সুলতান আহমদ নানুপুরী
শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী (২৬ জুন ১৯১৪ — ১৬ আগস্ট ১৯৯৭) (নানুপুরী হুজুর নামে সমাধিক পরিচিত) ছিলেন একজন বাংলাদেশী দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুরের প্রতিষ্ঠাতা-মুহতামিম ছিলেন। তিনি পটিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আজিজুল হকের শীর্ষস্থানীয় খলিফাদের একজন এবং তার শিষ্যদের মধ্যে জমির উদ্দিন নানুপুরী অন্যতম। তিনি এবং তার শিষ্যরা দেশব্যাপী ব্যাপক ধর্মীয় সংস্কার করেছেন এবং জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল হুদা সহ কয়েকশত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি প্রচলিত সুফিবাদের পরিবর্তে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক সুফিবাদ চর্চায় মনোনিবেশ করেছিলেন এবং শিরক ও বিদআতের বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন। তার অনুসারীদের কাছে তিনি ‘শায়খুল আরব ওয়াল আজম’, ‘ইমামুল আরেফিন’, ‘সুলতানুল আরেফিন’, ‘কুতুবে আলম’, ‘রাহবারে তরীকত’, ‘ওলিকূল শিরোমণি’ ইত্যাদি নামে পরিচিত।
ইমামুল আরেফীন শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী | |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা-মুহতামিম, জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর | |
অফিসে ১৯৫৮ – ১৯৭৫ | |
পূর্বসূরী | মুফতি আযিযুল হক |
উত্তরসূরী | জমির উদ্দিন নানুপুরী |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ২৬ জুন ১৯১৪ |
মৃত্যু | ১৬ আগস্ট ১৯৯৭ | (বয়স ৮৩)
সমাধিস্থল | মাকবারায়ে সুলতানিয়া, নানুপুর |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
সন্তান |
|
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদিস, দর্শন, তাসাউফ |
উল্লেখযোগ্য কাজ |
|
যেখানের শিক্ষার্থী | |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন
|
জন্ম ও বংশ
সম্পাদনানানুপুরী ১৯১৪ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার ধর্মপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফজলুর রহমান বার্মার রেঙ্গুনে চাকরি করতেন এবং মা ওমদা খাতুন। তার পঞ্চম পূর্বপুরুষ আকবর শাহ আরব থেকে আফগানিস্তান হয়ে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে এসেছিলেন এবং বসতি স্থাপন করেছিলেন। ফজলুর রহমানের ঔরসে আরও কয়েকজন সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল। একমাত্র নানুপুরী ছাড়া সকলেই শিশুকালে মারা যায়। পরিবারে তাকে ‘বাদশাহ’ নামে ডাকা হত। আড়াই বছর বয়সে কলেরা মহামারিতে তার মা মারা যান।[২][৩]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাপ্রথমে তিনি স্থানীয় ওবায়দুল হক মিয়াজির মক্তবে ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পাঁচ বছর বয়সে ভর্তি হন গর্জনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে পিতার নির্দেশে তাকে নানুপুর কালু মুন্সিরহাটে অবস্থিত মাদ্রাসা হেমায়েতুল ইসলামে ভর্তি করানো হয়। এখানে ওবায়দুল হক ও মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহর অধীনে তিনি জামাতে ইয়াজদাহুম (প্রাথমিক) থেকে জামাতে শশুম (নিম্ন মাধ্যমিক) পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। জামাতে শশুমে অধ্যায়নকালে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মায়ের পরামর্শে তিনি চট্টগ্রাম শহরের দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এই শিক্ষাক্রম পছন্দ না হওয়ায় মাসখানেক পর মাদ্রাসা ত্যাগ করে তিনি বাড়িতে চলে যান।[৪]
এরপর তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ যেতে মনস্থ করলেন এবং ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বরে দেওবন্দের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। পথিমধ্যে কুষ্টিয়ায় তার মামার সাথে সাক্ষাৎ হয়। মামার মাধ্যমে তিনি পাটনার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। মাদ্রাসাটি আহলে হাদিস মতাবলম্বীদের হওয়ায় এক বছর পর পর তিনি বাড়ি চলে আসেন।[৪]
