আলীর গাড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলি"। Samakal। ১০ ডিসেম্বর ২০০৬। ২২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "মান্নান ভূঁইয়াসহ দশ ভিআইপির জামিন"। Samakal। ২৯ জুলাই ২০০৮। ২ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফকে জামিন, ফের গ্রেফতার হয়রানি করা যাবে না"। Samakal। ১১ আগস্ট ২০০৮। ২ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "Tarique BNP er Kandari"। Samakal। ৯ ডিসেম্বর ২০০৯। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
- "সিলেটে সংবর্ধনায় ইলিয়াস আলী : তাঁবেদার সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে"। Amar Desh। ১৪ জানুয়ারি ২০১০। ১৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "তারেক রহমানের তৃতীয় কারামুক্তি দিবসে লন্ডনে সমাবেশ"। Amar Desh। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "প্রভাবশালী দুই ব্রিটিশ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইলিয়াস আলী"। Amar Desh। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১১। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "তিন প্রভাবশালী ব্রিটিশ এমপির সঙ্গে ইলিয়াস আলীর বৈঠক"। Amar Desh। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "আমরা সীমান্তবাসীর লংমার্চ কাঁপিয়ে দিলো সিলেট"। Mzamin। ১ অক্টোবর ২০১১। ১১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "দেশের ... হাতে নিতে হবে"। Jugantor। ২ অক্টোবর ২০১১। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "সিলেট অভিমুখে খালেদা জিয়ার রোডমার্চের ব্যাপক প্রস্তুতি"। Amar Desh। ৮ অক্টোবর ২০১১। ৩১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "বাদী জানেন না তিনি বাদী!"। Prothom Alo। ২২ ডিসেম্বর ২০১১। ৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "ইলিয়াস আলীসহ ১১২ বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন লাভ"। Amar Desh। ২৮ ডিসেম্বর ২০১১। ২০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলীসহ ৬৬ জনের আগাম জামিন"। Prothom Alo। ৩ জানুয়ারি ২০১২। ১২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- "ইলিয়াস আলীর ওপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন ঘেরাও"। Amar Desh। ১৩ জানুয়ারি ২০১২। ১৬ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |