বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:Hossain Aakram/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Hossain Aakram (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১২:০৭, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

মাহামুদুর রহমান সৈকত
জন্ম(২০০৪-০৯-১১)১১ সেপ্টেম্বর ২০০৪
মোহাম্মদপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
মৃত্যু১৯ জুলাই ২০২৪(2024-07-19) (বয়স ১৯)
মোহাম্মদপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
সমাধিমোহাম্মদপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তনমোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
পেশাশিক্ষার্থী
পরিচিতির কারণ২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত
আন্দোলন২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন

মাহামুদুর রহমান সৈকত (জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৪ - মৃত্যু: ১৯ জুলাই ২০২৪) ছিলেন বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সৈকত ২০২৪ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

মাহামুদুর রহমান সৈকত ২০০৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাহমুদুর রহমান একজন ব্যবসায়ী এবং মাতা আফরোজা রহমান গৃহিণী। তিন ভাইবোনের মধ্যে সৈকত ছিলেন সবার ছোট। বড় বোন শাহরিনা আফরোজ বিবাহিত এবং মেজো বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী চাকরিজীবী। তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সৈকত ছিলেন লাজুক, শান্ত স্বভাবের এবং অন্তর্মুখী। ক্রিকেট খেলা ও সাইকেল চালানো তার অন্যতম প্রিয় শখ ছিল।[][]

শিক্ষা

মাহামুদুর রহমান সৈকত সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৪ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন।[][]

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভূমিকা ও মৃত্যু

মাহামুদুর রহমান সৈকত কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পরিবারের বাধা সত্ত্বেও তিনি নিয়মিত আন্দোলনে যোগ দিতেন। একসময় তিনি আন্দোলনের ঘটনায় মর্মাহত হয়ে অনশন শুরু করেন এবং বলেছিলেন, "এত শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছে, আর আমি অথর্ব হয়ে বাসায় বসে আছি।" মা ও বোনের অনুরোধে তিনি অনশন ভাঙেন। ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিকেলে মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে আন্দোলনের সময় তিনি মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার কারণে তিনি পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে তার মাথায় আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাকে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।[][][][]

কিংবদন্তি

মাহামুদুর রহমান সৈকতের স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার নামে সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের লাইব্রেরির নামকরণ করা হয়েছে শহীদ সৈকত স্মৃতি লাইব্রেরি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে লাইব্রেরিটিকে আরও সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।[১০][১১]

তথ্যসূত্র

  1. "কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সৈকত"। BBC। ২০২৪-০৭-২০। 
  2. "মাহমুদুর রহমান সৈকতের গল্প"। Shokal Shondha। 
  3. "প্রথম আলো প্রতিবেদন"। Prothom Alo। 
  4. "বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগেই জীবন হারালেন সৈকত"। Jugantor। 
  5. "কোটা সংস্কার আন্দোলন: শিক্ষার্থীর মৃত্যু"। BDNews24। 
  6. "কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সৈকত"। Prothom Alo। 
  7. "মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু"। Kalbela। 
  8. "কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ সৈকত"। The Daily Star। 
  9. "মাথায় গুলি লেগে শহীদ"। Ittefaq। 
  10. "শহীদ সৈকত স্মৃতি লাইব্রেরি"। Channel i Online। 
  11. "শহীদ সৈকতের স্মৃতি"। BanglaNews24।