এস এম সুলতান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ রচনাশৈলী |
অ 103.202.223.37 (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Moheen-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
||
(৬ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ২১টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
৪ নং লাইন:
| alt = এস এম সুলতান
| caption = আশির দশকে সুলতান
| birth_name =
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|mf=yes|১৯২৩|০৮|১০}}
| birth_place = মাসিমদিয়া, [[নড়াইল]], [[ব্রিটিশ ভারত]]
| death_date
| death_place
| resting_place
| resting_place_coordinates = {{Coord|23.1581796|89.5009485|type:landmark|display=inline}}
| nationality
| alma_mater = [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা|কলকাতা আর্ট স্কুল]]
| known_for = চিত্রাঙ্কন, অঙ্কন
| notable_works = ''[[প্রথম বৃক্ষরোপণ]]'' (১৯৭৫)<br />
''[[
''[[
| style =
| movement = বাংলাদেশে আধুনিক শিল্পকলা আন্দোলন
২২ নং লাইন:
| father = শেখ মেছের মিয়া
| mother = মোছাম্মদ মেহেরুননেসা
| awards = {{awd |award=[[একুশে পদক]] |year=১৯৮২}}
{{awd |award=[[স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার]] |year=১৯৯৩}}
| signature =
| signature_type =
| signature_size =
| signature_alt =
৩২ ⟶ ৩১ নং লাইন:
| module = {{তথ্যছক ব্যক্তি |embed=yes
| nationality = [[বাংলাদেশী]]
| other_names =
| occupation = চিত্রশিল্পী
| years_active = ১৯৪৬-১৯৯৪
| known_for = [[চিত্রাঙ্কন]]
}}
}}
৪৫ ⟶ ৪৪ নং লাইন:
== জীবনী ==
=== প্রাথমিক জীবন ===
[[চিত্র:আত্মপ্রতিকৃতি, এস এম সুলতান.jpg|থাম্ব|বাম|''আত্মপ্রতিকৃতি'']]▼
শেখ মোহাম্মদ সুলতান ১৯২৩ সালের ১০ আগস্ট তৎকালীন [[পূর্ব বাংলা]], [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] (বর্তমান [[বাংলাদেশ]]) [[নড়াইল জেলা|নড়াইলের]] মাসিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{sfn|খান|২০০৩|pp=৩১}} তার পৈতৃক ভিটা পুরুলিয়া গ্রামে।{{r|ইশতিয়াক}} তার জন্ম হয়েছিল দরিদ্র কৃষক-পরিবারে।{{r|বাংলাপিডিয়া}} তার মায়ের নাম মোছাম্মদ মেহেরুননেসা। তার বাবা শেখ মেছের মিয়া{{sfn|ইসলাম|
=== কলকাতা আর্ট
[[
১৯৪১ সালে তিনি কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া চারশো ছেলেমেয়েকে পনেরো মিনিটে [[ভেনাস ডি মিলো|ভেনাস মিলোর]] ছবি আঁকতে দেয়া হয়। সুলতান প্রথম হন, কিন্তু প্রবেশিকা পাশ না থাকার কারণে তার ভর্তি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তখন ধীরেন্দ্রনাথ রায় বিষয়টা অবগত করেন শিল্প ইতিহাসবিদ ও সমালোচক [[হাসান শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী|হাসান শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীকে]], যিনি তখন কলকাতা আর্ট স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।{{r|ইশতিয়াক}} তার সাহায্যে সুলতান ১৯৪১ সালে কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন।{{r|বেঙ্গল}} তিনিই সুলতানকে পরামর্শ দেন ভর্তি হবার সময় কাগজপত্রে ''লাল মিয়া'' না লিখে ''শেখ মোহাম্মদ সুলতান'' লিখতে। সুলতানকে সোহরাওয়ার্দী সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করতে থাকেন।{{sfn|জার্মান সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট|১৯৮৭|pp=১১–৩৫}} তার অসাধারণ সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার সুলতানের জন্য সব সময় উন্মুক্ত ছিল। কিছুকাল তার বাসায় ও তার ভাই শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় থেকে সুলতান পড়াশোনা করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৩-১৪৫}} কলকাতা আর্ট স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক [[মুকুল দে|মুকুলচন্দ্র দের]] অধীনে, স্কুলটি পুরনো শিল্পগুরুদের অনুকরণকে গুরুত্বহীন করে তোলে এবং [[পুরাণ (ভারতীয় শাস্ত্র)|ভারতীয় পৌরাণিক]], রূপক এবং ঐতিহাসিক বিষয়গুলিকে ছাড়িয়ে যায়। সেসময় শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মৌলিক বিষয়বস্তুর মাধ্যমে সমকালীন দৃশ্য এবং প্রতিকৃতি আঁকতে উৎসাহিত করা হত।{{r|সেলিম}}▼
কলকাতা আর্ট
▲১৯৪১ সালে তিনি কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া চারশো ছেলেমেয়েকে পনেরো মিনিটে [[ভেনাস ডি মিলো|ভেনাস মিলোর]] ছবি আঁকতে দেয়া হয়। সুলতান প্রথম হন, কিন্তু প্রবেশিকা পাশ না থাকার কারণে তার ভর্তি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তখন ধীরেন্দ্রনাথ রায় বিষয়টা অবগত করেন শিল্প ইতিহাসবিদ ও সমালোচক [[হাসান শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী|হাসান শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীকে]], যিনি তখন কলকাতা আর্ট স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।{{r|ইশতিয়াক}} তার সাহায্যে সুলতান কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন।{{r|বেঙ্গল}} তিনিই সুলতানকে পরামর্শ দেন ভর্তি হবার সময় কাগজপত্রে ''লাল মিয়া'' না লিখে ''শেখ মোহাম্মদ সুলতান'' লিখতে। সুলতানকে সোহরাওয়ার্দী সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করতে থাকেন।