বিষয়বস্তুতে চলুন

অমৃক সিং অরোরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
তথ্যছক যোগ
Suvray (আলোচনা | অবদান)
শুরুর দিনগুলো - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:
| background = person
| background = person
| instrument =
| instrument =
| genre = [[প্লেব্যাক গায়ক]]
| genre = [[নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী|প্লেব্যাক গায়ক]]
| associated_acts =
| associated_acts =
| website =
| website =
}}
}}
}}
}}
'''অমৃক সিং অরোরা''' (জন্ম: ১৯৪৩ - মৃত্যু: ৩ জুন, ২০১১) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার কলুটোলা স্ট্রিটে জন্মগ্রহণকারী গায়ক ছিলেন। শ্যামাসঙ্গীতের নব্য আধুনিক ভাবধারার অন্যতম প্রবর্তক তিনি। সহজাত প্রকৃতির কণ্ঠস্বরের অধিকারী ছিলেন। শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য হয়েও অ-বাঙালির শ্যামাসঙ্গীত চর্চার প্রথম উদাহরণ সৃষ্টি করেন। প্রথম কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গীত, গজল, পাঞ্জাবি ভাঙ্গারার চলচ্চিত্রের গান ও ভোজপুরী গান কলকাতায় প্রচলন ঘটান। দুই হাজারেরও অধিক আধুনিক, লোকগীতি ও আধ্যাত্মিক বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে, অধিকাংশই ভক্তিগীতি ছিল।
'''অমৃক সিং অরোরা''' (জন্ম: ১৯৪৩ - মৃত্যু: ৩ জুন, ২০১১) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার কলুটোলা স্ট্রিটে জন্মগ্রহণকারী গায়ক ছিলেন। শ্যামাসঙ্গীতের নব্য আধুনিক ভাবধারার অন্যতম প্রবর্তক তিনি। সহজাত প্রকৃতির কণ্ঠস্বরের অধিকারী ছিলেন। [[শিখ]] সম্প্রদায়ের সদস্য হয়েও অ-বাঙালির শ্যামাসঙ্গীত চর্চার প্রথম উদাহরণ সৃষ্টি করেন। প্রথম কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গীত, গজল, পাঞ্জাবি ভাঙ্গারার চলচ্চিত্রের গান ও ভোজপুরী গান কলকাতায় প্রচলন ঘটান। দুই হাজারেরও অধিক আধুনিক, লোকগীতি ও আধ্যাত্মিক বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে, অধিকাংশই ভক্তিগীতি ছিল।

== শুরুর দিনগুলো ==
পিতা বলবির সিং অরোরা’র লেখার কালির ব্যবসা করতেন। পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত না থেকে ছেলেবেলা থেকে মাতা যশবন্ত কৌরের অনুপ্রেরণায় গানের জগতের দিকে ঝুঁকে পড়েন। মায়ের সাথে একত্রে কীর্তন করতেন। শুরুতে মিস্টার চন্দ্রমণি’র কাছ থেকে ধ্রুপদী সঙ্গীত শিক্ষালাভ করেন। এরপর, শ্রী সুবোধ চ্যাটার্জী’র কাছ থেকে তালিম নিতে থাকেন। ১৯৬১ সাল থেকে সঙ্গীত জীবনের সূচনা ঘটান কলকাতায় গুরুদ্বার বড়া শিখ সঙ্ঘতে। সেখানে ৭ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো মঞ্চে অনুষ্ঠান করেন। অধিকাংশ সময়ই স্বীয় মাতা প্রয়াত যশবন্ত কৌরের সাথে একত্রে পরিবেশন করতেন। উত্তর কলকাতায় মহাজাতি সদনের পার্শ্বে হিন্দি মিডিয়াম স্কুল বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতী বিদ্যালয়ে পড়াশুনো করতেন। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে নিয়মিতভাবে গান পরিবেশন করে অগণিত পুরস্কার লাভ করেছেন। হায়ার সেকেন্ডারিতে দুই বছর বাংলা ভাষা বিষয়টি আবশ্যিক ছিল। এভাবেই বাংলা লিপি ও ভাষার প্রতি তার মোহ সৃষ্টি হয়। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৩ সময়কালে ক্লাবগুলোর উদ্যোগে প্রতি রবিবার বিভিন্ন শিল্পীদের সাথে তিনিও ’শ্রী’ সিনেমার মর্নিং শোতে গান গাইতেন।

