বিষয়বস্তুতে চলুন

জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২২°৩৭′৩৩″ উত্তর ৯১°৫০′৩১″ পূর্ব / ২২.৬২৫৯৪০৯° উত্তর ৯১.৮৪১৯৭৪২° পূর্ব / 22.6259409; 91.8419742
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
 
(২ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৪৫টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক বিশ্ববিদ্যালয়
{{তথ্যছক কওমি মাদ্রাসা
| name = জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর (আরবি বিশ্ববিদ্যালয়)
| name = জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর
| native_name = الجامعة الاسلامية العبيدية النانوفور
| arabic_name = الجامعة الاسلامية العبيديه نانوفور
| other_name = নানুপুর মাদ্রাসা
| former_name = ওবাইদিয়া হাফেজুল উলুম
| former_name = ওবাইদিয়া হাফিজুল উলুম
| image = Al-Jamiah Al-Islamiah Obaidia Nanupur.jpg
| image = Jamia Islamia Obaidia Nanupur Mosque.jpg
| caption = উত্তর দিক হতে ''নানুপুর মাদ্রাসা''
| image_size = 300px
| motto = اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ<br/>পড় তোমার প্রভুর নামে
| logo = জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুরের লোগো.png
| established = ১৯৫৮ ইং <br/> ১৩৭৯ [[হিজরি]]
| logo_size = 200px
| type = [[কওমি মাদ্রাসা]]
| type = [[কওমি মাদ্রাসা]]
| affiliation = [[বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ]]
| established = {{শুরুর তারিখ এবং বয়স|১৯৫৭}}
| religious_affiliation = [[দেওবন্দি]]
| founder = আমির উদ্দিন
| budget = ২০,০০,০০,০০০ (১৯-২০)
| parent = [[দারুল উলুম দেওবন্দ]]
| chancellor = [[সালাহ উদ্দিন নানুপুরী]]<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=উদ্ধৃতি|ইউআরএল=উদ্ধৃতি|ইউআরএল=উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.khutbahtv.com/nanupurs-pir-sick/|শিরোনাম= নানুপুরের পীর সালাহউদ্দীন নানুপুরী অসুস্থ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|কর্ম=খুতবাহ টিভি|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
| affiliation = [[বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ]]
| students = ৯০০০ (২০২১)
| religious_affiliation = [[ইসলাম]]
| undergrad =
| director-general = [[সালাহ উদ্দিন নানুপুরী]]
| postgrad =
| shaykhul-hadith = কুতুব উদ্দীন নানুপুরী
| doctoral =
| academic_staff = ১৫৫
| city = [[চট্টগ্রাম]]
| students = ৮০০০
| country = [[বাংলাদেশ]]
| budget = ১০ কোটি
| coordinates =
| campus = পল্লী অঞ্চল
| campus = [[পল্লী অঞ্চল]]
| coordinates = {{স্থানাঙ্ক|22.6259409|N|91.8419742|E|region:BD_type:edu|display=inline,title}}
| website = {{URL|JioNanupur.com}}
| website = {{URL|jionanupur.com}}
| staff = ২০
| faculty = ১৩৫ (২০২০)
| location = [[নানুপুর]], [[ফটিকছড়ি]], [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম]]
}}
}}
{{দেওবন্দি}}
'''জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর''' ({{অডিও|Bn-আল জামিয়া আল ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর.flac|<small>শুনুন</small>}} [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Jamia Islamia Obaidia Nanupur [[আরবি ভাষা|আরবি]]: الجامعة الاسلامية العبيدية النانوفور) সংক্ষেপে '''নানুপুর মাদ্রাসা''' চট্টগ্রামের [[ফটিকছড়ি উপজেলা|ফটিকছড়ি উপজেলার]] [[নানুপুর ইউনিয়ন|নানুপুরে]] অবস্থিত একটি [[কওমি মাদ্রাসা]]। এই প্রতিষ্ঠানটি [[দারুল উলুম দেওবন্দ|দারুল উলূম দেওবন্দের]] মূলনীতিকে ভিত্তি করে পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসা সমূহের মধ্যে এটিই সর্বপ্রথম অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চালু করেছিল<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://ekushejournal.com/%e0%a6%95%e0%a6%93%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%87/|শিরোনাম=কওমীতে সর্বপ্রথম অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের নানুপুর মাদ্রাসা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2019-03-13|ওয়েবসাইট=একুশে জার্নাল|ভাষা=|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-13}}</ref> [[সুলতান আহমদ নানুপুরী]] ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে (৬৪ বছর পূর্বে) এটি প্রতিষ্ঠা করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://komashisha.com/?p=11022|শিরোনাম=জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর : একটি বিশ্বজনীন কওমি মাদরাসা|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬|ওয়েবসাইট=কমাশিসা|সংগ্রহের-তারিখ=১৫ জুন ২০২০}}</ref>
'''জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর''' (সংক্ষেপে '''নানুপুর মাদ্রাসা''') বাংলাদেশের [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম জেলার]] [[ফটিকছড়ি উপজেলা|ফটিকছড়ি উপজেলার]] [[নানুপুর ইউনিয়ন|নানুপুর ইউনিয়নে]] অবস্থিত একটি [[কওমি মাদ্রাসা]]। ১৯৫৭ সালে [[আজিজুল হক (মুফতি)|আজিজুল হকের]] পরামর্শে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন আমির উদ্দিন। এটি [[বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ|বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের]] অধিভুক্ত। ১৯৭৬ সালে মাদ্রাসার প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে মাসউদুল হকের মাধ্যমে এই মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস চালু হয়। বর্তমান মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস কুতুব উদ্দিন নানুপুরী। মাদ্রাসার তৃতীয় পরিচালক [[জমির উদ্দিন নানুপুরী|জমির উদ্দিন নানুপুরীর]] সময়ে মাদ্রাসার অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বর্তমানে মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন [[সালাহ উদ্দিন নানুপুরী]]। ২০১৯ সালে প্রথম কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এটি অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। এই মাদ্রাসায় প্রতি বছর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ [[ইতিকাফ|ইতিকাফের]] আসর বসে। শিক্ষা-কার্যক্রমের বাইরে মাদ্রাসাটি সমাজসেবা ও দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এজন্য পরিচালিত সংস্থার মধ্যে [[আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ]] অন্যতম।