{{sfn|জার্মান সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট|১৯৮৭|pp=১১–৩৫}} তার অসাধারণ সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার সুলতানের জন্য সব সময় উন্মুক্ত ছিল। কিছুকাল তার বাসায় ও তার ভাই শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় থেকে সুলতান পড়াশোনা করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৩-১৪৫}} কলকাতা আর্ট স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক [[মুকুল দে|মুকুলচন্দ্র দের]] অধীনে, স্কুলটি পুরনো শিল্পগুরুদের অনুকরণকে গুরুত্বহীন করে তোলে এবং [[পুরাণ (ভারতীয় শাস্ত্র)|ভারতীয় পৌরাণিক]], রূপক এবং ঐতিহাসিক বিষয়গুলিকে ছাড়িয়ে যায়। সেসময় শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মৌলিক বিষয়বস্তুর মাধ্যমে সমকালীন দৃশ্য এবং প্রতিকৃতি আঁকতে উৎসাহিত করা হত।{{r|সেলিম}}
▲কলকাতা আর্ট স্কুলের অন্যান্য ক্লাসে তখন [[জয়নুল আবেদিন]], [[কামরুল হাসান]], [[সফিউদ্দীন আহমেদ|সফিউদ্দিন আহমেদ]], [[রাজেন তরফদার]], [[আনোয়ারুল হক|আনওয়ারুল হকের]] মত মানুষেরা পড়াশোনা করতেন। ফলে তাদের সাথে সুলতানের যোগাযোগ ঘটে। ছাত্র হিসেবে সুলতান ভাল ছিলেন, এর পাশাপাশি [[মঞ্চনাটক|মঞ্চনাটকে]] অভিনয় করেও প্রশংসা অর্জন করেন।{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৪৬-১৪৭}} কলকাতা আর্ট কলেজে সুলতান প্রথম বছরের পরীক্ষায় দ্বিতীয় এবং পরের দুই বছর পর পর প্রথম হয়েছিলেন৷ যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাঁধাধরা জীবন এবং প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার কঠোর রীতিনীতি সুলতানের জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। ১৯৪৩ সালে, তৃতীয় বর্ষে উঠে সুলতান তার ছয় বছরের কোর্সের অর্ধেক সম্পন্ন করার পর আর্ট স্কুল ছেড়ে দেন।{{r|বোস}}{{sfn|হাই|২০১৮|pp=১৫০}}{{r|মজুমদার}}
▲===ব্রিটিশ ভারত আমল===
[[চিত্র:এস এম সুলতান-দুর্ভিক্ষের চিত্র (১৯৪৪).jpg|থাম্ব|১৯৪৪, ''দুর্ভিক্ষের চিত্র'']]
[[চিত্র:এস এম সুলতান-শিরোনামহীন (কাশ্মীর ল্যান্ডস্কেপ), ১৯৬৮.jpeg|থাম্ব|১৯৬৮, ''শিরোনামহীন (কাশ্মীর ল্যান্ডস্কেপ)'', কাগজে জলরং, ৩৪.৭ x ৫৪.৫ সেমি]]
আর্ট স্কুল ছাড়ার পর সুলতান ভারত ভ্রমণে বের হন।{{r|বাংলাপিডিয়া}} প্রথমে তিনি আগ্রায় যান, সেখানে বুক ইন্সট্রেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানে মাসিক কুড়ি টাকা বেতনে এক মাস চাকরি করেন।{{sfn|ইসলাম|২০০৯|pp=৭৬}} কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরে তিনি [[কাশ্মীর|কাশ্মীরে]] এক আদিবাসী দলের সাথে থাকতে শুরু করেন। তিন বছর তাদের সাথে থাকার সময় সুলতান কাশ্মীরেরে প্রকৃতি এবং আদিবাসি জীবনের অসংখ্য ছবি আঁকেন। কাশ্মীরে ভ্রমণ তার উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখে, যা কয়েক দশক পরে তৈরি করা তার চিত্রকর্মগুলিতে দেখা যায়।{{r|বেঙ্গল}} পরে [[দিল্লি]], [[আগ্রা]], [[লাহোর]], এবং [[কাঘান উপত্যকা]] ভ্রমণ করেছিলেন।{{r|চৌধুরী, এনাম}} তিনি ছিলেন বোহেমীয় জীবনাচারের অনুসারী। চেতনায় তিনি ছিলেন স্বাধীন এবং প্রকৃতিগতভাবে ছিলেন ভবঘুরে এবং ছন্নছাড়া। প্রকৃতিকে তিনি সবসময় রোমান্টিক কবির আবেগ দিয়ে ভালোবেসেছেন। আবার যান্ত্রিক নগরজীবনকে সেরকমই ঘৃণা করেছেন।
{{cquote|একেক জায়গায় এভাবে পড়ে আছে সব। শ্রীনগরে গেলাম। সেখানকার কাজও নেই। শ্রীনগরে থাকাকালীন পাকিস্তান হয়ে গেলো। '৪৮-এ সেখান থেকে ফিরে এলাম। কোনো জিনিসই তো সেখান থেকে আনতে পারিনি। একটা কনভয় এনে বর্ডারে ছেড়ে দিয়ে গেলো। পাকিস্তান বর্ডারে। আমার সমস্ত কাজগুলোই সেখানে রয়ে গেলো। দেশে দেশে ঘুরেছি। সেখানে এঁকেছি। আর সেখানেই রেখে চলে এসেছি।}}
তবে এটুকু জানা গেছে যে, সেসময় তিনি প্রাকৃতিক নৈসর্গ্য এবং প্রতিকৃতি আঁকতেন। এসময় তিনি [[শিমলা]] যান। এরই মধ্যে শিল্পী হিসেবে তিনি কিছুটা পরিচিতি অর্জন করেন ৷ ১৯৪৬ সালে [[কানাডা|কানাডিয়]] শিল্পপ্রেমী মিসেস হাডসন শিমলায় সুলতানের আঁকা ছবির প্রথম একক প্রদর্শনী করেন।{{r|রহমান}}{{r|মজুমদার}} এই প্রদর্শনীর বেশিরভাগই ছিল বাংলা ও কাশ্মীরের ভূদৃশ্য৷ [[কাপুরথালা, পাঞ্জাব|কাপুরথালার]] মহারাজা সেই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন।{{r|ইশতিয়াক}} পরে মহারাজার সঙ্গে সুলতানের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে এবং তিনি শিমলা ও জলন্ধরে মহারাজার ব্যক্তিগত অতিথি হয়ে উঠেছিলেন। পরে তিনি [[কাঘান উপত্যকা]] সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং এর পরিশ্রমী মানুষের কঠোর জীবনচিত্র আঁকতে ব্যস্ত ছিলেন।{{r|চৌধুরী, এনাম}} ১৯৪৬ সালে, তিনি কাশ্মিরে যান এবং সেখানে তিনি প্রাকৃতিক দৃশ্য এঁকেছেন এবং কাশ্মিরের সংগ্রামী মানুষদের স্কেচ করেছেন।{{r|চৌধুরী, এনাম}}
=== পাকিস্তান
১৯৪৭ সালে [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য|ব্রিটিশ উপনিবেশ]] বিভক্ত হয়ে [[পাকিস্তান]] ও [[ভারত|ভারতের]] জন্ম হয়। এই বিভক্তির পর সুলতান কিছুদিনের জন্য নিজ দেশ তথা তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] ফিরে আসেন। সেবছরের শেষের দিকে তাকে [[শ্রীনগর]] থেকে [[লাহোর|লাহোরের]] উদ্দেশ্যে একটি শরণার্থী ট্রাকে দ্রুত পালিয়ে যেতে হয়েছিল। তার আঁকা চিত্রকর্মগুলি সেখানেই ফেলে আসেন তিনি। লাহোরে তিনি শিল্প সমালোচক আমজাদ আলির সাথে দেখা করেন। পরে আমজাদ আলির সুলতানকে উপমহাদেশের আরেকজন উজ্জ্বল শিল্পী— [[আব্দুর রহমান চুঘতাই|আব্দুর রহমান চুঘতাইয়ের]] সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে, আমজাদ আলি এবং চুঘতাই সহ অন্যান্যদের সহায়তায় লাহোরে সুলতানের একটি একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন [[ফিরোজ খান নুন|স্যার মালিক ফিরোজ খান নুন]], যিনি পরবর্তীতে পাকিস্তানের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।{{r|চৌধুরী, এনাম}} পরের বছর,
