সৈয়দ ফাহিম মুনাইম
সৈয়দ ফাহিম মুনাইম (৪ জুলাই ১৯৫৩ - ১ জুন ২০১৬) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক ছিলেন।[১][২][৩] তিনি প্রধান উপদেষ্টা ফকরুদ্দিন আহমেদের সাবেক প্রেস সচিব, ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের সিইও ছিলেন।[৪][৫]
জীবনের প্রথমার্ধ
[সম্পাদনা]মুনাইম ১৯৫৩ সালের ৪ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন[৬] তার পিতা সৈয়দ নুরুদ্দিন ছিলেন একজন সাংবাদিক।[৭] তিনি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেছেন।[৮]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মুনাইম নির্বাহী পরিচালক হিসেবে সংবাদ পত্রিকায় তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। তিনি দ্য মর্নিং সান এবং সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ার এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন।[৬] তিনি ১৯৯১ সালে জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন[৯]
মুনাইম ১০ জুন ১৯৯৬ তারিখে ডেইলি স্টারে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পদে উন্নীত হন। তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দ্য ডেইলি স্টারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন[৬]
২০০৭ সালে, মুনাইম তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রধান উপদেষ্টা (প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য) প্রেস সচিব হিসেবে যোগদান করেন।[৬] জুলাই ২০০৭ সালে, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ১২ সদস্যের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নিযুক্ত হন।[১০]
৮ নভেম্বর ২০০৮-এ মুনাইম ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।[১১]
১ ফেব্রুয়ারি ২০১০-এ, তিনি দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক পদে উন্নীত হন। ২০১০ সালের মার্চ মাসে, তিনি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রধান সম্পাদক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগদানের জন্য ডেইলি স্টার ত্যাগ করেন।[৬][১২]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]মুনাইম ১ জুন ২০১৬ তারিখে গুলশান, ঢাকা, বাংলাদেশের নিজ বাড়িতে মারা যান।[১৩][১৪] তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।[১৫] তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।[১৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Never dreamt of writing such a column on Fahim"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "The Silent Doer"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Requiem for a friend"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Fahim Munaim passes away | The Asian Age Online, Bangladesh"। The Asian Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Council Cancels Duty Free Cars For Lawmakers in Bangladesh"। ভিওএ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Fahim Munaim passes away"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Maasranga TV CEO Fahim Munaim passes away"। www.observerbd.com। ২০২০-০৭-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Fahim Munaim's first anniversary of death today"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Maasranga TV CEO and chief editor Syed Fahim Munaim dies"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "The Island - Sports"। www.island.lk। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Fahim Munaim made envoy to Indonesia"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-১১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Fahim Munaim joins Maasranga TV as CEO"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৫-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ Staff Correspondent। "Journalist Fahim Munaim no more"। দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Tributes pour in for Fahim Munaim"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Maasranga TV CEO Syed Fahim Munaim dies"। Maasranga TV CEO Syed Fahim Munaim dies | theindependentbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।
- ↑ "Fahim Munaim to be buried tomorrow"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৬।