এম এ হক (১ জানুয়ারি ১৯২৯ - ১৩ অগাস্ট ২০০৬) একজন বাংলাদেশি কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক, ছড়াকার এবং গল্পকার যিনি স্থানীয়ভাবে কবি সাহেবকবিরত্ন নামে অধিক পরিচিত ছিলেন।

এম এ হক
জন্ম(১৯২৯-০১-০১)১ জানুয়ারি ১৯২৯
মৃত্যু১৩ আগস্ট ২০০৬(2006-08-13) (বয়স ৭৭)
জাতীয়তাবাংলাদেশি

এম এ হক ১৯২৯ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার ব্যাংকেরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্থানীয় কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমি থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৫০ সালে বি এল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।[][]

এম এ হক মূলত ইসলামি ও লোক সঙ্গীত এবং কবিতা লিখেছেন। এছাড়া, ছড়া, প্রবন্ধ ও গল্পও রচনা করেন। তিনি স্থানীয় ‘যশোর-সাহিত্য-সংঘ’ থেকে ‘কবিরত্ন’ উপাধি পান। তার রচিত ‘কচি মনের খোরাক’ গ্রন্থটি ১৯৭১ সালের পূর্বে পাকিস্তান শাসনামলে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্রুত পঠন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিলো।[] এছাড়া ‘ছন্দ-বন্ধ-বাগধারা’ গ্রন্থে তিনি বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অসংখ্য বাগধারা সংকলন করেন এবং তা ছন্দে রুপ দেন।[] ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[]

গ্রন্থ

সম্পাদনা

তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:[]

  • শুকতারা (কাব্যগ্রন্থ)
  • পথদিশারু (কাব্যগ্রন্থ)
  • কাঙ্গাল পথিক (কাব্যগ্রন্থ)
  • এপার-ওপার (লোকগানের সংকলন)
  • কচি মনের খোরাক
  • দরেদ নবী (ইসলামী গান)
  • হক-বচন
  • ছন্দ-বন্ধ-বাগধারা
  • দেশের গান (দেশাত্মবোধক গানের সংকলন)
  • দাদুর ছড়া (শিশু-সাহিত্য)
  • স্মৃতিকথা
  • মুক্তির গান (কবিতা)

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশের কবি পরিতিচিতি, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ
  2. "ফরিদপুরের কবি এম এ হকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  3. "কবিরত্ন এম.এ.হক"দৈনিক ইত্তেফাক (Bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. বাংলা একাডেমি চরিতাভিধান