বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলা কাঠঠোকরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বিবরণ: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
Kaim Amin (আলোচনা | অবদান)
[Factotum]
 
(১৩ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ১৬টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
| status = LC
| status = LC
| status_system = IUCN3.1
| status_system = IUCN3.1
| status_ref = <ref name="iucn">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url=http://www.iucnredlist.org/details/100600738/0 | title=''Dinopium benghalense'' | publisher= [[আইইউসিএন লাল তালিকা|The IUCN Red List of Threatened Species]] | accessdate=25 October, 2013}}</ref>
| status_ref = <ref name="iucn">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.iucnredlist.org/details/100600738/0 | শিরোনাম=''Dinopium benghalense'' | প্রকাশক=[[আইইউসিএন লাল তালিকা|The IUCN Red List of Threatened Species]] | সংগ্রহের-তারিখ=25 October 2013 | আর্কাইভের-তারিখ=১১ নভেম্বর ২০১২ | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121111081613/http://www.iucnredlist.org/details/100600738/0 | ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref>
| image = Black-rumped Flameback (Dinopium benghalense) in Hyderabad, AP W IMG 8015.jpg
| image = Black-rumped Flameback (Dinopium benghalense) in Hyderabad, AP W IMG 8015.jpg
| image_caption = বাংলা কাঠঠোকরা (''Dinopium benghalense''), [[হায়দ্রাবাদ]], [[ভারত]]
| image_caption = বাংলা কাঠঠোকরা (''Dinopium benghalense''), [[হায়দ্রাবাদ]], [[ভারত]]
২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:
}}
}}


'''বাংলা কাঠঠোকরা''' ([[বৈজ্ঞানিক নাম]]: ''Dinopium benghalense'') [[Picidae]] (পিসিডি) [[গোত্র (জীববিদ্যা)|গোত্র]] বা [[পরিবার (জীববিদ্যা)|পরিবারের]] অন্তর্গত ''[[Dinopium]]'' (''ডাইনোপিয়াম'') [[গণ (জীববিদ্যা)|গণের]] অন্তর্ভুক্ত এক [[প্রজাতি|প্রজাতির]] অতি পরিচিত পাখি ।<ref name="রেজা">{{বই উদ্ধৃতি | title=বাংলাদেশের পাখি | publisher=বাংলা একাডেমী | author=রেজা খান | year=২০০৮ | location=ঢাকা | pages=১২২ | isbn=9840746901}}</ref><ref name="এশিয়াটিক">{{বই উদ্ধৃতি | title=বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬ | publisher=বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি | author=জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) | year=২০০৯ | location=ঢাকা | pages=৫১-২}}</ref> পাখিটি [[বাংলাদেশ]], [[ভারত]] ছাড়াও [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। বাংলা কাঠঠোকরার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ''বাংলার বলীয়ান'' ([[গ্রিক ভাষা|গ্রিক]]: ''denios'' = শক্তিমান, ''opos'' = চেহারা; [[লাতিন ভাষা|লাতিন]]: ''benghalense'' = বাংলার)।<ref name="এশিয়াটিক"/> সারা পৃথিবীতে এক সীমিত এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩০ লক্ষ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।<ref name="BI">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url=http://www.birdlife.org/datazone/speciesfactsheet.php?id=738 | title= Black-rumped Flameback, ''Dinopium benghalense'' | publisher=[[BirdLife International]] | accessdate=2013-09-18}}</ref> বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে [[আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ|আই. ইউ. সি. এন.]] এই প্রজাতিটিকে [[ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত]] বলে ঘোষণা করেছে।<ref name="iucn"/> [[বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) (সংশোধিত) আইন, ১৯৭৪|বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে]] এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।<ref name="এশিয়াটিক"/>
'''বাংলা কাঠঠোকরা''' ([[বৈজ্ঞানিক নাম]]: ''Dinopium benghalense'') হলো [[Picidae]] (পিসিডি) [[গোত্র (জীববিদ্যা)|গোত্র]] বা [[পরিবার (জীববিদ্যা)|পরিবারের]] অন্তর্গত ''[[Dinopium]]'' (''ডাইনোপিয়াম'') [[গণ (জীববিদ্যা)|গণের]] অন্তর্ভুক্ত এক [[প্রজাতি|প্রজাতির]] অতি পরিচিত পাখি ।<ref name="রেজা">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=বাংলাদেশের পাখি | প্রকাশক=বাংলা একাডেমী | লেখক=রেজা খান | বছর=২০০৮ | অবস্থান=ঢাকা | পাতাসমূহ=১২২ | আইএসবিএন=9840746901}}</ref><ref name="এশিয়াটিক">{{বই উদ্ধৃতি | শিরোনাম=বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬ | প্রকাশক=বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি | লেখক=জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) | বছর=২০০৯ | অবস্থান=ঢাকা | পাতাসমূহ=৫১-২}}</ref> পাখিটি [[বাংলাদেশ]], [[ভারত]] ছাড়াও [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। বাংলা কাঠঠোকরার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ''বাংলার বলীয়ান'' ([[গ্রিক ভাষা|গ্রিক]]: ''denios'' = শক্তিমান, ''opos'' = চেহারা; [[লাতিন ভাষা|লাতিন]]: ''benghalense'' = বাংলার)।<ref name="এশিয়াটিক"/> সারা পৃথিবীতে এক সীমিত এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩০ লক্ষ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।<ref name="BI">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.birdlife.org/datazone/speciesfactsheet.php?id=738 | শিরোনাম=Black-rumped Flameback, ''Dinopium benghalense'' | প্রকাশক=[[BirdLife International]] | সংগ্রহের-তারিখ=2013-09-18 | আর্কাইভের-তারিখ=২০১৬-০৩-০৫ | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160305052446/http://www.birdlife.org/datazone/speciesfactsheet.php?id=738 | ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref> বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে [[আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ|আই. ইউ. সি. এন.]] এই প্রজাতিটিকে [[ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত]] বলে ঘোষণা করেছে।<ref name="iucn"/> [[বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) (সংশোধিত) আইন, ১৯৭৪|বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে]] এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।<ref name="এশিয়াটিক"/>


