বোমা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Adding 1 book for যাচাইযোগ্যতা) #IABot (v2.0.7) (GreenC bot |
|||
১৪ নং লাইন: | ১৪ নং লাইন: | ||
== কম্পন == |
== কম্পন == |
||
বিস্ফোরকের কম্পন তরঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় [[শরীর|শরীরের]] অঙ্গচ্যূতির ন্যায় ঘটনা ঘটতে পারে। বোমা আক্রমণের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে শূন্যে নিক্ষিপ্ত করারও সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও, অঙ্গচ্ছেদ, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।<ref name="Mlstein 2008">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Mlstein|প্রথমাংশ=Randall L.|শিরোনাম=Forensic Science|অধ্যায়=Bomb damage assessment|সম্পাদক=Ayn Embar-seddon, Allan D. Pass (eds.)|প্রকাশক=[[Salem Press]]|বছর=2008|পাতা=166|আইএসবিএন=978-1-58765-423-7}}</ref> |
বিস্ফোরকের কম্পন তরঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় [[শরীর|শরীরের]] অঙ্গচ্যূতির ন্যায় ঘটনা ঘটতে পারে। বোমা আক্রমণের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে শূন্যে নিক্ষিপ্ত করারও সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও, অঙ্গচ্ছেদ, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।<ref name="Mlstein 2008">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Mlstein|প্রথমাংশ=Randall L.|শিরোনাম=Forensic Science|ইউআরএল=https://archive.org/details/forensicscience00emba|অধ্যায়=Bomb damage assessment|সম্পাদক=Ayn Embar-seddon, Allan D. Pass (eds.)|প্রকাশক=[[Salem Press]]|বছর=2008|পাতা=[https://archive.org/details/forensicscience00emba/page/n185 166]|আইএসবিএন=978-1-58765-423-7}}</ref> |
||
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট [[ঢাকা|ঢাকায়]] এক [[জনসভা|জনসভায়]] বক্তৃতাদানকালে [[গ্রেনেড|গ্রেনেডের]] মাধ্যমে সৃষ্ট বোমা হামলায় [[বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী|বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী]] [[শেখ হাসিনা]] অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ও তার কানের পর্দা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উক্ত হামলায় [[আওয়ামী লীগ]] নেত্রী [[আইভি রহমান|আইভি রহমানসহ]] ১৯ জন [[মৃত্যু|মৃত্যুবরণ]] করেন ও শতাধিক ব্যক্তি [[আহত]] হন। |
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট [[ঢাকা|ঢাকায়]] এক [[জনসভা|জনসভায়]] বক্তৃতাদানকালে [[গ্রেনেড|গ্রেনেডের]] মাধ্যমে সৃষ্ট বোমা হামলায় [[বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী|বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী]] [[শেখ হাসিনা]] অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ও তার কানের পর্দা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উক্ত হামলায় [[আওয়ামী লীগ]] নেত্রী [[আইভি রহমান|আইভি রহমানসহ]] ১৯ জন [[মৃত্যু|মৃত্যুবরণ]] করেন ও শতাধিক ব্যক্তি [[আহত]] হন। |
||
২১:২২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বোমা ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরী এক ধরনের বিস্ফোরক ও অস্ত্রবিশেষ। খুব দ্রুতবেগে অভ্যন্তরীণ শক্তির রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বড় ধরনের কম্পন তরঙ্গের সৃষ্টি করে বিস্ফোরণ ঘটায় ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। কয়েক শতাব্দী ধরে বিশ্বে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। অধিকাংশ বোমাই সাধারণ জ্বালানীর তুলনায় কম শক্তি সঞ্চিত করে। ব্যতিক্রম হিসেবে রয়েছে পারমাণবিক বোমা।
সচরাচর বোমায় বিস্ফোরকজাতীয় পদার্থ রাখার উপযোগী পাত্রে পরিপূর্ণ থাকে। এটি ধ্বংসাত্মক জিনিস দিয়ে নকশা অনুসারে বসানো হয় কিংবা নিক্ষেপণ করা হয়। গ্রীক শব্দ বোম্বাস (βόμβος) থেকে বোমা শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে যা ইংরেজি বুম শব্দের মাধ্যমে একই অর্থ বহন করে।
