এস এম সুলতান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
আরও দেখুন: পরিষ্কারকরণ
Moheen (আলোচনা | অবদান)
৮০ নং লাইন:
সত্তরের দশকের শুরুর দিকে তিনি নড়াইল জেলার পুরুলিয়া গ্রামে থাকতেন। সুলতান তার সেরা কিছু কাজ ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে তৈরি করেন। এসময় তিনি তার সবচেয়ে পরিচিত চিত্রকর্ম ''[[প্রথম বৃক্ষরোপণ]]'' (১৯৭৫) আঁকেন।{{r|বিশ্বাস-বিডিনিউজ২৪}} ১৯৭৬ সালের আগ অবধি পুরুলিয়া গ্রামে তার যাওয়া-আসা ছিল। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত, ঢাকায় আধুনিক চিত্রশিল্পের বিকাশের সময়টায় তিনি শিল্পরসিকদের চোখের আড়ালেই থেকে যান।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}} সত্তরের দশকের মধ্যভাগে তার কিছু শুভানুধ্যায়ী তাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এখানে এসে তিনি কিছু চিত্রকর্ম আঁকেন। ১৯৭৫ সালে ঢাকায় [[জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী|১ম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে]] (একটি দলগত প্রদর্শনী) তার কাজের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়।{{r|নৃ}} ১৯৭৬ সালে [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি]] তার একটি একক প্রদর্শনীর আয়োজন করে, এবং এই প্রদর্শনীর মাধ্যমেই তিনি নতুন করে শিল্পসমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|গাফফার}}{{r|মজুমদার}} এটি ছিল একইসাথে তার প্রথম বড় প্রদর্শনী এবং ঢাকায় তার প্রথম চিত্রপ্রদর্শনী।{{r|সেলিম}}{{sfn|চক্রবর্তী|চক্রবর্তী|২০১৩|pp=৪৪৪–৪৪৫}}
 
আশির দশক থেকে তিনি আবার নড়াইলেই থাকতে শুরু করেন। তার কাছে যেসব মানুষ এবং শিশু আশ্রয় নিয়েছিল তাদের জন্য তিনি নিজের ঘর ছেড়ে দেন। জীবজন্তুর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি একটি অভয়ারণ্য তৈরি করেন। সেখানে তিনি তার পোষা [[বিড়াল]], [[কুকুর]], [[মঙ্গুজবেজি]] এবং [[বানর|বানরের]] সাথে বাস করতেন—এছাড়াও তার একটি [[সাপ]] ছিল।{{r|হক, ফায়েজা}} তিনি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে শিশুদের জন্য [[সুন্দরী]] কাঠ দিয়ে একটি বড় আকারের [[নৌকা]] তৈরি করেছিলেন।{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}} তার ইচ্ছা ছিল শিশুরা নৌকায় চড়ে সমুদ্র পরিভ্রমণে বের হবে আর শিল্পচর্চার উপকরণ খুঁজে পাবে।{{r|সাক্ষাতকার}} সুলতান শিশুদের চিত্রাঙ্কন শেখানোর জন্য নড়াইল শহরের উপকণ্ঠে কুড়িগ্রামে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন "শিশুস্বর্গ"।{{r|রহমান, আজিবর}} ১৯৮১ সনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে তিনি আন্তর্জাতিক জুরী কমিটির সদস্য মনোনীত হন৷{{r|মন্ত্রিপরিষদ}} ১৯৮৬ সালের তার তেলরঙে আঁকা ''ধান-মাড়াই-১'' (মতান্তরে ''ধান ঝাড়াই'') শিরোনামের চিত্রকর্মগুলোতে মোটাদাগে গ্রামবাংলার চিত্র ফুটে উঠেছে। যেখানে পেশীবহুল কৃষক, গ্রামীণ নারীর দেহসৌষ্ঠব, গবাদি পশু, দোচালা খড়ের ঘর, গোলাঘর আর মাঠ-ঘাট-নদী-গাছপালার সৌন্দর্য ধরা পরে।{{r|বিশ্বাস-বিডিনিউজ২৪}} ১৯৮৭ সালে ঢাকার জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে তার একক প্রদর্শনীর ক্যাটালগে তার চিত্রকর্মের বিষয়বস্তুগুলোকে তিনি কীভাবে দেখতেন তার বর্ণনা করা হয়েছিল: {{Blockquote
|text=এই মানুষগুলো, যারা মাটির কাছাকাছি জীবনযাপন করত এবং যাদের কাঁধে সভ্যতার বোঝা ছিল, সুলতানের কাছে তারা দুর্বল, অবসন্ন বা করুণার যোগ্য ক্ষুধার্ত প্রাণী বলে মনে হয়নি। বরং বিপরীতভাবে, তিনি তাদের ফুলে ওঠা পেশী, সবল দেহ, তেজস্বী প্রাণশক্তি, সুগঠিত নিতম্ব এবং স্ফীত বক্ষ দেখেছিলেন, যারা জীবনের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত ছিল।
|source=[[গ্যোটে ইনস্টিটিউট ঢাকা|জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র]], ঢাকা, ১৯৮৭}}