শহুরে এলাকায় বসবাস করে এমন অল্পসংখ্যক [[কাঠঠোকরা|কাঠঠোকরার]] মধ্যে বাংলা কাঠঠোকরা একটি। তীক্ষ্ন করকরে ডাক আর ঢেউয়ের মত উড্ডয়ন প্রক্রিয়া এ প্রজাতিটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ''ডাইনোপিয়াম'' গণের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র এরই গলা ও কোমর কালো। <ref name=pcr>{{বই উদ্ধৃতি|author=Rasmussen, PC & JC Anderton |year=2005| title= Birds of South Asia: The Ripley Guide. Volume 2|publisher=Smithsonian Institution and Lynx Edicions|page=289}}</ref>
শহুরে এলাকায় বসবাস করে এমন অল্পসংখ্যক [[কাঠঠোকরা|কাঠঠোকরার]] মধ্যে বাংলা কাঠঠোকরা একটি। তীক্ষ্ণ করকরে ডাক আর ঢেউয়ের মত উড্ডয়ন প্রক্রিয়া এ প্রজাতিটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ''ডাইনোপিয়াম'' গণের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র এরই গলা ও কোমর কালো। <ref name=pcr>{{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Rasmussen, PC & JC Anderton |বছর=2005| শিরোনাম= Birds of South Asia: The Ripley Guide. Volume 2|প্রকাশক=Smithsonian Institution and Lynx Edicions|পাতা=289}}</ref>