== ইতিহাস ==
== ইতিহাস ==
=== প্রেক্ষাপট ===
=== প্রেক্ষাপট ===
ইসলামি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে ওবাইদুল হক তার নিজ গ্রাম [[নানুপুর ইউনিয়ন|নানুপুরের]] কালু মুন্সিরহাটে মাদ্রাসায়ে হেমায়াতুল ইসলাম নামে একটি কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এই মাদ্রাসায় পর্যায়ক্রমে কওমি মাদ্রাসার জামাতে চাহারুম পর্যন্ত চালু হয়। এরপরে ছাত্ররা উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে [[দারুল উলুম দেওবন্দ]], [[দারুল উলুম হাটহাজারী]] অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গমন করতেন। তবে ওবাইদুল হকের মৃত্যুর পর মাদ্রাসার কার্যক্রমে ক্রমান্বয়ে ভাটা চলে আসে এবং এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। এই মাদ্রাসার অন্যতম ছাত্র ছিলেন আমির উদ্দিন, যিনি এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা সমাপ্ত করে দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান।
ইসলামি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে ওবাইদুল হক তার নিজ গ্রাম [[নানুপুর ইউনিয়ন|নানুপুরের]] কালু মুন্সিরহাটে মাদ্রাসায়ে হেমায়াতুল ইসলাম নামে একটি কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name=":ইতিহাস" /> এই মাদ্রাসায় পর্যায়ক্রমে কওমি মাদ্রাসার জামাতে চাহারুম পর্যন্ত চালু হয়। এরপরে ছাত্ররা উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে [[দারুল উলুম দেওবন্দ]], [[দারুল উলুম হাটহাজারী]] অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গমন করতেন। তবে ওবাইদুল হকের মৃত্যুর পর মাদ্রাসার কার্যক্রমে ক্রমান্বয়ে ভাটা চলে আসে এবং এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। এই মাদ্রাসার অন্যতম ছাত্র ছিলেন আমির উদ্দিন, যিনি এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা সমাপ্ত করে দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান।<ref name=":ইতিহাস" />


=== প্রতিষ্ঠা ===
=== প্রতিষ্ঠা ===
[[চিত্র:Jamia Islamia Obaidia Nanupur 02.jpg |থাম্ব|মাদ্রাসার শাহী গেইট]]
[[চিত্র:Jamia Islamia Obaidia Nanupur 02.jpg |থাম্ব|মাদ্রাসার শাহী গেইট]]
আমির উদ্দিন দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ালেখা সমাপ্ত করে দেশে প্রত্যাবর্তনের সময় তার শিক্ষক [[হুসাইন আহমদ মাদানি]] তাকে নিজ এলাকায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। দেশে ফিরে তিনি তার পূর্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হেমায়তুল ইসলাম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন, যেখানে তিনি সাত বছর পড়ালেখা করেছেন। পরবর্তীতে এই মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি [[আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর|বাবুনগর মাদ্রাসায়]] যোগদান করেন এবং নানুপুরে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে বাবুনগর মাদ্রাসা থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি তার বন্ধু মাহমুদ অলীর পরামর্শে একটি নতুন মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি নানুপুর বাজারের উত্তর পার্শ্ববর্তী মসজিদে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয় নি। পরবর্তীতে তিনি [[আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া|পটিয়া মাদ্রাসার]] প্রতিষ্ঠাতা [[আজিজুল হক (মুফতি)|আজিজুল হকের]] সাথে পরামর্শ করেন। আজিজুল হক তাকে নানুপুরের স্থানীয় ব্যক্তি ফজলুর রহমানের ইবাদতখানায় মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে তিনি ১৩৭৭ হিজরির ২৯ শাওয়াল মোতাবেক ১৯৫৭ সাল থেকে এই ইবাদতখানায় পড়াশোনা শুরু করেন। তার সাথে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন মাহমুদ অলী ও ভুজপুরের কারী হামেদ। ধীরে ধীরে ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তিনি সেখানে একটি বাঁশের ঘর নির্মাণ করেন এবং আবু সুফিয়ানকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। পর পর দুইবার বাঁশের ঘরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তৃতীয়বার ১৯৬০ সালের ৫ ডিসেম্বর অগ্নিকাণ্ডে মাদ্রাসাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্থানীয়দের পরামর্শে সেখানে মাটির ঘর নির্মাণ করা হয়। তিনি তার শিক্ষক ওবাইদুল হকের নামানুসারে এই মাদ্রাসার নাম রাখেন 'ওবাইদিয়া হাফিজুল উলুম'।
আমির উদ্দিন দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ালেখা সমাপ্ত করে দেশে প্রত্যাবর্তনের সময় তার শিক্ষক [[হুসাইন আহমদ মাদানি]] তাকে নিজ এলাকায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.rokomari.com/book/115714/alhillul-mufham-asshahihu-limuslim|শিরোনাম=মাশায়েখে চাটগাম|শেষাংশ=আহমদুল্লাহ|প্রথমাংশ=হাফেজ|শেষাংশ২=কাদির|প্রথমাংশ২=রিদওয়ানুল|বছর=২০১৮|প্রকাশক=আহমদ প্রকাশন|অবস্থান=১১/১, ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০|সূত্র=harv|সংস্করণ=১ম|খণ্ড=২য়|পাতা=৩৬৩|সংগ্রহের-তারিখ=৪ আগস্ট ২০২১|আর্কাইভের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20211202072949/https://www.rokomari.com/book/115714/alhillul-mufham-asshahihu-limuslim|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> দেশে ফিরে তিনি তার পূর্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হেমায়াতুল ইসলাম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন, যেখানে তিনি সাত বছর পড়ালেখা করেছেন।{{Sfn|আহমদুল্লাহ|কাদির|২০১৮|p=৩৬২}} পরবর্তীতে এই মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি [[আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর|বাবুনগর মাদ্রাসায়]] যোগদান করেন এবং নানুপুরে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে বাবুনগর মাদ্রাসা থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি তার বন্ধু মাহমুদ অলীর পরামর্শে একটি নতুন মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেন।{{Sfn|আহমদুল্লাহ|কাদির|২০১৮|p=৩৬৪}} প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি নানুপুর বাজারের উত্তর পার্শ্ববর্তী মসজিদে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয় নি। পরবর্তীতে তিনি [[আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া|পটিয়া মাদ্রাসার]] প্রতিষ্ঠাতা [[আজিজুল হক (মুফতি)|আজিজুল হকের]] সাথে পরামর্শ করেন। আজিজুল হক তাকে নানুপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমানের ইবাদতখানায় মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে তিনি ১৩৭৭ হিজরির ২৯ শাওয়াল মোতাবেক ১৯৫৭ সাল থেকে এই ইবাদতখানায় পড়াশোনা শুরু করেন।{{Sfn|আহমদুল্লাহ|কাদির|২০১৮|p=৩৬৪}} তার সাথে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন মাহমুদ অলী ও ভুজপুরের কারী হামেদ। ধীরে ধীরে ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তিনি সেখানে একটি বাঁশের ঘর নির্মাণ করেন এবং আবু সুফিয়ানকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। পর পর দুইবার বাঁশের ঘরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তৃতীয়বার ১৯৬০ সালের ৫ ডিসেম্বর অগ্নিকাণ্ডে মাদ্রাসাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্থানীয়দের পরামর্শে সেখানে মাটির ঘর নির্মাণ করা হয়।{{Sfn|আহমদুল্লাহ|কাদির|২০১৮|p=৩৬৫}} তিনি তার শিক্ষক ওবাইদুল হকের নামানুসারে এই মাদ্রাসার নাম রাখেন 'ওবাইদিয়া হাফিজুল উলুম'।<ref name=":ইতিহাস" />