এরপর তিনি সরাসরি দারুল উলুম দেওবন্দ চলে যান এবং জামাতে শশুমে পুনরায় ভর্তি হন। পাশাপাশি দারুল উলুম দেওবন্দের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামতি করতেন। মাঝখানে কয়েকদিন মাজাহির উলুম, সাহারানপুরে পড়ার পর দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। এরপর দেওবন্দে উচ্চতর দর্শনশাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে হুসাইন আহমদ মাদানি, মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, ইজাজ আলী আমরুহী, ইব্রাহিম বলিয়াভি, জহুর আহমদ, হাবিবুল্লাহ মিরাঠী, রিয়াজ উদ্দিন সহ প্রমুখ খ্যাতিমান ব্যক্তি।[৪]
কর্মজীবন
সম্পাদনাদেওবন্দ অধ্যয়নকালে শিক্ষা সমাপ্তির পর নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় যোগদানের জন্য তিনি একটি চিঠি পেয়েছিলেন। এ মোতাবেক দেশে প্রত্যাবর্তনের পর নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার মহাপরিচালক নুর আহমদ তৎকালীন মুসলিম লীগের সমর্থক জাফর আহমদ উসমানিকে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন। “ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদ্রাসাকে রাজনীতির প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে” এই যুক্তি দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করে বাবুনগর মাদ্রাসায় চলে যান। বাবুনগর মাদ্রাসায় তিনি ১৫ বছর অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তীতে আজিজুল হকের নির্দেশে কিছুকাল অস্থায়ী এবং ১৯৬১ সালে স্থায়ী মহাপরিচালক হিসেবে জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর মাদ্রাসায় যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে জমির উদ্দিন নানুপুরীকে তার স্থলাভিষিক্ত করে মহাপরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন।[৫]
শিক্ষকতা জীবনে তার উল্লেখযোগ্য ছাত্রদের মধ্যে জামেয়া বাবুনগরের শায়খুল হাদিস ওবাইদুর রহমান, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আব্দুর রহমান, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক হাফেজ শামসুদ্দিন, বাবুনগর মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালক মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নানুপুর মাদ্রাসার সাবেক শায়খুল হাদিস মাওলানা হারুন, এয়ার মুহাম্মদ, আমতলী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা আনোয়ার, আল জামিয়াতুল মাদানিয়া চট্টগ্রামের অধ্যাপক আহমদ গণী, জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুলতান যওক নদভী সহ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।[৪][৬]
তাসাউফ
সম্পাদনাদেওবন্দ অধ্যায়নকালে তিনি সাত বছর হুসাইন আহমদ মাদানির সান্নিধ্যে ছিলেন এবং ১৯৪৪ সালের ১৮ নভেম্বর তার কাছে বায়’আত হয়েছিলেন। মাঝখানে ঈদুল আযহার ছুটিতে আশরাফ আলী থানভীর সাক্ষাতে গিয়েছিলেন। থানভী অসুস্থ থাকায় তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন নি। পরবর্তীতে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর মাদানির সাথে যোগাযোগ কমে যায় এবং দেশভাগের পর যোগাযোগ করাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। নানুপুরী তার এ অবস্থা বর্ণনা করে মাদানিকে একটি চিঠি লিখেন। মাদানি তাকে অন্য কোন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বের কাছে তাসাউফের শিক্ষা নিতে অনুমতি প্রদান করেন। তারপর তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হকের নিকট বায়’আত হন ও খেলাফত লাভ করেন। ১৫ বছর তার সান্নিধ্যে ছিলেন।[৭]
অবদান