== বহিঃসংযোগ ==
* {{আইএমডিবি নাম|4822632}}


[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪৩-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪৩-এ জন্ম]]

১৫:৪৯, ৪ জুন ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অমৃক সিং অরোরা
জন্ম১৯৪৩
কলুটোলা স্ট্রিট, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনবিশুদ্ধানন্দ সরস্বতী
পেশাগায়ক, সুরকার
সঙ্গীত কর্মজীবন
ধরনপ্লেব্যাক গায়ক

অমৃক সিং অরোরা (জন্ম: ১৯৪৩ - মৃত্যু: ৩ জুন, ২০১১) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার কলুটোলা স্ট্রিটে জন্মগ্রহণকারী গায়ক ছিলেন। শ্যামাসঙ্গীতের নব্য আধুনিক ভাবধারার অন্যতম প্রবর্তক তিনি। সহজাত প্রকৃতির কণ্ঠস্বরের অধিকারী ছিলেন। শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য হয়েও অ-বাঙালির শ্যামাসঙ্গীত চর্চার প্রথম উদাহরণ সৃষ্টি করেন। প্রথম কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গীত, গজল, পাঞ্জাবি ভাঙ্গারার চলচ্চিত্রের গান ও ভোজপুরী গান কলকাতায় প্রচলন ঘটান। দুই হাজারেরও অধিক আধুনিক, লোকগীতি ও আধ্যাত্মিক বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে, অধিকাংশই ভক্তিগীতি ছিল।

শুরুর দিনগুলো

পিতা বলবির সিং অরোরা’র লেখার কালির ব্যবসা করতেন। পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত না থেকে ছেলেবেলা থেকে মাতা যশবন্ত কৌরের অনুপ্রেরণায় গানের জগতের দিকে ঝুঁকে পড়েন। মায়ের সাথে একত্রে কীর্তন করতেন। শুরুতে মিস্টার চন্দ্রমণি’র কাছ থেকে ধ্রুপদী সঙ্গীত শিক্ষালাভ করেন। এরপর, শ্রী সুবোধ চ্যাটার্জী’র কাছ থেকে তালিম নিতে থাকেন। ১৯৬১ সাল থেকে সঙ্গীত জীবনের সূচনা ঘটান কলকাতায় গুরুদ্বার বড়া শিখ সঙ্ঘতে। সেখানে ৭ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো মঞ্চে অনুষ্ঠান করেন। অধিকাংশ সময়ই স্বীয় মাতা প্রয়াত যশবন্ত কৌরের সাথে একত্রে পরিবেশন করতেন। উত্তর কলকাতায় মহাজাতি সদনের পার্শ্বে হিন্দি মিডিয়াম স্কুল বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতী বিদ্যালয়ে পড়াশুনো করতেন। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে নিয়মিতভাবে গান পরিবেশন করে অগণিত পুরস্কার লাভ করেছেন। হায়ার সেকেন্ডারিতে দুই বছর বাংলা ভাষা বিষয়টি আবশ্যিক ছিল। এভাবেই বাংলা লিপি ও ভাষার প্রতি তার মোহ সৃষ্টি হয়। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৩ সময়কালে ক্লাবগুলোর উদ্যোগে প্রতি রবিবার বিভিন্ন শিল্পীদের সাথে তিনিও ’শ্রী’ সিনেমার মর্নিং শোতে গান গাইতেন।

বহিঃসংযোগ