=== ক্রমবিকাশ ===
=== ক্রমবিকাশ ===
[[চিত্র:Jamia Islamia Obaidia Nanupur 05.jpg|থাম্ব|মাদ্রাসার তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদ]]
[[চিত্র:Jamia Islamia Obaidia Nanupur 05.jpg|থাম্ব|মাদ্রাসার তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদ]]
আমির উদ্দিন ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন। তার আমলে মাদ্রাসা [[মক্তব]] থেকে হিফজ পর্যায়ক্রমে জামাতে শশুমে উন্নীত হয়। তখন ছাত্রসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫০ এবং শিক্ষক ৫/৬ জন। ১৯৬০ সালে তিনি হজ্জে গমন করেন। হজ্জে গমনের পূর্বে তিনি আজিজুল হকের সাথে পরামর্শ করে [[সুলতান আহমদ নানুপুরী|সুলতান আহমদ নানুপুরীকে]] মাদ্রাসার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান। তার নিয়োগের পর হাজী আব্দুস সালামের অর্থায়নে ইটের দেয়াল ও একটি বড় পুকুর খনন করে তার সংলগ্ন পাকা ঘাট নির্মাণ করা হয়। ১৯৬৫ সালে তিনি [[জমির উদ্দিন নানুপুরী|জমির উদ্দিন নানুপুরীকে]] মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। ১৯৭৬ সালে এখানে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস চালু হয় আর প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পান মাসউদুল হক। ১৯৯৭ সালে সুলতান আহমদ নানুপুরীর মৃত্যুর পর পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জমির উদ্দিন নানুপুরী। তার সময়ে মাদ্রাসার ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটে এবং এটি অন্যতম ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তার আমলে মধ্যখানে মাঠসহ চতুর্দিকে মাদ্রাসা ভবন, তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদ, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গেস্ট হাউস, চর্তুদিকে পাকাঘাট বিশিষ্ট পুকুর ও বাবুর্চিখানা নির্মিত হয়। ২০১১ সালে জমির উদ্দিন নানুপুরীর মৃত্যুর পর মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান [[সালাহ উদ্দিন নানুপুরী]]। ২০১৫ সালে এই মাদ্রাসায় উচ্চতর তাফসির বিভাগের সূচনা হয়। শেখ আহমদের পর ২০১৮ সালে কুতুব উদ্দীন নানুপুরীকে মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মনোনীত করা হয়। ২০১৯ সালে প্রথম কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এটি অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম চালু করে। ২০২৪ সালে মাদ্রাসার নিজস্ব অর্থায়নে নানুপুর ইউনিয়নে ওবাইদিয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন চালু হয়।
আমির উদ্দিন ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন। তার আমলে মাদ্রাসা [[মক্তব]] থেকে হিফজ পর্যায়ক্রমে জামাতে শশুমে উন্নীত হয়। তখন ছাত্রসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫০ এবং শিক্ষক ৫/৬ জন।{{Sfn|আহমদুল্লাহ|কাদির|২০১৮|p=৩৬৫}} ১৯৬০ সালে তিনি হজ্জে গমন করেন। হজ্জে গমনের পূর্বে তিনি আজিজুল হকের সাথে পরামর্শ করে [[সুলতান আহমদ নানুপুরী|সুলতান আহমদ নানুপুরীকে]] মাদ্রাসার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান।{{Sfn|আহমদুল্লাহ|কাদির|২০১৮|p=৩৬৫}} তার নিয়োগের পর হাজী আব্দুস সালামের অর্থায়নে ইটের দেয়াল ও একটি বড় পুকুর খনন করে তার সংলগ্ন পাকা ঘাট নির্মাণ করা হয়।{{Sfn|আহমদুল্লাহ|কাদির|২০১৮|p=১৬৮}} ১৯৬৫ সালে তিনি [[জমির উদ্দিন নানুপুরী|জমির উদ্দিন নানুপুরীকে]] মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।{{Sfn|নিজামপুরী|২০১৩|p=৩৭৮}} ১৯৭৬ সালে এখানে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস চালু হয় আর প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পান মাসউদুল হক।<ref name=":ফিকহ">{{অভিসন্দর্ভ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://repository.library.du.ac.bd:8080/handle/123456789/760|শিরোনাম=বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার|শেষাংশ=ছরোয়ার|প্রথমাংশ=মুহাঃ গোলাম|বছর=২০১৪|ধরন=পিএইচডি|প্রকাশক=[[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]|সংগ্রহের-তারিখ=৩০ মে ২০২১|সূত্র=harv|আর্কাইভের-তারিখ=২৭ মে ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210527113124/http://repository.library.du.ac.bd:8080/handle/123456789/760|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|পাতা=২৮৫–২৮৬}}</ref> ১৯৮৫ সালে সুলতান আহমদ নানুপুরী জমির উদ্দিন নানুপুরীকে মাদ্রাসার পরিচালক মনোনীত করেন।