== বিবরণ ==
== বিবরণ ==
[[চিত্র:Black-rumped Flameback I IMG 9929.jpg|thumb|left|মনোনিত উপপ্রজাতি (''D. b. benghalense'') [[কলকাতা]], [[ভারত]]]]
[[চিত্র:Black-rumped Flameback I IMG 9929.jpg|thumb|left|মনোনীত উপ-প্রজাতি (''D. b. benghalense'') [[কলকাতা]], [[ভারত]]]]
বাংলা কাঠঠোকরা দৈর্ঘ্যে বেশ বড়সড়; প্রায় ২৬–২৯&nbsp;সেমি। ওজন ১০০ গ্রাম, ডানা ১৪.২ সেমি, ঠোঁট ৩.৭ সেমি, পা ২.৫ সেমি ও লেজ ৯ সেমি।<ref name="এশিয়াটিক"/>
বাংলা কাঠঠোকরা দৈর্ঘ্যে বেশ বড়সড়; প্রায় ২৬–২৯&nbsp;সেমি। ওজন ১০০ গ্রাম, ডানা ১৪.২ সেমি, ঠোঁট ৩.৭ সেমি, পা ২.৫ সেমি ও লেজ ৯ সেমি।<ref name="এশিয়াটিক"/>
[[চিত্র:Black-rumped-Flameback-Woodpecker-বাংলা-কাঠঠোকরা.jpg|alt=Black-rumped Flameback Woodpecker - বাংলা কাঠঠোকরা|থাম্ব|Black-rumped Flameback Woodpecker - বাংলা কাঠঠোকরা ]]
এরা আকৃতিতে অন্যসব সাধারণ কাঠঠোকরার মতোই, কেবল ডানা-ঢাকনি উজ্জ্বল হলদে-সোনালি। কোমর [[বড় কাঠঠোকরা|বড় কাঠঠোকরার]] মতো লাল নয়, কালো। দেহতল সাদা ও তাতে কালো আঁশের মত দাগ থাকে। গলা ও থুতনি কালো এবং তাতে অস্পষ্ট সাদা ডোরা দেখা যায় যা দেখে একই অঞ্চলের [[পাতি কাঠঠোকরা]] থেকে এদের আলাদা করা যায়। ঘাড় সাদা ও পাশে কালো দাগ থাকে। বড় কাঠঠোকরার মতো এর মুখে গোঁফের মতো লম্বা দাগ থাকে না।<ref name=pcr/><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.archive.org/stream/faunaofbritishin03oate#page/58/mode/2up/search/brachypternus|শিরোনাম= The Fauna of British India, Including Ceylon and Burma. Birds. Volume 3|লেখক=Blanford, WT| বছর=1895|প্রকাশক=Taylor and Francis, London|পাতাসমূহ=58–60}}</ref> তবে বুকে আঁশের মতো দাগ মোটা ও কালো। চোখে কালো ডোরা থাকে। ডানার গোড়া ও মধ্য পালক-ঢাকনিতে দুই সারি সাদা বা ফিকে ফুটকি স্পষ্ট। পিঠ ও ডানার অবশেষ সোনালি। চোখ লালচে বাদামি ও চোখের চারিদিকের রিং সবুজ। পা ও পায়ের পাতা ধূসরাভ সবুজ। ঠোঁটের রঙ শিং-রঙা ও কালোর মিশ্রণ।<ref name="এশিয়াটিক"/>