<gallery widths="170" heights="180" class="center">
চিত্র:এস এম সুলতান-শিরোনামহীন (১৯৫২).jpeg|১৯৫২, ''শিরোনামহীন (ল্যান্ডস্কেপ)'', কার্ডে জলরঙ, ১৩৭.৮ সেমি × ১৯৭.৮ সেমি
চিত্র:এস এম সুলতান-শিরোনামহীন (গ্রামের দৃশ্য) (১৯৬৮).jpg|১৯৬৮, ''শিরোনামহীন (গ্রামের দৃশ্য)'', কাগজে কলম, কালি ও জলরং, ৩৬.১ সেমি × ৫৫.৫ সেমি
চিত্র:এস এম সুলতান-কাশ্মীর ভূদৃশ্য-২ (১৯৬০-এর দশক).jpg|১৯৬০-এর দশক, ''কাশ্মীর ভূদৃশ্য-২'', কাগজে মিশ্রমাধ্যম, ({{convert|abbr=on|disp=br|sortable=on|52.1|x|64.1|cm|in}})
চিত্র:এস এম সুলতান-শিরোনামহীন (গ্রামের দৃশ্য) (১৯৭০).jpg|১৯৭০, ''শিরোনামহীন (গ্রামের দৃশ্য) '', ৫২.১ সেমি × ৬৪.১ সেমি
</gallery>
=== বাংলাদেশ
[[চিত্র:প্রথম বৃক্ষরোপণ (১৯৭৫).jpg|থাম্ব|১৯৭৫, ''[[প্রথম বৃক্ষরোপণ]]'', ক্যানভাসে তেলরঙ, ({{convert|abbr=on|disp=br|sortable=on|108|x|145|cm|in}}), [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি]]।]]
সত্তরের দশকের শুরুর দিকে তিনি নড়াইল জেলার পুরুলিয়া গ্রামে থাকতেন। সুলতান তার সেরা কিছু কাজ ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে তৈরি করেন। এসময় তিনি তার সবচেয়ে পরিচিত চিত্রকর্ম ''[[প্রথম বৃক্ষরোপণ]]'' (১৯৭৫) আঁকেন।{{r|বিশ্বাস-বিডিনিউজ২৪
আশির দশক থেকে তিনি আবার নড়াইলেই থাকতে শুরু করেন। তার কাছে যেসব মানুষ এবং শিশু আশ্রয় নিয়েছিল তাদের জন্য তিনি নিজের ঘর ছেড়ে দেন। জীবজন্তুর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি একটি অভয়ারণ্য তৈরি করেন। সেখানে তিনি তার পোষা [[বিড়াল]], [[কুকুর]], [[বেজি]] এবং [[বানর|বানরের]] সাথে বাস করতেন—এছাড়াও তার একটি [[সাপ]] ছিল।{{r|হক, ফায়েজা}} সুলতান শিশুদের চিত্রাঙ্কন শেখানোর জন্য নড়াইল শহরের উপকণ্ঠে কুড়িগ্রামে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন "শিশুস্বর্গ"।{{r|রহমান, আজিবর}} ১৯৮১ সনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে তিনি আন্তর্জাতিক জুরী কমিটির সদস্য মনোনীত হন৷{{r|মন্ত্রিপরিষদ}} ১৯৮৪ সালেে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তাকে আজীবন শিল্পী হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর অধীনে সরকারি সহায়তায় আর্থিক ভাতা প্রদান এবং ঢাকায় স্থায়ীভাবে সুলতানের থাকার ব্যবস্থা করা হয়, যার বিনিময়ে শিল্পকলা একাডেমিকে বছরে তাকে ছয়টি ছবি এঁকে দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য এই চুক্তি হলেও, পরবর্তীতে সুলতানের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্তই তা বহাল ছিল ৷ ১৯৮৬ সালে তার তেলরঙে আঁকা ''ধান-মাড়াই'' (মতান্তরে ''ধান ঝাড়াই'') শিরোনামের চিত্রকর্মগুলোতে মোটাদাগে গ্রামবাংলার চিত্র ফুটে উঠেছে। যেখানে পেশীবহুল কৃষক, গ্রামীণ নারীর দেহসৌষ্ঠব, গবাদি পশু, দোচালা খড়ের ঘর, গোলাঘর আর মাঠ-ঘাট-নদী-গাছপালার সৌন্দর্য ধরা পরে।{{r|বিশ্বাস-বিডিনিউজ২৪}} ১৯৮৭ সালে ঢাকার জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শতাধিক চিত্রকর্ম নিয়ে তার একক প্রদর্শনী হয়। এই প্রদর্শনীর ক্যাটালগে তার চিত্রকর্মের বিষয়বস্তুগুলোকে তিনি কীভাবে দেখতেন তার বর্ণনা করা হয়েছিল: {{Blockquote
৯০ ⟶ ৮৬ নং লাইন:
}}
১৯৯২ সালে তিনি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে শিশুদের জন্য [[সুন্দরী]] কাঠ দিয়ে {{convert|60|x|15|ft}} বিশিষ্ট দ্বিতলা [[নৌকা]] "ভ্রাম্যমাণ শিশুস্বর্গ" তৈরি করেছিলেন।{{r|বিডিনিউজ-শিশু স্বর্গ}}{{r|আলী}} তার ইচ্ছা ছিল শিশুরা নৌকায় চড়ে সমুদ্র পরিভ্রমণে বের হবে আর শিল্পচর্চার উপকরণ খুঁজে পাবে।{{r|সাক্ষাতকার}}
আশির দশকের শেষদিকে তার স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। ১৯৯৪ সালে ঢাকার গ্যালারি টোনে তার সর্বশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।{{r|গাফফার}} সে বছরেরই আগস্ট মাসে শিল্পকলা একডেমির উদ্যোগে নড়াইলে তার ৭০তম জন্মদিন পালন করা হয়।
<gallery widths="170" heights="180" class="center">
চিত্র:
চিত্র:এস এম সুলতান-চরদখল-১ (১৯৭৬).jpg|১৯৭৬, ''[[চরদখল|চরদখল-১]]'', ক্যানভাসে তেলরঙ ({{convert|abbr=on|disp=br|sortable=on|80|x|150|cm|in}}), [[বেঙ্গল ফাউন্ডেশন]]।
চিত্র:এস এম সুলতান-জলোচ্ছ্বাস (১৯৮৬), বেঙ্গল ফাউন্ডেশন.jpg|১৯৮৬, ''[[বন্যার পর]]'', {{convert|162 x 203|cm|in}}, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।
চিত্র:এস এম সুলতান-জমি কর্ষণ-২ (১৯৮৭).jpg|১৯৮৭, ''[[জমি কর্ষণ-২]]'', ক্যানভাসে তেলরঙ।
চিত্র:এস এম সুলতান-মাছ কাটা.jpeg|১৯৮৭, ''মাছ কাটা'', ক্যানভাসে তেলরঙ
চিত্র:এস এম সুলতান-শিরোনামহীন (সংঘবদ্ধ হালচাষ) (১৯৯১).jpg|১৯৯১, ''শিরোনামহীন (সংঘবদ্ধ হালচাষ)'', ক্যানভাসে তেলরঙ
