বিষয়বস্তুতে চলুন

মোহাম্মদ আবদুল মোমেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Firuz Ahmmed (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৪:১৯, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ছিলেন।[] শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি নিয়োগ পান এবং নিয়োগের পর তিনি বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়েছিলেন।[][][] তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের বোর্ড অব গভর্নরস এর সদস্য।[]

প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা

ড. মোমেন ১ জানুয়ারি ১৯৫৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম এ এফ এম আবদুল মোতালেব এবং মাতা জাহানারা বেগম।[] ড. মোমেন ঢাকা, ওয়েলস ও লন্ডনে পড়াশোনা করেছেন। ছাত্রজীবনের শুরুতে তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র থাকলেও পরবর্তীতে তিনি আইনে স্নাতক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে লন্ডনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[]

কর্মজীবন

মোমেন ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। [] তিনি ১৯৮২ সালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন।[] তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও এর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ও পরিচালক, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক, কক্সবাজারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক, বিআরটিএর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিমানের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[][] ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যুগ্মসচিব থাকা অবস্থায় আবদুল মোমেনকে ওএসডি করে। এবং পরে ২০১৩ সালের ৬ই জুন তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।[]

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মোমেনকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব নিযুক্ত করা হয়।[] একই সঙ্গে আরও চারজনকে চুক্তিভিত্তিক সচিব হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়, তারা হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে শেখ আবদুর রশিদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগে এহছানুল হক, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের কার্যালয়ের গণ বিভাগে নাসিমুল গণি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ে এম এ আকমল হোসেন আজাদ।[] তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব হিসেবে তিন দিন দায়িত্ব পালনের পর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে বদলি হওয়া মোকাব্বির হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হন।[][১০] একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন এর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে[১০]

মোমেন তিনজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ আলী মিয়া, মাহবুবুর রহমান এবং জয়দেব কুমার ভদ্রকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান।[১১] সেপ্টেম্বরে তিনি আরও নয়জন পুলিশ অফিসার এ কে এম হাফিজ আখতার, বশির আহমেদ, দেবদাস ভট্টাচার্য, খন্দকার লুৎফুল কবির, মীর রেজাউল আলম, ইমাম হোসেন, মিজানুর রহমান, চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, দাদন ফকির, শামীম বা রশিদ তালুকদার এবং রফিকুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান।[১২] এরপর তিনি কৃষ্ণ পদ রায়, মোঃ মোজাম্মেল হক ও সরদার রকিবুল ইসলামকে অবসরে পাঠান।[১৩] তিনি আরো তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন উর রশিদ, শাহাবুদ্দিন খান এবং খ মাহিদ উদ্দিনকে অক্টোবরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান।[১৪] তিনি পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, আলী হোসেন খান, দেলোয়ার হোসেন মিয়া, নাজমুল করিম খান এবং জিল্লুর রহমানকে পুনর্বহাল করেন, তাদের বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবসরে পাঠানো হয়েছিল।[১৫]

১০ ডিসেম্বর ২০২৪ মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।[] একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্‌সান ফরিদকে কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়।[]

তথ্যসূত্র

  1. "Five retired addl secretaries appointed as secretaries"unb.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  2. "7 police officers sent into retirement"businesspostbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  3. "5 retired addl secys rehired as secretaries"businesspostbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  4. "Five retired additional secretaries appointed as secretaries"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  5. "Board of Governors"www.biiss.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  6. "ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন"mhapsd.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১১ 
  7. "Five secys appointed on contract"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১২ 
  8. "ড. মোমেনকে চেয়ারম্যান করে দুদক গঠন"mzamin.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১১ 
  9. "Five retired additional secretaries appointed as secretaries"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২৪ 
  10. "Home ministry's public security div senior secretary transferred within three days of appointment"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  11. "Three more top police officials sent into forced retirement"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  12. "7 more cops including 3 Addl IGPs sent into forced retirement"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  13. "Additional IGP, 2 other top officials sent into forced retirement"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  14. "Three more additional IGPs sent into forced retirement"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১০-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩ 
  15. "5 police officials sent to retirement by AL govt reinstated"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