পুরুষ ও স্ত্রীপাখির চেহারার পার্থক্য তাদের চাঁদি ও ঝুঁটির রঙে। পুরুষ কাঠঠোকরার চাঁদি ও ঝুঁটি টকটকে লাল। স্ত্রী কাঠঠোকরার ঝুঁটি লাল কিন্তু চাঁদি কালো ও সাদা ফুটকিযুক্ত। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ অনুজ্জ্বল, বাকি সব স্ত্রী পাখির মতো। তবে স্ত্রী পাখির মতো চাঁদির কালো অংশ থাকে না।<ref name="এশিয়াটিক"/><ref name=pcr />
এরা আকৃতিতে অন্যসব সাধারণ কাঠঠোকরার মতোই, কেবল ডানা-ঢাকনি উজ্জ্বল হলদে-সোনালি। কোমর [[বড় কাঠঠোকরা|বড় কাঠঠোকরার]] মত লাল নয়, কালো। দেহতল সাদা ও তাতে কালো আঁশের মত দাগ থাকে। গলা ও থুতনি কালো এবং তাতে অস্পষ্ট সাদা ডোরা দেখা যায় যা দেখে একই অঞ্চলের [[পাতি কাঠঠোকরা]] থেকে এদের আলাদা করা যায়। ঘাড় সাদা ও পাশে কালো দাগ থাকে। বড় কাঠঠোকরার মত এর মুখে গোঁফের মত লম্বা দাগ থাকে না।<ref name=pcr/><ref>{{বই উদ্ধৃতি|url=http://www.archive.org/stream/faunaofbritishin03oate#page/58/mode/2up/search/brachypternus|title= The Fauna of British India, Including Ceylon and Burma. Birds. Volume 3|author=Blanford, WT| year=1895|publisher=Taylor and Francis, London|pages=58–60}}</ref> তবে বুকে আঁশের মত দাগ মোটা ও কালো। চোখে কালো ডোরা থাকে। ডানার গোড়া ও মধ্য পালক-ঢাকনিতে দুই সারি সাদা বা ফিকে ফুটকি স্পষ্ট। পিঠ ও ডানার অবশেষ সোনালি। চোখ লালচে বাদামি ও চোখের চারিদিকের রিং সবুজ। পা ও পায়ের পাতা ধূসরাভ সবুজ। ঠোঁটের রঙ শিং-রঙা ও কালোর মিশ্রণ।<ref name="এশিয়াটিক"/>


অন্যান্য কাঠঠোকরার মতো বাংলা কাঠঠোকরার ঠোঁট মজবুত ও চোখা। লেজও খাটো, দৃঢ় ও গাছের ডালে ঠেস দিয়ে রাখার উপযোগী। পা জাইগোডেক্টাইল, অর্থাৎ দু'টি আঙ্গুল সম্মুখমুখী ও দু'টি পশ্চাৎমুখী। এর জিভ লম্বা ও গর্ত থেকে পোকামাকড় টেনে বের করার উপযোগী।<ref name=whistler>{{বই উদ্ধৃতি|পাতাসমূহ= 285–287| ইউআরএল=http://www.archive.org/stream/popularhandbooko033226mbp#page/n332/mode/1up/ |শিরোনাম=Popular handbook of Indian birds| বছর=1949| লেখক=Whistler, Hugh|সংস্করণ=4|প্রকাশক=Gurney and Jackson, London|আইএসবিএন= 1-4067-4576-6}}</ref>
পুরুষ ও স্ত্রীপাখির চেহারার পার্থক্য তাদের চাঁদি ও ঝুঁটির রঙে। পুরুষ কাঠঠোকরার চাঁদি ও ঝুঁটি টকটকে লাল। স্ত্রী কাঠঠোকরার ঝুঁটি লাল কিন্তু চাঁদি কালো ও সাদা ফুটকিযুক্ত। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ অনুজ্জ্বল, বাকি সব স্ত্রী পাখির মত। তবে স্ত্রী পাখির মত চাঁদির কালো অংশ থাকে না।<ref name="এশিয়াটিক"/><ref name=pcr />