<ref name=":ইতিহাস" /> তার সময়ে মাদ্রাসার ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটে এবং এটি অন্যতম ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।<ref name=":নিজামপুরী">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kitabghor.com/books/the-handrede-bangla-mayer-kriti-sontan.html|শিরোনাম=দ্যা হান্ড্রেড (বাংলা মায়ের একশ কৃতিসন্তান)|শেষাংশ=নিজামপুরী|প্রথমাংশ=আশরাফ আলী|বছর=২০১৩|প্রকাশক=সালমান প্রকাশনী|অবস্থান=হাটহাজারী, চট্টগ্রাম|পাতা=৩৭৯|আইএসবিএন=112009250-7|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20211202073012/https://www.kitabghor.com/books/the-handrede-bangla-mayer-kriti-sontan.html|আর্কাইভের-তারিখ=২ ডিসেম্বর ২০২১|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=২৫ জুলাই ২০২২|সূত্র=harv|সংস্করণ=১ম}}</ref> তার আমলে মধ্যখানে মাঠসহ চতুর্দিকে মাদ্রাসা ভবন, তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অতিথিশালা, চর্তুদিকে পাকা ঘাট বিশিষ্ট পুকুর ও বাবুর্চিখানা নির্মিত হয়।<ref name=":ইতিহাস" /> ২০১১ সালে জমির উদ্দিন নানুপুরীর মৃত্যুর পর মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান [[সালাহ উদ্দিন নানুপুরী]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=মাসুম|প্রথমাংশ=মাওলানা|তারিখ=১৭ জানুয়ারি ২০২২|শিরোনাম=এক নজরে জামিয়া ওবাইদিয়া|ইউআরএল=https://jionanupur.com/articles/8|সংগ্রহের-তারিখ=|ওয়েবসাইট=jionanupur.com|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240224145050/http://jionanupur.com/articles/8|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ২০১৫ সালে এই মাদ্রাসায় উচ্চতর তাফসির বিভাগের সূচনা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=মাসুম|প্রথমাংশ=মাওলানা|তারিখ=১৯ জানুয়ারি ২০২২|শিরোনাম=তাফসীর বিভাগ পরিচিতি|ইউআরএল=https://jionanupur.com/articles/13|সংগ্রহের-তারিখ=|ওয়েবসাইট=jionanupur.com|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240224152206/https://jionanupur.com/articles/13|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> শেখ আহমদের পর ২০১৮ সালে কুতুব উদ্দিন নানুপুরীকে মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মনোনীত করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ourislam24.com/index.php/2018/06/26/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BE|শিরোনাম=নানুপুর মাদরাসার নতুন শাইখুল হাদিস মুফতি কুতুব উদ্দীন|তারিখ=২৬ জুন ২০১৮|কর্ম=আওয়ার ইসলাম|সংগ্রহের-তারিখ=২০ মে ২০২৪|আর্কাইভের-তারিখ=২১ মে ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240521010107/https://www.ourislam24.com/index.php/2018/06/26/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BE|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ২০১৯ সালে প্রথম কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এটি অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.probashirdiganta.com/news/%E0%A6%95%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF|শিরোনাম=কওমিতে প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভর্তি|তারিখ=১৪ মার্চ ২০১৯|কর্ম=প্রবাসীর দিগন্ত|সংগ্রহের-তারিখ=২০ মে ২০২৪|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ মে ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240515190431/https://www.probashirdiganta.com/news/%E0%A6%95%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ২০২৪ সালে মাদ্রাসার নিজস্ব অর্থায়নে নানুপুর ইউনিয়নে চালু হয় ওবাইদিয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন।