চিত্র:এস এম সুলতান-গ্রাম্য কাইজা.jpg|''গ্রাম্য কাইজা'', ক্যানভাসে তেলরঙ ({{convert|abbr=on|disp=br|sortable=on|220|x|140|cm|in}}), সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা, নড়াইল।
▲চিত্র:আত্মপ্রতিকৃতি, এস এম সুলতান.jpg|''আত্মপ্রতিকৃতি''
</gallery>
== ব্যক্তিগত জীবন ==▼
সুলতান সাধারণত দীর্ঘ কালো কুর্তা, এবং একটি স্কার্ফ পরিধান করতেন। তিনি ছিলেন একজন সুরসাধক এবং বাঁশিবাদক। রাতের বেলা চিত্রা নদীর তীরে তিনি বাঁশি বাজাতেন।{{r|বিশ্বাস}} এছাড়াও বাজাতেন [[তবলা]]। মাঝে মাঝে [[শাড়ি|শাড়ি]] পরে পায়ে [[ঘুঙুর]] পায়ে নাচতেন।{{r|ইশতিয়াক}} তিনি বিষেষভাবে বিড়ালদের সঙ্গ পছন্দ করতেন।{{r|বিশ্বাস}} তিনি মুঘল সম্রাটদের নামে তার বিড়ালদের নাম রেখেছিলেন। ১৯৯২ সালে দিকে তার পাচটি বিড়ালের নাম জানা যায়, যথাক্রমে জাহাঙ্গীর, দারাশিকো, সাজাহান, বাবর এবং আওরঙ্গজেব।{{r|ঠাকুর}} নিজের সৃষ্টিকর্মের বিষয়ে তার ছিল নির্মোহ দৃষ্টি। তার জীবনের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল শহরকেন্দ্রিক জীবনযাপনে অনীহা।{{r|সম্পাদকীয়-আপ}}▼
ব্যক্তিজীবনে সুলতান ছিলেন অবিবাহিত। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি নড়াইলের মাছিমদিয়ায় নিজ বাসস্থানে পালিত কন্যা নীহার বালাকে নিয়ে বাস করেতেন।{{r|জাহান}}{{r|নীহার বালা নেই}} সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর [[যশোর|যশোরে]] সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|প্রআ-মৃত্যুবার্ষিকী-২০১৫}} জীবনের শেষসময় পর্যন্ত তিনি শিশুদের আঁকা শেখাতেন।{{r|কমল}}▼
== শৈলী এবং শিল্পকর্ম ==
১১২ নং লাইন:
সুলতানের পুরুষদের চিত্রে পেশীবহুল আধিক্য চিত্রিত করার প্রবণতার কারণে, কিছু শিল্প বিশেষজ্ঞ তার রচনাগুলিতে ইউরোপীয় [[রেনেসাঁ শিল্প|রেনেসাঁ শিল্পের]] প্রভাব খুঁজে পান।{{r|কমল}} ১৯৭৬ সালে তার আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি|বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির]] প্রদর্শনীতে তার চিত্রকর্মের মহিমা নতুন করে প্রস্ফুটিত হয়। এই চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে দেখা যায় বিশ্বের কেন্দ্র হচ্ছে গ্রাম আর সেই কেন্দ্রের রূপকার কৃষককে আপন মহিমায় সেখানে অধিষ্ঠিত দেখা যায়। গ্রাম ও গ্রামের মানুষ ছিল তার শিল্পকর্মের অনুপ্রেরণা আর উপকরণ ছিল কৃষক এবং কৃষকের জীবন চেতনা। বিদ্যালয় জীবনে সুলতান কয়লা দিয়ে ছবি আঁকতেন।{{r|Avant-garde}} পরিণত বয়সে তিনি [[তেলরঙ]] এবং [[জলরঙ|জলরঙে]] চিত্রকর্ম আঁকতেন৷ পাশাপাশি এঁকেছেন [[রেখাচিত্র]]। আঁকার জন্য তিনি একেবারে সাধারণ কাগজ, রঙ এবং [[পাট|চটের]] ক্যানভাস ব্যবহার করেছেন। এজন্য তার অনেক চিত্রকর্মই রঙ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, যদিও এসবের প্রতি তিনি তেমন ভ্রূক্ষেপ করতেন না। নড়াইলে থাকাকালীন সময়ে তিনি অনেক চিত্রকর্ম [[কয়লা]] দিয়ে একেছিলেন তবে সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়৷ সুলতান তার সমাপ্ত চিত্রকর্মগুলোর সামান্যই যত্ন নিতেন, ফলে সেগুলির অধিকাংশ হারিয়ে যায়। চিত্রকর্ম সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে এমন উপকরণ ব্যবহারেও তিনি নির্লিপ্ত ছিলেন।{{r|বিশ্বাস}} ফলে জীবিতকালে তিনি নিজের শিল্পকর্ম সংরক্ষণে কোন তাগিদ দেখাননি।{{r|মামুন}}
পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে, অর্থাৎ ১৯৫৯ সালে তার পেন্সিলে আঁকা কয়েকটি রেখাচিত্রে পাশ্চাত্যের [[রোমান্টিকতা|রোমান্টিকতার]] প্রভাব লক্ষ্যণীয়। তবে, তার পরবর্তী কাজগুলিতে বিশেষত, ১৯৭৬ সালে প্রদর্শিত কাজগুলিতে, তার শিল্প কৌশল এবং গঠনগুলিকে উপনিবেশিত করার একটি ধ্রুবক প্রলোভন দেখা যায়।{{sfn|নিজার|২০১৭|pp=}} সুলতানের ক্যানভাসে হাল চাষ, রোপণ, মাড়াই এবং মাছ ধরার মতো দৈনন্দিন কাজে কৃষিশ্রমিকরা ভূমিকা পালন করতেন। প্রাকৃতিক দৃশ্য—ফসলের জমি, নদী, গ্রাম—তখন কেবল পটভূমি হিসেবে ছিল। তার আঁকা চরিত্রগুলোর, যেমন ১৯৭৬ সালের ''[[চরদখল]]'' চিত্রকর্মের, বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল তাদের অতিরঞ্জিত পেশীবহুল গঠন। এইভাবে, তিনি বাংলাদেশের সমর্থ, পরিশ্রমী কৃষকদের আভ্যন্তরীণ শক্তি ফুটিয়ে তোলেন, যারা জাতির মেরুদণ্ড, যা আরও বাস্তবধর্মী চিত্রায়ণে হয়তো লুকায়িত থেকে যেত।{{r|সেলিম}}{{r|মন্ত্রিপরিষদ}}{{r|টিপু}} তার চিত্রকর্মে গ্রামীণ রমণীদের দেখা যায় সুডৌল ও সুঠাম গড়নে। নারীর মধ্যে উপস্থিত চিরাচরিত রূপলাবণ্যের সাথে তিনি শক্তির সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন। একই সাথে তার এ চিত্রকর্মগুলোতে গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের শ্রেণী-দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির কিছু ক্রূর বাস্তবতা উঠে এসেছে। তার এরকম দুটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম হচ্ছে ''[[হত্যাযজ্ঞ]]'' (১৯৮৭) এবং ''[[চরদখল]]'' (১৯৮৮)।