বিষয়বস্তুতে চলুন

অ্যান্থনি মাসকারেনহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যান্থনি মাসকারেনহাস
জন্ম
নেভিলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস

১০ জুলাই, ১৯২৮
মৃত্যু৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৬
পেশাসংবাদদাতা, লেখক
দাম্পত্য সঙ্গীইয়ন মাসকারেনহাস
সন্তানপাঁচ

নেভিলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস (ইংরেজি: Neville Anthony Mascarenhas; ১০ জুলাই ১৯২৮ - ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৬) দক্ষিণ এশিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিকলেখক ছিলেন। তার পুরো নাম নেভিল অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস। তিনি ভারতের গোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পড়াশোনা করেন পাকিস্তানের করাচিতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যান্য ঘটনা পর্যবেক্ষণপূর্বক বিশ্ববাসীর কাছে সর্বপ্রথম উন্মোচিত করেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে লিখেন যা বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করেছিল।[] এ বিষয় নিয়ে তিনি বইও লিখেছেন। তিনি ব্রিটেনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকায় ১৪ বছর কাজ করার পর ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেন।

ব্যক্তি জীবন

[সম্পাদনা]

জন্মসূত্রে মাসকারেনহাস ভারতীয় গোয়ানিজ খ্রিস্টান। তার জন্ম তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গোয়া এলাকায়। তবে বসবাস করেছেন পাকিস্তানের করাচিতে। "ইয়ন মাসকারেনহাস" নামের এক রমণীকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে পাঁচ সন্তান রয়েছে। ১৯৮৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইংল্যান্ডের লন্ডনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালে করাচিতে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। তার প্রথম কর্মস্থল ছিল রয়টার্স। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সংবাদ সংস্থা, এপিপি, নিউইয়র্ক টাইমস এবং টাইম/লাইফ সাপ্তাহিকের সংবাদদাতা ছিলেন। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মে মাস পর্যন্ত দ্য মর্নিং নিউজ-এ কর্মরত ছিলেন; প্রথমে চিফ রিপোর্টার এবং পরে সহ-সম্পাদক হিসেবে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যান এবং গণহত্যার তথ্যাদি সংগ্রহ করেন। ঢাকা থেকে লন্ডনে পালিয়ে গিয়ে এসব তথ্যাদি ১৩ জুন, ১৯৭১ তারিখে সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশ করেন।[] অতঃপর তার বিখ্যাত প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম গণহত্যার খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে[] যা পরবর্তীকালে বিশ্ববিবেককে নাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া তিনি উপমহাদেশের বিভিন্ন ঘটনা অন্তরঙ্গভাবে প্রত্যক্ষ করে সেগুলো নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে লিখে গেছেন।

রচনাবলী

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা তার দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হলো -

  • ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত দ্য রেপ অব বাংলাদেশ (বাংলাদেশের ধর্ষণ)
  • ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ[][]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Veenhoven, Willem Adriaan; Samenlevingen, Stichting Plurale (১৯৭৬)। Case Studies on Human Rights and Fundamental Freedoms: A World Survey। Vol. 5। BRILL। পৃষ্ঠা 239। আইএসবিএন 90-247-1779-5 
  2. অ্যান্থনি মাসকারেণহাস প্রণীত দ্যা রেইপ অফ বাংলাদেশ - অনুবাদ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী; পপুলার পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। এই বইয়ের ব্যাক কাভার থেকে জীবনীটা সংগ্রহ করা হয়েছে।
  3. "Bangladesh war: The article that changed history", Mark Dummett
  4. Bangladesh war: The article that changed history
  5. ""Our Foreign Friends" লেখক Mahtabul Alam Siddique"। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৪ 
  6. "অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাসের দুটি বই"। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৪