== ব্যবস্থাপনা ==
== ব্যবস্থাপনা ==
[[চিত্র:Jamia Islamia Obaidia Nanupur 11.jpg|থাম্ব|শিক্ষাভবনের একাংশ]]
[[চিত্র:Jamia Islamia Obaidia Nanupur 11.jpg|থাম্ব|মাদ্রাসার শিক্ষাভবনের একাংশ]]
এই প্রতিষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তর থেকে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর) এবং তার পরবর্তী উচ্চতর তাফসীর বিভাগ, উচ্চতর হাদীস গবেষণা বিভাগ, উচ্চতর ইসলামী আইন বিভাগ, উচ্চতর তাজবীদক্বিরাত বিভাগ, উচ্চতর আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, উচ্চতর দাওয়া বিভাগ, উচ্চতর বাংলা/ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ রয়েছে। এছাড়াও কম্পিউটার, হস্তলিপি, টেইলারিং ও বই পুস্তক বাইন্ডিংসহ বিভিন্ন হস্তশিল্প ও কারিগরী শিক্ষারও ব্যবস্থা আছে। ছাত্রদের বিনা বেতনে শিক্ষাদান ও বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় পাঠ্য পুস্তক ফ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিশেষ বিভাগ হিসাবে আছে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ইসলামি কিন্ডার গার্ডেন, কুরআন মুখস্থকারীদের জন্য তাহফীযুল কুরআন বিভাগ এবং স্কুল কলেজের ছাত্রদের আলেম হওয়ার কোর্স হিসেবে সর্টকোর্স বিভাগ। বর্তমানে মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৮০০০ এবং শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫৫ জন। সম্পূরক হিসেবে বিভিন্ন বই, মাসিক, সাপ্তাহিক, দৈনিক পত্রিকা সমৃদ্ধ ‘‘সুলতানিয়া পাঠাগার’’ নামে একটি উন্মুক্ত পাঠাগার রয়েছে। এই পাঠাগারের পক্ষ হতে প্রতি মাসে একটি করে শিক্ষা সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আরবী ভাষা ও বক্তৃতাচর্চা বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কাব্যরচনা বিভাগ প্রতিবছর ৪/৫ টি কাব্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে। নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ বিভাগ কর্তৃক প্রতি বছর ‘‘বাংলাদেশ নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ বোর্ড’’-এর শিক্ষক দ্বারা দেশের ফোরকানিয়া মাদ্রাসাগুলোর মুয়াল্লিমদেরকে, ছোট শিশুদের সহজরূপে শিক্ষাদানের নিয়ম পদ্ধতি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। এ ট্রেনিং প্রতি বছর ২১ দিন ব্যাপী ২৫ সাবান থেকে আরম্ভ হয়ে ১৬ রমযান ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের পর শেষ হয়। তাদের থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় খরচ জামিয়া কর্তৃক ফ্রি ব্যবস্থা করা হয়। সেই সাথে প্রশিক্ষণ শেষে সনদ প্রদান করা হয়। বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেশের বিভিন্ন জেলাতেও মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতি বছর রমজান মাসে প্রায় থেকে হাজার মানুষ এই মাদ্রাসায় ইতেকাফ থাকেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Dhakatimes24.com|শিরোনাম=দেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর হয় যেখানে|ইউআরএল=https://www.dhakatimes24.com/2022/04/30/260179/দেশের-সর্ববৃহৎ-ইতিকাফের-আসর-হয়-যেখানে|সংগ্রহের-তারিখ=2023-04-06|ওয়েবসাইট=Dhakatimes News}}</ref>
এই প্রতিষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তর থেকে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর) এবং তার পরবর্তী উচ্চতর তাফসির বিভাগ, উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগ, উচ্চতর ইসলামি আইন বিভাগ, উচ্চতর তাজবিদকেরাত বিভাগ, উচ্চতর আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, উচ্চতর দাওয়া বিভাগ, উচ্চতর বাংলা/ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ রয়েছে।<ref name=":ইতিহাস">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=মাসুম|প্রথমাংশ=মাওলানা|তারিখ=১৮ জানুয়ারি ২০২২|শিরোনাম=জামিয়ার অতীত ও বর্তমান|ইউআরএল=https://jionanupur.com/articles/9|সংগ্রহের-তারিখ=|ওয়েবসাইট=jionanupur.com|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240224165818/https://jionanupur.com/articles/9|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> এছাড়াও কম্পিউটার কোর্স, হস্তলিপি, দরজীগিরি ও বই পুস্তক বাইন্ডিংসহ বিভিন্ন হস্তশিল্প ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। বিশেষ বিভাগ হিসেবে আছে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ইসলামি কিন্ডার গার্ডেন, কুরআন মুখস্থকারীদের জন্য তাহফীযুল কুরআন বিভাগ এবং স্কুল কলেজের ছাত্রদের আলেম হওয়ার কোর্স হিসেবে সর্টকোর্স বিভাগ। ছাত্রদের বিনা বেতনে শিক্ষাদান ও বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় পাঠ্য পুস্তক ফ্রি প্রদান করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৮০০০ এবং শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫৫ জন।<ref name=":ইতিহাস" /> মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার 'সুলতানিয়া পাঠাগার' সকলের জন্য উন্মুক্ত। এর পক্ষ থেকে প্রতি মাসে শিক্ষা সেমিনার আয়োজিত হয়। এছাড়াও আরবি ভাষা ও বক্তৃতাচর্চা বিভাগ প্রতি মাসে একটি সেমিনার এবং কাব্যরচনা বিভাগ প্রতিবছর ৪/৫ টি কাব্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে। নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ বিভাগ কর্তৃক প্রতি বছর ২১ দিন ব্যাপী ফ্রী মুয়াল্লিম তথা শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন জেলাতেও এই বিভাগের কার্যক্রম বিস্তৃত।<ref name=":কার্যক্রম">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=মাসুম|প্রথমাংশ=মাওলানা|তারিখ=১৮ জানুয়ারি ২০২২|শিরোনাম=সাহিত্য-সাংস্কৃতি, দা’ওয়াত তারবিয়্যত এবং খেদমত সম্পর্কিত জামিয়ার বহুমুখী কার্যক্রম|ইউআরএল=https://jionanupur.com/articles/10|সংগ্রহের-তারিখ=|ওয়েবসাইট=jionanupur.com|আর্কাইভের-তারিখ=১০ ডিসেম্বর ২০২৩|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20231210110924/http://jionanupur.com/articles/10|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> প্রতি বছর সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এই মাদ্রাসায় [[ইতিকাফ|ইতিকাফের]] আসর বসে, যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর হিসেবে বিবেচিত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/482047/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A7%8E-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%B0|শিরোনাম=দেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর|তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০২২|কর্ম=দৈনিক ইনকিলাব|সংগ্রহের-তারিখ=২০ মে ২০২৪|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ মে ২০২৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240515213303/https://m.dailyinqilab.com/article/482047/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A7%8E-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%B0|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> এই ধারাবাহিকতা আরম্ভ হয় ১৯৬৯ থেকে, তখন সুলতান আহমদ নানুপুরী সর্বপ্রথম ১৮ জন নিয়ে এই আসর শুরু করেন।{{Sfn|আহমদুল্লাহ|কাদির|২০১৮|p=১৬৮}}


