মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী
শায়খুল হাদিস, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী দামাত বারাকাতুহুম | |
---|---|
মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | |
পূর্বসূরী | নূর হুসাইন কাসেমী |
সহকারী মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৫ নভেম্বর ২০২০ | |
মহাপরিচালক, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় জুন ২০০১ | |
পূর্বসূরী | ইমরান মাজহারী |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদিস, ফিকহ, তাসাউফ, ইসলামি আন্দোলন, রাজনীতি |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
আত্মীয় | এহসানুল হক আফেন্দী (দাদা) |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত
| |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী (জন্ম: ১৫ নভেম্বর ১৯৬৮) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, ইসলামি বক্তা ও সমাজ সংস্কারক। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস, ইসলামবাগ বড় মসজিদের খতিব, জাতীয় ইমাম সমাজের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জামেয়া ইসলামিয়া রিয়াজিয়া মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সংগঠনের নেতৃস্থানীয় পদে রয়েছেন।
জন্ম ও বংশ
আফেন্দী ১৯৬৮ সালের ১৫ নভেম্বর নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ধনীপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রশিদুল হাসান সোনারায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দাদা এহসানুল হক আফেন্দী হুসাইন আহমদ মাদানির শিষ্য ছিলেন। তার মায়ের নাম শাহিদা বেগম।[১][২][৩][৪]
শিক্ষাজীবন
তিনি ৬ বছর বয়সে পারিবারিক মসজিদের ইমাম ও খতিব ছফিউল্লাহর তত্ত্বাবধানে কুরআন শিক্ষা আরম্ভ করেন এবং ৮ বছর বয়সে কুরআনের হেফজ সম্পন্ন করেন। ১৯৮০ সালে তিনি আব্দুল হালীমের তত্ত্বাবধানে দারুল উলুম আল হোছাইনিয়া ওলামা বাজার মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে কাফিয়া জামাত[ক] (মাধ্যমিক) পর্যন্ত পড়ার পর ১৯৮৮ সালে আব্দুল হালীমের সম্মতিক্রমে শামসুদ্দীন কাসেমীর তত্ত্বাবধানে মিরপুর জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসায় শরহে জামী জামাতে (উচ্চ মাধ্যমিক) ভর্তি হন। এখানে জামাতে মেশকাত (স্নাতক) পর্যন্ত পড়ার পর ১৯৯৩ সালে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ চলে যান এবং সেখানে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন।[১]
কর্মজীবন
দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং অল্প কিছুদিন পর তিনি সৌদি আরবে চলে যান। সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত রিয়াদস্থ দাওয়াহ ও ইরশাদ সংস্থায় লেকচারার হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। চার বছর স্বপরিবারে সেখানে বসবাস করার পর ১৯৯৯ সালে ছুটিতে তিনি দেশে আসেন। তার শিক্ষক ইমরান মাজহারী তাকে জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করলে তিনি আর সৌদি আরবে ফিরে যান নি। ২০০১ সালের জুন মাসে ইমরান মাজহারী তাকে মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্ব অর্পণ করেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০০৪ সালে তিনি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) চালু করেন। তখন থেকে অদ্যাবধি শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালন করছেন।[১]
২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এক কেন্দ্রীয় সম্মেলনে তিনি দলের সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত হন।[৫]
এছাড়াও তিনি ইসলামবাগ বড় মসজিদের খতিব ও জাতীয় ইমাম সমাজের সিনিয়র সহ-সভাপতি।[৬][৭]
রাজনীতি
তিনি ছাত্রজীবন থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ছাত্র জমিয়তের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর নূর হুসাইন কাসেমীর মৃত্যুর পর তিনি মহাসচিব নির্বাচিত হন।[৮][৯][১০][১১][১২]
তাসাউফ
তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির খলিফা শাহ আহমদ শফীর কাছে আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভ করেছিলেন এবং তার কাছ থেকে খেলাফত পেয়েছিলেন।[১]
আরও দেখুন
- মামুনুল হক
- জিয়া উদ্দিন
- শাহ আহমদ শফী
- জুনায়েদ বাবুনগরী
- নূর হুসাইন কাসেমী
- দেওবন্দি ব্যক্তিত্বের তালিকা
টীকা
- ↑ কওমি মাদ্রাসার পরিভাষায় জামাত অর্থ শ্রেণি।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ শিবলী, হোসাইন আহমদ (২০২০-১২-২৭)। "মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী'র সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্ম"। কওমিপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
- ↑ "মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলামকে ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী করার দাবি"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ "ইসলামী কর্মতৎপরতা: জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ"। ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ রিপোর্টার, স্টাফ। "জুমার খুৎবাপূর্ব বয়ান: বর্ষবরণের নামে উন্মাদনা অপরিণামদর্শিতা ছাড়া আর কিছু নয়"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
- ↑ "হেফাজতের নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন যারা"। আর টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ "জাতীয় মসজিদে ঈদের ৫ জামাত | সারাদেশ"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ "সরকারিভাবে খুতবা নির্ধারণ ইমাম সমাজ মানবে না"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ "ভোটের হাওয়া: আওয়ামী লীগ-জাপা সরব সাড়া নেই বিএনপির"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টির জন্য রোযা একটি উৎকৃষ্ট পন্থা -মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী"। ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ "ইসলামের বিরুদ্ধে নাস্তিক মুর্তাদ উগ্রহিন্দুদের চক্রান্ত সাংগঠনিক ভাবেই প্রতিহত করতে হবে -মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী"। ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ "সিলেটের ১৯টি আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২২।
- ↑ রিপোর্টার, স্টাফ। "অনাচারমুক্ত সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
গ্রন্থপঞ্জি
- শিবলী, হোসাইন আহমদ (২০২০-১২-২৭)। "মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী'র সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্ম"। কওমিপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
বহিঃসংযোগ
- ১৯৬৮-এ জন্ম
- দেওবন্দি ব্যক্তি
- বাংলাদেশের ইসলামি চিন্তাবিদ
- দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- সুন্নি ইসলামের পণ্ডিত
- হানাফি ফিকহ পণ্ডিত
- ২০শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত
- জীবিত ব্যক্তি
- নীলফামারী জেলার রাজনীতিবিদ
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব
- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা
- ইসলামি চিন্তাবিদ
- ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত
- ইসলামের সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত
- শাহ আহমদ শফীর শিষ্য
- বাংলাদেশী ইসলামপন্থী