এ পাখির শ্বেতপ্রকরণ রয়েছে বলে রেকর্ড করা হয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|লেখক=Khacher,Lavkumar |বছর=1989| শিরোনাম= An interesting colour phase of the Lesser Goldenbacked Woodpecker (''Dinopium benghalense'')| সাময়িকী= J. Bombay Nat. Hist. Soc. |খণ্ড=86| সংখ্যা নং=1| পাতা= 97}}</ref> ওয়েস্টার্ন ঘাটসে প্রাপ্ত দু'টি পুরুষ নমুনার থুতনিতে লাল ছোপ দেখা গেছে। [[লক্ষ্ণৌ]]তে একটি স্ত্রী কাঠঠোকরার নমুনা পাওয়া গেছে যার ঠোঁটের মাথা [[মোহনচূড়া|মোহনচূড়ার]] মত বাঁকা।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|সাময়িকী=Bulletin of the British Museum (Natural History)| খণ্ড=17 |সংখ্যা নং=1|বছর=1973|শিরোনাম=Notes on woodpeckers (Picidae)|লেখক=Goodwin, Derek|পাতাসমূহ=1–44| ইউআরএল=http://www.archive.org/stream/bulletinofbritis17zoollond#page/41/mode/1up}}</ref>
অন্যান্য কাঠঠোকরার মত বাংলা কাঠঠোকরার ঠোঁট মজবুত ও চোখা। লেজও খাটো, দৃঢ় ও গাছের ডালে ঠেস দিয়ে রাখার উপযোগী। পা জাইগোডেক্টাইল, অর্থাৎ দু'টি আঙ্গুল সম্মুখমুখী ও দু'টি পশ্চাৎমুখী। এর জিভ লম্বা ও গর্ত থেকে পোকামাকড় টেনে বের করার উপযোগী।<ref name=whistler>{{বই উদ্ধৃতি|pages= 285–287| url=http://www.archive.org/stream/popularhandbooko033226mbp#page/n332/mode/1up/ |title=Popular handbook of Indian birds| year=1949| author=Whistler, Hugh|edition=4|publisher=Gurney and Jackson, London|isbn= 1-4067-4576-6}}</ref>

এ পাখির শ্বেতপ্রকরণ রয়েছে বলে রেকর্ড করা হয়েছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|author=Khacher,Lavkumar |year=1989| title= An interesting colour phase of the Lesser Goldenbacked Woodpecker (''Dinopium benghalense'')| journal= J. Bombay Nat. Hist. Soc. |volume=86| issue=1| page= 97}}</ref> ওয়েস্টার্ন ঘাটসে প্রাপ্ত দু'টি পুরুষ নমুনার থুতনিতে লাল ছোপ দেখা গেছে। লখ্নৌতে একটি স্ত্রী কাঠঠোকরার নমুনা পাওয়া গেছে যার ঠোঁটের মাথা [[মোহনচূড়া|মোহনচূড়ার]] মত বাঁকা।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|journal=Bulletin of the British Museum (Natural History)| volume=17 |issue=1|year=1973|title=Notes on woodpeckers (Picidae)|author=Goodwin, Derek|pages=1–44| url=http://www.archive.org/stream/bulletinofbritis17zoollond#page/41/mode/1up}}</ref>


== উপপ্রজাতি ==
== উপপ্রজাতি ==
৫২ নং লাইন: ৫২ নং লাইন:
{{commons|Dinopium benghalense|বাংলা কাঠঠোকরা}}
{{commons|Dinopium benghalense|বাংলা কাঠঠোকরা}}
{{wikispecies|Dinopium benghalense|বাংলা কাঠঠোকরা}}
{{wikispecies|Dinopium benghalense|বাংলা কাঠঠোকরা}}
* [http://ibc.lynxeds.com/species/black-rumped-flameback-dinopium-benghalense আলোকচিত্র ও ভিডিও]
* [http://ibc.lynxeds.com/species/black-rumped-flameback-dinopium-benghalense আলোকচিত্র ও ভিডিও] {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20101006041203/http://ibc.lynxeds.com/species/black-rumped-flameback-dinopium-benghalense |date=৬ অক্টোবর ২০১০ }}


[[বিষয়শ্রেণী:ডাইনোপিয়াম]]
[[বিষয়শ্রেণী:ডাইনোপিয়াম]]
৬২ নং লাইন: ৬২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:শ্রীলঙ্কার পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:শ্রীলঙ্কার পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মায়ানমারের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মিয়ানমারের পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৭৫৮-এ বর্ণিত পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ এশিয়ার পাখি]]
[[বিষয়শ্রেণী:কার্ল লিনিয়াস কর্তৃক নামকরণকৃত ট্যাক্সা]]

১৪:৪১, ২২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলা কাঠঠোকরা
Dinopium benghalense
বাংলা কাঠঠোকরা (Dinopium benghalense), হায়দ্রাবাদ, ভারত
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Piciformes
পরিবার: Picidae
গণ: Dinopium
প্রজাতি: D. benghalense
দ্বিপদী নাম
Dinopium benghalense
(Linnaeus, 1758)
উপপ্রজাতি
প্রতিশব্দ
  • Brachypternus benghalensis
  • Brachypternus aurantius

