আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ (আরবি: جَمْعِيَّةُ تَحْرِيكِ أَهْلِ الْحَدِيْثِ بَنْغَلاَدِيْشِ, প্রতিবর্ণীকৃত: Jamyʿāt Tahrik-e Ahlil Hadith Bangladesh; ফরাসি: Association Tahreq Ahl Al-Hadith du Bangladesh) বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সালাফি সংগঠন।[২] এটি ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি এটির নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।[৩][৪]
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ Ahle Hadeeth Movement Bangladesh | |
নীতিবাক্য | সকল বিধান বাতিল কর, অহির বিধান কায়েম কর |
---|---|
গঠিত | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪[১] |
প্রতিষ্ঠাতা | প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব |
প্রতিষ্ঠাস্থান | নওদাপাড়া, রাজশাহী, বাংলাদেশ |
ধরন | অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন। |
আইনি অবস্থা | সক্রিয়। |
উদ্দেশ্য | নির্ভেজাল ইসলামের প্রচার ও প্রসার। |
সদরদপ্তর | দারুল ইমারত, নওদাপাড়া (আমচত্ব্রর), রাজশাহী |
অবস্থান | |
অবস্থানসমূহ | |
স্থানাঙ্ক | ২৪°২৪′৩৩″ উত্তর ৮৮°৩৬′৩৫″ পূর্ব / ২৪.৪০৯২° উত্তর ৮৮.৬০৯৬° পূর্ব |
পরিষেবা | ধর্মীয় সংস্কার, সমাজ সংস্কার, সমাজ কল্যাণ। |
পদ্ধতিসমূহ | ইমারত ও বাইয়াত। |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা, আরবি, ইংরেজি |
আমীরে জামাআত | প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব |
সাধারন সম্পাদক | মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম |
মজলিশে আমেলা ও মজলিশে শূরা। | |
মূল ব্যক্তিত্ব | প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব |
ওয়েবসাইট | https://www.ahlehadeethbd.org/ |
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সম্পাদনাসংগঠনটি ভেজালমুক্ত তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসরণকে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ সংগঠনের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই। বরং মানুষের বিশ্বাস ও আমলগত ভ্রান্তি সংশোধন করার মাধ্যমে সমাজ সংস্কার করাকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসেবে গণ্য করে।
মূলনীতি
সম্পাদনাআহলেহাদীছ আন্দোলন পাঁচটি দফাকে সংগঠনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। সেসব মূলনীতির ভিত্তিতেই সংগঠন পরিচালিত হয়। সেগুলো হলো -
- কিতাব ও সুন্নাতের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা,
- তাক্বলীদে শাখসী বা অন্ধ ব্যক্তিপূজার অপনোদন,
- ইজতিহাদ বা শরীআত গবেষণার দুয়ার উন্মুক্ত করণ,
- সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসাবে পরিগ্রহণ,
- মুসলিম সংহতি দৃঢ়ীকরণ ।[৫]
কর্মসূচী
সম্পাদনাআহলেহাদীছ আন্দোলন তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে চার দফা কর্মসূচি নির্ধারণ করেছে। সেগুলো হল -
- তাবলীগ (প্রচার),
- তানযীম (সংগঠন),
- তারবিয়াত (প্রশিক্ষণ)
- তাজদীদে মিল্লাত (সমাজ সংস্কার) ।
এসব কর্মসূচীর মধ্যে সংগঠনটি সমাজ সংস্কারকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ, আহলেহাদীছ আন্দোলন (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "গঠনতন্ত্র" (পিডিএফ)। আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। সংগ্রহের তারিখ ০২ মার্চ ২০২৩। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Govt 'convinced' about Galib's release, acting Ahab chief claims"। দ্য ডেইলি স্টার। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৯।
- ↑ Riaz, Ali (২০১১)। "Islamist politics and education"। Political Islam and Governance in Bangladesh। Routledge। পৃষ্ঠা 129–130। আইএসবিএন 978-0415-57673-4।
- ↑ "Leader claims Ahle Hadith has no militancy connection"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ হোসাইন, ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত। "আহলেহাদীছ আন্দোলন-এর পাঁচ দফা মূলনীতি : একটি বিশ্লেষণ (প্রথম কিস্তি)"। মাসিক আত-তাহরীক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-০১।