সম্পাদনাতিনি শিরক ও বিদআতের বিরুদ্ধে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুরের দায়িত্ব গ্রহণকালে এর অবস্থা ছিল খুবই নাজুক, তিনি এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। জামিয়া নানুপুরকে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই অনেক সময় তাকে জামিয়া নানুপুরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়। যেসব এলাকায় মাদ্রাসা নাই, সেসব এলাকায় মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ব্যপারে তিনি সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর কক্সবাজারের পোকখালীতে তিনি আল জামিয়া আল ইমদাদিয়া আজিজুল উলুম নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন যা ‘পোকখালী মাদ্রাসা’ হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত, বর্তমানে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ইসলামি বিদ্যাপিঠ। তার প্রতিষ্ঠিত কয়েকশত মাদ্রাসার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল হুদা
- কুমিল্লাহ রানির বাজার মাদ্রাসা
- জামিয়া আজিজিয়া সুলতানুল উলুম খিরাম
- জামিয়া সুলতানিয়া মক্কাতুল মুকাররমা, সৌদি আরব
- ঢাকা জোয়ার সাহারা মাদ্রাসা
- মরিচ্যা ইনানি আজিজিয়া সুলতানুল উলুম মাদ্রাসা
- দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপীঠ হরিণাকুলিয়া জামিয়া এমদাদিয়া মাদ্রাসা, বরিশাল
এছাড়াও তিনি অনেক মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি ‘মাসিক আর রশিদ ’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন যা পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি ছিলেন মূলত একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও ইসলাম প্রচারক। তার নিকট অনেক অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তার অনুসারীরা তাকে ‘শায়খুল আরব ওয়াল আজম’, ‘ইমামুল আরেফিন’, ‘সুলতানুল আরেফিন’, ‘কুতুবে আলম’, ‘রাহবারে তরীকত’, ‘ওলিকূল শিরোমণি’ ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করে থাকেন।[৪]
হজ্জ
সম্পাদনাস্বীয় পীর আজিজুল হকের সাথে তিনি সর্বপ্রথম হজ্জে গমন করেন। ১৯৬৭ সালে দানবীর হিসেবে খ্যাত নেয়ামত আলী সওদাগরের অর্থায়নে দ্বিতীয়বার হজ্জে যান। ১৯৭০ সালে হাজী মুহাম্মদ ইউনুস ও মুফতি আব্দুর রহমানের সাথে তৃতীয় বারের মত হজ্জে যান। তার সর্বশেষ হজ্জ ছিল ১৯৯১ সালে। এই হজ্জে তার সফরসঙ্গী ছিলেন জামিয়া সুলতানিয়া লালপোলের প্রতিষ্ঠিতা মুফতি সাইদ আহমদ ও জামিয়া নানুপুরের বড় কারী আফসার আহমদ।[৪]
পরিবার
সম্পাদনাতিনি ১৯৪৫ সালের ২১ জানুয়ারি মুন্সি আব্দুল খালেকের প্রথম কন্যা মোমেনা খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার ঔরসে ৪ ছেলে ও ৬ মেয়ে জন্মগ্রহণ করে, যার মধ্যে ২ ছেলে শিশুকালেই মৃত্যুবরণ করে। তার ছোট ছেলে এমদাদুল্লাহ নানুপুরী, একজন শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশী আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, যিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুল হুদার মহাপরিচালক।[৮]
মৃত্যু
সম্পাদনাতিন বছর অসুস্থ থাকার পর ১৯৯৭ সালের ১৬ আগস্ট জামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুরের নিজ কক্ষে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন আলী আহমদ বোয়ালভির ইমামতিতে নানুপুর মাদ্রাসার মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তার বড় ছেলে হুসাইন আহমদ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করায় তার প্রথম জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরলে এমদাদুল্লাহ নানুপুরীর ইমামতিতে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে মাকবারায়ে সুলতানিয়ায় দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।[৪]
উত্তরাধিকার
