ফণী মজুমদার

ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক

ফণী মজুমদার (২৮ ডিসেম্বর ১৯১১-১৬ মে ১৯৯৪) ভারতের হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি চিত্রপরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক।,[] ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তার পরিচালিত প্রথম ছবিস্ট্রিট সিঙ্গার-এ ( কে এল সাইগলের গাওয়া বাবুল মোরা নাইহার টুটহি যায় বিশেষ জনপ্রিয় হয়। তিনি সিঙ্গাপুরেও কাজ করেছিলেন। সেখানে তিনি ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে হ্যাং টুয়া মালয় ভাষায় তৈরি করেছিলেন, যা সপ্তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন বিয়ারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। []

ফণী মজুমদার
জন্ম(১৯১১-১২-২৮)২৮ ডিসেম্বর ১৯১১
মৃত্যু১৬ মে ১৯৯৪(1994-05-16) (বয়স ৮২)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার
কর্মজীবন১৯৩৮- ১৯৮৬
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

ফণী মজুমদারের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের রংপুরে। তাঁদের বাড়ি ছিল ফরিদপুরে। পিতা শীতলচন্দ্র মজুমদার রংপুরের গোবিন্দগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন। তিনি রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে আই.এ পাশ করেন। এরপর টাইপরাইটিং ও শর্টহ্যান্ড শিক্ষা করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় বীরেন্দ্রনাথ সরকার প্রতিষ্ঠিত নিউ থিয়েটার্সে প্রমথেশ বড়ুয়ার সহকারী হিসাবে 'দেবদাস', 'গৃহদাহ', 'মায়া', 'মুক্তি' প্রভৃতি হিন্দি ও বাংলা সংস্করণে কাজ করেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে স্ট্রিট সিঙ্গার-এর জনপ্রিয়তার পর এরই বাংলা সংস্করণে সাথীর নায়ক ও নায়িকা ছিলেন যথাক্রমে সায়গল ও কাননবালা। এরপর একে একে মুক্তি পায় তার পরিচালিত 'কপালকুণ্ডলা' (হিন্দি ১৯৩৯), 'ডাক্তার'(বাংলা ও হিন্দিতে ১৯৪০), 'আরতি' প্রভৃতি ছবি। কলকাতায় তার শেষ বাংলা ছবি 'অপরাধ' মুক্তি পায় ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে তিনি বোম্বাই বর্তমানে মুম্বই চলে যান এবং সেখানে 'বোম্বাই টকীজে' কাজ করতে থাকেন। সেখানে তার পরিচালিত হিন্দি ছবি 'তমন্না', 'মোহাব্বত', 'মীনা', 'দেবদাসী', 'দূর চলে', 'ইনসাফ', 'হাম ভি ইনসান হ্যায়', 'আন্দোলন', 'গুঞ্জ', 'তামাসা', 'বাদবান', 'ধোবী ডক্টর', 'আকাশদীপ', 'উঁচে লোগ' প্রভৃতি।

কর্মজীবনে মধ্যপর্বে বিদেশি সংস্থায় কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ইন্দোনেশিয়া, সুমাত্রা, জাভায় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন ভাষায় ছবি তৈরিতে তার দক্ষতা ছিল। পাঞ্জাবি, ইংরেজি, মারঠি, মালয়, চীনা, মাগধি, মৈথিলি প্রভৃতি ভাষায় তিনি ছবি করেছেন।

দূরদর্শনে রামানন্দ সাগর পরিচালিত মেগাধারাবাহিক রামায়ণ-এর চিত্রনাট্য তৈরির পর্বে গবেষণার পুরো কাজটা তিনিই করেন। একাধিক দূরদর্শন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যও তিনি রচনা করেছেন। তার পরিচালিত একাধিক ছবি একাধিক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেছিল।

খ্যাতনামা অভিনেত্রী মণিকা দেসাই তার স্ত্রী।

ফিল্মোগ্রাফি

সম্পাদনা

পুরস্কার

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Obituary: Phani Majumdar"The Independent। ২২ জুন ১৯৯৪। 
  2. Awards IMDb