== পরিচালিত সংস্থা ==
== পরিচালিত সংস্থা ==
=== আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ===
{{মূল নিবন্ধ|আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ}}
[[চিত্র:Al Manahil food distribution 28 October 2020.jpg|থাম্ব|ফাউন্ডেশন কর্তৃক নওগাঁয় খাদ্য বিতরণ]]
১৯৯৮ সালে জমির উদ্দিন নানুপুরী [[দাতব্য সংস্থা]] হিসেবে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি নলকূপ স্থাপন, মসজিদ, মাদ্রাসা-মক্তব, অজুখানা প্রতিষ্ঠা, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ এবং রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সেবা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা সহ নানারকম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://dainikazadi.net/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2/|শিরোনাম=অন্য উচ্চতায় আল মানাহিল|শেষাংশ=প্রতিবেদন|প্রথমাংশ=আজাদী|তারিখ=১০ জুলাই ২০২১|কর্ম=[[দৈনিক আজাদী]]|সংগ্রহের-তারিখ=৭ আগস্ট ২০২১|আর্কাইভের-তারিখ=১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20220212023859/https://dainikazadi.net/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2/|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>

=== জমীরিয়া দাওয়াত সেন্টার বাংলাদেশ ===
=== জমীরিয়া দাওয়াত সেন্টার বাংলাদেশ ===
ইসলামের দাওয়াত প্রদানের লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেশব্যাপী এই সংগঠনের কার্যক্রম বিস্তৃত। প্রতি বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার মসজিদে সংগঠনটির সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিভিন্ন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।<ref name=":কার্যক্রম" />
=== জমীরিয়া তা’লিম ও তাযকিয়া পরিষদ ===


=== জমীরিয়া তা'লিম ও তাযকিয়া পরিষদ ===
===আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ===
ইসলামের মৌলিক জ্ঞান প্রসারের লক্ষ্যে ২০১০ সালে জমির উদ্দিন নানুপুরী এই শিক্ষাবোর্ডটি গঠন করেন। এর অধীনে প্রায় ৮০০ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৬ জন।<ref name=":কার্যক্রম" />
[[চিত্র:Al Manahil food distribution 28 October 2020.jpg|থাম্ব|নওগাঁয় খাদ্য বিতরণ]]
বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত এই বেসরকারি সেবা সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন হেলালুদ্দিন বিন জমিরুদ্দিন। ১৯৯৮ সালে মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা শাহ জমিরুদ্দিন'ই এই স্বেচ্ছাসেবা সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2020/06/23/926255|শিরোনাম=চট্টগ্রামে করোনাসেবায় আল মানাহিল|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=কালের কন্ঠ|ভাষা=|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-13}}</ref>

রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সেবা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, গভীর নলকূপ স্থাপন, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ সহ বহু সেচ্ছাসেবী কর্ম প্রতিষ্ঠানটি করেছে।
চট্টগ্রামের হালিশহরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের জন্য একটি স্বতন্ত্র হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে এই সেচ্ছাসেবী সংস্থাটি<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2-157301|শিরোনাম=করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতাল প্রস্তুত করছে আল-মানাহিল|তারিখ=2020-06-18|ওয়েবসাইট=The Daily Star Bangla|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-13}}</ref>। এছাড়াও সেচ্ছাসেবী হিসেবে কোভিড-১৯ রোগে মৃত ব্যক্তিদের দাফনকর্মও সম্পাদনা করেছে এই সংস্থাটি।<ref name=":0" />। আল মানাহিল নার্চার হাসপাতাল: চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে এই
'ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার' টি অবস্থিত। এটিতে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য
কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jagonews24.com/national/news/595875|শিরোনাম=চট্টগ্রামে করোনা ডেডিকেটেড আল-মানাহিল হাসপাতালের যাত্রা শুরু|ওয়েবসাইট=https://wwww.jagonews24.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-13}}</ref>


== প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ==
== প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ==
=== সোলতানিয়া একাডেমী ===
=== সোলতানিয়া একাডেমী ===
শহরাঞ্চলে ইসলামি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে জমির উদ্দিন নানুপুরী চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদে ২৪ কাটা জায়গার উপর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাথমিকভাবে তিনতলা বিশিষ্ট ভবনে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কিন্ডারগার্ডেন ও হিফজ বিভাগ নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে একটি দশতলা বিশিষ্ট নির্মাণাধীন ভবনে একাডেমীকে একটি পূর্ণাঙ্গ বহুমুখী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতি মাসের প্রথম শনিবার এতে ইসলাহি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।<ref name=":কার্যক্রম" />
== শিক্ষার্থী ==


== আরও দেখুন ==
== আরও দেখুন ==
৬৩ নং লাইন: ৬২ নং লাইন:
* [[বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার তালিকা]]
* [[বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার তালিকা]]


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
<references />


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==
{{সহপ্রকল্প সংযোগসমূহ|wikt=no|n=no}}
{{সহপ্রকল্প সংযোগসমূহ|wikt=no|n=no}}


[[বিষয়শ্রেণী:জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫৭-এ পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত]]
[[বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার কওমি মাদ্রাসা]]
[[বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার কওমি মাদ্রাসা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ফটিকছড়ি উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান]]
[[বিষয়শ্রেণী:বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান]]
[[বিষয়শ্রেণী:ফটিকছড়ি উপজেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:দেওবন্দি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫৭-এ পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত]]

১৭:০১, ২৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর
আরবি: الجامعة الاسلامية العبيديه نانوفور
অন্যান্য নাম
নানুপুর মাদ্রাসা
প্রাক্তন নাম
ওবাইদিয়া হাফিজুল উলুম
ধরনকওমি মাদ্রাসা
স্থাপিত১৯৫৭; ৬৭ বছর আগে (1957)
প্রতিষ্ঠাতাআমির উদ্দিন
মূল প্রতিষ্ঠান
দারুল উলুম দেওবন্দ
অধিভুক্তিবেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ
ধর্মীয় অধিভুক্তি
ইসলাম
বাজেট১০ কোটি
মহাপরিচালকসালাহ উদ্দিন নানুপুরী
শায়খুল হাদিসকুতুব উদ্দীন নানুপুরী
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
১৫৫
শিক্ষার্থী৮০০০
অবস্থান২২°৩৭′৩৩″ উত্তর ৯১°৫০′৩১″ পূর্ব / ২২.৬২৫৯৪০৯° উত্তর ৯১.৮৪১৯৭৪২° পূর্ব / 22.6259409; 91.8419742
শিক্ষাঙ্গনপল্লী অঞ্চল
ওয়েবসাইটjionanupur.com
মানচিত্র

জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর (সংক্ষেপে নানুপুর মাদ্রাসা) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। ১৯৫৭ সালে আজিজুল হকের পরামর্শে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন আমির উদ্দিন। এটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অধিভুক্ত। ১৯৭৬ সালে মাদ্রাসার প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে মাসউদুল হকের মাধ্যমে এই মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস চালু হয়। বর্তমান মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস কুতুব উদ্দিন নানুপুরী। মাদ্রাসার তৃতীয় পরিচালক জমির উদ্দিন নানুপুরীর সময়ে মাদ্রাসার অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বর্তমানে মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন সালাহ উদ্দিন নানুপুরী। ২০১৯ সালে প্রথম কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এটি অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। এই মাদ্রাসায় প্রতি বছর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর বসে। শিক্ষা-কার্যক্রমের বাইরে মাদ্রাসাটি সমাজসেবা ও দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এজন্য পরিচালিত সংস্থার মধ্যে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ অন্যতম।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রেক্ষাপট