সম্পাদনাতার স্মরণে মুফতি সাইদ আহমদ[ক] ফেনীতে জামিয়া ইসলামিয়া সুলতানিয়া নামে একটি ইসলামি বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ‘শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এর জীবন ও আদর্শ ’ শিরোনামে একটি জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন, যা হাকিমুল ওলামা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।[৭] তার অন্যান্য জীবনী গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে শাহ আহমদ গণী রচিত ‘শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এর জীবন ও অবদান ’ এবং উর্দু ভাষায় রচিত ও ১১ খণ্ডে প্রকাশিত ‘মাআরিফে সুলতান ’, যার রচয়িতা আব্দুল মাজেদ মুহাজিরে মক্কী। পরবর্তীতে আব্দুস সালাম চাটগামীর সম্পাদনায় এটি ২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়।[৯][১০] তার শিষ্যরা তার নামে বহু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তার বক্তব্য সমূহ বিভিন্ন প্রকাশনায় সংকলিত হয়েছে। ২০১৮ সালে জামিয়া বায়তুল হুদা থেকে ‘সাময়িকী আস সুলতান ’ নামে একটি নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশিত হয়।[৮] এছাড়াও তার অন্যান্য জীবনীগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
- মাওয়ায়েজে সুলতান (২০০৭) - মুফতি মইন উদ্দিন (প্রধান মুফতি বসুন্ধরা মাদ্রাসা)
- ফুয়ুজে সুলতানি (২০০৫) - মাওলানা রফিক (শিক্ষাসচিব,নানুপুর মাদ্রাসা)
- নানুপুরী রহ. এর জীবন ও দর্শন (২০০০) - এমদাদ উল্লাহ নানুপুরী (মহাপরিচালক, জামিয়া বায়তুল হুদা)
- কেমন ছিলেন নানুপুরী (২০০৮) - মাহমুদুল হাসান(স্নাতক, নানুপুর মাদ্রাসা)
- হায়াতে নানুপুরী রহ. (১৯৯৯) - প্রফেসর মুনাওয়ার
- মালফুজাতে নানুপুরী
তার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত সংস্থা সমূহের মধ্যে “আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ রহ. ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” অন্যতম।
আরও দেখুন
সম্পাদনাপাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ যিনি নানুপুরীর শীর্ষস্থানীয় খলিফা ছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ডেস্ক, ধর্ম (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "প্রখ্যাত আলেম মাওলানা সিদ্দিক আহমদের ইন্তেকাল"। জাগোনিউজ২৪.কম। ২০২২-০১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৪।
- ↑ এস এম আমিনুল ইসলাম, মাওলানা; ইসলাম, সমর (জানুয়ারি ২০১৪)। (মাওলানা সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ.) । বাংলার শত আলেমের জীবনকথা। বাংলাবাজার,ঢাকা-১১০০: বইঘর। পৃষ্ঠা ৩৩৬—৩৩৮।
- ↑ দৌলত আলী খান, মাওলানা (২৫ আগস্ট ২০১৭)। "এক দুনিয়া বিমুখ আধ্যাত্মিক রাহবার"। দৈনিক ইনকিলাব। ১৫ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ হাফেজ আহমদুল্লাহ, মুফতি; রিদওয়ানুল কাদির, মুফতি (ফেব্রুয়ারী ২০১৮)। (শায়খুল আরব ওয়াল আজম, কুতুবুল আলম আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. ( ১৩৩২-১৪১৮ হি. ) - এর সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত) । মাশায়েখে চাটগাম — ২য় খণ্ড (১ম সংস্করণ)। ১১/১, ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: আহমদ প্রকাশন। পৃষ্ঠা ১৬২ — ১৮৫।
- ↑ নিজামপুরী, আশরাফ আলী (২০১৩)। (রাহবারে তরীকত মাওলানা সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ.) । দ্যা হান্ড্রেড (বাংলা মায়ের একশ কৃতিসন্তান) (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: সালমান প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৩৬২ — ৩৬৪। আইএসবিএন 112009250-7।
- ↑ আহসান সাইয়েদ, ড. (২০০৬)। বাংলাদেশে হাদিস চর্চা উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। ১৯ সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২৬১। আইএসবিএন 9789842005602। ৩১ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২১।
- ↑ ক খ সাইদ আহমদ, মুফতি। শায়খুল আরব ওয়াল আজম, কুতুবুল আলম আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এর জীবন ও আদর্শ। লালপোল, ফেনী: হাকিমুল ওলামা ফাউন্ডেশন।
