এস এম সুলতান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
Moheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
৪০ নং লাইন:
'''শেখ মোহাম্মদ সুলতান''', (১০ আগস্ট ১৯২৩ - ১০ অক্টোবর ১৯৯৪) যিনি '''এস এম সুলতান''' নামে সমধিক পরিচিত, ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপনিবেশিক এবং [[আভঁ-গার্দ]] চিত্রশিল্পী।{{r|বিশ্বাস}}{{r|প্রআ-মৃত্যুবার্ষিকী-২০১৫}} তিনি বাংলাদেশে আধুনিকতার অন্যান্য পথিকৃৎ।{{r|সেলিম}}{{r|বেঙ্গল}} বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে কয়জন শিল্পী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, সুলতান তাদের মধ্যে অন্যতম ৷{{r|মন্ত্রিপরিষদ}} তিনি [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশের]] সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীদের একজন হিসেবে বিবেচিত।{{r|বিশ্বাস}} তার কাজের মধ্যে ল্যান্ডস্কেপ, প্রতিকৃতি এবং আত্মপ্রতিকৃতি অন্তর্ভুক্ত, যার অধিকাংশই বাংলার কৃষক এবং কৃষিজীবনের চিত্রায়ন। তার চিত্রের পেশীবহুল কৃষক এবং তাদের জীবনসংগ্রামের প্রতিফলন বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পে অভিব্যক্তিবাদের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তার শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। যেখানে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণিদ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র ফুটে উঠেছে। তার চিত্রকর্মে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের চিত্রকলাকে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকায় তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।{{r|স্টার-২০২৪}} তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ''[[প্রথম বৃক্ষরোপণ]]'' (১৯৭৫), ''[[চরদখল]]'' (১৯৭৬), ''[[জমি চাষ]]'' (১৯৮৬), এবং ''মাছ ধরা-৩'' (১৯৯১)। তিনি ছিলেন একজন সুরসাধক এবং বাঁশিবাদক।
 
১৯৮২ সালে [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে তিনি ''ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট'' এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ''ম্যান অব এশিয়া'' খেতাব লাভ করেন। একই বছর [[শিল্পকলায় একুশে পদক|শিল্পকলায়]] অনন্য অবদানের জন্য তিনি [[একুশে পদক]] লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার]] প্রদান করে। [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]], [[জাতীয় চিত্রশালা (বাংলাদেশ)|জাতীয় চিত্রশালা]] (বাংলাদেশ), এস.এম. সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা এবং [[বেঙ্গল ফাউন্ডেশন]] সহ সহ দেশে-বিদেশের বিভিন্ন সর্বজনীন এবং ব্যক্তিগত সংগ্রহে তার চিত্রকর্ম সংরক্ষিত আছে।{{r|আবির পোথি}}
 
সুলতানের কাজ তার জীবনের শেষ দশকে সমালোচকদের শিল্পগত মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করে। মৃত্যুর পর, তার শিল্পকর্ম ও জীবনাচার জনসাধারণের কল্পনায় এক ভুল বোঝা প্রতিভার প্রতীক হিসেবে স্থান পায়, যার জন্য বাংলাদেশের তৎকালীন শিল্পবোদ্ধা এবং সমালোচকরা অনেকাংশে দায়ী ছিলেন। তার কাজ পরবর্তী কয়েক দশকে ব্যাপক সমালোচনামূলক এবং বাণিজ্যিক সফলতা অর্জন করে।