খান ইউনুস
খান ইউনুস | |
---|---|
অন্যান্য প্রতিলিপি | |
• আরবি | خان يونس |
স্থানাঙ্ক: ৩১°২০′৪০″ উত্তর ৩৪°১৮′১১″ পূর্ব / ৩১.৩৪৪৪৪° উত্তর ৩৪.৩০৩০৬° পূর্ব | |
ফিলিস্তিন ভূখণ্ড | 83/83 |
গভর্নোরেট | Khan Yunis |
প্রতিষ্ঠিত | ১৩৮৭ |
সরকার | |
• ধরন | শহর |
• Head of Municipality | মুহাম্মদ জাবাদ অব্দ আল-খালিক আল-ফাররা |
আয়তন | |
• অধিক্ষেত্র | ৫৪.৫৬ বর্গকিমি (২১.০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০৭) | |
• অধিক্ষেত্র | ১,৪২,৬৩৭[১] |
নামের অর্থ | "ইউনুসের ক্যারাভানসরাই" |
ওয়েবসাইট | www.khanyounis.mun.ps |
খান ইউনুস (আরবি: خان يونس) হল ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজা ভূখণ্ডের একটি শহর, যা খান ইউনূস গভর্নোরেটের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। ফিলিস্তিন কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো অনুযায়ী, ২০০৭ সালে খান ইউনুসের জনসংখ্যা ছিল ১৪২,৬৩৭ জন এবং ২০১০ সালে ২০২,০০০ জন এবং ২০১২ সালে ছিল ৩৫০,০০০ জন। খান ইউনুস পূর্ব ভূমধ্যসাগর থেকে ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) পূর্বে অবস্থিত, যাতে গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতকালে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২৬০ মিলিমিটার (১০.২ ইঞ্চি)।
খান ইউনুসে ফিলিস্তিন আইনসভার ৫টি আসন রয়েছে, ২০০৬ ফিলিস্তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউনূস আল আসতাল সহ হামাসের তিন জন এবং মোহাম্মদ দাহলান সহ ফাতাহর দুই জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। বর্তমানে এটি গাজার হামাস প্রশাসন কর্তৃক শাসিত হচ্ছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৪শ শতাব্দীর পূর্বে খান ইউনুস একটি গ্রাম ছিল, যা সালকাহ নামে পরিচিত ছিল। ১৩৮৭-৮৮ সালের দিকে আমির ইউনুস আল নুরুজি কর্তৃক পথিক, ক্যারাভানস রক্ষার্থে খানের (ক্যারাভানসরাই) গোড়াপত্তান হয়। এই খান ও তার পার্শবর্তী এলাকা নিয়ে গড়ে শহরের নাম হয় খান ইউনুস। ১৩৮৯ সালে এক যুদ্ধে ইউনুস নুরুজি মৃত্যুবরণ করেন। ইউনুস ইবনে আব্দুল্লাহ আল নুরুজি আদ দেওয়াদার কার্যসচিব ছিলেন, যেটি মামলুক সুলতান বারকুক এর দপ্তরের একটি উচ্চ পদ ছিল। শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র পরিনত হয় এবং সপ্তাহে বৃহস্পতি বার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে লোকজন কেনাকাটার জন্য আসতো। খান ইউনুস মামলুক ডাক সেবার সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তি বিশ্রাম কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হত।
১৯৬৭ সাল ৬ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল খান ইউনুস পুনরায় অধিকৃত করে। ২০০১ সালের আগস্ট ও ২০০২ সালের অক্টোবরে খান ইউনুসে ইসরায়েল হেলিকপ্টার হামলা করেছিল, যাতে অনেক বেসামরিক লোকজন নিহত হয় ও নষ্ট হয় বেসামরিক বাড়িঘর। এটি হামাসের একটি শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত।[২]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]খান ইউনুস গাজা ভূখণ্ডে গাজা শহরের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এতে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খোলা মার্কেট, যেগুলো সউক নামে পরিচিত এবং সপ্তাহে একদিন খোলা থাকে। ২০১২ সালে তথ্য অনুযায়ী ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের মধ্যে খান ইউনুসেই সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের হার।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]খান ইউনুসে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;PCBS
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ McGreal, Chris (১২ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Hamas celebrates victory of the bomb as power of negotiation falters"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "University College of Science and Technology"। ২০১৪-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৯।