বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা
বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্ববৃহৎ সামরিক কারখানা। এটি গাজীপুরে অবস্থিত। এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ, এবং অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
ধরন | রাষ্ট্র চালিত |
---|---|
শিল্প | অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রস্তুতকারক |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭০ |
সদরদপ্তর | গাজীপুর, বাংলাদেশ |
প্রধান ব্যক্তি | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
পণ্যসমূহ | পদাতিক অস্ত্র, ছোট অস্ত্র, কামান, বিস্ফোরক ইত্যাদি |
মাতৃ-প্রতিষ্ঠান | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
ওয়েবসাইট | http://www.bof.gov.bd |
ইতিহাস
সম্পাদনাকারখানাটি আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ এপ্রিল ১৯৭০ সালে উদ্বোধন করা হয়। গাজীপুর জেলার চতর মৌজার ৩০৩ একর জমির ওপর কারখানা এবং আবাসিক এলাকা নিয়ে সমরাস্ত্র কারখানা স্থাপিত। ১৯৭০ সালে এটির উদ্বোধন করা হয়। যদিও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এটির যথেষ্ট ক্ষতি হয়, এরপর এটির ক্ষমতা পুনঃস্থাপন এবং প্রসারিত করা হয়।[১]
বিওএফ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড’ কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে ৪ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সাল থেকে কারখানাটি সরাসরি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। ব্রিগেডিয়ার এম করিম উল্লাহ ছিলেন এই কারখানার প্রথম পরিচালক।।[২]
প্রযুক্তি
সম্পাদনাপ্রাথমিক পর্যায়ে এখানে প্রযুক্তির মেশিন সেট করা, যন্ত্রপাতি এবং সমর্থন সুবিধা চীন থেকে আনা হয়, কিন্তু পরে অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, জার্মানি ও ইতালি থেকে ধীরে ধীরে প্রযুক্তি যোগ করা হয়। এটি এখন উৎপাদনের জন্য শিল্প কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রসেস/সিস্টেমের প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
কারখানা
সম্পাদনাএটি বর্তমানে নিম্নলিখিত কারখানা পরিচালনা করে। [৩]
- ছোট অস্ত্র কারখানা
- ছোট অস্ত্র গোলাবারুদ কারখানা
- গ্রেনেড উৎপাদন কারখানা
- কামান গোলাবারুদ কারখানা
- সরঞ্জাম উৎপাদন প্ল্যান্ট
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Bangladesh Ordnance Factories
- ↑ Bangladesh Ordnance Factories
- ↑ "B.O.F. - About Us"। ২৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৩।