বাংলা কাঠঠোকরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Dinopium benghalense) হলো Picidae (পিসিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Dinopium (ডাইনোপিয়াম) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির অতি পরিচিত পাখি ।[][] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। বাংলা কাঠঠোকরার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ বাংলার বলীয়ান (গ্রিক: denios = শক্তিমান, opos = চেহারা; লাতিন: benghalense = বাংলার)।[] সারা পৃথিবীতে এক সীমিত এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩০ লক্ষ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[]

শহুরে এলাকায় বসবাস করে এমন অল্পসংখ্যক কাঠঠোকরার মধ্যে বাংলা কাঠঠোকরা একটি। তীক্ষ্ণ করকরে ডাক আর ঢেউয়ের মত উড্ডয়ন প্রক্রিয়া এ প্রজাতিটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ডাইনোপিয়াম গণের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র এরই গলা ও কোমর কালো। []

বিবরণ

[সম্পাদনা]
মনোনীত উপ-প্রজাতি (D. b. benghalense) কলকাতা, ভারত

বাংলা কাঠঠোকরা দৈর্ঘ্যে বেশ বড়সড়; প্রায় ২৬–২৯ সেমি। ওজন ১০০ গ্রাম, ডানা ১৪.২ সেমি, ঠোঁট ৩.৭ সেমি, পা ২.৫ সেমি ও লেজ ৯ সেমি।[]

Black-rumped Flameback Woodpecker - বাংলা কাঠঠোকরা
Black-rumped Flameback Woodpecker - বাংলা কাঠঠোকরা

এরা আকৃতিতে অন্যসব সাধারণ কাঠঠোকরার মতোই, কেবল ডানা-ঢাকনি উজ্জ্বল হলদে-সোনালি। কোমর বড় কাঠঠোকরার মতো লাল নয়, কালো। দেহতল সাদা ও তাতে কালো আঁশের মত দাগ থাকে। গলা ও থুতনি কালো এবং তাতে অস্পষ্ট সাদা ডোরা দেখা যায় যা দেখে একই অঞ্চলের পাতি কাঠঠোকরা থেকে এদের আলাদা করা যায়। ঘাড় সাদা ও পাশে কালো দাগ থাকে। বড় কাঠঠোকরার মতো এর মুখে গোঁফের মতো লম্বা দাগ থাকে না।[][] তবে বুকে আঁশের মতো দাগ মোটা ও কালো। চোখে কালো ডোরা থাকে। ডানার গোড়া ও মধ্য পালক-ঢাকনিতে দুই সারি সাদা বা ফিকে ফুটকি স্পষ্ট। পিঠ ও ডানার অবশেষ সোনালি। চোখ লালচে বাদামি ও চোখের চারিদিকের রিং সবুজ। পা ও পায়ের পাতা ধূসরাভ সবুজ। ঠোঁটের রঙ শিং-রঙা ও কালোর মিশ্রণ।[]

পুরুষ ও স্ত্রীপাখির চেহারার পার্থক্য তাদের চাঁদি ও ঝুঁটির রঙে। পুরুষ কাঠঠোকরার চাঁদি ও ঝুঁটি টকটকে লাল। স্ত্রী কাঠঠোকরার ঝুঁটি লাল কিন্তু চাঁদি কালো ও সাদা ফুটকিযুক্ত। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ অনুজ্জ্বল, বাকি সব স্ত্রী পাখির মতো। তবে স্ত্রী পাখির মতো চাঁদির কালো অংশ থাকে না।[][]

অন্যান্য কাঠঠোকরার মতো বাংলা কাঠঠোকরার ঠোঁট মজবুত ও চোখা। লেজও খাটো, দৃঢ় ও গাছের ডালে ঠেস দিয়ে রাখার উপযোগী। পা জাইগোডেক্টাইল, অর্থাৎ দু'টি আঙ্গুল সম্মুখমুখী ও দু'টি পশ্চাৎমুখী। এর জিভ লম্বা ও গর্ত থেকে পোকামাকড় টেনে বের করার উপযোগী।[]