{{r|বাংলাপিডিয়া}} ১৯৮৭ সালের ৬ মে ''সাপ্তাহিক প্রহরের'' সাথে এক সাক্ষাৎকারে সুলতান তার চিত্রকর্মে পেশীবহুল কৃষকদের চিত্রায়নের পেছনের অনুপ্রেরণার কথা তুলে ধরেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, "কৃষকরাই আমাদের দেশের প্রকৃত নায়ক, কোনও নায়ক কি কখনও দুর্বল হতে পারে? তারা আমাদের অস্তিত্বের মূল চালিকা শক্তি, তাই তাদের সবসময় সবল হিসেবে চিত্রিত করা উচিত। তারা কঠিন মাটিতে লাঙল চালিয়ে ফসল ফলায়, অথচ প্রায়ই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটায়। বাস্তবতা হলো, আমাদের টিকে থাকা তাদের শ্রমের উপর নির্ভর করে। বাস্তব জীবনে তাদের কৃশতা ও বঞ্চনা সত্ত্বেও আমি তাদের শক্তির প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি, এই উপস্থাপনা তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি সমৃদ্ধি ও শ্রদ্ধার এক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করবে।{{r|স্টার-২০২৪}} তার চিত্রকর্মে পুরুষদের তুলনায় নারীদের কোমলভাবে চিত্রায়িত করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে নারীদের ভালোবাসা ও মমতায় পূর্ণ ভূমিকা তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।{{r|স্টার-২০২৪}} চিত্রকর্মে তার নারীরা- কোমল-স্তনবিশিষ্ট এবং তাদের লাবণ্য প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যের অন্তর্গত।{{r|কমল}}
সুলতানের চিত্রকর্মে কখনো নগর উপাদান বা আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি কিছুই অন্তর্ভুক্ত হয়নি, যা তিনি আমদানিকৃত মনে করতেন। এগুলো [[আধুনিক শিল্পকলা|আধুনিক শিল্প]] হিসাবে গণ্য করা যায় কারণ তিনি অতীতের শিল্পকর্মের রীতিকে ভেঙে দিয়েছেন, কিন্তু এগুলো [[রূপবাদী শিল্প]] ছিল যা একটি বর্ণনা ধারণ করে। তিনি [[বিমূর্ত শিল্প|বিমূর্ত শিল্পের]] প্রতি তেমন আগ্রহী ছিলেন না।{{r|সেলিম}}{{r|দস্তগীর}} সুলতান আধুনিকতার একটি নিজস্ব সংজ্ঞা গ্রহণ করেছিলেন। তার তেমন কোনো অনুসারী ছিলনা যারা একই সংজ্ঞা মেনে শিল্পচর্চা করতেন। একারণেই তার প্রতিষ্ঠিত আধুনিকতার স্বরূপ নিয়ে নতুন কোনো ধারার সৃষ্টি হয়নি। কেউ তার মত করে আধুনিকতার ব্যাখ্যাও দেননি। এছাড়া তার মত মাটির জীবন তখনকার কোনো শিল্পী যাপন করেননি। তার কাছে আধুনিকতার সংজ্ঞা কেমন ছিল তা বলতে গিয়ে [[বাংলাপিডিয়া|বাংলাপিডিয়ায়]] তার জীবনীর লেখক [[সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম]] লিখেছেন:{{r|বাংলাপিডিয়া}}
১২৪ নং লাইন:
{{cquote|আমি সুখী। আমার কোনো অভাব নেই। সকল দিক দিয়েই আমি প্রশান্তির মধ্যে দিন কাটাই। আমার সব অভাবেরই পরিসমাপ্তি ঘটেছে।}}
== উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম ==▼
==খ্যাতি এবং উত্তরাধিকার==▼
{{মূল|এস এম সুলতানের চিত্রকর্মের তালিকা}}▼
[[চিত্র:S M Sultan, Bangladesh Postage Stamp, 26 June 1997.jpg|থাম্ব|১৯৯৭ সালের ২৬ জুন প্রবর্তিত [[বাংলাদেশের ডাকটিকিট|বাংলাদেশের ডাকটিকিটে]] সুলতানের চিত্রকর্ম ''জমি কর্ষণ-২''।]]▼
{{div col}}▼
* ''[[প্রথম বৃক্ষরোপণ]]'' (১৯৭৫)▼
* ''[[চরদখল]]'' (১৯৭৬)▼
* ''[[শাপলা তোলা]]'' (১৯৭৮)▼
* ''[[বন্যার পর]]'' (১৯৮৬)▼
* ''[[জমি কর্ষণ-১]]'' (১৯৮৬)▼
* ''[[হত্যাযজ্ঞ]]'' (১৯৮৭)▼
* ''মাছ কাটা'' (১৯৮৭){{r|চৌধুরী}}▼
* ''জমি কর্ষণে যাত্রা-১'' (১৯৮৭)▼
* ''জমি কর্ষণে যাত্রা-২'' (১৯৮৯)▼
{{div col end}}▼
▲== খ্যাতি এবং উত্তরাধিকার ==
▲[[চিত্র:
[[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ভাস্কর্য বিভাগের]] চেয়ারম্যান অধাপক লালা রুখ সেলিম, বাংলাদেশের আধুনিকতার চারজন অগ্রদূতের মধ্যে একজন হিসেবে সুলতানকে বর্ণনা করেছেন, যাদের মধ্যে [[জয়নুল আবেদিন|জয়নুল আবেদিন]], [[সফিউদ্দীন আহমেদ]], এবং [[কামরুল হাসান]]ও রয়েছেন।{{r|সেলিম}} লেখক [[আহমদ ছফা]] তার বিশ্লেষণমূলক লেখায় সুলতান সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন, "সুলতানের চিত্রে যে মানুষগুলো ফুটে উঠেছে, তারা যদিও বাংলাদেশের, আসলে তারা পৃথিবীরই সন্তান… তিনি তুলনাহীন, কারণ [[অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[যামিনী রায়]], [[নন্দলাল বসু]], [[জয়নুল আবেদিন]], [[কামরুল হাসান]], [[আব্দুর রহমান চুঘতাই]] কিংবা [[আহমেদ সাঈদ নাগী|আহমেদ সাঈদ নাগীর]] মতো খ্যাতিমান শিল্পীদের মতো উপমহাদেশীয় আদর্শ ও ধাঁচের বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি নিজেকে মহাকাব্যিক সৃষ্টিকারী হিসেবে প্রমাণ করেছেন।"{{r|চৌধুরী, এনাম}}
১৯৫০-এর দশকে শিকাগো ক্রনিকলে সুলতানকে 'মানবতাকে উপড়ে ফেলা' একজন ভালো শিল্পী হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছিল।{{r|হক, ফায়েজা}} ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তাকে আজীবন শিল্পী হিসেবে নিয়োগ দেয়, যা তার শিল্পের অবিচল প্রভাব ও শিল্পজগতে তার সম্মানিত অবস্থানের প্রতিফলন।{{r|কালবেলা}}{{r|গাফফার-কিআ}}{{r|স্টার-২০২৪}} সুলতানের চিত্রকর্ম ''[[জমি চাষ]]'' (১৯৮৬) [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর|বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের]] "১০০টি প্রসিদ্ধ বস্তুর" তালিকায় ৯৩তম স্থানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।{{r|বাজাজা}}{{r|forgotten}} ২০২৪ সালে তার জন্ম শতবর্ষে সুলতান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যাপন কমিটি গঠিত হয়েছিল।{{r|মামুন}}
সাহিত্যিক [[হাসনাত আব্দুল হাই]] সুলতানের জীবন নিয়ে ''সুলতান'' (১৯৯১) নামে একটি গবেষণামূলক উপন্যাস লিখেছেন,{{r|রহমান}} যে বিষয়ে কবি [[শামসুর রাহমান]] তার "সুলতান তার সুলতানাত ছাড়েননি" প্রবন্ধে সুপারিশ করেছিলেন।{{r|চৌধুরী, এনাম}} ২০০৫ সালে আলোকচিত্রী [[নাসির আলী মামুন]] ''গুরু'' নামে একটি বই প্রকাশ করেন, যাতে সুলতানের ৬৮টি আলোকচিত্র রয়েছে। এই ছবিগুলো ১৯৭৮ সালে সুলতানের সাথে নাসির আলী মামুনের প্রথম সাক্ষাতে সময় থেকে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তোলা সহস্রাধিক ছবির মধ্যে থেকে বাছাইকৃত হয়েছে।{{r|আহমেদ}}