- ↑ ক খ । জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল হুদার দারুল ইফতার ছাত্রদের উদ্যোগে প্রকাশিত। "আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এর স্বরণে সাময়িকী"। আস সুলতান। নানুপুর, চট্টগ্রাম: আস সুলতান কাফেলা। নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ শাহ আহমদ গণী, মাওলানা। আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এর জীবন ও অবদান। নানুপুর, চট্টগ্রাম: আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
- ↑ মুহাজিরে মক্কী, আব্দুল মাজেদ। মাআরিফে সুলতান। নানুপুর, চট্টগ্রাম।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- উল্লাহ, মুহাম্মদ আহসান (২০২১)। বাংলা ভাষায় হাদিস চর্চা (১৯৫২-২০১৫) (পিএইচডি)। বাংলাদেশ: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৩৯৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- আজমী, নূর মুহাম্মদ (২০০৮)। হাদিসের তত্ত্ব ও ইতিহাস। বাংলাবাজার, ঢাকা: এমদাদিয়া পুস্তকালয়। পৃষ্ঠা ২৫৭।
- বেদারুল আলম, মুহাম্মদ। "আল্লামা শাহ ছোলতান আহমদ নানুপুরী (রহ.) : মরণে হাসিলে তুমি, কেঁদেছে ভুবন"। মাসিক আত তাওহীদ। আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া। ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২১।
- আহসান সাইয়েদ, ড. (২০০৬)। বাংলাদেশে হাদিস চর্চা উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। ১৯ সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২৬১। আইএসবিএন 9789842005602।
- এস এম আমিনুল ইসলাম, মাওলানা; ইসলাম, সমর (জানুয়ারি ২০১৪)। (মাওলানা সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ.) । বাংলার শত আলেমের জীবনকথা। বাংলাবাজার,ঢাকা-১১০০: বইঘর। পৃষ্ঠা ৩৩৬—৩৩৮।
- দারুল ইফতা, জামেয়া বায়তুল হুদা (নভেম্বর ২০১৮)। জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুল হুদার দারুল ইফতার ছাত্রদের উদ্যোগে প্রকাশিত। "আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এর স্বরণে সাময়িকী"। আস সুলতান। নানুপুর, চট্টগ্রাম: আস সুলতান কাফেলা।
- দৌলত আলী খান, মাওলানা (২৫ আগস্ট ২০১৭)। "এক দুনিয়া বিমুখ আধ্যাত্মিক রাহবার"। দৈনিক ইনকিলাব।
- নিজামপুরী, আশরাফ আলী (২০১৩)। (রাহবারে তরীকত মাওলানা সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ.) । দ্যা হান্ড্রেড (বাংলা মায়ের একশ কৃতিসন্তান) (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: সালমান প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৩৬২ — ৩৬৪। আইএসবিএন 112009250-7।
- বাবুনগরী, জুনায়েদ (১৯ আগস্ট ২০১৫)। "দ্বীন ইসলামের উজ্জল প্রদীপ শাহ সোলতান আহমদ নানুপুরী রহ."। কওমি মাদ্রাসা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৯।
- মুহাজিরে মক্কী, আব্দুল মাজেদ। মাআরিফে সুলতান। নানুপুর, চট্টগ্রাম।
- শাহ আহমদ গণী, মাওলানা। আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এর জীবন ও অবদান। নানুপুর, চট্টগ্রাম: আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
- সাইদ আহমদ, মুফতি। শায়খুল আরব ওয়াল আজম, কুতুবুল আলম আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. এর জীবন ও আদর্শ। লালপোল, ফেনী: হাকিমুল ওলামা ফাউন্ডেশন।
- হাফেজ আহমদুল্লাহ, মুফতি; রিদওয়ানুল কাদির, মুফতি (ফেব্রুয়ারী ২০১৮)। (শায়খুল আরব ওয়াল আজম, কুতুবুল আলম আল্লামা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. ( ১৩৩২-১৪১৮ হি. ) - এর সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত) । মাশায়েখে চাটগাম — ২য় খণ্ড (১ম সংস্করণ)। ১১/১, ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: আহমদ প্রকাশন। পৃষ্ঠা ১৬২ — ১৮৫।
- হাসনাবাদী, মুহাম্মদ জাকারিয়া (২০২৩)। মাশায়েখে বাবুনগর। বাংলাদেশ: ইত্তিহাদ পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ৭৩–৭৫।