ব্যবহার
প্রায়শঃই সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রতিপক্ষীয় শত্রুবাহিনীর লক্ষ্যস্থলে বোমাবর্ষণ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে আত্মঘাতী বোমা হামলা পরিচালনা করে। তদুপরি শান্তিপূর্ণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খনির উৎসস্থল নিরূপণে বোমা ব্যবহৃত হয়।
প্রতিক্রিয়া
যে-সকল ব্যক্তি বোমা বিস্ফোরণের কাছাকাছি এলাকায় কোনরূপ আত্মরক্ষার্থ উপকরণবিহীন অবস্থায় অবস্থান করেন তারা চার ধরনের বিস্ফোরণ প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। ঐ সকল উপাদান হলো - কম্পনজনিত উচ্চচাপ, খণ্ড-বিখণ্ড, সংঘর্ষ এবং উচ্চতাপ। তবে বোমা নিরোধক ব্যক্তি, সৈনিকদের শারীরিকভাবে আত্মরক্ষার উপকরণ পরিধান করলে ঘটনাস্থল গমনে তেমন প্রভাব পড়ে না।
বোমা বিস্ফোরণের উচ্চচাপে আকস্মিক ও অতি তীব্র পরিবেষ্টিত চাপে ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ ক্ষয়ক্ষতিসহ স্থায়ী ক্ষতি কিংবা মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। পাশাপাশি বিস্ফোরণস্থলের ভূমিতে বিরাট গর্ত, ধ্বংসস্তুপ কিংবা গাছপালা উৎপাটনও হয়ে যায়। জলের নিচে কিংবা সমুদ্রের উপরে মাইন বিস্ফোরণে মানবতাবিরোধী ঘটনা একটি সাধারণ বিষয়।[১]
কম্পন
বিস্ফোরকের কম্পন তরঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় শরীরের অঙ্গচ্যূতির ন্যায় ঘটনা ঘটতে পারে। বোমা আক্রমণের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে শূন্যে নিক্ষিপ্ত করারও সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও, অঙ্গচ্ছেদ, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।[২] ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় এক জনসভায় বক্তৃতাদানকালে গ্রেনেডের মাধ্যমে সৃষ্ট বোমা হামলায় বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ও তার কানের পর্দা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উক্ত হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেন ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
ধণাত্মক ও ঋণাত্মক তরঙ্গ দিয়ে গড়া বিস্ফোরক উপাদানের সাহায্যে কম্পন তরঙ্গ তৈরী হয়। তরঙ্গের উৎসস্থলে অর্থাৎ বিস্ফোরণ স্থলে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে।[৩] ওকলেহোমা সিটিতে বোমা বিস্ফোরণে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে চার হাজার পাউন্ড উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়েছিল।[৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ Coupland, R.M. (1989). Amputation for antipersonnel mine injuries of the leg: preservation of the tibial stump using a medial gastrocnemius myoplasty. Annals of the Royal College of Surgeons of England. 71, pp. 405–408.
- ↑ Mlstein, Randall L. (২০০৮)। "Bomb damage assessment"। Ayn Embar-seddon, Allan D. Pass (eds.)। Forensic Science। Salem Press। পৃষ্ঠা 166। আইএসবিএন 978-1-58765-423-7।
- ↑ Marks, Michael E. (২০০২)। The Emergency Responder's Guide to Terrorism। Red Hat Publishing Co., Inc.। পৃষ্ঠা 30। আইএসবিএন 1-932235-00-0।
- ↑ Wong, Henry (২০০২)। "Blast-Resistant Building Design Technology Analysis of its Application to Modern Hotel Design"। WGA Wong Gregerson Architects, Inc.। পৃষ্ঠা 5।
বহিঃসংযোগ
- Explosive Violence, The Problem of Explosive Weapons A report by Richard Moyes (Landmine Action, 2009) on the humanitarian problems caused by the use of bombs and other explosive weapons in populated areas
- FAS.org Bombs for Beginners
- MakeItLouder.com How a bomb functions and rating their power