==== সুলতান কমপ্লেক্স ====
[[
সুলতানের স্মৃতিসংগ্রহ সুলতান কমপ্লেক্স [[চিত্রা নদী|চিত্রা নদীর]] তীরে নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় মনোরম পরিবেশে প্রায় ২৬ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এখানে চিত্রশিল্পী সুলতানকে সমাহিত করা হয়েছে। সমাধির সামনে সুলতানের আদি বাসভবনের একটি ছোট অংশ রয়েছে। লাল সিরামিক দিয়ে মোড়ানো কমপ্লেক্সটি শান্ত, নির্জন এবং চমৎকার সব চিত্রকর্ম সুলতান কমপ্লেক্সের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে। কমপ্লেক্সের পাশে চিত্রা নদীর পাড়ে সংরক্ষিত হয়েছে সুলতানের তৈরি "শিশুস্বর্গ"।{{r|সুলতান কমপ্লেক্স}} এই কমপ্লেক্সে শিশুদের জন্য সুলতানের তৈরি নৌকা "শিশুস্বর্গ" সংরক্ষিত আছে।{{r|জাহান}}
=== সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা ===
নড়াইলের মাছিমদিয়ায় চিত্রা নদীর পারে সরকারি উদ্যোগে ২০১৬ সালে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করা হয়।{{r|প্রাআ-নতুনরূপে}} দোতলা জাদুঘরটি শিল্পীর স্মৃতিতে পূর্ণ, যা তার শিল্পকর্মের সমৃদ্ধ স্মারক বহন করে। যদিও কিছু জিনিসপত্র সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে, তারপরও সুলতানের কিছু ব্যক্তিগত সামগ্রী এখনও রয়েছে - যার মধ্যে রয়েছে কুরআন, পোশাক, রং-তুলি, ক্যানভাস, বাদ্যযন্ত্র, লাঠি, টর্চ, আয়না, ফুলদানি, ছবি এবং আরও অনেক কিছু। এই সংগ্রহশালায় সুলতানের ৭৭টি শিল্পকর্ম রয়েছে যার মধ্যে একটি অসম্পূর্ণ।{{r|জাহান}}
=== সুলতান স্বর্ণ পদক ===
[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি]] "সুলতান স্বর্ণ পদক" নামে একটি পুরস্কার চালু করেছে। সুলতানের নামে নামকরণ করা এই পুরস্কারটি প্রতি বছর তার জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে একজন বিশিষ্ট শিল্পীকে প্রদান করা হয়।{{r|সুলতান স্বর্ণ পদক ২০২০}} ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন [[কাইয়ুম চৌধুরী]], [[রফিকুন নবী]], [[মুর্তজা বশীর]], [[আমিনুল ইসলাম (চিত্রশিল্পী)|আমিনুল ইসলাম]], [[সৈয়দ জাহাঙ্গীর]], [[মাহমুদুল হক (চিত্রশিল্পী)|মাহমুদুল হক]], আব্দুস শাকুর শাহ্, আবুল বারাক আলভী, [[সমরজিৎ রায় চৌধুরী]], [[আবু তাহের (চিত্রশিল্পী)|আবু তাহের]], [[হামিদুজ্জামান খান]], [[মনিরুল ইসলাম (চিত্রশিল্পী)|মনিরুল ইসলাম]], [[মনসুর উল করিম]], [[কালিদাস কর্মকার]], আব্দুল মান্নান, [[হাশেম খান]], [[ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী]], [[মোস্তফা মন্ওয়ার]] এবং [[ফরিদা জামান]]।{{r|সুলতান স্বর্ণ পদক ২০২০}}
১৪৭ ⟶ ১৬২ নং লাইন:
সুলতানের জীবন এবং কর্মের ওপর ২০১০ সালে ফাহিম মিউজিকের ব্যানারে ''লাল মিয়া'' নামে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন আমিরুল ইসলাম। এতে সুলতানের স্মৃতিবিজড়িত নড়াইলের বিভিন্ন স্থান, [[চিত্রা নদী]], শিশুস্বর্গ, বিভিন্ন সময়ে সুলতানের আঁকা চিত্র ও দুর্লভ আলোকচিত্র সংকলিত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সুলতানের পাঁচ মিনিটের একটি সাক্ষাৎকার।{{r|প্রামাণ্যচিত্র}}
▲== উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম ==
▲{{মূল|এস এম সুলতানের চিত্রকর্মের তালিকা}}
▲{{div col}}
▲* ''[[প্রথম বৃক্ষরোপণ]]'' (১৯৭৫)
▲* ''[[চরদখল]]'' (১৯৭৬)
▲* ''[[শাপলা তোলা]]'' (১৯৭৮)
▲* ''[[বন্যার পর]]'' (১৯৮৬)
▲* ''[[জমি কর্ষণ-১]]'' (১৯৮৬)
▲* ''[[হত্যাযজ্ঞ]]'' (১৯৮৭)
▲* ''মাছ কাটা'' (১৯৮৭){{r|চৌধুরী}}
▲* ''জমি কর্ষণে যাত্রা-১'' (১৯৮৭)
▲* ''জমি কর্ষণে যাত্রা-২'' (১৯৮৯)
▲{{div col end}}
== প্রদর্শনীসমূহ ==
২৪২ নং লাইন:
|}
== টীকা ==▼
▲== ব্যক্তিগত জীবন ==
▲সুলতান সাধারণত দীর্ঘ কালো কুর্তা, এবং একটি স্কার্ফ পরিধান করতেন। তিনি ছিলেন একজন সুরসাধক এবং বাঁশিবাদক। রাতের বেলা চিত্রা নদীর তীরে তিনি বাঁশি বাজাতেন।{{r|বিশ্বাস}} এছাড়াও বাজাতেন [[তবলা]]। মাঝে মাঝে [[শাড়ি|শাড়ি]] পরে পায়ে [[ঘুঙুর]] পায়ে নাচতেন।{{r|ইশতিয়াক}} তিনি বিষেষভাবে বিড়ালদের সঙ্গ পছন্দ করতেন।{{r|বিশ্বাস}} তিনি মুঘল সম্রাটদের নামে তার বিড়ালদের নাম রেখেছিলেন। ১৯৯২ সালে দিকে তার পাচটি বিড়ালের নাম জানা যায়, যথাক্রমে জাহাঙ্গীর, দারাশিকো, সাজাহান, বাবর এবং আওরঙ্গজেব।{{r|ঠাকুর}} নিজের সৃষ্টিকর্মের বিষয়ে তার ছিল নির্মোহ দৃষ্টি। তার জীবনের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল শহরকেন্দ্রিক জীবনযাপনে অনীহা।{{r|সম্পাদকীয়-আপ}}
▲ব্যক্তিজীবনে সুলতান ছিলেন অবিবাহিত। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি নড়াইলের মাছিমদিয়ায় নিজ বাসস্থানে পালিত কন্যা নীহার বালাকে নিয়ে বাস করেতেন।{{r|জাহান}}{{r|নীহার বালা নেই}} সুলতান ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর [[যশোর|যশোরে]] সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।{{r|বাংলাপিডিয়া}}{{r|প্রআ-মৃত্যুবার্ষিকী-২০১৫}} জীবনের শেষসময় পর্যন্ত তিনি শিশুদের আঁকা শেখাতেন।{{r|কমল}}
▲==টীকা==
{{Reflist|group=টীকা}}