এ পাখির শ্বেতপ্রকরণ রয়েছে বলে রেকর্ড করা হয়েছে।[] ওয়েস্টার্ন ঘাটসে প্রাপ্ত দু'টি পুরুষ নমুনার থুতনিতে লাল ছোপ দেখা গেছে। লক্ষ্ণৌতে একটি স্ত্রী কাঠঠোকরার নমুনা পাওয়া গেছে যার ঠোঁটের মাথা মোহনচূড়ার মত বাঁকা।[]

উপপ্রজাতি

[সম্পাদনা]
psarodes, সম্ভবত একটি পূর্ণাঙ্গ প্রজাতি

পাকিস্তান ও উত্তরপশ্চিম ভারতের উপপ্রজাতি dilutum দেহতল ফ্যাকাসে হলুদ রঙের। এর ঝুঁটি বেশ লম্বা ও গাঙ্গেয় সমভূমির মনোনিত উপপ্রজাতির তুলনায় এর দেহতল বেশি সাদাটে। দেহের উপরিভাগে ছিটের পরিমাণ কম। বয়স্ক অ্যাকাশিয়া বা শিশু গাছে বাসা বানাতে এরা বেশি পছন্দ করে। মনোনিত উপপ্রজাতিকে প্রায় সমগ্র উত্তর ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার জুড়ে দেখা যায়। নিম্ন সমভূমি থেকে এক হাজার মিটার উঁচুতেও এদের দেখা মেলে। দক্ষিণ ভারতের puncticolle উপপ্রজাতির কালো থুতনিতে চারকোণা সাদা সাদা দাগ থাকে। এছাড়া এর দেহের উপরিভাগ উজ্জ্বল হলদে-সোনালি। ওয়েস্টার্ন ঘাটসে প্রাপ্ত আরেকটি উপপ্রজাতি tehminae-এর (অনেকসময় পূর্ণাঙ্গ প্রজাতি হিসেবে পরিগণিত; প্রখ্যাত পক্ষীবিদ সালিম আলীর স্ত্রী তাহমিনার স্মরণে) উপরিভাগে জলপাই রঙের আধিক্য রয়েছে। এর কালো থুতনিতে সাদা ছোপগুলো স্পষ্ট এবং ডানা-ঢাকনির সাদা দাগগুলো অস্পষ্টভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে প্রাপ্ত উপপ্রজাতি D. b. psarodes-এর পিঠ ও ডানা লালচে এবং দেহের কালো ভাগগুলো বেশ ঘন ও বিস্তৃত।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Dinopium benghalense"The IUCN Red List of Threatened Species। ১১ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  2. রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১২২। আইএসবিএন 9840746901 
  3. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৫১–২। 
  4. "Black-rumped Flameback, Dinopium benghalense"BirdLife International। ২০১৬-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৮ 
  5. Rasmussen, PC & JC Anderton (২০০৫)। Birds of South Asia: The Ripley Guide. Volume 2। Smithsonian Institution and Lynx Edicions। পৃষ্ঠা 289। 
  6. Blanford, WT (১৮৯৫)। The Fauna of British India, Including Ceylon and Burma. Birds. Volume 3। Taylor and Francis, London। পৃষ্ঠা 58–60। 
  7. Whistler, Hugh (১৯৪৯)। Popular handbook of Indian birds (4 সংস্করণ)। Gurney and Jackson, London। পৃষ্ঠা 285–287। আইএসবিএন 1-4067-4576-6 
  8. Khacher,Lavkumar (১৯৮৯)। "An interesting colour phase of the Lesser Goldenbacked Woodpecker (Dinopium benghalense)"। J. Bombay Nat. Hist. Soc.86 (1): 97। 
  9. Goodwin, Derek (১৯৭৩)। "Notes on woodpeckers (Picidae)"Bulletin of the British Museum (Natural History)17 (1): 1–44। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]