অষ্টবসু
অষ্টবসু (সংস্কৃত: अष्टवसु, আইএএসটি: Aṣṭavasu) হলেন আটজন গণদেবতা।[টীকা ১] [টীকা ২][৩] দক্ষের কন্যা ও ধর্মদেবের স্ত্রী বসুর গর্ভে তাদের জন্ম।[৩] কিছু পুরাণ ও রামায়ণ মতে অষ্টবসুদের বর্ণনা করা হয়েছে কশ্যপ ও অদিতির সন্তান এবং মহাভারতে মনু বা ব্রহ্মা প্রজাপতির সন্তান হিসেবে। তারা হলেন আটজন মৌলিক দেবতা প্রকৃতির দিকগুলি (পঞ্চভূত) প্রতিনিধিত্ব করে এবং মহাজাগতিক প্রাকৃতিক ঘটনা (সূর্য, চাঁদ ও তারা) প্রতিনিধিত্ব করে। বসু নামের অর্থ হল 'উজ্জ্বল' বা 'ধন দানকারী'। তারা তেত্রিশ দেবতার মধ্যে আটজন।
বসুগণের তালিকা
সম্পাদনাবিভিন্ন গ্রন্থে অষ্টবসুর বিভিন্ন তালিকা রয়েছে, কখনও কখনও শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দেবতাদের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকার কারণে। বৃহদারণ্যক উপনিষদ, বিষ্ণু পুরাণ, মহাভারত অনুযায়ী তালিকা দেওয়া হলো:
বৃহদারণ্যক উপনিষদ | বিষ্ণু পুরাণ[৪] | মহাভারত[৫] | |||
---|---|---|---|---|---|
নাম | অর্থ | নাম | নাম | অর্থ | |
পৃথ্বী | পৃথিবী | ধর্ম | ধরা | পৃথিবী | |
বরুণ | জল | অপ | অপ | জল | |
অগ্নি | জলন্ত আগুন | অনল | অনল | আগুন | |
বায়ু | বাতাস | অনিল | অনিল | বায়ু | |
আদিত্য | চিরন্তন | প্রত্যুষ | প্রত্যুষ | সূর্য | |
আকাশ | আকাশ | প্রভাস | প্রভাস | আকাশ বা ইথার | |
চন্দ্র | চাঁদ | সোম | সোম | চন্দ্র | |
নক্ষত্র | তারকামন্ডলী | ধ্রুব | ধ্রুব | গতিহীন |
টীকা
সম্পাদনা- ↑ Aṣṭavasu (अष्टवसु).—The eight वसु (vasu)s in the present मन्वन्तर (manvantara) are (a) धर, ध्रुव, सोम, आप, अनिल, अनल, प्रत्यूष, प्रभास (dhara, dhruva, soma, āpa, anila, anala, pratyūṣa, prabhāsa). (b) द्रोण, प्राण, ध्रुव, अर्क, अग्नि, दोष, वसु, विभावसु (droṇa, prāṇa, dhruva, arka, agni, doṣa, vasu, vibhāvasu).[১]
- ↑ aṣṭavasu (अष्टवसु).—m pl S The eight vasu viz. dhara, dhruva, sōma, āp, anila, anala, pratyūṣa, prabhāsa. In bhāgavatapurāṇa the enumeration is drōṇa, prāṇa, dhruva, arka, agni, dōṣa, vasu, vibhāvasu.[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ashtavasu in Sanskrit glossary, The practical Sanskrit-English dictionary, www.wisdomlib.org
- ↑ Ashtavasu in Marathi glossary, The Molesworth Marathi and English Dictionary, www.wisdomlib.org
- ↑ ক খ Story of Aṣṭavasu, Puranic encyclopaedia
- ↑ Viṣṇu Purāṇa, Chapter 15 of Aṃśam 1
- ↑ Ślokas 17 and 18, Chapter 66, Ādi Parva, Mahābhārata)