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|২|refs=
<ref name="আইআইই">{{cite book |author=ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন |title=Institute of International Education 32nd Annual Report |অনূদিত-শিরোনাম=ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ৩২তম বার্ষিক প্রতিবেদন |url=http://www.iie.org/~/media/Files/Corporate/AR/1951-IIE-Annual-Report.ashx |format=PDF |location=নিউ ইয়র্ক |publisher=[[ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন]] |page=২৮, ৩১ |date=১৯৫১ |ভাষা=en |access-date=30 July 2014 }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=নভেম্বর ২০২৪ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
<ref name="আবির পোথি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Remembering SM Sultan, the Bangladeshi Artist Who Captured Peasants With Exaggerated Muscles |ইউআরএল=https://abirpothi.com/remembering-s-m-sultan-the-bangladeshi-artist-who-captured-peasants-with-exaggerated-muscles/ |ওয়েবসাইট=ভারতের একমাত্র দৈনিক ডিজিটাল আর্ট সংবাদপত্র |প্রকাশক=আবির পোথি |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |ভাষা=en |তারিখ=১০ আগস্ট ২০২৪ |আর্কাইভের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240921230014/https://abirpothi.com/remembering-s-m-sultan-the-bangladeshi-artist-who-captured-peasants-with-exaggerated-muscles/ |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="আলী">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=আলী |প্রথমাংশ1=মো.বাবর |শিরোনাম=চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের আদ্যোপান্ত |ইউআরএল=https://www.agaminews.com/special-report/news/47229 |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=আগামী নিউজ |তারিখ=৬ এপ্রিল ২০২১ |অবস্থান=[[নড়াইল]] |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240926151652/https://www.agaminews.com//special-report/news/47229 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="আহমেদ">{{cite news |last=আহমেদ |first=আফসার |date=13 July 2005 |title=The lens on legendary artist SM Sultan |url=http://www.thedailystar.net/2005/07/13/d507131401105.htm |ভাষা=en |newspaper=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] |archive-url=https://web.archive.org/web/20060628140949/http://www.thedailystar.net/2005/07/13/d507131401105.htm |archive-date=28 June 2006 |access-date=8 August 2005}}</ref>
<ref name="Avant-garde">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |লেখক1=কলা ও বিনোদন ডেস্ক |শিরোনাম=SM Sultan: The birth of a Bengali Avant-garde artist |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/news/arts-entertainment/sm-sultan-the-95-birth-anniversary-bengali-avant-garde-artist-1618798 |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] |তারিখ=১০ আগস্ট ২০১৮ |ভাষা=en |আর্কাইভের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240914190700/https://www.thedailystar.net/news/arts-entertainment/sm-sultan-the-95-birth-anniversary-bengali-avant-garde-artist-1618798 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
২৬৫ ⟶ ২৬০ নং লাইন:
<ref name="কমল">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=কমল |প্রথমাংশ1=এরশাদ |শিরোনাম=S.M. Sultan: The golden man of fine arts |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/news-detail-49663 |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]] |তারিখ=১০ আগস্ট ২০০৮ |ভাষা=en |আর্কাইভের-তারিখ=২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240924001647/https://www.thedailystar.net/news-detail-49663 |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="কালবেলা">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান |ইউআরএল=https://www.kalbela.com/ajkerpatrika/joto-mot-toto-path/110325 |সংগ্রহের-তারিখ=২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[দৈনিক কালবেলা]] |তারিখ=১০ আগস্ট ২০২৪ }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=নভেম্বর ২০২৪ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
<ref name="গাফফার">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/kishoralo/article/1559588/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80|শিরোনাম=প্রাণ ও প্রকৃতির শিল্পী|শেষাংশ=গাফফার|প্রথমাংশ=আবদুল|তারিখ=৫ আগস্ট ২০১৮|ওয়েবসাইট=[[প্রথম আলো]]|সংগ্রহের-তারিখ=৮ জুলাই ২০২০|আর্কাইভের-তারিখ=১৯ মে ২০২০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200519014034/https://www.prothomalo.com/kishoralo/article/1559588/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
২৮৭ ⟶ ২৮২ নং লাইন:
<ref name="নৃ">{{cite web |url=http://www.gallerynree.com/index.php/artist-in-bangladesh |title=Artist in Bangladesh |website=গ্যালারি নৃ |ভাষা=ইংরেজি |archive-url=https://web.archive.org/web/20131127090355/http://www.gallerynree.com/index.php/artist-in-bangladesh |archive-date=27 November 2013}}</ref>
<ref name="নীহার বালা নেই">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের নীহার বালা আর নেই |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/jstjjle0ol |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=৩০ নভেম্বর ২০২২ |অবস্থান=[[নড়াইল]] |আর্কাইভের-তারিখ=২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240925034717/https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/jstjjle0ol |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
<ref name="প্রাআ-নতুনরূপে">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=নতুনরূপে সুলতানের তিন ছবি |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |প্রকাশক=[[প্রথম আলো]] |তারিখ=২৬ মার্চ ২০২১ |অবস্থান=[[নড়াইল]] |আর্কাইভের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20240921230013/https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref>
৩৩২ ⟶ ৩২৭ নং লাইন:
=== উৎস ===
{{div col}}
* {{সাময়িকী উদ্ধৃতি |তারিখ=১৯৯০ |সম্পাদক১-শেষাংশ=আতিক |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=নুরুল আলম |সম্পাদক১-সংযোগ=নুরুল আলম |শিরোনাম=এস এম সুলতান সংখ্যা |সাময়িকী=নৃ
* {{বই উদ্ধৃতি |
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=ইসলাম |প্রথমাংশ=মোহাম্মদ সিরাজুল |শিরোনাম=এস এম সুলতান |প্রকাশক=হাতেখড়ি |তারিখ=২০০৯ |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=খান |প্রথমাংশ=সাদেক |শিরোনাম=আর্ট অব বাংলাদেশ সিরিজ-৪ : এস. এম. সুলতান |প্রকাশক=[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি]] |অবস্থান=[[ঢাকা]] |অধ্যায়=জীবনবৃত্তান্ত |বছর=২০০৩ |প্রকাশনার-তারিখ=জুন ২০০৩ |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=খান |প্রথমাংশ১=হাশেম |লেখক-সংযোগ১=হাশেম খান |শেষাংশ২=মালাকার |প্রথমাংশ২=অ্যাডলিন |title=Arts & Crafts: Classes 9-10 |url=http://www.nctb.gov.bd/TextBook_2013/Eng.ver-2013-PDF/Class-9/Arts%20and%20crft%20final%209-10.pdf |year=২০১৩ |editor-last=মনোয়ার |editor-first=মুস্তফা |সম্পাদক-সংযোগ=মুস্তফা মনোয়ার |website=[[জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড]] |archive-url=https://web.archive.org/web/20140706072439/http://www.nctb.gov.bd/TextBook_2013/Eng.ver-2013-PDF/Class-9/Arts%20and%20crft%20final%209-10.pdf |archive-date=6 July 2014 |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=চক্রবর্তী |প্রথমাংশ১=কুনাল |শেষাংশ২=চক্রবর্তী |প্রথমাংশ২=শুভ্র |date=২০১৩ |title=বাঙালির ঐতিহাসিক অভিধান |url=https://books.google.com/books?id=QVOFAAAAQBAJ&pg=PA444 |location=ল্যানহাম, মেরিল্যান্ড |publisher=স্ক্যারক্রো প্রেস |isbn=978-0810853348 |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=ছফা|প্রথমাংশ=আহমদ |শিরোনাম=[[বাঙালি মুসলমানের মন]] |লেখক-সংযোগ=আহমদ ছফা|বছর=১৯৮১ |প্রকাশক=[[বাংলা একাডেমি]] |অধ্যায়=বাংলার চিত্র ঐতিহ্য: সুলতানের সাধনা |oclc=9761166 |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=জাহাঙ্গীর |প্রথমাংশ=বোরহানউদ্দিন খান |লেখক-
* {{বই উদ্ধৃতি |লেখক=জার্মান সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট |লেখক-সংযোগ১=গ্যোটে ইনস্টিটিউট |বছর=১৯৮৭ |শিরোনাম=S.M. Sultan and His Paintings |অনূদিত-শিরোনাম=এস.এম. সুলতান এবং তাঁর চিত্রকর্ম |ইউআরএল={{গুগল বই|nfPVAAAAMAAJ|S_M_Sultan_and_His_Paintings|plainurl=yes}} |ভাষা=ইংরেজি |অবস্থান=ঢাকা |প্রকাশক=[[মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়]] |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=নিজার |প্রথমাংশ1=সৈয়দ |শিরোনাম=ভারতশিল্পের উপনিবেশায়ন ও সুলতানের বিউপনিবেশায়ন ভাবনা |publisher=চৈতন্য পাবলিশিং হাউস |year=২০১৭ |isbn=978-98-49-271154 |location=সিলেট, বাংলাদেশ |সূত্র=harv}}
৩৪৮ ⟶ ৩৪৪ নং লাইন:
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=মাসুদ |প্রথমাংশ=তারেক |লেখক-সংযোগ=তারেক মাসুদ |শিরোনাম=চলচ্চিত্রযাত্রা |বছর=ফেব্রুয়ারি ২০১২ |প্রকাশক=[[প্রথমা প্রকাশন]] |অবস্থান=ঢাকা |অধ্যায়=যেভাবে 'আদম সুরত' |আইএসবিএন=978-984-33-3886-0 |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=হাই |প্রথমাংশ=হাসনাত আবদুল |লেখক-সংযোগ=হাসনাত আব্দুল হাই |শিরোনাম=সুলতান |বছর=২০১৮ |প্রকাশক=[[দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড]] |অবস্থান=[[ঢাকা]] |প্রকাশনার-তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |আইএসবিএন=978-984-506-219-0 |সংস্করণ=দ্বিতীয় |সূত্র=harv}}
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=হোসাইন |প্রথমাংশ১=মহসিন |বছর=
* {{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=হোসাইন |প্রথমাংশ১=মহসিন |বছর=২০১৩ |শিরোনাম=শিল্পি সুলতানের আত্মকথা : জীবনের জলরঙ |প্রকাশক=মনন প্রকাশ |পাতাসমূহ=১৭৬ |আইএসবিএন=9847019000258 |আইএসবিএন-ত্রুটি-উপেক্ষা-করুন=হ্যাঁ}}
{{div col end}}
|