[সম্পাদনা]

ইসলামি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে ওবাইদুল হক তার নিজ গ্রাম নানুপুরের কালু মুন্সিরহাটে মাদ্রাসায়ে হেমায়াতুল ইসলাম নামে একটি কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।[] এই মাদ্রাসায় পর্যায়ক্রমে কওমি মাদ্রাসার জামাতে চাহারুম পর্যন্ত চালু হয়। এরপরে ছাত্ররা উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে দারুল উলুম দেওবন্দ, দারুল উলুম হাটহাজারী অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গমন করতেন। তবে ওবাইদুল হকের মৃত্যুর পর মাদ্রাসার কার্যক্রমে ক্রমান্বয়ে ভাটা চলে আসে এবং এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। এই মাদ্রাসার অন্যতম ছাত্র ছিলেন আমির উদ্দিন, যিনি এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা সমাপ্ত করে দারুল উলুম দেওবন্দে চলে যান।[]

প্রতিষ্ঠা

[সম্পাদনা]
মাদ্রাসার শাহী গেইট

আমির উদ্দিন দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ালেখা সমাপ্ত করে দেশে প্রত্যাবর্তনের সময় তার শিক্ষক হুসাইন আহমদ মাদানি তাকে নিজ এলাকায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।[] দেশে ফিরে তিনি তার পূর্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হেমায়াতুল ইসলাম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন, যেখানে তিনি সাত বছর পড়ালেখা করেছেন।[] পরবর্তীতে এই মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি বাবুনগর মাদ্রাসায় যোগদান করেন এবং নানুপুরে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে বাবুনগর মাদ্রাসা থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি তার বন্ধু মাহমুদ অলীর পরামর্শে একটি নতুন মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেন।[] প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি নানুপুর বাজারের উত্তর পার্শ্ববর্তী মসজিদে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয় নি। পরবর্তীতে তিনি পটিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হকের সাথে পরামর্শ করেন। আজিজুল হক তাকে নানুপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমানের ইবাদতখানায় মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে তিনি ১৩৭৭ হিজরির ২৯ শাওয়াল মোতাবেক ১৯৫৭ সাল থেকে এই ইবাদতখানায় পড়াশোনা শুরু করেন।[] তার সাথে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন মাহমুদ অলী ও ভুজপুরের কারী হামেদ। ধীরে ধীরে ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তিনি সেখানে একটি বাঁশের ঘর নির্মাণ করেন এবং আবু সুফিয়ানকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। পর পর দুইবার বাঁশের ঘরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তৃতীয়বার ১৯৬০ সালের ৫ ডিসেম্বর অগ্নিকাণ্ডে মাদ্রাসাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্থানীয়দের পরামর্শে সেখানে মাটির ঘর নির্মাণ করা হয়।[] তিনি তার শিক্ষক ওবাইদুল হকের নামানুসারে এই মাদ্রাসার নাম রাখেন 'ওবাইদিয়া হাফিজুল উলুম'।[]

ক্রমবিকাশ

[সম্পাদনা]
মাদ্রাসার তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদ

আমির উদ্দিন ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন। তার আমলে মাদ্রাসা মক্তব থেকে হিফজ পর্যায়ক্রমে জামাতে শশুমে উন্নীত হয়। তখন ছাত্রসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫০ এবং শিক্ষক ৫/৬ জন।[] ১৯৬০ সালে তিনি হজ্জে গমন করেন। হজ্জে গমনের পূর্বে তিনি আজিজুল হকের সাথে পরামর্শ করে সুলতান আহমদ নানুপুরীকে মাদ্রাসার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান।[] তার নিয়োগের পর হাজী আব্দুস সালামের অর্থায়নে ইটের দেয়াল ও একটি বড় পুকুর খনন করে তার সংলগ্ন পাকা ঘাট নির্মাণ করা হয়।[] ১৯৬৫ সালে তিনি জমির উদ্দিন নানুপুরীকে মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।[] ১৯৭৬ সালে এখানে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস চালু হয় আর প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পান মাসউদুল হক।[] ১৯৮৫ সালে সুলতান আহমদ নানুপুরী জমির উদ্দিন নানুপুরীকে মাদ্রাসার পরিচালক মনোনীত করেন।[] তার সময়ে মাদ্রাসার ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটে এবং এটি অন্যতম ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।[] তার আমলে মধ্যখানে মাঠসহ চতুর্দিকে মাদ্রাসা ভবন, তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অতিথিশালা, চর্তুদিকে পাকা ঘাট বিশিষ্ট পুকুর ও বাবুর্চিখানা নির্মিত হয়।[] ২০১১ সালে জমির উদ্দিন নানুপুরীর মৃত্যুর পর মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান সালাহ উদ্দিন নানুপুরী[১০] ২০১৫ সালে এই মাদ্রাসায় উচ্চতর তাফসির বিভাগের সূচনা হয়।[১১] শেখ আহমদের পর ২০১৮ সালে কুতুব উদ্দিন নানুপুরীকে মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মনোনীত করা হয়।[১২] ২০১৯ সালে প্রথম কওমি মাদ্রাসা হিসেবে এটি অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে।[১৩] ২০২৪ সালে মাদ্রাসার নিজস্ব অর্থায়নে নানুপুর ইউনিয়নে চালু হয় ওবাইদিয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন।

