আফগানিস্তান জাতীয় ফুটবল দল

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Waraka Saki (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৭:১৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (হালনাগাদ)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

আফগানিস্তান জাতীয় ফুটবল দল আফগানিস্তানের জাতীয় পর্যায়ের ফুটবল দল। দলটি আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। কাবুলের গাজী ন্যাশনাল অলিম্পিক স্টেডিয়ামে নিজ দেশের খেলাগুলো খেলে থাকে। ২০১৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান শিরোপাধারী দল।

 আফগানিস্তান
দলের লোগো
ডাকনামখুরসনের সিংহ
(شیران خراسان)
অ্যাসোসিয়েশনআফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (এএফএফ)
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
সাব–কনফেডারেশনকাফা (মধ্য-এশিয়া)
প্রধান কোচজার্মানি অট্টো ফিস্টার
অধিনায়কআফগানিস্তান ফয়সাল শায়েস্তেহ
সর্বাধিক ম্যাচআফগানিস্তান জোহিব ইসলাম আমিরি (৪২)
শীর্ষ গোলদাতাআফগানিস্তান বালাল আরেজু (৯)
মাঠগাজী স্টেডিয়াম
ফিফা কোডAFG
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান১৫৬ হ্রাস(১০ আগস্ট ২০১৭)
সর্বোচ্চ১২২ (এপ্রিল ২০১৪)
সর্বনিম্ন২০৪ (জানুয়ারী ২০০৩)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান১৬৯ (২৮ মে ২০১৭)
সর্বোচ্চ১৬৭ (মে ২০১৪)
সর্বনিম্ন২০৭ (১৭ নভেম্বর ২০১০)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
আফগানিস্তান আফগানিস্তান ০-০ ইরান 
(কাবুল, আফগানিস্তান; ২৫ আগস্ট, ১৯৪১)[]
বৃহত্তম জয়
 ভুটান ১-৮ আফগানিস্তান আফগানিস্তান
(নতুন দিল্লী, ভারত; ৭ ডিসেম্বর, ২০১১)
বৃহত্তম পরাজয়
 তুর্কমেনিস্তান ১১-০ আফগানিস্তান আফগানিস্তান
(আশগাবাত, তুর্কমেনিস্তান; ১৯ নভেম্বর, ২০০৩)

ইতিহাস

১৯২২ সালে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৪ সালে দেশের প্রথম ফুটবল ক্লাব মাহমোদিয়া এফ.সি. গঠিত হয়। ২৫ আগস্ট, ১৯৪১ সালে কাবুলে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় ইরানের সাথে খেলে ০-০ ড্র করে।[] ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে তাদের একমাত্র ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে লুক্সেমবার্গ দলের বিরুদ্ধে ও ৬-০ ব্যবধানে পরাভূত হয়। অতঃপর ১৯৪৮ সালে ফিফা সদস্যভূক্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় আফগান দল।[]

২০০২ সালের পূর্বে ১৯৮৪ সালের এশিয়ান গেমসের বাছাই পর্বে সর্বেশষ অবতীর্ণ হয়েছিল। ১৯৮৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দলটি ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশের জন্য কোন আন্তর্জাতিক খেলায় অবতীর্ণ হয়নি। তাছাড়া, সোভিয়েত যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ ও তালিবান শাসনামলে ১৯৯৬-২০০১ সালের মধ্যে ফুটবলে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করা হয়। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণে ফিরে আসে দলটি। এশিয়ান গেমসে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার মোকাবিলা করে ও ২-০ ব্যবধানে হারে।[] এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্রমাগত পুণরুত্থান ঘটতে থাকে ও এপ্রিল, ২০১৩ সালে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের সর্বোচ্চ ১৩৯ স্থানে পৌঁছে।

সাফল্যগাঁথা

২০১৩ সালের পূর্ব পর্যন্ত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দলটি সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল ২০১১ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেয়া। এতে দলটি ভারত জাতীয় ফুটবল দলের কাছে পরাজিত হয়েছিল। অতঃপর আফগানিস্তানের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের সর্বোচ্চ সাফল্য আসে ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে নেপালের কাঠমান্ডু’র দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অণুষ্ঠিত খেলায় ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো ও নতুন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাধারী হয় দলটি। এরফলে তারা নগদ $৫০,০০০ মার্কিন ডলার পুরস্কার পায়। দলের গোলরক্ষক মানসুর ফাকিরিয়ার প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