ব্যবস্থাপনা

[সম্পাদনা]
মাদ্রাসার শিক্ষাভবনের একাংশ

এই প্রতিষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তর থেকে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর) এবং তার পরবর্তী উচ্চতর তাফসির বিভাগ, উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগ, উচ্চতর ইসলামি আইন বিভাগ, উচ্চতর তাজবিদ ও কেরাত বিভাগ, উচ্চতর আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, উচ্চতর দাওয়া বিভাগ, উচ্চতর বাংলা/ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ রয়েছে।[] এছাড়াও কম্পিউটার কোর্স, হস্তলিপি, দরজীগিরি ও বই পুস্তক বাইন্ডিংসহ বিভিন্ন হস্তশিল্প ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। বিশেষ বিভাগ হিসেবে আছে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ইসলামি কিন্ডার গার্ডেন, কুরআন মুখস্থকারীদের জন্য তাহফীযুল কুরআন বিভাগ এবং স্কুল কলেজের ছাত্রদের আলেম হওয়ার কোর্স হিসেবে সর্টকোর্স বিভাগ। ছাত্রদের বিনা বেতনে শিক্ষাদান ও বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় পাঠ্য পুস্তক ফ্রি প্রদান করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৮০০০ এবং শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫৫ জন।[] মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার 'সুলতানিয়া পাঠাগার' সকলের জন্য উন্মুক্ত। এর পক্ষ থেকে প্রতি মাসে শিক্ষা সেমিনার আয়োজিত হয়। এছাড়াও আরবি ভাষা ও বক্তৃতাচর্চা বিভাগ প্রতি মাসে একটি সেমিনার এবং কাব্যরচনা বিভাগ প্রতিবছর ৪/৫ টি কাব্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে। নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ বিভাগ কর্তৃক প্রতি বছর ২১ দিন ব্যাপী ফ্রী মুয়াল্লিম তথা শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন জেলাতেও এই বিভাগের কার্যক্রম বিস্তৃত।[১৪] প্রতি বছর ২ সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এই মাদ্রাসায় ইতিকাফের আসর বসে, যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর হিসেবে বিবেচিত।[১৫] এই ধারাবাহিকতা আরম্ভ হয় ১৯৬৯ থেকে, তখন সুলতান আহমদ নানুপুরী সর্বপ্রথম ১৮ জন নিয়ে এই আসর শুরু করেন।[]

পরিচালিত সংস্থা

[সম্পাদনা]

আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

[সম্পাদনা]
ফাউন্ডেশন কর্তৃক নওগাঁয় খাদ্য বিতরণ

১৯৯৮ সালে জমির উদ্দিন নানুপুরী দাতব্য সংস্থা হিসেবে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি নলকূপ স্থাপন, মসজিদ, মাদ্রাসা-মক্তব, অজুখানা প্রতিষ্ঠা, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ এবং রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সেবা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা সহ নানারকম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।[১৬]

জমীরিয়া দাওয়াত সেন্টার বাংলাদেশ

[সম্পাদনা]

ইসলামের দাওয়াত প্রদানের লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেশব্যাপী এই সংগঠনের কার্যক্রম বিস্তৃত। প্রতি বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার মসজিদে সংগঠনটির সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিভিন্ন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।[১৪]

জমীরিয়া তা'লিম ও তাযকিয়া পরিষদ

[সম্পাদনা]

ইসলামের মৌলিক জ্ঞান প্রসারের লক্ষ্যে ২০১০ সালে জমির উদ্দিন নানুপুরী এই শিক্ষাবোর্ডটি গঠন করেন। এর অধীনে প্রায় ৮০০ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৬ জন।[১৪]

প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা]

সোলতানিয়া একাডেমী

[সম্পাদনা]

শহরাঞ্চলে ইসলামি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে জমির উদ্দিন নানুপুরী চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদে ২৪ কাটা জায়গার উপর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাথমিকভাবে তিনতলা বিশিষ্ট ভবনে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কিন্ডারগার্ডেন ও হিফজ বিভাগ নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে একটি দশতলা বিশিষ্ট নির্মাণাধীন ভবনে একাডেমীকে একটি পূর্ণাঙ্গ বহুমুখী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতি মাসের প্রথম শনিবার এতে ইসলাহি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।[১৪]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মাসুম, মাওলানা (১৮ জানুয়ারি ২০২২)। "জামিয়ার অতীত ও বর্তমান"jionanupur.com। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. আহমদুল্লাহ, হাফেজ; কাদির, রিদওয়ানুল (২০১৮)। মাশায়েখে চাটগাম২য় (১ম সংস্করণ)। ১১/১, ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: আহমদ প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৩৬৩। ২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০২১ 
  3. আহমদুল্লাহ ও কাদির ২০১৮, পৃ. ৩৬২।
  4. আহমদুল্লাহ ও কাদির ২০১৮, পৃ. ৩৬৪।
  5. আহমদুল্লাহ ও কাদির ২০১৮, পৃ. ৩৬৫।
  6. আহমদুল্লাহ ও কাদির ২০১৮, পৃ. ১৬৮।
  7. নিজামপুরী ২০১৩, পৃ. ৩৭৮।
  8. ছরোয়ার, মুহাঃ গোলাম (২০১৪)। বাংলা ভাষায় ফিকহ চর্চা (১৯৪৭-২০০৬): স্বরূপ ও বৈশিষ্ঠ্য বিচার (পিএইচডি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২৮৫–২৮৬। ২৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২১ 
  9. নিজামপুরী, আশরাফ আলী (২০১৩)। দ্যা হান্ড্রেড (বাংলা মায়ের একশ কৃতিসন্তান) (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: সালমান প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৩৭৯। আইএসবিএন 112009250-7। ২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২২ 
  10. মাসুম, মাওলানা (১৭ জানুয়ারি ২০২২)। "এক নজরে জামিয়া ওবাইদিয়া"jionanupur.com। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. মাসুম, মাওলানা (১৯ জানুয়ারি ২০২২)। "তাফসীর বিভাগ পরিচিতি"jionanupur.com। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  12. "নানুপুর মাদরাসার নতুন শাইখুল হাদিস মুফতি কুতুব উদ্দীন"আওয়ার ইসলাম। ২৬ জুন ২০১৮। ২১ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৪ 
  13. "কওমিতে প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভর্তি"প্রবাসীর দিগন্ত। ১৪ মার্চ ২০১৯। ১৫ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৪ 
  14. মাসুম, মাওলানা (১৮ জানুয়ারি ২০২২)। "সাহিত্য-সাংস্কৃতি, দা'ওয়াত ও তারবিয়্যত এবং খেদমত সম্পর্কিত জামিয়ার বহুমুখী কার্যক্রম"jionanupur.com। ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  15. "দেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর"দৈনিক ইনকিলাব। ৩০ এপ্রিল ২০২২। ১৫ মে ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৪ 
  16. প্রতিবেদন, আজাদী (১০ জুলাই ২০২১)। "অন্য উচ্চতায় আল মানাহিল"দৈনিক আজাদী। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]